কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সাপের কামড়ে আযম আলী (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ছালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আযম আলী ওই এলাকায় মোজাম্মেল হকের ছেলে। তবে আগে তিনি একই ইউনিয়নের লালচামারচর এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক এইচ এম মেহেদী জানান, শনিবার ফজরের আযানের সময় আযম আলী নিজ বাড়ির বাইরে বের হন। এসময় একটি বিষাক্ত সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পাশের গ্রামে ওঝার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওঝার ঝাড়-ফুঁকে কাজ না হওয়ায় আযম আলীকে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিলমারী হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আযম আলীর মৃত্যু হয়েছে।
কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা ভেঙে ও বজ্রপাতে লিকচান সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ও ফসলের খেত। এদিকে বিদ্যুতের ৩৪টি খুটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ৪ লাখ গ্রাহক।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
এলাকাবাসী জানায়, হঠাৎ করেই শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ ঝড়। সঙ্গে চলে বজ্রসহ বৃষ্টি। এই ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাতে লিকচান সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। এসময় ঝড়ে গাছপালা ও ঝুলন্ত বিলবোর্ড পড়ে ৮ জন আহত এবং একটি যাত্রীবাহী বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝড়ে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল, ফকিরহাট, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুৎ ও ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৩৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ায় শনিবার সকাল ১০টা থেকে বাগেরহাটের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুতের এজিএম সুশান্ত রায় বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের কমপক্ষে ২০টি খুটি ভেঙে যায় এবং অসংখ্য স্থানে বিদ্যু্তের তার ছিঁড়ে গেছে। ফলে সকাল ১০ টা থেকে ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ করছে।
বাগেরহাট ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহি প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, ঝড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে এবং অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। সকাল ১০টা থেকে শহরের ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে।
বাগেরহাট বাসাবাটি গির্জার ফাদার ডমিনিক হালদার জানান, কয়েক মিনিটের ঝড়ে মারিয়া পল্লির ২০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পল্লির বাসিন্দাদের ঘরের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই কষ্টে দিন পার করছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের সময় কচুয়ায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কিছু কাঁচাঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশ বিছু গাছপালা উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
সিলেটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
গবাদি পশুর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে কৃষকের মৃত্যু
মাগুরায় গোয়ালঘরে আগুন লেগে পাঁচটি গবাদি পশুর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে ময়েন উদ্দিন মোল্যা নামে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের চর মাধবপুর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ময়েন উদ্দিন মোল্যা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের চর মাধবপুর গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দিন মোল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে লিফট দুর্ঘটনা: টেকনিশিয়ানের মৃত্যু
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুরহান আলী জানায়, গবাদিপশুকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে গোয়ালঘরে কয়েল জ্বালিয়ে রেখেছিলেন ময়েন মোল্যা। সেই কয়েলের আগুন থেকে গোয়ালঘরে আগুন লাগে। পরে দ্রুত ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে দগ্ধ হয়ে একটি গাভী ও চারটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, এই দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত ময়েন মোল্যা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে দিবাগত রাত ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসক।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার খোকসায় গোয়াল ঘরের ফ্যানে বিদ্যুত সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে শোমসপুর ইউনিয়নের বুজরুখ মির্জাপুর গ্রামে কৃষক পলাশ শেখ (৫০) নিহত হন। তিনি জলিল শেখের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী শাহানা খাতুন জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী নিজের বাড়িতে রাজমিস্ত্রিদের নিয়ে কাজ করছিলেন। বিকালে পলাশ নিজের শোবার ঘর থেকে গোয়াল ঘরের ফ্যানে বিদ্যুত সংযোগ দেবার চেষ্টা করছিল। এ পর্যায়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লুটিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে আম পাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশা বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পলাশ শেখকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) গৌতম ঠাকুর বলেন, কৃষক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন এটা সত্য। এ ব্যাপারে থানায় একটা অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দম্পতির মৃত্যু
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ধানখেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইউনিয়নের রংপুর গ্রামের নুড়োতলার মাঠের কাছে ধানখেতে কর্মরত অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল গাফফার (২৬) একই ইউনিয়নের আলী আটনগর গ্রামের মন্ডল পাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃষ্টির আগে থেকে রংপুরের মাঠে ধানের জমিতে কৃষিকাজ করছিলেন গাফফার, আব্দুল হালিমসহ বেশ কয়েকজন। বিকালে বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ধানের জমিতেই বিকট শব্দে বজ্রপাত পড়ে কৃষক গাফফারের শরীরে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
এ সময় আশেপাশে থাকা আরও কয়েক কৃষক মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও কেউই আহত হননি। তবে গাফফার জমিতেই লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাসানুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
সিলেটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজারের মোহাম্মদপুর এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মুত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনছার আলী (৭০) বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে জমিতে ধান কাটতে যান আনছার আলী। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে।
বজ্রপাতে কৃষকের মুত্যুর ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু
বরিশালে বজ্রপাতে শ্বশুর ও জামাইয়ের মৃত্যু
উলিপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিজ জমিতে গরু দিয়ে হালচাষ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যৃ হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে তার হালের গরু দুটিও মারা যায়। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলায় রামদাস ধনিরাম কানিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শহিদুল ইসলাম (৪৫) ওই গ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত রুহুল আমিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শহিদুল নিজের জমিতে দুটি গরুর সাহায্যে লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করছিলেন। এমন সময় বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক শহিদুল ইসলাম এবং তার হালের দুটি গরু মারা যায়।
আরও পড়ুন: ধানখেতে সার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
সুবর্ণচরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মেঘনায় বজ্রপাতে জেলে নিখোঁজ, আহত ১
ধানখেতে সার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
খুলনার কয়রায় ধানখেতে সার দেয়ার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা বিলে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কৃষকের নাম নূর ইসলাম গাজী। তিনি ওই ইউনিয়নের কালনা গ্রামের মৃত আলি গাজীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নূর ইসলাম কালনা বিলে তার নিজের ধানখেতে সার দেয়ার সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয় আর সেই সঙ্গে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে তিনি আহত হন। স্থানীয়রা টের পেয়ে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নূর ইসলাম তার নিজের ধানখেতে সার দিচ্ছিল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণচরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মেঘনায় বজ্রপাতে জেলে নিখোঁজ, আহত ১
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
শৈলকুপায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফুলহরি গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে গরুর জন্য গ্রামের মাঠে ঘাস কাটতে যায় ওই গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম। দুপুরের পর হালকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
একপর্যায়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন খায়রুল ইসলাম। সেখান থেকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খায়রুল ইসলাম ওই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ধানখেতে বজ্রপাত, ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত
বগুড়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ধানখেতে বজ্রপাত, ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মাটিকোড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে ধানখেতে এ দুর্ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ওই উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোবারক (৪০), মোন্নাফ হোসেন (১৯), শমসের আলী (৬২), আফসার (৬৩), শাহিন (২১), মাটিকোড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৬০), শাহ আলম (৪২), রিতু খাতুন (১৫) এবং অপর জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৭
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মাটিকোড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মাঠে কৃষি শ্রমিকরা রোপা ধানের চারা উত্তোলন এবং রোপন করছিলেন। বিকালে আকাশে কালো মেঘের তর্জন গর্জনের পর বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তারা ওই মাঠে অবস্থিত একটি শ্যালো ঘরে গিয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ পর ওই শ্যালো ঘরের ওপর বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ শ্রমিক নিহত হয় এবং আটজন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরীসহ চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং এ পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) মাহফুজ বলেন, বজ্রপাতে নিহত ৯ জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় মিললেও অপর জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তাদের লাশ খুঁজছে। অভিযোগ না থাকলে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেনসহ অনান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক ডা. ফারুক আহাম্মদ বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় এমপি তানভীর ইমাম বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু