সরকার
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আ.লীগ সরকারের পতনের বিকল্প নেই: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে বর্তমান সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপিপন্থী বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র, ভোটদান এবং জনগণের অন্যান্য অধিকার না থাকায় অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। এ কারণে জাতি এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে। এটি করতে বর্তমান শাসন অপসারণের বিকল্প নেই।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, জনগণের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন বলছে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তারা তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। যারা লুটপাট, দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, তারা এটা ঠিক করতে পারবে না। যারা রাজনীতিকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: জিয়ার জন্মবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার বিএনপির
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ আছে সেখানে গণতন্ত্র নেই, কারণ দলটি যখনই ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু বিএনপির ইতিহাস গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাস।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতন নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের দল ইতোমধ্যে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল শেখ হাসিনার সরকারকে অপসারণের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুযায়ী একটি গুণগত ও বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ২৭ দফাও পেশ করেছে।
তিনি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে পেশাজীবীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মোশাররফ দেশের উন্নয়নে জিয়ার অবদান এবং অর্থনীতির পরিবর্তন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, জিয়া একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তাকে, তার দলকে এবং তার পরিবারকে ভয় পায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ফখরুলের
কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলে এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ করবে সরকার
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার হাওর অঞ্চলে মসৃণ ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত একটি এলিভেটেড সড়ক নির্মাণের জন্য পাঁচ হাজার ৬৫১ দশমিক ১৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আজকের সভায় মোট ১০ হাজার ৬৪০ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোট ব্যয়ের মধ্যে সাত হাজার ৮২৭ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং দুই হাজার ৮৮০ দশমিক ১৮ কোটি টাকা বিদেশি উৎস থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ১১টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন প্রকল্প এবং পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য মিঠামইন সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত মিঠামইন সেনানিবাসের সঙ্গে হাওর অঞ্চলে মসৃণ সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ সদর, ঢাকা, সিলেট ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার সব আবহাওয়া উপযোগী সড়ক যোগাযোগ মসৃণ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু করতে নাকভাঙ্গা সার্কেল থেকে মরিচখালী বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ক প্রশস্ত করা হবে।
মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ১৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ, ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ক প্রশস্তকরণ, চারটি সেতু নির্মাণ, ১৩টি টোল প্লাজা নির্মাণ, টোল মনিটরিং ভবন ও চেকপোস্ট নির্মাণ এবং ১৩ কিলোমিটার অস্থায়ী সাবমার্সিবল সড়ক নির্মাণ।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ বছরেও শেষ হয়নি দিঘলিয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: দীপু মনি
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করুন নতুবা রাজপথে নামবে জনগণ: সরকারকে বিএনপি
সরকার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এটা সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। আমরা এর বিরুদ্ধে ১৬ জানুয়ারি সারাদেশের মহানগরী ও উপজেলায় বিক্ষোভ করব।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা বলেন, অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। ‘অন্যথায় আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব। আমরা আগামী দিনে বিদ্যুৎ বিল দেব না এবং মানুষ বিদ্যুৎ বিল দেয়া বন্ধ করে দেবে।’
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদালতের আদেশের প্রতিবাদে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিরোধীদলীয় মঞ্চ ডেমোক্রেসি ফোরাম।
আরও পড়ুন: ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
জানুয়ারি থেকে কার্যকর বিদ্যুতের খুচরা মূল্য পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে সরকারের নির্দেশে আদালত তারেক ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বুলু। এই সরকার তারেক রহমানের ভয়ে ভুগছে।
তিনি বলেন, দুঃশাসনের কারণে জনগণ আর আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে।
কুইক রেন্টাল অ্যান্ড রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ও মেগা প্রজেক্টের নামে যারা ব্যাংক থেকে লাখ লাখ টাকা লুট করেছে এবং বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে তাদের আগামী দিনে জনআদালতে বিচার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বুলু।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, চলমান গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ভয় পেয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে সরকার ‘মরিয়া’ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, আপনি (আ.লীগ নেতা) কয়েকদিন আগে বলতেন, আমাদের রাজপথে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, আমাদের পিঠ ভেঙে গেছে। কিন্তু এখন আপনারা (আ.লীগ) এতটাই অস্থির হয়ে পড়েছেন যে আমাদের আন্দোলন থামানোর জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে জনগণকে নিপীড়ন করছেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার ফরিদপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা বিএনপি’র
তিনি বলেন, ‘সরকার পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে ফেলেছে। সরকার এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তাদের পতন টের পেয়ে চলমান আন্দোলন নিয়ে নানা রকম অসংযত মন্তব্য করছেন।
ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেখানে পুলিশ শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেনি, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে।
এই বিএনপি নেতা দাবি করেন, হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই বিভাগের শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আরও ২৫০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে বলেও জানান তিনি।
ছোট দল নিয়ে একযোগে আন্দোলনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা কী বলেন, জনগণ তা আমলে নেয় না। ‘আমার মতো, সারা দেশের মানুষ তার মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয় না।’
১৬ জানুয়ারি জেলা পর্যায়ে কোনো কর্মসূচি নেই:
ফখরুল বলেন, সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে ১৬ জানুয়ারি সব মহানগরী ও উপজেলা সদরে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করবে তাদের দল।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) আমি বলেছিলাম সব জেলায়ও কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে জেলায় নয়, সব মেট্রোপলিটন শহর ও উপজেলাতেই কর্মসূচি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
সরকার সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ‘আইএলআইএস’ চালু করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপকে নস্যাৎ করার জন্য একটি ‘ইন্টিগ্রেটেড লফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইএলআইএস)’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-১০ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি জাতীয় সংসদে জানান।
দেশের অভ্যন্তরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সরকার নজরদারি বাড়াবে কি না জানতে চান শফিউল।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া ইন্টারনেটে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজি (ওএসআইএনটি) এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এ বিষয়ে আইএলআইএস চালুরও চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কার্যক্রমকে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার পেছনে যুক্তি ব্যাখ্যা করে খান বলেন, ভোটের উদ্দেশ্য ছাড়া এনআইডি ব্যবহারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নির্বাহী বিভাগের অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি নির্বাহী বিভাগের অধীনে থাকা উচিত।
এজন্য এটিকে (এনআইডি কার্ড প্রদান) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অচিরেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে।
তিনি বলেন, দয়া করে আর ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করবেন না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কোমর ভেঙেছে, আবার ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করলে পা ভেঙে যাবে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী ঈদগাহ ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ক’দিন আগে আইএমএফ (আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল) রিপোর্ট দিয়েছে-বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৩৫তম। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছিলাম, দেশ ছিল ৬০তম। আমরা গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশকে এবং পাকিস্তানকে বহু আগেই পেছনে ফেলেছি।
এই উন্নয়ন বিএনপি, খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের পছন্দ হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে সরকার উন্নয়নের চাকাকে ধাবমান চাকায় পরিণত করে আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সরকারকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। তারা ১০ ডিসেম্বর ধাক্কা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনও ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার দল নয়, বরং যে ধাক্কা দেয় সে-ই পড়ে যায়। ১০ তারিখ সেটিই প্রমাণ হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপি আমাদের ধাক্কা দিতে গিয়ে তারাই পড়ে গিয়ে নয়াপল্টন থেকে গরুর হাটে চলে গেছে, তাই আজকে সুর পাল্টে ফেলেছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, আজকে মির্জা আব্বাস বক্তব্য রেখেছেন আমরা কোনও সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাই না। অর্থাৎ ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করে বুঝতে পেরেছে ১০ ডিসেম্বর তাদের কোমর ভেঙে গেছে। সুতরাং এখন লাইনে এসেছে, বলে কী—আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দেবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন কর্মসূচি দিয়েছে ১৬ তারিখ নাকি তারা গণমিছিল করবে। আমরা রাজপথে নেমেছি, আমরা রাজপথ ছাড়বো না, আমরা রাজপথে থাকবো। কারণ, এই রাজপথেই জন্ম আওয়ামী লীগের। আর বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। রাজপথ আর কাউকে দখলে নিতে দিবো না।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যে দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেছিলেন, সে দিনই আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়, তখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৪ শতাংশ। আমরা আজ পর্যন্ত সেই রেকর্ড ভাঙতে পারিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
৩২.৪৬ কোটি টাকা বকেয়া: রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার
৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বকেয়া আদায়ের জন্য সরকার রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে বলে মঙ্গলবার সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ভ্রমণ কর বাবদ ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। ব্যাংক হিসেব বাজেয়াপ্ত করে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে অসামান্য বলেছে আইএমএফ: অর্থমন্ত্রী
হাবিব হাসান তার প্রশ্নে অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সের ট্রাভেল ট্যাক্সের কোনো বকেয়া আছে কি না জানতে চান। বকেয়া আদায়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চান তিনি।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বন্ধ থাকায় বকেয়া রয়ে গেছে। অনাদায়ী বকেয়া আদায়ের জন্য তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ২০২০ সালে তার সমস্ত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে বিশ্ব নেতাদের প্রতি অর্থমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বুধবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো ঢাকাসহ জেলার অন্যান্য বিভাগে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিরোধী দল ও সংগঠনগুলো বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৃথকভাবে চার ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করবে।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি হবে যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ২০০৭ সালের ১/১১ এর কথা মাথায় রেখে ১১ জানুয়ারি এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন।
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ডিএমপি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ডা. জাহিদ জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেয়েছেন তারা।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তারা বিএনপিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে এর দায় তাদের (বিএনপি) নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে গণফোরাম (মন্টু) কর্মসূচি পালন করবে।
যদিও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে গণমিছিল কর্মসূচিতে যোগ দেয়।
দলের একজন সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, কৌশলগত অবস্থানের কারণে জামায়াত অবস্থান কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অবস্থানের পর বিরোধী দল ও জোটগুলো যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
এছাড়া বিভিন্ন বিভাগে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেট বিভাগে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রাজশাহীতে ড. আব্দুল মঈন খান, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরিশালে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান, রংপুরে মাহমুদ টুকু, কুমিল্লায় ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, খুলনায় শামসুজ্জামান দুদু ও ফরিদপুরে অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে রাজধানী ও রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে চাপ দেয়ার জন্য তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ১১ জানুয়ারি সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর সব বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল কর্মসূচি ও রংপুর সিটি নির্বাচনের কারণে বিএনপি ঢাকা ও রংপুরে এই কর্মসূচির দিন ৩০ ডিসেম্বর পুনঃনির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর
বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের দামের মাসিক সমন্বয় নিয়ে সরকার ভাবছে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয়ের ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয় করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি’।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পদক্ষেপের সঙ্গে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানির কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: বিইআরসি খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সিদ্ধান্তে বিলম্ব করলে, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন,‘বিইআরসি তার নিজের কাজ করবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বিইআরসি নিয়ম সংশোধন করেছি যাতে আমরা প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলো মাসিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বেড়েছে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। ‘সুতরাং, আমাদের সামঞ্জস্যের দিকে যেতে হবে’।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বিইআরসি আইন সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেয়া।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে কারণ সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি খাতের সম্পূর্ণ ক্ষতি পূরণ করবে না।
তিনি বলেন, দাম সমন্বয় করা গেলে অন্তত গ্যাস আমদানিতে আর্থিক ক্ষতির কারণে যে ব্যাকলগ তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার আশা করছে গত গ্রীষ্মের মতো আগামী গ্রীষ্মে খুব বেশি লোডশেডিং হবে না।
এদিকে, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চীনের সিএমসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিসিআরইসিএল) বাংলাদেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) এবং একটি বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) স্বাক্ষর করেছে এবং সরকার সিরাজগঞ্জে ৬৮ মেগাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, বিপিডিবি ২০ বছরের মেয়াদে প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ইউনিট ১০ দশমিক ২০ ইউএস সেন্টে বিদ্যুৎ কিনবে।
বিসিআরইসিএল প্ল্যান্টটি স্থাপনের জন্য ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, যেখানে জেডটিইএনসিও লিমিটেড বাংলাদেশ পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে এবং চীনের পেরিওশেন-ফেডি-সিনোহাইড্রোর কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের জন্যে ইপিসি ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে নসরুল বলেন, সরকার আগামী এক বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়।
আরও পড়ুন: আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে: নসরুল হামিদ
ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু প্রকোপ কমে যায়। অন্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। ২০২০ সালে এসে সেই সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তবে ২০২২ সালে এসে আবার পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দুশ্চিন্তার কারণ বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মাধ্যমে এডিস মশা বন্ধ্যাত্বকরণ করেছে। ইন্দোনেশিয়া এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ করছে। কীটতত্ত্ববীদ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সবধরনের প্রোগ্রাম নিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে নিবিরভাবে মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরবরাহ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এডিস মশাসহ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীটনাশকও পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর কীটনাশক আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন যে কেউ অনুমোদিত কীটনাশক আমদানি করতে পারবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা ও জনগনের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। সাধারণ জনগনকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। দায়িত্বশীল সবার যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম, চারজন কীটতত্ত্ববীদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সৃজনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী