সরকার
সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, সরকার দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন ৯সদস্যের জাপানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার রক্ষায় সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার পরিস্থিতি, গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা, হলি আর্টিসান মামলার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার করেছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করছে। ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ণ করে তার অধীনে একটি শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই কমিশন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের খাদ্য ও গৃহ সংস্থানের অধিকার পূরণে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুগান্তকারী বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সকল গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদাহরণ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে আদালত কতৃর্ক দণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় তার কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় থেকে সুচিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
আনিসুল হক জানান, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফলে গার্মেন্টস খাতের কর্মপরিবেশ আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। সরকার শ্রম আইনকে সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছে; আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চাহিদ মোতাবেক আইনটিকে আরও শ্রমবান্ধব করার কাজ করছে। কোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ওই কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিকদের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হয়েছে।
এছাড়া, কারখানার আরও অনেক অপারেটিং সিস্টেম অনলাইন করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে শ্রম আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বর্তমানে অনেক কমেছে।
হলি আর্টিসান মামলার অগ্রগতির বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, অধস্তন আদালতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে আছে। সেখানে খুব অল্প সময়ে এই মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে জাপানী প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আইনমন্ত্রী জাপান সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
সেইসঙ্গে জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সম্পর্ক আগামীতে আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
হলি আর্টিসান মামলায় অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের পাশে থাকার জন্য জাপানি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
রমজানে ১ কোটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
আসন্ন রমজানে মানুষ চাল নিয়ে বিব্রত কর অবস্থায় পড়বে না বলে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, রমজানে বিশেষ প্রোগ্রাম হিসেবে ভিজিএফ এর আওতায় এককোটির বেশি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
তিনি বলেন, রমজানে বিশেষ প্রোগ্রাম হিসেবে ভিজিএফ এর আওতায় এককোটির বেশি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে, আমা করছি বোরোতে বাম্পার ফলন হবে। ফলে দেশে চাল আমদানির আর প্রয়োজন হবে না বলে আমি মনে করি।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস, খাদ্য মন্ত্রণালয় মুলত রেশনিং, কাবিখা, টিআর, ওএমএস কর্মসূচির চাল বিতরণ করে থাকি। বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্ববৃহৎ বিতরণ ব্যবস্থা চলছে। ২৫০০ ডিলারের মাধ্যমে চাল ও আটা প্রতিনিয়তই বিতরণ চলছে। হিসেব অনুযায়ী এ সময় ওএমএস বন্ধ থাকে। শুধু সিটিতে কিছু থাকে। বর্তমানে আমাদের সিটি, জেলা উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে চলছে। ওএমএস'র আওতায় যারা নিম্ন আয়ের লোক তারা ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে ৩ কেজি আটা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া শুরু হবে। এটা বছরে ৫ মাস চলে, মার্চ, এপ্রিল, মে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দেয়া হয়। আমাদের ওএমএস এ এক কোটির ওপরে পরিবার বছর জুড়েই ৫ কেজি চাল ও ৩ কেজি আটা পাবে।
এছাড়া, রমজানে বিশেষ প্রোগ্রাম হিসেবে ভিজিএফ এর আওতায় এককোটির বেশি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। সেখানে মিয়নমার থেকে আমদানি করা আতপ চাল দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বেসরকারি আমদানি খোলা রয়েছে। তবে কম আসছে। কারণ দেশে এখন প্রচুর চাল আছে। সরকারি মজুতও প্রচুর রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের বিতরণ যেমন অনেক বেশি পাশাপাশি মজুদও সবচেয়ে বেশি রয়েছে। বর্তমানে আমাদের ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন মজুদ রয়েছে। আমাদের যেমন বিতরণ হচ্ছে তেমনি সংগ্রহও হচ্ছে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টন চাল সংগ্রহ হচ্ছে। যদিও আমাদের ৫ লাখ মেট্রিকটন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সেখানে আমাদের ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ হয়েছে। চুক্তি হয়েছিলো ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৩ মেট্রিকটন। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। আমাদের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও মজুদ ভালো।
তাহলে ধান সংগ্রহ হয়নি কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ধান সংগ্রহের জন্য সরকার যে রেট নির্ধারণ করে দেয়। কারণ কৃষকরা যাতে মিলার, মজুদদার বা খরিদদারের কাছে প্রতারিত না হয়। বাজারে যদি দাম কম থাকে তাহলে কৃষকরা সরকারের কাছে বিক্রি করে লাভবান হতে পারে। এবছর সরকারি মূল্য থেকে বাজারে মূল্য বেশি থাকায় কৃষকদের সরকারের কাছে ধান দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ কৃষকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত মূল্য বাজারেই পাচ্ছে। অতএব প্রসার দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নিতে চাই না। আমি মনে করি কৃষকরা খুব ভালো আছে, সুখে আছে।
বৈশ্বিক সংকটের চ্যালেঞ্জগুলো কোথায় জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দেশনার কারণে আমাদের দেশে বৈশ্বিক সংকটের তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি এবং ফেলতে পারবে না। আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে, কোন দুর্বিপাক না হলে রোবোতেও বাম্পার ফলন হবে। ফলে আমদানির আর প্রয়োজন হবে না বলে আমি মনে করি।
চালের দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে সব কিছু যদি বিচার বিশ্লেষণ করেন যেমন,-ডলারের দাম, উৎপাদন খরচ সব কিছু বিবেচনা করলে আমি মনে করি বৈশ্বিক এই সংকটে চালে দাম স্থিতিশীল আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে যে হাহাকার নেই, এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওনা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য তো ওএমএস, কাবিখা আছে। আর অসাধারণের জন্য এরোমেটিক, প্যাকেট, সিলকি আছে। তাহলে মধ্যবিত্তরা কোথায় যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওএমএস কি শুধু সাধারণ মানুষ যায়, সেখানে অনেক মধ্যবিত্তও যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরিসহ ভাতা বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এ সব সুযোগ-সুবিধা বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলার জুড়ী উপজেলা প্রশাসন এ আয়োজন করে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। এছাড়া দেশকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী চিন্তা করেন বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন ও দেশের উন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই বলে জানান।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন–উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, ভাইস-চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা এবং সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুলেশ চন্দ্র চন্দ প্রমুখ।
এরপর মন্ত্রী পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের হাজী মাহমুদ আলী দাখিল ও হাফিজিয়া মাদরাসা পরিদর্শন এবং সুধী সমাবেশে যোগদান করেন, নয়াবাজারে গ্রান্ড শাপলা কনভেনশন হল উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি জুড়ী উপজেলা ওয়েল ফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে এবং আদর্শ দরিদ্র তহবিল নয়াবাজারের যৌথ উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দিবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত।
তিনি বলেন, বিএনপি যে দিনের বেলায় পদযাত্রা আর রাতের বেলায় কূটনীতিকদের পদলেহন করে, এই সব করে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় দেয়া যাবে না।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেল' উদ্বোধন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সব মহানগরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচি আসলে পদযাত্রা নয়, বিএনপি এই পদযাত্রার নামে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। কয়েকদিন আগে ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা করে তারা বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক পাহারায় এবং প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টির কারণে যেভাবে করতে চেয়েছিল সেভাবে করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না : তথ্যমন্ত্রী
এরপরও বিভিন্ন জায়গায় তাদের অস্ত্রধারীদের, সন্ত্রাসীদেরকে দেখা গেছে। এখন আবার ১৮ তারিখ কর্মসূচি দিয়েছে।
ড. হাছান বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও প্রত্যেক মানুষকে বিনামূল্যে করোনার টিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে এবং এখন চতুর্থ ডোজ দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বমন্দার মধ্যে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি আমার বক্তব্য নয়, বিশ্বব্যাংকের এ অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসে বলে গেছেন।
এদিকে আইএমএফের রিপোর্টে আমরা করোনা মহামারির মধ্যেও মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়েছি।
আমাদের সরকার যখন এইভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি এবং তার মিত্ররা নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো এ সমস্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা না চালিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে, সেটিই তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর পরও আরও মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগটি অসাধারণ। মরণোত্তর অঙ্গদান করে চারজন মানুষকে সুস্থ করে তোলা সারাহ ইসলামের মা এখানে উপস্থিত আছেন। আমি সারাহ ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলবো, তিনি যে অসাধারণ কাজ করে গেছেন তা আমাদের সামনে এক অনন্য উদাহরণ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারি হাসপাতালগুলোর উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল তৈরি ও চালু হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই পুরোদমে চালু হবে।
এছাড়া সেটি যে কোনো উন্নত দেশের চিকিৎসার চেয়ে কম নয় বরং অনেক ক্ষেত্রেই উন্নততর সেবা দেবে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে দিয়েছেন।
এছাড়া ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে সেখানে দেয়া হয়। এই অসাধারণ কাজটি উপমহাদেশে অন্য কোন দেশে নেই, এগুলো আমাদের সরকার করেছে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মরণোত্তর অঙ্গদানকারী সারাহ ইসলামের মাতা শবনম সুলতানা এবং মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন সার্জনরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্দোলন নয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
পাটের উৎপাদন বাড়াতে ৪ লাখ চাষীকে ৮ কোটি টাকার প্রণোদনা দিবে সরকার
সারাদেশে পাটের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে আট কোটি ১০ লাখ টাকা দেয়া শুরু করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ কর্মসূচির আওতায় মোট চার লাখ কৃষক বীজ পাবেন।
এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় এক কেজি পাট বীজ বিনামূল্যে পাচ্ছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেটের আওতায় কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।
আরও পড়ুন: সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
বরগুনায় বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক ছয়টি সংসদীয় আসন ও রংপুর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের পর আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে কারও উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, এসব প্রমাণ করেছে যে, আওয়ামী লীগের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে ছয়টি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে একটি আসনে জয়ী হয়েছে জাতীয় পার্টি। আরেকটি আসনে সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফিরেছেন।
তাছাড়া, আমরা একটি রাশেদ খান মেননের দলে ছেড়ে দিয়েছি যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। আরেকটি হাসানুল হক ইনুর দলকে দেয়া হয়েছিল এবং এই দল বগুড়ায় জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, শুধু বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। রংপুরের মেয়র নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে পারেনি। কিন্তু ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জিতেছে, আওয়ামী লীগ হেরেছে।
তাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে তা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমি আশা করি এরপর (উপনির্বাচন ও মেয়র নির্বাচন) নির্বাচন নিয়ে কেউ কিছু বলার সুযোগ পাবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে।
তিনি বরেন, আমি মনে করি ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এছাড়া সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, যা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই একটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। যারা আগে ভেবেছিল বাংলাদেশ কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
১৯৭৫ সালের ট্র্যাজেডির (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা) পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা এটাই চেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বেড়েছে বলেই প্রমাণ করেছে দেশটি পারে। সব এলাকায় ডিজিটাল সেবা চালু করা হচ্ছে এবং এখন জমির কাগজপত্র ঘরে বসেই নেয়া যাবে এবং বাড়ি থেকে যে কোনো বিল পরিশোধ করা যাবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
জিয়াউর রহমানের আমলের নির্বাচনের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণ দেখেছে কিভাবে ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, তার আমলে জেনারেল এরশাদ (জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা) ৪৮ ঘণ্টা গণনা স্থগিত করে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করেছিলেন।
তিনি স্মরণ করেন যে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি এবং তাই বিএনপি সরকার গঠনে জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গ্যাস বিক্রি নিয়ে ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
তিনি বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ মেডিকেল টিম, ওষুধ, শুকনো খাবার পাঠাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএনপি যে দাবি করছে তা কোন দিনই বাস্তবায়িত হবে না। কারণ এটা বাস্তবসম্মত না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, তারা নাকি ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন করবে না। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোন দিন আসবে না এবং বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বিকালে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন যে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই মানুষের জন্য কিছু করে। মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশ দুর্নীতিমুক্ত থাকে এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পায়।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আর্ন্তজাতিক বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা স্বল্পন্নোত দেশ থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছি। আমরা আশা করি ২০৪০ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো।
তোফায়েল আহমেদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনারা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিবেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আজকে বাংলাদেশে যে উন্নতি হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, ভোলায় অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষা করা হয়েছে এবং ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া গেছে। সেই গ্যাসভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। ভোলাকে শিল্প নগরীতে পরিণত করা হবে।
এ সময় জেলা আওয়াম লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এমদাদ হোসেন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য পাতাল রেল প্রকল্প শুরু করেছে: বিএনপি
বিএনপি সিনিয়র নেতা বরকতউল্লাহ বুলু অভিযোগ করেছেন, সরকার শুধু জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও পাতাল রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে সংকট চলছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এই সংকটের মধ্যে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০ কিলোমিটার পাতাল রেলের জন্য ৫২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। লুটপাটের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।’
শুক্রবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ যখন বেকার তখন এ ধরনের মেগা প্রকল্প নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
তিনি বলেন, ’৫২ হাজার কোটি টাকার পাতাল রেল থেকে দেশ কী সুবিধা পাবে?’
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বুলু বলেন, সরকার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে কৃষি খাতে অথবা কল-কারখানা স্থাপন করে বেকারদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ‘আমরা জানি আপনি এটি করবেন না। কারণ এটি আপনার জন্য জনগণের অর্থ লুট করার সুযোগ তৈরি করবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম নাগরিক অধিকার আন্দোলন (নাগরিক অধিকার আন্দোলন)।
প্রথম মেট্রো রেল চালু হওয়ার এক মাস পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
বুলু অভিযোগ করেন, সরকার বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ কোটি টাকা কানাডা, দুবাই, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে।
তিনি আরও বলেন, একজন এমপি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীও, তিনি চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭টি বাড়ির মালিক হয়েছেন। ‘মনে হচ্ছে আলাদিনের জাদুর প্রদীপ তাদের হাতে।’
বুলু বলেন, এভাবে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করে আওয়ামী লীগের লোকজন বিদেশে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিদ্যুৎ খাত লুটপাট করা হয়েছে। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে কোনো প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে পারে না। কিন্তু সরকার সংসদে ক্ষতিপূরণ বিল পাস করেছে যাতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার নামে লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে মামলা করতে না পারে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশকে দুঃশাসন ও লুণ্ঠন থেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান শাসনের পতন নিশ্চিত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা
বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা ও আশপাশের ৫ স্থানে বিশেষ অভিযান
বায়ুদূষণ রোধে সরকার ঘোষিত বিশেষ অভিযানে ঢাকা ও আশপাশের পাঁচ স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে।
এ অভিযানে পরিবেশ দূষণের দায়ে মোট ২৬টি যানবাহনকে ৮৫ হাজার টাকা এবং ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বুধবার পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং, ঢাকা মহানগর কার্যালয়, ঢাকা জেলা কার্যালয়, গাজীপুর জেলা কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন ঢাকার উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ: ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকা জেলার সাভার, মানিকমিয়া এভিনিউ, খিলক্ষেত, আফতাবনগর ও গাজীপুর জেলার বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
এর মধ্যে মানিক মিয়া এভিনিউ, খিলক্ষেত ও আফতাবনগরে পরিচালিত অভিযান পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যা যা করা দরকার সরকার তা করবে। জনগণ যাতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বসবাস করতে পারে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
সরকার জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। একই সঙ্গে সরকার বায়ুদূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, সমাজের সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করলে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে দূষণ নিয়ন্ত্রণ দুঃসাধ্য।
মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, বায়ুদূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সকল ডিসিদের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় যাতে স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে এ জন্য ২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভা আহ্বান করা হয়েছে।
আজ এ অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিআরটি মহাসড়ক নির্মাণকারী দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মোট এব লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাভার এলাকায় মোবাইল কোর্টে যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত হর্ন দ্বারা শব্দ দূষণের দায়ে চারটি যানবাহন থেকে মোট ১১ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।
এবং যানবাহনের কালোধোঁয়া দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে চারটি যানবাহন থেকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়।
খিলক্ষেত এলাকায় মোবাইল কোর্টে যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত হর্ন দ্বারা শব্দদূষণের দায়ে ৭টি যানবাহন হতে মোট ৩৫ হাজার টাকা এবং নির্মাণ সামগ্রী খোলা অবস্থায় রেখে বায়ুদূষণের দায়ে দুইটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আফতাবনগর এলাকায় মোবাইল কোর্টে নির্মাণসামগ্রী খোলা অবস্থায় রেখে বায়ুদূষণের দায়ে ৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট দুই লাথ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় যানবাহনের কালোধোঁয়া দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে ১১টি যানবাহন হতে মোট ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
বায়ুদূষণ: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তা মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। আশা করছি এ সংসদ অধিবেশনে না হলেও আগামী অধিবেশনে আইনটি পাশ হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ ইউনিট, ডায়ালাইসিস সেন্টারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, নতুন ওষুধ আইনে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বলা আছে।
এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেউ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বা ব্যবহার করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এতে আইনে শাস্তির বিষয়টিও রয়েছে।
পরে তিনি সিলেটের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়াসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী