সরকার
নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার: তৈমূর
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকারের। দেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সাজানো নির্বাচনে আর যাবো না। আমাদের সকল প্রার্থীরা ঢাকায় আসবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।
আরও পড়ুন: অদৃশ্য শক্তির মতো আইভীর মাথার ওপর আমার হাত আছে: তৈমূর
বুধবার(১০ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ প্রদান শেষে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি সম্ভব না। আগামী প্রজন্মও পারবে না। তৃতীয় প্রজন্ম হয়ত পারবে। সরকার ভাবে ক্ষমতা ছাড়লে আমাকে জেলে যেতে হবে। সেকারণেই ওরা নির্বাচন কুক্ষিগত করে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নেই। প্রশাসনও সরকারের আজ্ঞাবহ। সিইসির সচিবের বক্তব্য শুনেছেন, সে বলেছে ডিসিদের কাছে মেসেজ চলে গেছে। সে অনুযায়ী রেজাল্ট হবে। আমরা সবসময় রাজপথে ছিলাম। বাকি জীবনও আমাকে রাজপথেই থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আমৃত্যু নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবো: আইভী
তৈমূর বলেন, যখন চোখের সামনে দেখলাম এই ব্যারিস্টার সুমনও বলেছে সরকার বনাম সরকার নির্বাচন। এটা তাদের মুখেরই কথা। রূপগঞ্জের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী শমসের ডাকাত ও রীতা মেম্বার। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বলে এসেছি। আমাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে।
আমরা বলেছি- এরকম সিরিজ মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। নির্বাচনের দিন চনপাড়ায় রেজাল্ট ঘোষণার পর সমশের বাহিনী ও রিতা বাহিনী আমার কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করে। আমি আজ এই পরিবারটিকে নিয়ে এসপি অফিসে এসেছি।
আরও পড়ুন: সবার নজর নারায়ণগঞ্জে
যেহেতু তারা আমার নির্বাচন করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসপি সাহেব আশ্বস্ত করেছেন যে তারা নির্বিঘ্নে চনপাড়ায় বসবাস করতে পারবে। তিনি ওসিকে ফোনে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সরকার যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছে সেখানেই নিরপেক্ষ হয়েছে; যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে ভালো হয়নি। যে রকম আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। সরকার যেখানে নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে সেখানে নিরপেক্ষ হয়েছে। সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সেটাই হয়েছে।
সরকারের নিয়ন্ত্রণে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
জিএম কাদের বলেন, একটি পক্ষ আমাদের রাজনীতিটা নষ্টের চেষ্টা করছে। এখানে সরকারও মদদ দিচ্ছে বলে আমার ধারণা।
জিএম কাদের বলেন, রবিবার যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। আমরা একটা পরিবেশ চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে এবং আমাদের প্রার্থীরা অর্থ ও অস্ত্রের প্রভাবমুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, তারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ভোটারদের হুমকি, এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ তাদের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু তারা কথা দেওয়ার পরেও কথা রাখেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান যেখানে ছিল সেখানেই আছে।
এসময় ঢাকা, চাঁদপুর, জামালপুর, কুমিল্লা, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চিত্র ধরে জিএম কাদের বলেন, এসব জায়গায় আমাদের প্রার্থীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল বেরিয়ে আসার। কিন্তু সেটা করতে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল ছিল কি না- সে বিষয়ে এখনই মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখতে হবে।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এসময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
সৌদি সরকারের সঙ্গে হজচুক্তি সম্পাদিত
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি-২০২৪ সম্পাদিত হয়েছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় এ চুক্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বৈঠকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যাণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে অন্যান্য বছরের ন্যায় সব এজেন্সিকে রেখে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সৌদি উপমন্ত্রীকে জোরালো অনুরোধ করেন হাব সভাপতি।
এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে পূর্বের মতো রাখা হলে হজযাত্রীদের সেবা প্রদানে সুবিধা হবে এবং বাংলাদেশি বয়োবৃদ্ধসহ সব হজযাত্রীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমানোর পক্ষে বিস্তারিত যুক্তি তুলে ধরে সৌদি উপমন্ত্রীকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য হাব সভাপতি অনুরোধ করলে সৌদি উপমন্ত্রী তা বিবেচনার আশ্বাস দেন।
তাছাড়া হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মিনা আরাফায় তাঁবু ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও হজের ১০ দিন আগে এজেন্সিকে তাবু বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে হাব সভাপতি হাব সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: বর্জনের আহ্বান সফল হওয়ায় ভোটারদের অভিনন্দন বিএনপির
সভায় ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার হজ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় এবং হজযাত্রীদের সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভাশেষে দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী এবছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
সৌদি আরবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ধর্মমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম, পরিচালক (হজ অফিস) সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর (হজ) জেদ্দা জহিরুল ইসলাম, কনসাল (হজ) জেদ্দা আসলাম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি কানাডা সরকার: হাইকমিশন
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কানাডা সরকার কোনো নির্বাচণ পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। পর্যবেক্ষক হিসেবে চিহ্নিত কানাডিয়ান দুই নাগরিক স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটারে) এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, নির্বাচন বিষয়ে তাদের(দুই পর্যবেক্ষকের) প্রদত্ত মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই।আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন 'অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ' হয়েছে: সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা
নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা সিইসির
সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও সহযোগিতার কারণে রবিবারের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে..... এবং সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী আমরা সহায়তা পেয়েছি, তাই দলীয় সরকারের অধীনে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে: সিইসি
ভোট গ্রহণ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্দলীয় নির্বাচন করতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জ।
সিইসি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রায় ৪০ শতাংশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে সংসদ-সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
তিনি বলেন, 'আজকের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে (চূড়ান্ত অনুমান) সব তথ্য সংগ্রহের পরে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য হবে কি না তা ফলাফল প্রকাশের পরে জানা যাবে। আপনারাই এর বিচার করবেন।’
আরও পড়ুন: রবিবারের নির্বাচন দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্য হবে: সিইসি
রাজনৈতিক ফায়দার জন্য আবারো আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে সরকার: ট্রেনে অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, সরকার বিরোধী দলকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আগুন নিয়ে খেলছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার আবারো আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তারা একতরফা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অতীতের মতো পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে।’
৭ জানুয়ারির 'ডামি' নির্বাচনের প্রতিবাদে আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী দাবি করেন, এর আগেও ক্ষমতাসীন দল অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গতকালের (শুক্রবার) বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনা সরকারের পুরানো খেলার অংশ বলে জনগণ বিশ্বাস করে।’
গণতন্ত্রের জন্য বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের আন্দোলনে জনগণ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘কর্তৃত্ববাদী দেশের মতো নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে, আর দায় চাপাচ্ছে বিরোধী দলের ওপর।’
তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপিকে নির্মূল করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কৃত্রিম উপস্থিতি দেখাতে চায়: মঈন খান
রবিবারের নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য সরকার ভোটারদের ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন অসাংবিধানিক, অনৈতিক ও প্রতারণামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা সরকারের সব ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে 'প্রহসনের' নির্বাচনে বর্জন করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
ভোটের মাত্র দুই দিন আগে মঈন খানের গুলশানের বাসভবন প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আসন ভাগাভাগি ও বণ্টনের একতরফা নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা চলছে। সরকার ডামি প্রার্থী ও ডামি দল তৈরি করে থেমে নেই, কারণ তারা এখন জোর করে ডামি ভোটার তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছে।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬২টি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের সব শ্রেণি-পেশার ভোটার এবং দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক ইতোমধ্যে তথাকথিত নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে অবৈধ সরকার আসন বণ্টন ব্যবস্থাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। তাই আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহ্নিত মহল ষড়যন্ত্রের নীলনকশা প্রণয়ন করেছে।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত 'অর্থহীন' নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটারদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য সরকার যেভাবে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে, তা নৈতিকভাবে গণবিরোধী ও রাজনৈতিকভাবে শিশুসুলভ।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
তিনি বলেন, 'ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য তাদের সব কৌশলের তালিকা এখন আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের কাছে স্পষ্ট।’
ড. মঈন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র মিথ্যা ও জাল ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসংখ্য অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
ভোটারদের ভয় দেখানোর অংশ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারের এমপিরা হুমকি দিচ্ছেন যে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির লাখ লাখ সুবিধাভোগী ভোটকেন্দ্রে না গেলে তারা তাদের আর্থিক সুবিধা হারাবেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
মঈন বলেন, বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা পাচ্ছেন, যা সব সরকারের অধীনে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এসব সুবিধাভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বলা হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি ভোট না দিলে তাদের ভাতা বাতিল করা হবে।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জোরপূর্বক কৌশল অবলম্বন করে অনেক জায়গায় সরকারি সুবিধাভোগীদের কার্ড জব্দ করতে শুরু করেছেন। সুবিধাভোগীদের ঘরে ঘরে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে তারা যদি ভোটকেন্দ্রে না যায় এবং জনসমক্ষে ভোট না দেয় তবে তারা তাদের কার্ড ফেরত পাবে না। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
এছাড়া সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ সরকারি কর্মচারীকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সরকার বেআইনিভাবে নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের একটি বড় অংশের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। এটি সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণের একটি প্রচেষ্টা।’
ড. মঈন বলেন, অবৈধ সরকার ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ভোট গ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। ‘একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এক লাখের বেশি কর্মকর্তাকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
তিনি বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের দিন আনসার ও ভিডিপির ৬১ লাখ সদস্যের একটি বড় অংশ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য ডাকযোগে ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে পাঁচজন সদস্যকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সদর দপ্তর থেকে প্রতিটি ইউনিট ও ব্যাটালিয়নকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সারাদেশে পুলিশ সদস্যরা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর মিশনে নেমেছে।
তিনি বলেন, 'ঢাকার পুলিশ কমিশনার নিজে দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের ডেকে ভোটকেন্দ্রে যতটা সম্ভব ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এসপি ও ওসিরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রচারে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং জনগণকে ভোট দিতে বলছেন। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর রাজনৈতিক দায়িত্ব পুলিশকে কে দিয়েছে? এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের সাংবিধানিক ও আইনগত ভিত্তি কী?’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ভোটকেন্দ্রে না গেলে জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল ও বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
ড. মঈন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নানা কৌশল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জাল ভোট দিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
তিনি জনগণকে সাহসের সঙ্গে অবৈধ সরকারের হুমকি মোকাবিলা এবং যারা তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করছে তাদের নাম রেকর্ড রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'আমরা বলতে চাই, এই একদলীয় সরকারের সময় শেষ। সুতরাং তাদের অন্যায্য ও অবৈধ হুমকিনিয়ে চিন্তা করার আর কোনো কারণ নেই। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জনগণ শিগগিরই একদলীয় শাসনের কবল থেকে মুক্ত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার বিএনপির ওপর দোষ চাপানো এবং তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য যানবাহন ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলছে, দেশ ও এর সব অর্জনকে ধ্বংস করছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান নির্বাচন বয়কটের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা জনগণকে ধর্মঘট পালন ও নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছি। সেজন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবেন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে, তাই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছে না। এটাই প্রধান কারণ, যে যাই বলুক না কেন।’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করলে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে কেন এত ভয় পায়- এ প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করুন, তাহলে দেখবেন আগামী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আবারও আনন্দের সঙ্গে আপনাদের ভোট দেবে।’
তিনি বাংলাদেশের জনগণের চরিত্র ও মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বুঝে রাজনীতি করার জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
যদিও নির্বাচনের আট দিন বাকি তবে ডক্টর মঈন মনে করেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ করার এবং দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করার জন্য সরকারের এখনও সময় আছে।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি এখনও অনেক দূরে... এই সহিংস সংঘর্ষের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা করুন। আপনারা সরকারে আছেন বলে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। সুতরাং, এই বিষয়ে মূল সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার দায়িত্ব।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে ফিরতে হবে।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. মঈন বলেন, দেশের জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ...আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করাই গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব। এই কারণে, বিশ্বের সব সরকার মিডিয়াকে ভয় পায়।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, গণমাধ্যমগুলো সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, কারণ তারা তাদের কলম দিয়ে যেকোনো সরকারের পতন নিশ্চিত করতে পারে।
সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ ও সংঘাত দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে প্রহসনমূলক খেলা বানচাল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান বিএনপির
শনিবার পর্যন্ত চলবে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা সরকারের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সোনিয়া হাসানের সই করা একটি গ্যাজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী এবং সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের দল রাজপথে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মৌলিক অধিকার এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা রাজপথে রয়েছি এবং এই স্বৈরাচারী সরকারকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে রাজপথে থাকব।’
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পথচারীদের মাঝে আসন্ন নির্বাচন বর্জনের জন্য তাদের দলের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণকালে এই প্রবীণ নেতা এসব কথা করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন বলেন, তাদের দল অসহযোগ আন্দোলনের মতো সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকারকে অপসারণ করে দেশে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা রাজপথে লিফলেট বিতরণ করছি। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলছি।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বলে দাবি করলেও জনগণের ভোটকে কেন এত ভয় পায়?
আরও পড়ুন: রবিবার ফের বিএনপির অবরোধ
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) কেন (আসন) ভাগাভাগি ও বণ্টনের ভুয়া একতরফা নির্বাচন করছে? এটা এখন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রশ্ন।’
বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ড. মঈন ৭ জানুয়ারির আসন্ন নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে বিরোধী দলের অবস্থানের পক্ষে জনসমর্থন জোগাড় করতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর রামপুরা ও শাহজাহানপুর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রামপুরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নিজেরাই ডামি প্রার্থী দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচনের আয়োজন করছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় ভোট না দিয়ে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ক্ষমতা দখল করে। ‘তারা আবারও দেশের জনগণের মতামত উপেক্ষা করে প্রতিবেশী দেশের সমর্থনে আরেকটি মঞ্চ-পরিচালিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।’
এই বিএনপি নেতা দেশবাসীকে নির্বাচন বর্জন এবং ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২১-২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধের ঘোষণা বিএনপির
আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির