বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পিএমও কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ তহবিল পরিচালনা পর্ষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ তহবিল এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন।
এসময় নবগঠিত পর্ষদের সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার পেল রানার অটোমোবাইলস
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার-২০২২ পেয়েছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।
এ সময়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপিসহ অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কার-২০২০’ পেতে ১৯১টি আবেদন
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য বেসরকারি শিল্পখাত অনেক অবদান রেখে যাচ্ছে।
তিনি আশা করেন, আগামী চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও আমাদের এই সকল শিল্পখাতের হাত ধরে আসবে।
পুরস্কার গ্রহণ শেষে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রপতির এই পুরস্কার আমাদের প্রেরণা। এই পুরস্কার আমি আমার সকল কর্মীকে উৎসর্গ করলাম। যারা নিরলস পরিশ্রম করে রানার অটোমোবাইল পিএলসিকে এই পুরস্কার এনে দিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে এবং শিল্প উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানকে শিল্প খাতের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা সৃষ্টি ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ দেওয়া হয়েছে।
এবার বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়ে এ পুরস্কার জিতেছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি।
রানার গ্রুপ বাংলাদেশের প্রথমসারির একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যা ২০০০ সাল থেকে সুনাম ও সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে দেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে।
রানার গ্রুপের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস পিএলসি ২০১১ সাল থেকে ময়মনসিংহের ভালুকায় দেশের সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বমানের নিজস্ব মোটরসাইকেল কারখানায় বাংলাদেশি রানার ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও বিপণন করছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২ পাচ্ছে ১২ শিল্প প্রতিষ্ঠান
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২ পাচ্ছে ১২ শিল্প প্রতিষ্ঠান
দেশের শিল্প খাতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ১২ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আগামী মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) প্রধান অতিথি হিসেবে এই পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাজধানীর আব্দুল গনি সড়কে অবস্থিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
পুরস্কারের জন্য নির্বাচিতদের হাতে স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট, টাকা ও সম্মাননা পত্র তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ১২ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি মনোনিত হয়।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ
এই বছর হস্ত ও কারু শিল্প ক্যাটাগরিতে কোনো প্রতিষ্ঠান মনোনিত হয়নি।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে বিএসআরএম স্টিলস্ লিমিটেড।
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে নিতা কোম্পানী লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে নোমান টেরি টাওয়াল মিলস্ লিমিটেড।
ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে হযরত আমানত শাহ স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে টেকনো মিডিয়া লিমিটেড।
মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে, গ্রিন জেনেসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতেও শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে সামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস্।
হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং দ্বিতীয় হয়েছে সুপার স্টার ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাক্সেসরিজ লিমিটেড।
প্রথম পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা ও ২৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা ও ২০ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা ও ১৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে: শিল্প মন্ত্রণালয়
স্বর্ণের ক্রেস্টগুলো ১৮ ক্যারেট মানের স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত। এ ছাড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকেই সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও স্বাগত বক্তব্য রাখবেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
ডাচাই বাছাইয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বার্ষিক টার্নওভার, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন, স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সামাজিক দায়িত্ব পালন, নিষ্কণ্টক ভূমি ও ভূমির পরিকল্পিত ও দক্ষ ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রের অবদান বিবেচনা করা হয়েছে।
পুরস্কারের জন্য শিল্প উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান মনোনয়নে কয়েকটি নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ আবশ্যক। এর মধ্যে শিল্প উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে স্থাপিত হতে হবে। শিল্প ক্ষেত্রে আবেদনকারী শিল্পপতি বা উদ্যোক্তার সামগ্রিক অবদান সন্তোষজনক হতে হবে ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ বা আমদানি বিকল্প বা রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কার্যকর অবদান রাখতে হবে।
এ ছাড়া, নিয়মিত কর পরিশোধ করতে হবে। কোনো ফৌজদারি অপরাধের জন্য কোনো ট্রাইব্যুনাল বা আদালত কর্তৃক ৬ মাস বা তদধিক সময়ের জন্য কোনো উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিককে দণ্ডিত করলে এবং দণ্ডভোগের পর ন্যূনতম ২ বছর সময় অতিক্রান্ত না হলে কিংবা তার বিরুদ্ধে কোনো ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে উক্তরূপ কোনো মামলা চলমান থাকলে, সেই শিল্প উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। ঋণ খেলাপি, সরকারি বিল খেলাপি, কর খেলাপি, অর্থ পাচারকারী, সরকারি জায়গায় অবৈধ দখলদার ও পরিবেশ দূষণকারী শিল্প উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানও এই সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয় না। উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান একবার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হলে, একই ক্যাটাগরিতে পরবর্তী তিন বছরের জন্য তার আবেদন বিবেচনা করা হয় না।
আরও পড়ুন: কেএসআরএমের শিপইয়ার্ড বন্ধ করে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়
প্রেক্ষাগৃহে ১৩ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুক্তি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক নিয়ে আলোচনা চলছে অনেকদিনই হলো। অপেক্ষা ছিল প্রেক্ষাগৃহে কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সেই অপেক্ষা শেষ হলো, আগামী ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) মুক্তি পাচ্ছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
এরইমধ্যে ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি ট্রেইলার। যেটি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে আলোচনা তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ পরিচালনা করেছেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ।
এছাড়াও অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ ও মিশা সওদাগর দেশের শতাধিক শিল্পী।
উল্লেখ্য, ভারতের মুম্বাইয়ে ‘মুজিব’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। শেষ হয় ওই বছরের ডিসেম্বরে।
আরও পড়ুন: 'বাঘা যতীন' লুকে দেবের চমক
নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
জাওয়ান: বাদশাহ তার ‘মুকুট’ নিয়ে ফিরল
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি আরবের ডাটাভোল্ট
সৌদি আরবের ডাটা সেন্টার প্রস্তুত ও বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডাটাভোল্ট’ গাজীপুরের কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ডাটা সেন্টার স্থাপন করবে।
প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্ট্যাট্রেজি অফিসার আয়াদ আল আমরি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) গুলশান রেনেসাস হোটেলে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: অর্থমন্ত্রী
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে হাইটেক সিটিতে তিন একর জমি বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দেন। প্রতিষ্ঠানটি সেই জমিতেই অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টার স্থাপন করবে বলেও জানায়।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে সরকারের নানা প্রণোদনা এবং ভবিষ্যৎ বাজার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে ডাটাভোল্টকে তাদের আগ্রহ প্রকাশে ধন্যবাদ জানিয়ে তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পলক।
বৈঠকে বাংলাদেশের আইসিটিসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহসহ ডাটাভোল্ট এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশ-ফ্রান্সের
ঢাকা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
তিনি ফরাসি ভাষায় ভিজিটরস বইয়ে লিখেছেন, ‘আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলাম, যিনি তার জাতির স্বাধীনতার জন্য, এর ভাষা ও সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য লড়াইয়ে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফ্রান্স আবারও আপনার পাশে থাকবে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ফরাসি প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘তার পরিবারের যেসব সদস্য তার সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন, আমি ফরাসি জনগণের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব প্রকাশ করতে চাই।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকা আসেন ম্যাক্রোঁ।
গত তিন দশকের মধ্যে ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সফর।
প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট মিটাররান্ড ১৯৯০ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
শেখ হাসিনা রবিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের সম্মানে ভোজসভা আয়োজন করেন।
দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় দুটি চুক্তি সই করেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সরকার আন্তরিকভাবে আশা করে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতির স্বাধীনতাকে সম্মান করে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কোনো দেশ মানবতার কথা বলেনি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করে, তখন পৃথিবীর কোনো দেশ মানবতার গান গায়নি।
তিনি আরও বলেন, সেই মৃত্যুতে শোক বার্তাও পাঠায়নি। আজকে বিভিন্ন দেশ মানবতার জন্য হুঙ্কার দেয়। কিন্তু এতোগুলা মানুষকে যে হত্যা করা হয়েছিল তখন কারো মুখে কোনো কথা শোনা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনডেমনিটি আইনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না এমন কালো আইন তখন করা হয়েছিল। খুনির বিচার করা যাবে না, এমন কালো আইন পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও আছে বলে আমার জানা নাই।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২১ বছর সংগ্রামের পর, সরকারে আসার পর, এই কালো আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের সন্ত্রাস ও দুর্নীতি ফিরলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: মোমেন
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জেলের ভেতরে জাতীয় ৪ নেতাকেও হত্যা করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল- স্বাধীনতার চেতনায় যারা বিশ্বাস করে তাদের সম্পূর্ণভাবে মূলোৎপাটন করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব দল আছে তারা সন্ত্রাস ও খুনখারাবিতে বিশ্বাস করে এবং তারা যখন সরকারে এসেছে তখন তারা এই কাজটাই করেছে।’
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে দেশের চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১-২০০৬ সালে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটে। সরকারি মদদে বাংলা ভাইয়ের উত্থান ঘটে। প্রকাশ্যে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে মানুষ হত্যা করে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় একসঙ্গে বোমাবাজি করে। আদালতে বিচার চলাকালীন বোমাবাজি করে মানুষ হত্যা করে। বিদেশি একজন রাষ্ট্রদূত সিলেটে মাজারে গিয়েছেন, সেখানেও গ্রেনেড হামলা করে এবং পুলিশসহ তিনজন নিহত হন। রাষ্ট্রদূতসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ চলাকালে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার চেষ্টা করা হয়। সে ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন, প্রায় ৩০০ জন আহত হন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ওই রকম সন্ত্রাসের দেশ আর দেখতে চাই না। বিএনপি-জামায়াতের সরকার আমরা চিনি।
তিনি বলেন, ১৯৭৫-এর আগে যেভাবে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সাম্প্রতিক কালেও সেরকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে বিদেশি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন: মোমেন
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি আমরা সন্ত্রাসীদের হাতে দেশকে তুলে দিতে না চাই, জিহাদিদের হাতে তুলে দিতে না চাই, দুর্নীতিবাজদের হাতে তুলে দিতে না চাই তাহলে আমাদের প্রত্যেকের একটি দায়িত্ব আছে। ২০০১-২০০৬ সালে দেশের অবস্থা কেমন হয়েছিল তা সবাইকে জানান।’
তিনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি আপনার সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যৎ চান তাহলে শেখ হাসিনার সরকারকে আবার জয়যুক্ত করবেন।
বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত আপনাদেরই নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ মনিরুল ইসলাম মনি, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি আইনজীবী ড. মশিউর মালেক, তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ড. হারুন অর রশিদ।
আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়ে’ আরেকটি পালক যোগ করবে: মোমেন
বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালে হত্যার মূল হোতাদের সম্পর্কে জনগণের জানা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্টারমাইন্ড (কুশিলব) চিহ্নিত করা উচিত...আমাদের জানতে হবে পর্দার আড়ালে থেকে কারা সাহায্য করেছিল এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী ছিল।’
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া গেলেও কয়েকজন খুনি এখনো পলাতক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুনিদের চিহ্নিত করেছি যারা এখনও পলাতক রয়েছে এবং আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করার আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হৃদয়ে রেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে। আমরা তা দেখতে পেরেছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য দুষ্কৃতীরা বারবার টার্গেট করেছে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর আরেকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসাই এটা সম্ভব করেছে।
আইজিপি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানব উন্নয়নের জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রয়োজন। তাই, তিনি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।’
আইজিপি বলেন, তারা স্মার্ট পুলিশ গড়তে চান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের রসদসহ সবকিছু দিয়েছেন। আমরা ইতো্মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করছি। আমরা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে এই দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আবারো পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো অপকর্ম এবং দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার যে কোনো অপচেষ্টা রুখতে প্রস্তুত রয়েছে।’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবপাচার বন্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর বাণী ছড়িয়ে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তৎকালীন কলকাতা দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, শৈশব থেকে ছাত্রজীবন পর্যন্ত অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যে বঙ্গবন্ধু একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘জাতির পিতাকে নিয়ে আমি গর্বিত। তার উপস্থিতিতে ছয়বার থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে- স্বাধীনতার আগে দুবার এবং স্বাধীনতার পর চারবার।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে। বঙ্গবন্ধু আমাকে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) পাবনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।’
‘মুজিব ভাই’ অ্যানিমেশন মুভিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের প্রয়াস হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুভিটির পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আইসিটি বিভাগ প্রযোজিত অ্যানিমেশন মুভি 'মুজিব ভাই' বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাভেদ তানভীর
অ্যানিমেশন হলো একটি মজার এবং শক্তিশালী মাধ্যম, যা কার্টুন, ফিল্ম ও গেমিং শিল্পে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
অ্যানিমেশনে বিষয়বস্তুর কল্পনাপ্রসূত চিত্র, বিশেষ ইফেক্ট, আলো, সঙ্গীত ও ভয়েস ওভার ব্যবহার করে গল্প বলা হয়।
এটি বিজ্ঞান, শিল্প, কৌতুক, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং আরও অনেক কিছুর একটি সমন্বিত সৃষ্টি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুজিব ভাই’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবনযাত্রা, সংগ্রাম ও দেশবাসীর প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ও মর্মস্পর্শী প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও আইসিটি বিভাগের সচিব, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দোয়ার আয়োজন
তথ্য-প্রযুক্তিসহ পেশাগত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিচারকদের দক্ষ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
বাংলার মানুষকে ১৫ আগস্টের নির্মম প্রতিদান দিয়েছে মোশতাক-জিয়াসহ অন্যান্যরা: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি লক্ষ্য পূরণে খুব ধীর-স্থির ও চৌকস ছিলেন।
মঙ্গলবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছেন, ‘এই মানুষটির (বঙ্গবন্ধু) দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা পর্যন্ত তাকে মারাত্মক সমীহ করত। ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও তিনি 'বাঙালির মুক্তির সনদ' ৬ দফা বাস্তবায়নে সারা দেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করেছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়। সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘স্টপ শ্যুটিং’। পাকিস্তানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক যুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনের মিশন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: 'হত্যার ষড়যন্ত্র': আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
সজীব ওয়াজেদ তার পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘৭১-এর ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরে বাংলাদেশকে আবারো গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, বাড়িঘর। সেই পরিস্থিতিতে তরুণদের, মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠিত করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো।’
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ- সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়।
সজীব বলেন, তিনি যখনই সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১ শতাংশের উপরে, ঠিক তখনই পুরানো শত্রুরা এক হলো, প্রতিশোধ নিতে চাইলো ১৯৭১-এর (তাদের) পরাজয়ের।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভোরের আজানের কিছু আগেই হামলা করেছিল বর্বর ঘাতকরা। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভেসে গেলো রক্তে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিলো ‘বেঈমান’ মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র।’
আরও পড়ুন: বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘২০২৩ নতুন অর্জনে পূর্ণ’ করার অঙ্গীকার সজীব ওয়াজেদের