পোশাক শিল্প
বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৩
ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৩ আয়োজন করছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় অপরচুনেটিস প্রসপেক্টস ইন এসইআইপি অ্যান্ড প্রবাবল কেরিয়ার বিল্ড আপ ইন আরএমজি সেক্টর শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্কিল ফর এমপ্লোয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম এসইআইপির অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ প্রজেক্ট ডিরেক্টর, এনভাইরনমেন্টাল প্রোডাক্ট ডিক্লারেশনের (ইপিডি) ফাতেমা রহিম ভিনা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বিজিএমইএ’র সহসভাপতি (অর্থ) ও বিজিএমইএ—এসইআইপি প্রজেক্টের অলটারনেটিভ চেয়ারপার্সন খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং এসইআইপির যুগ্ম সচিব, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. সারোয়ার জাহান ভূঁইয়া উপস্থিত থাকবেন।
এদিনও ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলবে ক্যারিয়ার সেশন ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য।
আরও পড়ুন: আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
সরকারের গঠন করা মজুরি বোর্ড ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাক শিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড। ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৭টি গ্রেডের জায়গায় ৫টি গ্রেড করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তার জন্য এই মজুরি দেওয়াই কঠিন হবে। এছাড়াও প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
নূন্যতম মজুরি বোর্ড নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পর বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কারখানা ভাঙচুর করায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়- এমন কাজ না করতেও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কারখানায় কাজ করবেন বলে আশা করছেন ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
পরিবেশবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও তৈরি পোশাক শিল্পের মতো দৃষ্টি পাচ্ছে না পাট: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবেশবান্ধব কৃষিপণ্য হওয়া সত্ত্বেও দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মতো পাট প্রত্যাশিত মনোযোগ ও প্রণোদনা পায়নি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন এবং ছয়টি নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে গার্মেন্টস শিল্পকে প্রণোদনা দিই… কৃষিপণ্য হওয়া সত্ত্বের পাটকে ততটা দেয়া হয় না। পাটের জরুরি ভিত্তিতে সেই সুযোগ দরকার। আমি ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য 'আসুন দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি, সোনার বাংলা গড়ি'।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় পাট দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে এসেছে এবং এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে গভীরভাবে সচেতন করে তোলার ফলে সেই সুযোগ আবারও দেখা দিয়েছে। পাট একটি পরিবেশবান্ধব পণ্য। পাট থেকে অসংখ্য পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, দেশের গবেষকরা এ বিষয়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। পাটের ওপর আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি’র (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম এবং বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বস্ত্র খাতের উন্নয়নে অবদানরাখার জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন জেলায় ছয়টি নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে।
কলেজগুলো হচ্ছে- গোপালগঞ্জে শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের গৌরনদীতে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, নওগাঁয় শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সিরাজগঞ্জে বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, ভোলা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং জামালপুরে শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট।
আরও পড়ুন: সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন: আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
১৩ দশমিক ৪২ ও ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাক খাত যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ ও ১০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ডিসেম্বরে পোশাক শিল্প ভালোই চলেছে। ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে চার দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা এক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা ক্যালেন্ডার বছরের তথ্য বিবেচনা করি তাহলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই বাংলাদেশ ২০২২ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। বিজিএমইএ-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।’
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘নিটওয়্যার খাত থেকে রপ্তানি আয় ২৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে ওভেন খাত থেকে আয় ২০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। উভয় খাতে ২০২২ সালে যথাক্রমে ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ ও ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি হয়েছে।’
ইপিবি অনুসারে, ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
পোশাক কারখানার উন্নয়নে বিশেষ তহবিল থেকে ঋণের সুদের হার ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। উন্নয়ন সংস্থা ও সরকারের সহায়তায় ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে নিরাপত্তা সংস্কার, প্রতিকার ও পরিবেশগত উন্নয়নে সহায়তা’- শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই প্রকল্পের অধীনে আগের ৭ শতাংশের বিপরীতে বর্তমানে ঋণের সুদের হার হবে ৫ শতাংশ। নতুন ও পুরাতন সব ঋণেই ৫ শতাংশ সুদের হার প্রযোজ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ জন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আড়াই শতাংশ সুদে তহবিল পাবে, যা আগে ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বিনিয়োগ অনুদান দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্টস শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের অংশগ্রহণে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। যার লক্ষ্যগুলো হলো- অগ্নিনির্বাপণ, কর্ম পরিবেশের উন্নতি, শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি পরিবেশ বান্ধব বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৬ দশমিক ৪২ কোটি ইউরো প্রকল্পে উন্নয়ন সংস্থা এএফডি থেকে পাঁচ কোটি ইউরো ঋণ রয়েছে। বাকি অর্থ আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কেএফডব্লিউ, জিআইজেড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে।
এ পর্যন্ত ১৭টি কারখানা এই তহবিল থেকে ১৭০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে এবং দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা অনুদান বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, পোশাক খাতকে চাঙ্গা করতে ঋণের সুদের হার কমানো হয়েছে। যাতে আরও বেশি কারখানা এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তাদের কার্যক্রম বিকাশে এগিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডিলারদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানত হিসাব খোলার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের
‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অবস্থান তুলে ধরতে মিডিয়ার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স। অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। কেননা বিশ্বকে দেখানোর মতো এ শিল্পের প্রচুর ‘অর্জন ও ইতিবাচক গল্প’ আছে।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের বিকাশে সাংবাদিকদের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গার্মেন্টস সেক্টরের গৌরবময় যাত্রা, বিশেষ করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই শিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়নে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শুক্রবার ঢাকা ক্লাবে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বিজিএমইএ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে: বিজিএমইএ
তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের প্রতি আপনাদের আন্তরিক সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ,এটি এমন একটি খাত যা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে ব্যাপক অবদান রাখছে। যেটা লাখ লাখ মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।’
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, গত চার দশক ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরে মহান ও গৌরবময় অবদান থাকা সত্ত্বেও, সেসব গল্পের বেশিরভাগই প্রায়ই অকথিত থেকে গেছে এমনকি পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল তথ্য দিয়ে নেতিবাচকভাবে শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। যার ফলে শিল্প সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং শ্রমিকদের কল্যাণে শিল্পের অবস্থান তুলে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়। বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ ব্র্যান্ড হিসেবে ‘মেড ইন বাংলাদেশকে’ তুলে ধরতে সাংবাদিকদের একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
করোনাকালে ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে: বিজিএমইএ
করোনা মহামারির কারণে এক হাজার ১৪৫টি কারখানার প্রায় ৩১৮ কোটি ডলার মূল্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এক প্রচণ্ড বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। বিজিএমইএর জরিপ অনুযায়ী-এক হাজার ১৪৫টি কারখানার প্রায় ৩১৮ কোটি ডলার মূল্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতারা রপ্তানি করা পণ্যের দাম দেয়নি। অনেকে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারপরও বিজিএমইএ’র বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও সরকারের নীতি সহায়তায় শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।’
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার বিজিএমইএ ভবনের মাহাবুব আলী হলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পড়ুন: তৈরি পোশাক নিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাবে ‘এমভি সোঙ্গা-চিতা’
পোশাক কারখানাগুলো এখনো কোভিড মহামারির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে সুতার দাম ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কনটেইনার পরিবহন খরচ ৩৫০-৫০০ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া, ডাইস, কেমিক্যালের খরচ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। গত ৫ বছরে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম যথাক্রমে ৫৯ ও ১৩ শতাংশ বেড়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে কারখানার উৎপাদন খরচ দিন দিন বেড়েছে। এ সময়টিতে পণ্যের দরপতন মোটেই কাম্য নয়।’
ফারুক হাসান বলেন, করোনার মধ্যেও নানা ঝুঁকি নিয়ে কারখানা মালিকরা ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে আমাদের কারখানাগুলোতে প্রচুর কার্যাদেশ বেড়েছে। দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা প্রতিটি ক্রেতার সঙ্গে আলাদা-আলাদাভাবে আলোচনা করেছি। তাদের আস্থার সম্পর্কে ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ’র নেতৃত্বে যে হেলথ প্রটোকল তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার সুফল হিসেবে আমরা শ্রমিকদের নিরাপদ রাখতে পেরেছি। এর সুফল হিসেবে ক্রেতারা আজ আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন, আমাদের রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। করোনা মাহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রণোদনা প্যাকেজটি শিল্পকে সেই কঠিন সময়ে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে।
পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনার সময় আমাদের খারাপ সময় গিয়েছে। বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় আমরা পেমেন্ট আর পাইনি। সে বোঝা আমাদের অনেক কারখানা মালিককে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের কারখানাগুলোতে প্রচুর কার্যাদেশ আসছে। এ ধারা বজায় রাখতে আমাদের সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি মো. আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (০৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা কীভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ সঠিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়ে কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের দক্ষতা বিকাশের জন্য তরুণদের প্রশিক্ষণে সহায়তা দিতে পারে এমন সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
ফারুক হাসান পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অভূতপূর্ব বাধা মোকাবিলা করে কীভাবে শিল্পটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে সে সম্পর্কে সেনাপ্রধানকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: ন্যায্য মূল্য ছাড়া ক্রয়াদেশ না নেয়ার আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, মেগাপ্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হতে পারে।
সেনাপ্রধান এসময় পোশাক খাত যেভাবে করোনার মধ্যে অভূতপূর্ব প্রভাব মোকাবিলা করেছে এবং পুনরুদ্ধার করেছে তার প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও এমন পরিস্থিতির মধ্যে শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিক ও উদ্যোক্তা উভয়ের সহনশীলতা ও অদম্য মনোভাবের কথা উল্লেখ করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মো.নাসির উদ্দিন ও পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
আরও পড়ুন: কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
ন্যায্য মূল্য ছাড়া ক্রয়াদেশ না নেয়ার আহ্বান বিজিএমইএ’র
ন্যায্য মূল্যের চেয়ে কম দামে ক্রয়াদেশ চুক্তি না করতে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই আমরা যেন স্বাভাবিক উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম দামে অর্ডার নেগোশিয়েট না করি।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম ও স্কটল্যান্ড সফরের ফলাফল জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।
এ সময় তুলা, সুতাসহ অন্যান্য কাঁচামাল ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের পোশাকের মূল্যের ব্যাপারে আরও সংবেদনশীল হওয়ার অনুরোধ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি এস.এম. মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মিরান আলী, রকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, আসিফ আশরাফ, মো. মহিউদ্দিন রুবেল ও ব্যারিস্টার বিদ্যা অমৃত খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেল ফাউন্ডেশনের (আইএএফ) যৌথ আয়োজনে আগামী বছরের নভেম্বরে ঢাকায় ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইইউতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাধা নেই: বিজিএমইএ
কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজেট: বিজিএমইএ
বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত যা গত দুই দশক ধরে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৩৫% অবদান রেখে চলেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে গত তিন দশক ধরে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং প্রায় প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি নতুন ব্র্যান্ড উঠে আসে, যা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে তোলে। শত শত ব্র্যান্ডের মধ্যে সেরাগুলো বাছাই করা এবং ছোট একটি তালিকা তৈরি করা কঠিন। তবুও, আমরা বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ১০ ব্র্যান্ডের তালিকা করেছি। তালিকাটি দেখে নিন এবং সেগুলো আপনারও শীর্ষ ১০ব্র্যান্ডের তালিকায় রয়েছে কিনা তা দেখুন।
ক্যাটস আই
আজকের তরুণ প্রজন্ম ক্যাটস আই-র নস্টালজিক অনুভূতি বুঝতে পারবে না; শুধুমাত্র ৯০ দশকের লোকেরাই এই ব্র্যান্ডের মূল্য জানে। নতুন ব্র্যান্ডের প্রবর্তনের সাথে সাথে ক্যাটস আই তার আবেদন হারিয়ে ফেলবে। তবে এটি এখনও বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি। ক্যাটস আই সবসময় পুরুষদের জন্য ক্যাজুয়াল আউটফিট পরিবেশন করে থাকে। পরে তারা নতুন ব্র্যান্ড মনসুন রেইন- এর সাথে আনুষ্ঠানিক প্রোডাক্ট লাইন চালু করে। এছাড়াও, তারা শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, কামিজ, জুতা, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছুসহ পুরুষ এবং নারী উভয়ের পোশাক সরবরাহ করে।
সাঈদ সিদ্দিকী রুমী এবং আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা ১৯৮০ সালে ক্যাটস আই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সারা দেশে গত চার দশকে তারা অনেক শোরুম খুলেছে, তবে সবচেয়ে বিখ্যাত একটি নিউ এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত, যা ব্র্যান্ডটিকে এক নতুন স্তরে নিয়ে গেছে । আপনি অনলাইন পেইজwww.catseye.com.bd এ পণ্যগুলো খুঁজে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা
রিচম্যান
রিচম্যান ২০০৩ সালের দিকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এটি মূল সংস্থা লুবনান ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের একটি শাখা। তারা সব ধরনের ফ্যাশনেবল পোশাক যেমন ক্যাজুয়াল, ফর্মাল, লেডিস ড্রেস এবং বাচ্চাদের আইটেমও তৈরি করেন। তবে মূল সংস্থাটি তিনটি পৃথক ব্র্যান্ড- লুবানান, রিচম্যান এবং ইনফিনিটির মাধ্যমে পরিচালনা করে। স্টোর থেকে রিচম্যানের পণ্য ক্রয় করা ছাড়াও আপনি অনলাইনেও www.richmanbd.com কিনতে পারবেন। মোহাম্মদ জুনায়েদ বাংলাদেশের মধ্য স্তরের ক্রেতাদের প্রথম শ্রেণির পোশাক সরবরাহ করার লক্ষ্যে রিচম্যান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ইয়েলো
বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠিত ইয়েলো বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে। সাধারণত, ইয়েলো পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই তরুণ প্রজন্মের রুচি অনুযায়ী পণ্য পরিবেশন করে। সুতরাং, আপনি পুরুষদের, নারীদের, শিশুদের পোশাক এবং এক্সেসোরিজ পাবেন। অনলাইনেwww.yellowcloming.net এ এই পণ্যের অ্যাক্সেস পাবেন।
আড়ং
আড়ং ১৯৭৮ সালে আয়েশা আবেদ এবং মার্থা চেন নগর ও বিশ্বে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আড়ং ব্র্যাক পরিচালনা করছে। তারা মূলত পাঞ্জাবি, পাজামা, শাড়ি এবং ফতুয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী পোশাককে প্রাধান্য দেয়। তবে আড়ং গিফট সেট, জুতা, গৃহস্থালি কারুশিল্প, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। অন্যান্য ব্র্যান্ডের মতো আড়ংয়ের এতগুলো শাখা নেই। বর্তমানে, তারা নয়টি মহানগর অঞ্চলে তাদের ২১টি আউটলেট পরিচালনা করে। তারা তাদের ওয়েবসাইট www.aarong.com এর মাধ্যমে অনলাইন শপিংয়ের অফারও দেয়।
আরও পড়ুন: অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হলেও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে
সেইলর
বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পে একটি নতুন সংযোজন সেইলর ২০১৫ সালে তাদের ব্যবসা শুরু করে এবং মাত্র ৬ বছরের মধ্যে তারা তুলনামূলক কম দামে উচ্চ মানের পোশাকের কারণে ক্রেতাদের যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তাদের পণ্য লাইনে পাঞ্জাবী, জুতা, শার্ট, টি-শার্ট, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। পুরুষদের পণ্যের পাশাপাশি তারা নারীদের জন্য পণ্য যেমন- কামিজ, কুর্তি, টপস, জুতা, বোটমস এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। সেইলর এপিলিয়ন গ্রুপের একটি সিস্টার কনসার্ন। অনলাইনে https://www.sailor.cloming/ এ সেইলরের পণ্য পাবেন।
গ্রামীণ ইউনিক্লো
গ্রামীণ ইউনিক্লো লিমিটেড বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় পোশাক ব্র্যান্ড। এটি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানাধীন সামাজিক ব্যবসায়ের উদ্যোগ। শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনুস এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রামীণ ইউনিক্লো ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৮সালের মধ্যে ঢাকা শহরে প্রায় ১৫ টি স্টোর চালু করে। বর্তমানে ঢাকার কিছু স্টোরসহ তাদের মোট ২১ টি স্টোর রয়েছে। তারা টি-শার্ট, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবী, এক্সেসোরিজএবং আরও অনেক কিছুসহ ক্যাজুয়াল এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাককে প্রাধাণ্য দেয়। ইউনিক্লো-এর মূল লক্ষ্য হল কারখানার শ্রমিকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা। এদের পণ্য অনলাইনে http://www.grameenuniqlo.com/ এ পেতে পারেন।
এক্সটেসি
এক্সটেসি আরও একটি ব্র্যান্ড যা ইয়াং স্টারদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। ফ্যাশন সচেতন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বাসামাজিক অনুষ্ঠানে ফ্যাশনেবল পোশাক পরতে চান এমন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এক্সটেসি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এবং ব্র্যান্ডটি সফলভাবে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করে চলেছে। তানজিম হক ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ফ্যাশন রিটেইলার হয়ে উঠেছে। তারা পুরুষদের জিন্স, ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, ক্যাজুয়াল প্যান্ট, নারীদের টপ, কামিজ, ব্যাগ, এক্সেসোরিজ,বাচ্চাদের পোশাক এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। বাড়ি থেকে আপনার ঈদের কেনাকাটার জন্য আপনি http://ecstasybd.com এ তাদের ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।
লা রিভ
একটি ছোট আউটলেট থেকে শুরু করে এখন লা রিভ বয়স নির্বিশেষে পছন্দসই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্যই তাদের সংগ্রহ রয়েছে। লা রিভ ঐতিহ্যবাহী পোশাক, পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্য ক্যাজুয়াল পোশাক, ডেনিম, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। লা রিভ রিভ টেক্স লিমিটেডের একটি সিস্টার কনসার্ন এবং লা রিভ ২০০৯ সালে সর্বজনীনভাবে ব্যবসা শুরু করে।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ফ্রিল্যান্ড
ফ্রিল্যান্ড ২০০৩ সালে তাদের যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তী দশ বছরের মধ্যে তারা বিশাল আকারে বেড়ে ওঠে। তরুণ ও অফিসগামী মানুষের জন্য তারা বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পে একটি নতুন ট্রেন্ড চালু করেছে। 'ফ্রিল্যান্ড' নামটি দ্বারা তারা আপনার পোশাক নির্বাচনের স্বাধীনতা বোঝায়। তারা জুতা এবং এক্সেসোরিজসহ পুরুষদের এবং নারীদের পোশাক সরবরাহ করে। তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানা http://freeland.com.bd/.
ট্রেন্ডজ
ট্রেন্ডজ ২০০৪ সালে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে প্রথম আউটলেট দিয়ে ফ্যাশন শিল্পে পা রাখে। গত ১৭ বছরের মধ্যে তারা সারা দেশে ৮ টি শোরুম খুলেছে। তারা মাঝারি মূল্যের পণ্য সরবরাহ করে। ফলস্বরূপ, তারা বৃহত্তর উচ্চ মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। তারা সাধারণত ট্রেন্ডি টি-শার্ট এবং শার্টের পাশাপাশি নারীদের পোশাকও সরবরাহ করে। ট্রেন্ডজ-এর পণ্যগুলো দেখতে www.trendzbd.com দেখুন।
আপনি ফ্যাশন সচেতন বা মানসম্পন্ন পণ্য চান এমন কেউ হোন না কেন, আমরা নিশ্চিত যে আপনি কমপক্ষে আপনার জীবনে একবার এই স্টোরগুলোতে গেছেন এবং কিছু কিনেছেন। এখন আপনি এই কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাইরে না গিয়ে ঘরেই নিরাপদে অনলাইনে কিনতে পারেন।