সরকার
হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল
হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে আরও বলা হয়, নিবন্ধন কোটা পূরণ হলে হজ নিবন্ধনের সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে ৯ জানুয়ারি হজ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে সরকারের একটি চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
এ বছর ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি হজযাত্রী জেদ্দা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন এবং বাকি ৩০ শতাংশ মদিনা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন।
এদিকে, সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ইচ্ছুক হজযাত্রীদের জন্য একটি সার্ভিস চার্জ কমানোয় সরকার সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়েছে।
১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে এ বছর হজ করতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনকারীদের প্রত্যেককে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা দিতে হবে।
এছাড়া যারা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন তাদের প্রত্যেককে টাকা বাদ দিয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা দিতে হবে।
সরকারের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসির চিঠি প্রত্যাখান ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার বলেছেন, বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠি জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরেকটি নির্বাচন করার সরকারের সর্বশেষ কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, অতীতে কেউ কি ভোট দিতে পারতেন? তারা (সরকার) আবার সেই কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এবার অনেক চাপ আছে, কারণ বিদেশিরা বলছে আগের মতো ভোট এবার গ্রহণযোগ্য হবে না...তাই তারা নতুন কৌশল নিচ্ছে। সর্বশেষ কৌশলের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন আমাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছে।’
শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সোমবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক করে ইসির চিঠির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রমজানে কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে বিএনপি মহাসচিবকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠান।
আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান ইসি গত বছর গঠনের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ করেছে। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ নেয়নি।
একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ইসি) কেন এমন চিঠি পাঠিয়ে অস্থির হচ্ছেন? আপনারা ভদ্র মানুষের মতো জীবনযাপন করেন এবং বেতন নেন।’
পূর্ববর্তী কমিশন শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বর্তমান ইসিকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চিন্তা না করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ খুঁজতে পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অযথা এসব কথা বলে নিজেদের ছোট করবেন না।
তিনি আরও বলেন, ভোটের সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে না।
ফখরুল বলেন, ‘শুধু জাতীয় নির্বাচনে নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তাই অযথা এই চর্চা (আলোচনা করা) না করে আসল কথায় আসুন। আসল কথা হলো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন: এতিম ও ইসলামিক স্কলারদের ইফতারের আয়োজন করেছে বিএনপি
সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধামকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক।
তিনি বলেন, এগুলাতে হনুমানও এখন ভেঙচি কাটে।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া মৌসুমী আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা করেন।
আরও পড়ুন: ভাষা ও সংস্কৃতি বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বহুবার সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। তারাই দড়ি ছিড়ে পড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি ও বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রত্যূষে বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে বহুবার কথা বলেছিলেন। সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেই সময় দেয়া না দেয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।'
সাংবাদিকরা এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জালিয়াতি ও ডাকাতি করেছে বলে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করে।
জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা ইতোপূর্বে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার ঢাকা বারের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে জয়লাভের কোনো আশা নেই বুঝেই তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়, এরপর নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভণ্ডুল করার জন্য ব্যালট ছিনতাই ও নির্বাচনী প্যান্ডেলসহ সব স্থাপনা ভাঙচুর করে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, '২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে তারা নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি-এ জন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
এর আগে আরসিসি ড্রেইনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধনকালে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেয়া হয়নি। এই প্রকল্পের কাজ চলছে, আশা করি আগামী মৌসুমে আগের মত জলাবদ্ধতা আর হবে না।
শহরের পরিচ্ছন্নতা ও নর্দমা সচল রাখা নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের পৌণে এক কোটি মানুষ মিলে শহর ময়লা করলে সিটি করপোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষেও তা পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। পলিথিন ও বাসাবাড়ির ময়লা না ফেললে ড্রেইন সচল থাকবে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চায় আ.লীগ: পর্যবেক্ষকদেরকে তথ্যমন্ত্রী
ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই কাজ করা হয়েছে। এসব কাজে বিএনপি ও জামায়াত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। তারা নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ঘে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করে। ডিসি এবং এসপি অফিসে হামলার চেষ্টা করে। প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
এ সময় হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষদের যেন হয়রানি করা না হয় সেবিয়ে পুলিশকে খেয়াল রাখতে বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান রেলপথমন্ত্রী।
মানবিক সহায়তা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ।
এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার ২০৬ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন।
এরমধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১০৮ জন এবং বোদা উপজেলায় ৯৮ জন।
বিতরণকৃত টাকার মধ্যে সবোর্চ্চ পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৬ এবং সর্বনিম্ন চার হাজার ৮০০ টাকা ক্ষয়ক্ষতির আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
রমজানে ডিসিদের কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ সরকারের
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, আসন্ন রমজানে সরকার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বাজার মনিটরিং করতে এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে ডিসিরা কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করবেন এবং বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আইন প্রয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ১ কোটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সব সময়ের জন্য এটা বলা আছে যে রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে হচ্ছে, আমাদের এখান থেকে হচ্ছে; জেলা পর্যায় থেকেও হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে গতকাল দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আড়াই ঘন্টার বেশি বৈঠক হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন, তাদের কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রমজান এখনও শুরু হয়নি। গতকাল বৈঠকে প্রস্তুতি মূলক নির্দেশনাই আমরা দিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং থাকবে। আর বাজারে যদি একেবারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সেখানে যেন আমরা আইন প্রয়োগ করতে পারি সে বিষয়ে প্রত্যেক জেলা প্রশাকদের বলা আছে। তারা খুব কঠোরভাবে এটা মনিটরিং করবেন।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ
রমজানকে সামনে রেখে টিসিবির ৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু
রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,সরকার প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতেই এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে এবং দেশে-বিদেশে বিএনপি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে। সরকার তার নিজের লোকদের দিয়ে এটা করেছে।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মূলত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে জড়িয়ে দেশে ও বিদেশে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে সরকার নৃশংস দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বিরোধী দলকে দমন করতে এবং চলমান আন্দোলন বানচাল করতেই তারা এটা করেছে।
ফখরুল বলেন, যে কোনো ঘটনা নিজে ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস। তারা অতীতেও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গত ৮ মার্চ সহিংসতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী,এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করে।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট একটি অমানবিক ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা দেশে এ ধরনের ঘটনা দেখতে চাই না।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
ফখরুল বলেন, সরকার ও পুলিশের চরম দায়িত্বে অবহেলার কারণে, এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কি না তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এখন এক হাজার চিহ্নিত ব্যক্তিসহ ১২ হাজার জনের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করে সহিংসতা কবলিত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
ফখরুল বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই সরকার পাইকারিভাবে মানুষকে গ্রেপ্তার করছে। তারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এটি করছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের আন্দোলনকে পুরোপুরি দমন ও বিচ্যুত করার জন্য সরকার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সব ধর্মের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের অভাব ও সরকারের জবাবদিহিতার অভাবে দেশে পঞ্চগড়ের মতো ঘটনা ঘটছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই এ ধরনের সমস্যার একমাত্র সমাধান।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ পঞ্চগড় জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য দুজন মুসলমানকে হত্যা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর কিছু যুবক লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট করে।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না, ইইউকে জানালো বিএনপি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে বিএনপি। এসময় দলটির নেতারা রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, তাদের দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
রবিবার বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মতোই সব গণতান্ত্রিক দেশও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা ইইউ রাষ্ট্রদূতদের স্পষ্ট করে বলেছে যে তাদের দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যেহেতু দেশ এবং এর বাইরেও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, স্বভাবতই বিষয়টিতে তাদের (ইইউর) দৃষ্টি রয়েছে। সেইদিক থেকে আমরা আজ (রবিবার) তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
গুলশানের এবিসি হাউসে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন আমির খসরু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা কী আলোচনা করেছেন জানতে চাইলে খসরু জানান, 'বেআইনি' সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশের জনগণের ভোটাধিকার 'ছিনিয়ে' নেয়ায় বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা কীভাবে ভেঙে পড়েছে তা নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারলে বাংলাদেশ সংকটে পড়বে বলে বিদেশিরাও আশঙ্কা করছে। ‘এই শঙ্কা থেকে তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আগামী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং কীভাবে এটিকে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায় তা জানতে চায়।’
তিনি বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, তারা স্পষ্টই জানে যে এদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না এবং বর্তমান ‘দখলকারী সরকারের’ কারণে তারা তাদের প্রতিনিধি, সরকার ও সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। ‘তারা (ইইউ দেশগুলো) এই সত্যটি সম্পর্কে সচেতন এবং তারা এর পিছনের কারণগুলোও জানে।’
নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে খসরু নেতিবাচক জবাব দেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে: বিএনপি মহাসচিব
আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
সরকার গুজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশ দেওলিয়া হয়ে গেছে। দেশ শ্রীলংকা হওয়ার আশঙ্কা আছে, কারণ শ্রীলংকা যে কাজ করেছে বাংলাদেশও তা করছে।
শনিবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, সেটা হলো বড় প্রকল্পের জন্য যে লোন নেয়া হয়েছে তা অনেক বেশি। বড় লোন নিয়ে শ্রীলংকা দিতে পারে নাই। যার জন্য শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় প্রকল্পে যে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা অনেকগুণ বেশি। কয়েকদফা সময় বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারছেনা। ফলে রির্জাভ থেকে লোনের টাকা দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরকে দলীয় অঙ্গ-সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি,অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আলমগীর কবির মজুমদার।
এসময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ১০ উপজেলা এবং ৪ পৌরসভার শীর্ষ নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উবায়দুল কবির মোহন এর নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
দেশের জনগণ বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অতিসত্বর বিদায় দেখতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,বাংলাদেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে পথে,মাঠে ও সমাবেশে প্রত্যেক জায়গায় আজ একটাই প্রশ্ন; এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে কবে বিদায় দিবেন? আমরা নিশ্বাস ফেলতে পারছিনা। আরও কিছুদিন এ অবৈধ সরকার যদি থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না।’
শনিবার নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় প্রতিটিদিন অতিবাহিত করছি। আমাদের মুক্তি দিন, দেশকে মুক্ত করেন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ম্যাসেজ। পরিষ্কারভাবে এটা জনগণের সিদ্ধান্ত এবং তারা অতিসত্বর সরকারের বিদায় দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিস্ফোরণগুলো হচ্ছে, এগুলোকেও তারা রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একটা সরকারের আমলে যখন এগুলো ঘটে, তখন বোঝা যায় সে সরকার দেশ পরিচালনাতে ব্যর্থ। তারা রাজনীতি করছে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরশাদের পতনের সময় মন্দিরে মন্দিরে আক্রমণ হয়েছিল। স্বৈরাচারেরা যখন পতনের অবস্থানে চলে যায়, তারা তখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে; তারা এগুলো আরও করবে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। এ দলটি রাজনৈতিকভাবে দৈন্যদশায় পড়ে গেছে। দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী অংশ নেন।
নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কের মূল অংশ থেকে শুরু হয়ে একদিকে কাজীর দেউরি মোড়,অন্যদিকে লাভলেইন হয়ে জুবলী রোড পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশের মানুষ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘চরম দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে চরম দুর্নীতি চলছে। এই অবৈধ সরকার দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি অবনতির মূলে রয়েছে বিনা ভোটে নির্বচিত অবৈধ সরকারের এমপি, মন্ত্রী ও আমলারা। যার ফলে গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় গ্রেডে। এটি একটি হাইব্রিড সরকারের শাসন ব্যবস্থা। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ কথা বলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে আর ভোট ডাকাতির চেষ্টা করবেননা। বিএনপি ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য রাজপথে আছে। প্রয়োজনে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।’
এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর,যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, অ্যাড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নছরুল কদির, জেলা ড্যাব এর সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম জানে আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
সালাহউদ্দিনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ চায় বিএনপি
প্রতিবেশী দেশে ২০১৫ সালে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি ভারতের শিলংয়ের বিচারক আদালত খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সালাউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই তাকে আট বছর কারাগারে এবং ভারতে গৃহবন্দী থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারতীয় আদালতে খালাস পাওয়ায় তাকে ফিরিয়ে আনা সরকারের দায়িত্ব।
ফখরুল বলেন, 'সালাউদ্দিন আহমেদকে একজন মুক্ত মানুষ হিসেবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।'
এ ব্যাপারে তিনি ভারত সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন। ‘আমরা আমাদের প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে আমাদের কাছে ফিরে পেতে চাই।’
সালাহউদ্দিন আহমেদকে তার মানবাধিকার নিশ্চিত করে মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের শিকারদের মধ্যে সালাহউদ্দিন অন্যতম।
বিএনপি নেতা বলেন, সালাহউদ্দিনকে ‘মিথ্যা মামলা’ জড়িয়ে ৮ বছর ভারতে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। ‘অবৈধভাবে সে দেশে প্রবেশের জন্য তাকে ভারতের একটি আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ খালাস পান।
বেকসুর খালাসের মাধ্যমে ফখরুল বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের ‘অবৈধ’ সরকারের সীমাহীন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। ‘আমরা তাকে এখন নিঃশর্তভাবে ফিরে পেতে চাই।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারও শ্রীলঙ্কার মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হবে: মোশাররফ
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশের যেকোনো উন্নত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের বিচারিক আদালত একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়কে বহাল রাখেন। যা ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে খালাস দেয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবরে প্রথম শ্রেণির বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, ডিজি খারশিং-এর আদালত সালাহউদ্দিন আহমেদকে মামলায় খালাস দিয়েছিলেন এবং রাজ্য সরকারকে তার অবিলম্বে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন।
প্রায় দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিনকে ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ পাওয়া যায়।
কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিদেশি আইইনে মামলা হয়েছে।
পরে শিলং পুলিশ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
তবে বিএনপি দাবি করেছে যে সালাহউদ্দিনকে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা, যারা নিজেদের গোয়েন্দা পরিচয় দেয়।
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির