বঙ্গবন্ধু
লস এঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
যুক্তরাষ্টের লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে।
দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী লস এঞ্জেলেসে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সামিয়া আনজুম কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
আরও পড়ুন: শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্যাংককে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
এরপর তিনি কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং শিশুদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির পিতার জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমুহ থেকে পাঠ শেষে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম তার বক্তব্যে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি জাতির পিতার জীবন, কর্ম ও অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং শিশু-কিশোরদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম দ্বারা উজ্জীবিত হয়ে দেশে ও বিদেশে সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে সবাইকে নিজনিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহিদ সকল সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপস্থিত শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন কনসাল জেনারেল সামিয়া আনজুম।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন হাসিনা-মোদি
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ডিজেল পরিবহনের ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে: নয়া দিল্লি
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী: পটুয়াখালীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পটুয়াখালীর বাউফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই সংঘর্ষ হয়।
এদের মধ্যে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার গুরুতর আহত অবস্থায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, মোতালেব ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে ফিরোজ ও মোতালেব একই স্থানে ও সময়ে কর্মসূচি ডাকেন।
এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গাড়ি ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৮: র্যাব
উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিবিন্দু ইউএনবিকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে মোতালেব ও তার অনুসারীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে তাদের মিছিলে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দলের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির ভাইর ছেলে যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় শহরে প্রায় ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাউফলের ইউএনও জানান, দুই পক্ষকেই সহ অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ কর্মসূচির নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় রাবার বুলেট ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
নাসিরনগর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: ১৩ জনের ৪ বছর কারাদণ্ড
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে বিসিএস ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট গার্ড অব অনার প্রদান করে।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে সঙ্গে নিয়ে ফার্স্ট লেডি রাশিদা খানম, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা পৃথকভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি সমাধি প্রাঙ্গণে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা রয়েছেন অমর হয়ে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা ছিলেন। যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ভোলায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে আলোচনা সভায় সিঙ্গাপুর থেকে ভাচুর্য়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
তিনি বলেন, আজ আমরা পাকিস্তানের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতাম। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, রক্ত যখন দিয়েছি। রক্ত আরও দিব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো। আমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছি।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, এই বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালে প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন। তাই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ভোলার প্রত্যেকটি গ্রাম ও শহরকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করতে হবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, দৌলতখান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব শাব্বির আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, মিশনসমূহের মহাপরিদর্শক আসাদ আলম সিয়াম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশজুড়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হচ্ছে।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। একটি ভাষণ কীভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমি বিশ্বাস করি 'জয় বাংলা' স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে টনি ব্লেয়ারের শ্রদ্ধা
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ ব্লেয়ারের নির্বাহী চেয়ারম্যান ব্লেয়ারকে জাদুঘরে স্বাগত জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এছাড়া শনিবার টনি ব্লেয়ার জাদুঘর পরিদর্শন এবং দর্শনার্থীদের বইতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে বিসিএস ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও তার সহধর্মিণী মিসেস ভার্মা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সফর করেছেন।
শুক্রবার এই সফরে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি
সমাধি সৌধে লিখিত মন্তব্যে হাইকমিশনার বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও গৌরবময় পরম্পরা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অগ্রগতির জন্য তার অনন্য ত্যাগস্বীকারের চিত্রকর্ম পরিদর্শন করেন।
গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম সারা বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
তার গৌরবময় পরম্পরা ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি আলোর দিশা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যাত্রায় অবিচল অংশীদারিত্বের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
৫০ বছরের সম্পর্কে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম যা করেছে
২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫: রাষ্ট্রপতি হো চি মিন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ভিয়েতনামকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। ১৯৫৪ সালে জেনেভা চুক্তি সই হওয়ার পর, ভিয়েতনাম সাময়িকভাবে দু’টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়।
২০ ডিসেম্বর, ১৯৬০: দক্ষিণ ভিয়েতনাম ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট একটি দ্বৈত কার্য সম্পাদন করে। দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের বিপক্ষে দক্ষিণ ভিয়েতনামের সমস্ত দেশপ্রেমিক শক্তিকে ভিয়েতনামের দক্ষিণের স্বাধীনতা এবং জাতীয় পুনর্মিলনের জন্য একটি জাতীয় যুক্ত ফ্রন্ট এবং একটি বিপ্লবী প্রশাসন হিসাবে গঠন করেছিল।
৬ জুন ১৯৬৯: দক্ষিণ ভিয়েতনামের ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টকে একটি আনুষ্ঠানিক সরকারি কাঠামো প্রদান এবং দক্ষিণের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
২৬ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৯৭২:
এপ্রিল মাস: ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব সাউথ ভিয়েতনামের ওয়ার্ল্ড পিস প্রোটেকশন কমিটির দু’টি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে।
- ২৫ নভেম্বর: ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম
১৯৭৩:
- জানুয়ারি: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান প্যারিস শান্তি চুক্তি সইয়ের জন্য গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম ভান ডাংকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
- ১১ ফেব্রুয়ারি: ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
মে:
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র সফর করেছেন।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব সাউথ ভিয়েতনামের ওয়ার্ল্ড পিস প্রোটেকশন কমিটির দু’টি প্রতিনিধিদল ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।
- জুলাই: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র সফর করেন।
- ২৬ জুলাই: বাংলাদেশ দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।
- অক্টোবর: দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
১৯৭৪:
- ১৮ ফেব্রুয়ারি: ঢাকায় দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের দূতাবাস খোলা হয়।
(১৯৭৬ সালে ভিয়েতনামের পুনর্মিলনের পর এটি ঢাকায় ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে পরিণত হয়)।
- অক্টোবর: দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের পরামর্শদাতা পরিষদের চেয়ারম্যান নগুয়েন হু থু বাংলাদেশে একটি সরকারি সফর করেছেন।
১৯৭৭:
ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- সেপ্টেম্বর: ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্র বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
১৯৭৮:
মে: বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করেছে।
১৯৭৭:
- জুলাই: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল ভিয়েতনাম সফর করেছে।
- আগস্ট: বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ভিয়েতনাম সফর করেন।
- ডিসেম্বর: ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলাদেশ সফর করেন।
জুলাই: ঢাকায় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনামের দূতাবাস আর্থিক সমস্যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: হো চি মিন ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম
১৯৯৩:
- দুই দেশ ‘বিমান সেবা চুক্তি’ সই করেছে।
- নভেম্বর: হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা হয়।
১৯৯৪:
- মে: ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- দুই দেশ ‘দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পরামর্শ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক’ এবং অর্থনৈতিক ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সহযোগিতার চুক্তি সিই করেছে৷
১৯৯৬:
- সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- দুই দেশ ‘বাণিজ্য চুক্তি’ সই করেছে।
১৯৯৭:
- মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসেন।
- দুই দেশ ‘সাংস্কৃতিক চুক্তি,’ ‘অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য একটি যৌথ কমিশন প্রতিষ্ঠার চুক্তি,’ ‘ভিয়েতনাম সংবাদ সংস্থা (ভিএনএ) এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) এর মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে। এছাড়াও ‘ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি ’সই হয়।
১৯৯৯:
- মে: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- দুই দেশ ‘পানি সম্পদ উন্নয়ন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার চুক্তি’ এবং ‘কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়ের চুক্তিতে সই করেছে।’
২০০০:
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল $23.7 মিলিয়ন।
মার্চ: ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- জানুয়ারি: ঢাকায় ভিয়েতনামের দূতাবাস পুনরায় চালু করা হয়।
- জুলাই: ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০০৪:
মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ট্রান দ্যক লুং বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসেন।
- দুই দেশ ‘কৃষিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’ এবং ‘দ্বৈত কর এড়ানোর চুক্তি’ সই করেছে।
- জুলাই: বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০০৫:
- মে: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি সরকারি সফর করেন।
- দুই দেশ ‘বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি’ সই করেছে৷
২০০৬:
- ফেব্রুয়ারি: অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের প্রথম সভা হ্যানয়েতে অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৮:
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৬৪ দশমিক ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০০৯:
- মে: বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- আগস্ট: বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- নভেম্বর: ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০১০:
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ২৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
- অক্টোবর: বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করে।
- অক্টোবর: বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করে।
২০১১:
- এপ্রিল: বাংলাদেশের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- মে: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল জলজ চাষে সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করতে ভিয়েতনাম সফর করে।
- জুন: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল প্রাণিসম্পদ চাষে সহযোগিতার বিষয়ে মত বিনিময়ের জন্য ভিয়েতনাম সফর করে।
- অক্টোবর: ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
২০১২:
- সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী হ্যানয়েতে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন এবং ভিয়েতনামের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি সরকারি সফর করেন।
২০১৩:
- এপ্রিল: ঢাকায় অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
- আগস্ট: ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
২০১৫:
- মার্চ: ঢাকায় যৌথ বাণিজ্য উপ-কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
- আগস্ট: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, আবদুল হামিদ, ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।
২০১৬:
- মার্চ: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০১৭:
- এপ্রিল: ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ভাইস চেয়ারওম্যান টং থো ফং ঢাকায় ১৩৬তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলিতে যোগ দেন এবং বাংলাদেশের পার্লামেন্ট স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।
- জুলাই: বাংলাদেশের পার্লামেন্টের স্পিকার ভিয়েতনাম সফর করেন।
- আগস্ট: ঢাকায় প্রথম বিদেশি কার্যালয় পরমর্শ অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৮:
- মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কোয়াং বাংলাদেশে একটি রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৮১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৯:
- জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- ডিসেম্বর: জয়েন্ট ট্রেড সাব-কমিটির দ্বিতীয় সভা হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৭৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২০:
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৭৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২১:
- সেপ্টেম্বর: নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের সময় ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল এক দশমিক ৩৫ বিলিয়ন।
২০২২:
- জানুয়ারি: ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের মধ্যে টেলিফোন কথোপকথন হয়।
- আগস্ট: কম্বোডিয়ার নমপেনে ২৯তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে অংশগ্রহণের সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল এক দশমিক ৪৭ বিলিয়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কূটনীতিকদের আলোচনা হয়েছে: এমএফসি
মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল নিয়ে আরও একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। পানামা পতাকাবাহী এমভি মারস নামে ওই জাহাজটি শুক্রবার দুপুরে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর ফেলে।
জাহাজটিতে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর জন্য ১৯৩ প্যাকেজে এক হাজার ৫১৯ মেট্রিকটন সেতুর মুল অবকাঠামোর মালামাল রয়েছে। এখন ওই জাহাজ থেকে মালামাল খালাসের কাজ চলছে।
এমভি মারস জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হক এন্ড সন্স লিমিটেডের খুলনার অপারেশন ম্যানেজার (শিপিং বিভাগ) শওকত আলী সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মুল অবকাঠামো তৈরির মালামাল নিয়ে জাহাজটি ১৬ জানুয়ারি ভিয়েতনামের হাইপোং বন্দর থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। শুক্রবার দুপুরে জাহাজটি মোংলা বন্দরে নোঙর ফেলে। জাহাজটিতে সেতুর জন্য ১৯৩ প্যাকেজে এক হাজার ৫১৯ মেট্রিক টন মালামাল রয়েছে। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
তিনি আরও বলেন, এরপর মালামাল নৌযানে করে মোংলা থেকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর জেটিতে নেয়া হবে। এনিয়ে পঞ্চম বারের মতো বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ জানান,জাহাজ থেকে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল খালাস কাজ চলছে। রবিবারের মধ্যে খালাস কাজ শেষ হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর সেতুর মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ শিগগিরই মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, দেশে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ প্রায় প্রতি মাসে মোংলা বন্দরে ভিড়ছে। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করার পর মোংলা থেকে প্রকল্প এলাকায় নেয়া হচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ ব্যবহারকারীরা মোংলা বন্দর ব্যবহার করছে। মোংলা বন্দরে ফিরে এসেছে কর্মচঞ্চলতা।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি রুশ জাহাজ
মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে