সরকার
রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,সরকার প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতেই এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে এবং দেশে-বিদেশে বিএনপি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে। সরকার তার নিজের লোকদের দিয়ে এটা করেছে।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মূলত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে জড়িয়ে দেশে ও বিদেশে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে সরকার নৃশংস দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বিরোধী দলকে দমন করতে এবং চলমান আন্দোলন বানচাল করতেই তারা এটা করেছে।
ফখরুল বলেন, যে কোনো ঘটনা নিজে ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস। তারা অতীতেও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গত ৮ মার্চ সহিংসতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী,এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করে।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট একটি অমানবিক ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা দেশে এ ধরনের ঘটনা দেখতে চাই না।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
ফখরুল বলেন, সরকার ও পুলিশের চরম দায়িত্বে অবহেলার কারণে, এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কি না তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এখন এক হাজার চিহ্নিত ব্যক্তিসহ ১২ হাজার জনের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করে সহিংসতা কবলিত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
ফখরুল বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই সরকার পাইকারিভাবে মানুষকে গ্রেপ্তার করছে। তারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এটি করছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের আন্দোলনকে পুরোপুরি দমন ও বিচ্যুত করার জন্য সরকার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সব ধর্মের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের অভাব ও সরকারের জবাবদিহিতার অভাবে দেশে পঞ্চগড়ের মতো ঘটনা ঘটছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই এ ধরনের সমস্যার একমাত্র সমাধান।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ পঞ্চগড় জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য দুজন মুসলমানকে হত্যা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর কিছু যুবক লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট করে।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না, ইইউকে জানালো বিএনপি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে বিএনপি। এসময় দলটির নেতারা রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, তাদের দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
রবিবার বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মতোই সব গণতান্ত্রিক দেশও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা ইইউ রাষ্ট্রদূতদের স্পষ্ট করে বলেছে যে তাদের দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যেহেতু দেশ এবং এর বাইরেও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, স্বভাবতই বিষয়টিতে তাদের (ইইউর) দৃষ্টি রয়েছে। সেইদিক থেকে আমরা আজ (রবিবার) তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
গুলশানের এবিসি হাউসে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন আমির খসরু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা কী আলোচনা করেছেন জানতে চাইলে খসরু জানান, 'বেআইনি' সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশের জনগণের ভোটাধিকার 'ছিনিয়ে' নেয়ায় বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা কীভাবে ভেঙে পড়েছে তা নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারলে বাংলাদেশ সংকটে পড়বে বলে বিদেশিরাও আশঙ্কা করছে। ‘এই শঙ্কা থেকে তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আগামী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং কীভাবে এটিকে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায় তা জানতে চায়।’
তিনি বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, তারা স্পষ্টই জানে যে এদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না এবং বর্তমান ‘দখলকারী সরকারের’ কারণে তারা তাদের প্রতিনিধি, সরকার ও সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। ‘তারা (ইইউ দেশগুলো) এই সত্যটি সম্পর্কে সচেতন এবং তারা এর পিছনের কারণগুলোও জানে।’
নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে খসরু নেতিবাচক জবাব দেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে: বিএনপি মহাসচিব
আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
সরকার গুজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশ দেওলিয়া হয়ে গেছে। দেশ শ্রীলংকা হওয়ার আশঙ্কা আছে, কারণ শ্রীলংকা যে কাজ করেছে বাংলাদেশও তা করছে।
শনিবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, সেটা হলো বড় প্রকল্পের জন্য যে লোন নেয়া হয়েছে তা অনেক বেশি। বড় লোন নিয়ে শ্রীলংকা দিতে পারে নাই। যার জন্য শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় প্রকল্পে যে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা অনেকগুণ বেশি। কয়েকদফা সময় বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারছেনা। ফলে রির্জাভ থেকে লোনের টাকা দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরকে দলীয় অঙ্গ-সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি,অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আলমগীর কবির মজুমদার।
এসময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ১০ উপজেলা এবং ৪ পৌরসভার শীর্ষ নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উবায়দুল কবির মোহন এর নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
দেশের জনগণ বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অতিসত্বর বিদায় দেখতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,বাংলাদেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে পথে,মাঠে ও সমাবেশে প্রত্যেক জায়গায় আজ একটাই প্রশ্ন; এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে কবে বিদায় দিবেন? আমরা নিশ্বাস ফেলতে পারছিনা। আরও কিছুদিন এ অবৈধ সরকার যদি থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না।’
শনিবার নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় প্রতিটিদিন অতিবাহিত করছি। আমাদের মুক্তি দিন, দেশকে মুক্ত করেন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ম্যাসেজ। পরিষ্কারভাবে এটা জনগণের সিদ্ধান্ত এবং তারা অতিসত্বর সরকারের বিদায় দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিস্ফোরণগুলো হচ্ছে, এগুলোকেও তারা রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একটা সরকারের আমলে যখন এগুলো ঘটে, তখন বোঝা যায় সে সরকার দেশ পরিচালনাতে ব্যর্থ। তারা রাজনীতি করছে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরশাদের পতনের সময় মন্দিরে মন্দিরে আক্রমণ হয়েছিল। স্বৈরাচারেরা যখন পতনের অবস্থানে চলে যায়, তারা তখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে; তারা এগুলো আরও করবে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। এ দলটি রাজনৈতিকভাবে দৈন্যদশায় পড়ে গেছে। দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী অংশ নেন।
নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কের মূল অংশ থেকে শুরু হয়ে একদিকে কাজীর দেউরি মোড়,অন্যদিকে লাভলেইন হয়ে জুবলী রোড পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশের মানুষ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘চরম দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে চরম দুর্নীতি চলছে। এই অবৈধ সরকার দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি অবনতির মূলে রয়েছে বিনা ভোটে নির্বচিত অবৈধ সরকারের এমপি, মন্ত্রী ও আমলারা। যার ফলে গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় গ্রেডে। এটি একটি হাইব্রিড সরকারের শাসন ব্যবস্থা। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ কথা বলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে আর ভোট ডাকাতির চেষ্টা করবেননা। বিএনপি ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য রাজপথে আছে। প্রয়োজনে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।’
এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর,যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, অ্যাড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নছরুল কদির, জেলা ড্যাব এর সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম জানে আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
সালাহউদ্দিনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ চায় বিএনপি
প্রতিবেশী দেশে ২০১৫ সালে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি ভারতের শিলংয়ের বিচারক আদালত খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সালাউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই তাকে আট বছর কারাগারে এবং ভারতে গৃহবন্দী থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারতীয় আদালতে খালাস পাওয়ায় তাকে ফিরিয়ে আনা সরকারের দায়িত্ব।
ফখরুল বলেন, 'সালাউদ্দিন আহমেদকে একজন মুক্ত মানুষ হিসেবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।'
এ ব্যাপারে তিনি ভারত সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন। ‘আমরা আমাদের প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে আমাদের কাছে ফিরে পেতে চাই।’
সালাহউদ্দিন আহমেদকে তার মানবাধিকার নিশ্চিত করে মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের শিকারদের মধ্যে সালাহউদ্দিন অন্যতম।
বিএনপি নেতা বলেন, সালাহউদ্দিনকে ‘মিথ্যা মামলা’ জড়িয়ে ৮ বছর ভারতে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। ‘অবৈধভাবে সে দেশে প্রবেশের জন্য তাকে ভারতের একটি আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ খালাস পান।
বেকসুর খালাসের মাধ্যমে ফখরুল বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের ‘অবৈধ’ সরকারের সীমাহীন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। ‘আমরা তাকে এখন নিঃশর্তভাবে ফিরে পেতে চাই।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারও শ্রীলঙ্কার মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হবে: মোশাররফ
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশের যেকোনো উন্নত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের বিচারিক আদালত একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়কে বহাল রাখেন। যা ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে খালাস দেয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবরে প্রথম শ্রেণির বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, ডিজি খারশিং-এর আদালত সালাহউদ্দিন আহমেদকে মামলায় খালাস দিয়েছিলেন এবং রাজ্য সরকারকে তার অবিলম্বে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন।
প্রায় দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিনকে ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ পাওয়া যায়।
কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিদেশি আইইনে মামলা হয়েছে।
পরে শিলং পুলিশ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
তবে বিএনপি দাবি করেছে যে সালাহউদ্দিনকে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা, যারা নিজেদের গোয়েন্দা পরিচয় দেয়।
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ দল
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচিত ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে, আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল চলতি সপ্তাহে ঢাকা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসময় আইএমএফ দল বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। কেননা প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ রেজিলেন্স এন্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) –এর অধীনে বিতরণ করা হবে।
আরএসএফ বাংলাদেশের জলবায়ু বিনিয়োগের বিষয়টিকে সমর্থন করতে, জলবায়ু অর্থায়নকে প্রভাবিত করতে এবং আমদানি-নির্ভর জলবায়ু বিনিয়োগ থেকে অর্থপ্রদানের ভারসাম্যের চাপ কমাতে সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের ঋণ অনুমোদন বিবেচনা করতে পারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, এখানে অবস্থানকালে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের জন্য ঋণের পরবর্তী কিস্তি দেয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের হালনাগাদ তথ্য জানতে চাইবে।
ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ, বৈদেশিক মুদ্রার হার, মুদ্রানীতি, ঋণ পুনরুদ্ধার, সুদের হার, জিডিপি এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়সহ বিভিন্ন নীতি সংস্কার বাস্তবায়ন করছে।
প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেসরকারি খাতকে জ্বালানি আমদানির অনুমতি দেয়া এবং খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো।
এছাড়া, জ্বালানি পণ্যসহ আমদানি পণ্যের দাম ব্যবহারভিত্তিক করা এবং কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে।
এই ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ইতোমধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিল আইএমএফ
বাংলাদেশ ব্যাংকের আশা আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি আগামী মাসের মধ্যে আসবে: মুখপাত্র
বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ জনবহুল হওয়ায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য। তবুও দেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ পারলে আমরা কেন দেশকে পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে পারব না। দেশকে দূষণমুক্ত করতে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত হতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা ও পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার বিকালে ‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’- এ ভূষিত হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিবেশমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যেকোনো স্বীকৃতি পেলে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের নিরলসভাবে কাজ করে পরিবেশের উন্নতি দৃশ্যমান করতে হবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মনোবল সহকারে দেশের পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।
এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে পরিবেশ রক্ষায় স্মার্টভাবে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে ‘বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উন্নয়ন’- ক্যাটাগরিতে ‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’- দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় ন্যাপ এ চিহ্নিত ১১৩ টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রযুক্তির পাশাপাশি শ্রমঘন শিল্পে মনোনিবেশ করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে শ্রমঘন শিল্পের সঙ্গে মিলিয়ে দেশে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দরজায় কড়া নাড়ছে। হয়তো আমাদের জনবল কম লাগবে, কিন্তু আমাদের প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এজন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ', 'জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ' এবং বিশেষ গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণকালে এ কথা বলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সঠিক তদন্তের পর বীমার দাবি পরিশোধ নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে পুরোপুরি গ্রহণ করতে চায় না। কিন্তু আমরা পুরোপুরি সেই দিকে যেতে চাই না। আমরা শ্রমঘন শিল্পও স্থাপন করতে চাই। কারণ বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং এই দুটির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এটি অবশ্যই আপনাদের মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গবেষকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন এবং তিনি সময়ে সময়ে এই গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষ মনোযোগ দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে নতুন বৈশ্বিক প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ১৬ পদের মাছে আপ্যায়িত প্রধানমন্ত্রী
এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই: আমানউল্লাহ আমান
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, এই সরকার ভোট চোর সরকার। এই সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই, কারণ সরকার তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নি।
তিনি বলেন, এবার এমনটা হতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনেই এবার নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: নতুন ৩০টি বই প্রকাশ করল স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা বিএনপির আয়োজনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে করা পদযাত্রা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু এখন মানুষ ভোট দিতে পারে না। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নেই।
আমান বলেন, শেখ হাসিনার ভোটারবিহীন নির্বাচনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার পেছনে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। আমাদের অনেক সহযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোট সেন্টারে কুকুর ঘুমিয়েছিল। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার, অবৈধ সরকার। তাই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে হলেও হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কর্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিএনপির উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান এবং সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনায় আক্রান্ত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করলেন সৌরভ গাঙ্গুলী
সরকার সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে: নজরুল
সরকার সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) কী শুরু করেছেন? আপনারা সংবিধানের কথা বলছেন। আপনারা আসলে সংবিধান নিয়ে রসিকতা করছেন। সংবিধানে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা লেখা আছে, কিন্তু আপনারা মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা করেন। এই দুটি জিনিস কি একসঙ্গে যায়? সংবিধানে লিখেছেন যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, কিন্তু আপনারা বলছেন যে আপনারা কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতী না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং দৈনিক দিন কালসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া গণমাধ্যমগুলো পুনরায় চালু করার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল 'কালো আইন' বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার সংবিধানকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। ‘গণআন্দোলনকে দমন করা অসম্ভব। অতীতে কেউ তা করতে পারেনি। সব বাধা উপেক্ষা করে আমরা এগিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তাদের দল ক্ষমতায় ফিরলে তারা ‘বর্তমান সরকার অন্যায়ভাবে যেসব সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে সেগুলো পুনরায় চালু করবে।’
যেসব টিভি চ্যানেল বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘মিথ্যা’ প্রতিবেদন ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, প্রকৃত সাংবাদিকতার স্বার্থে তাদের এ ধরনের চর্চা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ ক্ষমতাসীন দলকে তা নষ্ট করতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ এই সরকারকে উৎখাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষও একত্র হয়েছে এবং তারা কোনও দমনমূলক কর্মকাণ্ডকে ভয় পায় না।’
নজরুল ইসলাম খান শাসক দলকে ছদ্মবেশে চায়ের স্টলে গিয়ে বা বাসে চড়ে সরকার, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নেতাদের সম্পর্কে জনগণ কী বলে তা শোনার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে না সরালে বিপদে পড়বে বাংলাদেশের জনগণ: ফখরুল
আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস