তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ক্রোনি এ্যাপারেলসে গ্যাস বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন, তিতাস কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও কলকারখানা অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই তদন্ত কমিটি।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা।
আরও পড়ুন: যশোরে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার কর্মকর্তা আহত
পরিদর্শনের সময় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় নগরীর ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনয়নের হাটখোলা এলাকায় ক্রোনি এ্যাপারেলসে তিতাসের গ্যাস সংযোগস্থলে বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধ হন। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণের কারণ শনাক্ত করতে অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
রাতে তিতাসের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা গ্যাস বিল বকেয়ার কারণে গত মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও একদিন বাদেই সেখানে অবৈধভাবে সংযোগ নেওয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা মূল বিতরণ সংযোগটির ভালবের দুই পাশে ওয়েল্ডিং ঝালাই দিয়ে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
তিতাস কর্তৃপক্ষের ধারণা, বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়েল্ডিং করে সেই সংযোগ স্থাপনের সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তিতাসের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ, ফায়ার সার্ভিসের জেলা উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমেদ, তিতাসের ফতুল্লা জোনের ব্যবস্থাপক মো. মুশিউর রহমান ও জেলা কলকারখানা অধিদপ্তরের পরিদর্শকসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
চট্টগ্রামে ভবন হেলে পড়ায় ভাঙল ঘর, তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম মহানগীর পাহাড়তলী সরাইপাড়া এলাকায় ৩ তলা বিল্ডিং হেলে পড়ায় পাশবর্তী দুটি সেমি পাকা ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে।সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩০টি পরিবারকে।
আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে পরিদর্শনে যান কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার ( ভূমি) উমর ফারুক, সিনিয়র সহকারী কমিশনার জামিউল হিকমা সজীব ও সিএমপি ।
এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভবন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় নানা-নাতনির মৃত্যু
তিনি বলেন, হেলে পড়া ভবনটির পেছনে চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অথরিটির খাল খনন প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। সেই খাল খনন করায় ভবনের পিলার দুর্বল হয়ে পড়েছে মর্মে বাসিন্দারা দাবি করেছেন।
পাশাপাশি সেমি পাকা দুটি ঘর ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যেই দুটি ভবন ও সেমি পাকাঘরগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করে এসব স্থাপনা থেকে প্রায় ৩০ টি পরিবারকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে সিএমপি'র প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, সিডিএ'র প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, পিডব্লিউডি'র প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ৩ তলা ভবন
কমিটি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ভবন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথাও বলেছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, কালকের মধ্যে ভবন সংশ্লিষ্ট সব তথ্য উপাত্ত যাচাই করে কিছুদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন কমিটি।
এর আগে দুপুরে পাহাড়তলী সরাইপাড়া এলাকায় ৩ তলা ভবনটি পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের দিকে হেলে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল সেখানে অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ৩ তলা ভবন
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকালে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির উপকমিশনারের (ডিসি-অপারেশন) নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
গুলশান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
রাজধানীর গুলশান এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন ইউএনবিকে জানান, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ), সহকারী পরিচালক, গুলশান জোনের উপ-সহকারী পরিচালক এবং স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
১২তলা ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৯জন পুরুষ, ১২ জন নারী ও এক শিশুসহ ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীও উদ্ধার অভিযানে যোগ দিলে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: গুলশানে বহুতল ভবনে আগুন
চাঁদপুরের কলেজ গেট সংলগ্ন দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে
অপারেশন টেবিলে শিশুকে মারধর, তদন্ত কমিটি গঠন
বরিশালে ক্ষতস্থান সেলাই করার সময় ব্যথা পেয়ে নড়াচড়া ও কান্নাকাটি করায় অপারেশন টেবিলে শিশুকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিনিয়র স্টাফ নার্সের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মারধরকারী সিনিয়র স্টাফ নার্সের নাম সুমন।
মারধরের শিকার শিশুর স্বজনরা শনিবার (৮ অক্টোবর) থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু, ভারতের তৈরি সিরাপ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ সরকার তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
তিনি বলেন, লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেনেছি এমন একটি অভিযোগ। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই নার্সের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিশুটির মামী সাবেরা খাতুন বলেন, লামিয়া এতিম। ও আমার বাসায় থাকে। শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে বসে টিনে ওর হাত কেটে যায়।
বেনাপোলে বিজিবি-রেল পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন তল্লাশিকে কেন্দ্র করে বেনাপোলে বিজিবি ও রেল পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে তিন রেল পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় রেল পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা পুলিশ সুপার রবিউল হোসেন নামে এক রেল পুলিশের সঙ্গে ছবি তোলা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হলে রেল পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে যশোরে থামবে খুলনা-কলকাতা রুটের ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’
বিজিবি এ সময় আহত মোমিনুল ইসলাম নামে এক রেল পুলিশের সদস্যকে ধরে নিয়ে যায়।
আহত রেল পুলিশের সদস্যরা হচ্ছেন- মো. সেতাফুর রহমান, রেল পুলিশ মো. ইনতাজুল হক এবং রেল পুলিশের সদস্য মো. মোমিনুল ইসলাম।
খুলনা বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা পুলিশ সুপার রবিউল হোসেন জানান, এএসপি মজনুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
বেনাপোল রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জামান, কাস্টমস কর্মকর্তা ছাড়া ট্রেনে যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশি করা যাবে না রেল পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য রাখার পর বিজিবি সদস্যরা মারমুখী আচরণ করে। পরবর্তীতে বিজিবির ২০/২২ জনের একটি টিম এসে রেল পুলিশের (আরএসবি) মো. মমিনকে তাদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় বিজিবি ক্যাম্পে।
রেল পুলিশ মোমিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় অন্যান্য রেল পুলিশ সদস্যরা বাধা প্রদান করলে বিজিবি তাদের ওপর হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে মো. সেতাফুর রহমান ও মো. ইনতাজুল হককে আহত অবস্থায় নাভারন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর আহত রেল পুলিশ মোমিনকে বিজিবি’র হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় রাত দশটায়।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেদ মো. মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, সামান্য ঘটনায় উভয়ের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটি মীমাংসা হয়ে গেছে।
পুলিশ তাদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
আরও পড়ুন: খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস থেকে ভারতীয় ওষুধ-পণ্য জব্দ
২ বছর পর কলকাতা থেকে খুলনায় এলো ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’
চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি-ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রামে রেলক্রসিংয়ে বাস, সিএনজি ও ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানায় রেল পুলিশ। এছাড়া রেলওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ও চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তাকে (ওসি) তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ফাইল গায়েব’: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের (চট্টগ্রাম) এসপি হাছান চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার কারণ ও দোষীদের শনাক্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সব উঠে আসবে।’
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ডেমু ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষে সিএমপির ট্রাফিক কনস্টেবল মনিরুল ইসলামসহ দুজন নিহত হন। নিহত অন্য জন হলেন সিএনজির যাত্রী বাহা উদ্দীন (৩০)। এছাড়া এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার সাথে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক, তদন্ত কমিটি গঠন
ছোটমণি নিবাসে শিশু হত্যা: তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি
সিলেটের ছোটমণি নিবাসে শিশু হত্যার ঘটনায় কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আশরাফুল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাহ উদ্দিন ও সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা আক্তার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কমিটির প্রধান মো. আশরাফুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। ওই আয়াকে কোর্টে সোপর্দ করার পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রেলওয়ের ৭ হাজার ফিস প্লেট গায়েব: তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি বলেন, আমরা আসছি এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না বা এ রকম আরও কিছু আছে কি না খতিয়ে দেখতে। আমরা শিগগিরই আমাদের কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করব।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট গভীর রাতে সিলেটের সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাস থেকে আয়া সুলতানা ফেরদৌসি সিদ্দিকাকে আটক করে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গত ১৪ আগস্ট শনিবার রাতে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে আয়া সুলতানা ফেরদৌসি সিদ্দিকা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতে জবানবন্দিতে তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপের কারণে গত ২২ জুলাই সকালে তিনি ওষুধ সেবন করেন। তাই তার মাথা ঠিক ছিল না। ওই দিন রাতে শিশু নাবিল কান্না করছিল। তার কান্নাকাটি সহ্য না হওয়ায় দুই মাস বয়সী নাবিলকে ছুড়ে মারেন। পরে বালিশচাপা দিলে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনার পরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছোটমণি নিবাসের উপতত্ত্বাবধায়ক রূপক দেব, অফিস সহকারী শফিকুল ও নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজন ঘটনাটি গোপন রাখতে বলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে; তদন্ত কমিটি গঠন
হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে শিশুটিকে ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হয়। পরে তার নাম রাখা হয় নাবিল। সে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর সন্তান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
পদ্মায় স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় পদ্মা নদীতে স্পিডবোট ডুবিতে ২৬ জন নিহতের ঘটনা তদন্তে সোমবার ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভির কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হান জানান, ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন একটি অনুসন্ধানী দল গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট ডুবে নিহত ২৬
এর আগে সকালে পদ্মায় স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিমুলিয়া ফেরি ঘাট থেকে বাংলাবাজারমুখী স্পিডবোটটি একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষে ডুবে যায়। খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে ছুটে যায় শিবচর এবং জাজিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা। স্থানীয় পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় তারা ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
ফেনসিডিল বিক্রি: বগুড়ায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পর তদন্ত কমিটি গঠন
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধারকৃত ৮৮ বোতল ফেনসিডিল বিক্রির ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কমিটির প্রধান বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) আলী হায়দার চৌধুরী। দুই সদস্য হলেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ ও শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
ফেনসিডিল বিক্রির ঘটনায় বুধবার শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীকে প্রত্যাহার করে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে এবং মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহীন উজ্জামান ও উপপরিদর্শক সুজাউদ্দৌলাকে তাদের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, তদন্ত কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল রাতে শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। তল্লাশিকালে ঢাকাগামী বাস খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহনের একটি বাস থেকে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পিংকি পরিবহন থেকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হলেও সেখানে ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেয়া হয়। বাকি ৮৮ বোতল ফেনসিডিল পুলিশের এক কর্মকর্তা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। এ খবর ফাঁস হলে বগুড়ার পুলিশ সুপার মামলা দুটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে স্থানান্তরের আদেশ দেন এবং গত ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেনসিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার সাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত কর্মীদের হামলায় বাগেরহাটে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত