হিলি স্থলবন্দর
হিলি স্থলবন্দরে ৬দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬ দিনের ছুটি ঘোষণায় আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দরে।
সেই সঙ্গে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব প্রকার কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৬ দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
১৫ এপ্রিল সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহব্যবস্থাপক এস এম হায়দার বলেন, এই কয়দিন সরকারি ছুটির কারণে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, তবে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। এ সময় আমদানিকারকরা চাইলে তাদের আমদানি করা পণ্যের চালান বন্দর থেকে খালাস করে নিতে পারবেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, যেকোনো সরকারি ছুটিতে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম সব ধরনের সরকারি ছুটির আওতামুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের একজন রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ছুটি ব্যতিত দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন, পণ্যের পরীক্ষায়ণ ও শুল্কায়ণসহ অফিসিয়াল কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন কাস্টমসের পাসপোর্ট ব্যাগেজ শাখায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ট্রাভেল ট্যাক্স গ্রহণ কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। ট্রাভেল ট্যাক্স জমা দিয়ে যাত্রীরা প্রতিদিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
হিলি স্থলবন্দরে আজ বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন নারিকেল আমদানি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে নারিকেল নিয়ে ভারতীয় দুইটি ট্রাক বাংলাদেশে আসে।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন নারিকেল আমদানিতে খরচ পড়েছে ২৫০ ডলার। বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাসাত ট্রেডার্স এই নারিকেল আমদানি করে।
বন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে নারিকেলের চাহিদা থাকায় ভারতের তামিলনাড়ু থেকে দুই ট্রাকে ৫০ মেট্রিক টন নারিকেল আমদানি করা হয়েছে। বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে এসব দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, এই প্রথম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তামিলনাড়ু থেকে দুই ট্রাকে ৫০ মেট্রিক টন নারিকেল আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় ৪ পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে এনবিআর
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে বেশি দামে আলু বিক্রি হাওয়ায় এবং বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে আলু নিয়ে একটি ট্রাক প্রবেশের মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। এতে দাম অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, এখন আলুর ভরা মৌসুম। তারপরেও দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এই অবস্থায় সরকার সামনে রোজায় বাজার স্বাভাবিক রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আলু আমদানি শুরু হওয়ায় আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে বুধবার আলু আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। ওই দিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৪৯ আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
তাই শনিবার ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
পূজায় ৭ দিন বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, খোলা ইমিগ্রেশন
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ৭ দিন বন্ধ থাকবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তবে স্বাভাবিক থাকবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পাসপোর্টধারীদের পারাপার। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দুই দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ৭ দিন বন্দরে ছুটি থাকবে। ফলে বন্ধ থাকবে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি। ছুটি শেষে ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে আবার স্বাভাবিক হবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
হিলি ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারীদের সুবিধার্থে ইমিগ্রেশন সচল থাকবে।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেলচাপায় আদিবাসী নারী নিহত, চালক আটক
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে ছুটি থাকায় একদিন পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর একদিন বন্ধ থাকার পর ফের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়ছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আমদানি বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে শুরু করে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, সোমবার ভারতে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবস ও বিশ্ব অহিংসা দিবস উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে সেখানে সোমবার সরকারি ছুটি থাকায় ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে দিকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহ-ব্যবস্থাপক এসএম হায়দার জানান, মঙ্গলবার থেকে আবারও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক বন্দরের পানামা পোর্টে প্রবেশ করছে। সোমবার এই কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুই দেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেলচাপায় আদিবাসী নারী নিহত, চালক আটক
তিনি জানান, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আজ (বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি হওয়ায় সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় দুইদিন পর আগামী শনিবার থেকে এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফ বলেন, সরকারি ছুটির কারণে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্দরের অভ্যন্তরে সকল কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ (বুধবার) জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় এদিন বন্দর দিয়ে ২ দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বন্দরের অভ্যন্তরে সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কাল থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদের ছুটিতে হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে একটানা ছয় দিন বন্ধ থাকবে।
এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ৩ জুলাই থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে শেওলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মন্দাভাব
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদ পালনে আগামী ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ৬ দিন দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখা হবে।
এরপর ৩ জুলাই থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু করা হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন ওসি শেখ আশরাফুল আলম জানান, হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারিদের ইমিগ্রেশন দিয়ে পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
হঠাৎ করেই দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ ১০ মাস পর সোমবার (২৬ জুন) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়েকটি কাঁচা মরিচবোঝাই ভারতীয় ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
এরপর বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে তিনটি ট্রাকে করে মোট ২১ মেট্রিক টন ৬২০ কেজি ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়, বিকে ট্রেডা, প্রমি এন্টারপ্রাইজ এবং রয়েল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কাচামরিচ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ১৯’শ মেট্রিকটন কাঁচা মরিচ আমদানি করবেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান জানান, দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর ফলে গতকাল রবিবার (২৫ জুন) আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (খামারবাড়ী) আমদানি করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। এতে বাজারে দাম অনেক কমে আসবে।
বন্দরের হিলি বাজারে কাঁচামালের খুচরা ব্যবসায়ী সাকিল জানান, প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে সোমবার সকালে বিক্রি হয়েছে ১৬০-২০০ টাকা কেজিতে।
৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে গত পাঁচদিন ধরে থমকে আছে দেশি পেঁয়াজের বাজার। ভারত থেকে আমদানি হওয়ার পর খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমলেও এখনও ৬০ টাকায় স্থির হয়ে আছে এই নিত্যপণ্যটির দাম।
সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে। আজ শুক্রবার (৯ জুন) সকালে বন্দরের মোকাম ও খুচরা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন থেকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ৭২টি ট্রাকে মোট ১ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ার আগে দেশি পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও আমদানি হওয়ার পর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। তবে গত পাঁচদিন ধরে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
বন্দরের বাংলাহিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সাকিল ও মঈনুল জানান, যখন পেঁয়াজের দাম বাড়ে তখন ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ে। এখন পেঁয়াজের দাম কমে গেছে কিন্তু ক্রেতার অভাবে পেঁয়াজ ভালো বিক্রি করতে পারছি না।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ২০-২৫ টাকা কমে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। গত পাঁচদিন ধরে এভাবেই দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম থমকে আছে। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি আরও বেড়ে গেলে ৩০ টাকার নিচে চলে আসবে। তবে আগে বেশি দামে কেনার জন্য দেশি পেঁয়াজের দাম কোরবানির ঈদের আগে সহসাই কমছে না।
পেঁয়াজের ক্রেতা আসাদ হোসেন জানান, কোনো কিছুর দাম বাড়লে আমরা বাঙ্গালিরা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ি। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে সেটাই দেখা গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। দাম অনেক কমে গেছে। এখন চাহিদা মতো পেঁয়াজ কিনতে পারছি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে এটা সম্ভব তো না।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সেলিম উদ্দীন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৫ জুন হতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে মানভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৬ টাকার মধ্যে। আরও দাম কমে যাবে। আশা করছি কোরবানির ঈদে ৩০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
বন্দরের আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর কারণেই দেশি পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। ফলে ভোক্তাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। দাম এতো হওয়ার কথা না। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় তারা এই সুযোগ নিয়েছিল। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে আসায় বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার চলতি বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে (আইপি) অনুমতি দিয়েছিল। এরপর ১৬ মার্চ থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। গত ৫ জুন অনুমতি দিলে ভারত থেকে আবারও পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু