জার্মানি
স্পেন বনাম জার্মানি লাইভ স্ট্রীমিং: কোথায় , কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
FIFA World Cup Qatar 2022 Spain vs Germany Live:
সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াই। সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের লড়াইটি দোহার আর বাইত স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় আজ দিবাগত রাত ১টায়।
এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের একমাত্র লড়াই। গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ই গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে দু’দলই। স্পেনের লক্ষ্য নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা। আর জার্মানির লক্ষ্য বিশ্বকাপে টিকে থাকা। প্রথম ম্যাচে স্পেন ৭-০ গোলে হারিয়েছে কোস্টারিকাকে। অন্যদিকে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে জার্মানরা।
স্পেনের এবারের দল অনেক তরুণ। কিন্তু লুইস এনরিকের তত্ত্বাবধানে তারা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। কোচ ছেলেদের ওপরে একেবারেই চাপ আসতে দিচ্ছেন না। পেড্রি, গাভি, ফেরান তোরেস দুরন্ত খেলছেন স্পেনের হয়ে। অন্যদিকে জার্মানি কতটা লড়াই করে সেটা অনেকটা নির্ভর করছে জামাল মুসিয়ালা এবং কিমিচের খেলার ওপর।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকো লাইভ স্ট্রীমিং: কোথায় কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ: কিভাবে দেখবেন স্পেন বনাম জার্মানি ম্যাচ সরাসরি।
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ দেখা যাবে টিভিতে, অনলাইনে, এবং ধারাভাষ্য শোনা যাবে রেডিওতে ও ইউটিউব চ্যানেলেও । চলুন জেনে নেওয়া যাক উল্লেখিত মাধ্যমগুলো থেকে কিভাবে খেলার খবর রাখবেন।
কোথায় দেখা যাবে কাতার বিশ্বকাপে স্পেন বনাম জার্মানি ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং?
কাতার বিশ্বকাপে স্পেন বনাম জার্মানি লাইভ ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্পোর্টস ১৮ এবং স্পোর্টস ১৮ এইচডি চ্যানেলে। এ ছাড়া কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিও সিনেমা অ্যাপ্লিকেশনে।
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার: স্পেন বনাম জার্মানি ম্যাচ কোন চ্যানেলে দেখা যাবে?
টফি অ্যাপে লাইভ স্পেন বনাম জার্মানি বিশ্বকাপ
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কাতার ২০২২ এর লাইসেন্সড মোবাইল ব্রডকাস্টার হিসেবে স্বত্ব পেয়েছে বাংলালিংকের টফি অ্যাপ। কে স্পোর্টস এর সঙ্গে সাব-লাইসেন্সিং এগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে এই সুবিধা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলালিংক। সুতরাং টফি অ্যাপ এবং টফি ওয়েবসাইটে বিশ্বকাপ ফুটবল লাইভ দেখতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে টফিতে ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ বিনামূল্যে দেখতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ স্পেন বনাম জার্মানি ম্যাচ দেখা যাবে টি স্পোর্টস চ্যানেল থেকে। গাজী টিভিও (জিটিভি) ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশন চ্যানেল, বিটিভি ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করছে।
এছাড়া বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে লাইভ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্পেন বনাম জার্মানি ম্যাচ।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব বনাম পোল্যান্ড লাইভ স্ট্রীমিং: কোথায় , কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
বিশ্বকাপের জন্য স্পেন বনাম জার্মানি সম্ভাব্য একাদশ–
স্পেন:
(৪-৩-৩): সিমন (গোলরক্ষক), কারভাহাল, পাউ তোরেস, লাপোর্তে, আলবা, পেদ্রি, বুসকেতস, গাভি, ফেরান তোরেস, মোরাতা, সারাবিয়া।
জার্মানি সম্ভাব্য একাদশ
জার্মানি:
(৪-২-৩-১) নয়্যার; রাম, রুডিগার, সুলে, কেহরার; গুন্দোগান, কিমিখ; মুসিয়ালা, মুলার, গ্যানাব্রি; হাভার্টজ।
মুখোমুখি পরিসংখ্যান
পরিসংখ্যান বলছে, মুখোমুখি লড়াইয়ে সব মিলিয়ে এখনও স্পেনের থেকে এগিয়ে রয়েছে জার্মানরা। দুই দল একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে ২৫ ম্যাচ। জার্মানি জিতেছে ৯ বার, স্পেনের জয় ৮টি। বাকি ৮ ম্যাচ হয়েছে ড্র।
আরও পড়ুন: ব্রাজিল বনাম সার্বিয়া লাইভ স্ট্রিমিং, কোথায়, কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
কাতার বিশ্বকাপ: জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জাপান
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এ বিপর্যয়ের গল্প একের পর এক রচিত হচ্ছে। কারণ জাপানের সামুরাই আর্মি গ্রুপ ই-তে প্রথম খেলায় জার্মানিকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে।
প্রথমার্ধে জার্মানি আধিপত্য বিস্তার করে বেশ কয়েকটি বল জাপানি গোলে নিক্ষেপ করে। ডেভিড রাউমকে গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডার ফাউল জার্মানি তাদের পেনাল্টি দেয়। যা ইল্কে গুন্ডোগান আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রূপান্তরিত করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে দর্শকদের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্য ছিল, কারণ জাপান প্রচণ্ডভাবে লড়াই করে এবং ৭৫তম মিনিটে বিকল্প রিতসু দোনের মাধ্যমে নিজেদেরকে সমতা এনে দেয়।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ: জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জাপান
৮৩তম মিনিটে নিকো স্লোটারবেকের ভুলের পর সত্যিকার অনুশোচনার মধ্যে জার্মানি-ভিত্তিক টাকুমা আসানো জয়সূচক গোলটি করে জাপানকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেয়।
দৃঢ় রক্ষণাত্মক পারফরম্যান্স এবং শুইচি গোন্ডার কিছু দুর্দান্ত গোলকিপিং নিশ্চিত করেছে জাপান গ্রুপ ই ওপেনারে তিন পয়েন্ট পায়।
মূল ভূমিকায় যারা-
ইল্কে গুন্দোগান: জার্মান গোলরক্ষক, গুন্ডোগানের বেশ কয়েকটি সুযোগ ছিল, যা জাপানি রক্ষণভাগ বাদ দিয়েছিল। ভুলগুলো তাকে বার বার পীড়িত করছিল।
জামাল মুসিয়ালা: উদীয়মান তারকা দুর্দান্ত ছিল এবং তার দুর্দান্ত পায়ের জাদুকরি খেলার মাধ্যমে ঝলক দেখিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গুনফলের অভাব ছিল ।
তাকুমা আসানো: প্রাক্তন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড যখন বদলি খেলোয়ার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন এবং সামুরাই ব্লু-এর হয়ে জয়সূচক গোলটি শেষ করেছিলেন তখন খেলার চিত্র বদলে যায়।
হিরোকি সাকাই: অভিজ্ঞ ফুলব্যাক দুর্দান্তভাবে খেলেছে এবং ডান দিকে একটি হুমকি ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে তার দলের জন্য মাত্রাতিরিক্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি।
শুইচি গোন্ডা: জাপানের এক নম্বর খেলোয়ার। তার শট-স্টপিংয়ের মাধ্যমে সংশোধন করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে খেলাটি জাপানের ইতিহাসের পক্ষে যাবে।
ফলাফল
গ্রুপ ই-তে জাপান শীর্ষে আছে। আর জার্মানি নীচে। কারণ স্পেন এবং কোস্টারিকা এখনও খেলতে পারেনি। জাপানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারের পর কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ ই-তে জার্মানির প্রথম হওয়ার সম্ভাবনা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২৮ নভেম্বর স্পেনের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে জার্মানি। আর ২৭ নভেম্বর জাপান খেলবে কোস্টারিকার বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: রোনালদোর গায়ে দেখা যাবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: গোলশূন্য ড্র ডেনমার্ক-তিউনিসিয়ার
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার মধ্যরাতে জার্মানির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসার জন্য মধ্যরাত ৩টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জার্মানির উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, এসময় বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দল মোমেন, ডিপ্লোমেটিক কোরের প্রধান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রয়েস্টার, তিন বাহিনীর প্রধান, পররাষ্ট্র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) ও পুলিশের মহাপরিদর্শক।
রাষ্ট্রপতি জার্মানির একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং লন্ডনের একটি চক্ষু হাসপাতালে চোখ পরীক্ষা করাবেন।
১৩ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভাবনার বিষয় থাকে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা। বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থার সাথে বাজেটের দিকটা মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশটিতে পাড়ি জমানো যায়। ইউরোপ, মধ্য-এশিয়া এমনকি অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশগুলো এমন শিক্ষার্থীদের আশাকে সাধুবাদ জানিয়েই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম খরচে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে থাকে। বেশ ভালো শতাংশ ছাড়ের পরও আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফি সহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেয়া যায়। আজকের নিবন্ধে এমন কিছু দেশের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচের সাথে মানিয়ে নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করছে। স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়ার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সেরা ১০টি গন্তব্য।
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম খরচে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন
জার্মানি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি। এখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত। এগুলোর ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোন ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়।
পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি, যার সাথে টিউশন ফি-এর কোন সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই পাবলিক পরিবহণ, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন এবং প্রশাসনিক ফি ব্যায়-ভার বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর (প্রায় ৯,৬৫০ থেকে ৩৩,৭৩০ টাকা) মধ্যে থাকে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর (প্রায় ৬৯,৯০০টাকা) মত হয়ে থাকে, যেখানে বাসস্থান, খাবার, পোশাক এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম; সবই অন্তর্ভুক্ত।
নরওয়ে
এখানেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমস্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত রেখেছে। প্রতি সেমিস্টারে শুধুমাত্র একটি শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ফি দিতে হবে, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরো (প্রায় ২,৮৯০ থেকে ৫,৭৮০ টাকা)-এর মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহণ, জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্ট, স্বাস্থ্যসেবাতে বিশেষ ছাড় এবং ক্রীড়া সুবিধাগুলো সহ বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১,৪০০ ইউরো (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ১,৩৪,৯০০ টাকা) এর মত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বড় শহরগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক বেশি কিন্তু ছোট শহরগুলোতে গড়পড়তায় ৮০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যেই থাকা-খাওয়া, চলাফেরার যাবতীয় খরচ হয়ে যায়।
ফ্রান্স
বিশ্ব সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্গ বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়; বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং সমগ্র ইউরোপীয় বাজারে তাদের রয়েছে অভিজাত পদচারণা। স্নাতক করার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার আশা করতে পারে। সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ফ্যাশন, শিল্প-সাহিত্য এবং জীবনধারা; জীবনের প্রায় সবকিছুর একটি আনন্দদায়ক মিশ্রণের নাম ফ্রান্স।
এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে প্রতি বছর খরচ হতে পারে ২,৭৭০ ইউরো (প্রায় ২,৬৭,০০০ টাকা)। মাস্টার লেভেলে খরচ আছে বছর প্রতি ৩,৭৭০ ইউরো যা প্রায় ৩,৬৩,৪০০ টাকার সমান।
পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মত অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে বাকি অন্যান্য শহরগুলোকে বাছাই করলে, ৬৫০ ইউরো (প্রায় ৬২,৬৫০ টাকা)-এর নিচেই দিন যাপন করা যাবে।
অস্ট্রিয়া
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া যে কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। ইউ(ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ(ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি।
কিন্তু নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো (প্রায় ১,৯২৭ টাকা) ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬.৭২ ইউরো (প্রায় ৭০,০০০ টাকা) ধার্য করে। তবে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত শিক্ষা প্রদান করছে। এগুলোর মধ্যে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
অপরূপ দেশটিতে অতি প্রত্যাশিত জীবনযাত্রার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কম। প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১,৩০০ ইউরো (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ১,২৫,২৩০ টাকা)-এর বাজেট ভিয়েনা এবং সালজবার্গে আবাসন, খাবার, সামাজিক কার্যকলাপ এবং পাবলিক পরিবহণ সহ সমস্ত খরচ কভার করতে পারে। অন্যান্য জনপ্রিয় স্টুডেন্ট লোকেশনের মধ্যে লিনজ বা গ্রাজ ৯০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রার খরচ হয়ে যায়।
তাইওয়ান
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত, ঐতিহাসিক, রন্ধনসম্পর্কীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সহ যাবতীয় অভিজ্ঞতার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার এই দেশটি। এখানে ইংরেজি-ভাষায় অধ্যায়নের জন্য প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। বহুসাংস্কৃতিক এবং সমৃদ্ধ পুরনো ইতিহাস পরিদর্শনে তাইওয়ান বিদেশী শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। ফলে খুব সহজেই সাবলীল হয়ে ওঠা যায় অপরিচিত এই দেশেও। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দারুণ স্বীকৃতিও পেয়েছে।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়ন খরচ প্রতি বছর ৬৭৫ থেকে ১২,৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫,০০০ টাকা থেকে ১২,২৪,০০০ টাকা)। এখানে নূন্যতম জীবনধারণের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো (প্রায় ৬৫,৫৪০ থেকে ৮৪,৮২০ টাকা) খরচ করতে হবে।
পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
তুরস্ক
এশিয়া এবং ইউরোপ; দুই মহাদেশকে স্পর্শ করেই গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় এবং হট-এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। তবে এখানকার যে বিষয়টি বিশ্বে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে, তা হলো দেশটির মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ যা বোলোগনা প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত। এতে করে তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সমস্ত ইউরোপে স্বীকৃতি পায়।
তুরস্কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব সাশ্রয়ী মূল্যের। সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪,০০০ ইউরোর(প্রায় ৯,৬৪০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) মত খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীকে। বিশ্বের অন্যান্য অধ্যয়নের গন্তব্যের তুলনায় এটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো (৩৮,৫৬০ থেকে ৬২,৬৫০ টাকা) বাজেটের মধ্যে তুরস্কে থাকতে পারেন।
পোল্যান্ড
৪৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ পোল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়কে বক্ষে ধারণ করে আছে। পোলিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাডমিশন পরীক্ষা না থাকার কারণে এই অধ্যয়নের গন্তব্য দেশের বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য সর্বসাকূল্যে প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষার একটি শংসাপত্র, একটি আর্থিক কার্যকারিতা শংসাপত্র এবং ইংরেজি বা পোলিশ ভাষার দক্ষতা।
পড়ুন: জাপানকে উচ্চশিক্ষার জেডিএস বৃত্তির পরিধি ও সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ
প্রথম, দ্বিতীয় এবং দীর্ঘ-চক্র অধ্যায়নের জন্য টিউশন ফি ২,৩৬৮ ইউরো (প্রায় ২,২৮,১১০ টাকা)। পোল্যান্ড বেশ স্থিতিশীল অর্থনীতির ইউরোপীয় দেশ। তাই বাইরের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো (প্রায় ৩৩,৭৩৪ থেকে ৫৩,০০০ টাকা)-এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। শহরের সীমারেখা ও নগরায়নের অবস্থার উপর নির্ভর করে এই বাজেটের তারতম্য ঘটে থাকে।
মালয়েশিয়া
২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) প্রোগ্রামের জন্য মোট ১১,১৬১ আন্তর্জাতিক আবেদনকারী অংশ নিয়েছিলেন। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত ইউনিভার্সিটি মালায়া ২০২২ সালে এশিয়ার শীর্ষ ৫০টি সেরা গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রীতে খরচ পড়ে গড়ে প্রতি বছর ২,০০০ থেকে ৪,৫০০ ইউরো (১,৯২,৭৬০ থেকে ৪,৩৩,৭২০ টাকা)। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,১৯০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) লেগে যায়।
পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করার জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৮০০ ইউরোর (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭৭,০০০ টাকা) মত বাজেটের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
গ্রিস
ঈশ্বরের দেশ নামে খ্যাত অধ্যায়নের এই গন্তব্যটি শুধুমাত্র তাদের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার নিয়েই গর্ব করে না, তারা তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সে ঐতিহ্যকে উন্নতও করে। দেশ জুড়ে প্রচুর গ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ভাষায় অধ্যয়ন করে ডিগ্রি লাভের সুবিধা রেখেছে। ইইউ-দেশ হিসাবে গ্রীস বোলোগনা প্রক্রিয়ার সদস্য, তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা ইউরোপের যে কোন বোলোগনা সদস্য দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট স্থানান্তর করতে পারেন।
নন-ইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশিরভাগ ব্যাচেলর এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ইউরোর (১,৪৪,৬০০ থেকে ১,৯২,৭৭০ টাকা) মত অর্থ খরচ করতে হয়। গ্রীসের সাশ্রয়ী পরিবেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বাজেট প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ইউরো (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭২,২৮৭ টাকা) হয়ে থাকে। এটি স্পেন, জার্মানি, বা ইতালির মত প্রধান ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেকটাই যুক্তিসঙ্গত।
পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
হাঙ্গেরি
বৈচিত্র্যতা ও বহুসংস্কৃতির এক চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। পাশাপাশি এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। পাবলিক হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফি-এর দিক থেকে তাদের পশ্চিমা সমকক্ষদের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থীকে অধিকাংশ ডিগ্রির জন্য প্রতি বছর ১,২০০ থেকে ৫,০০০ ইউরো (প্রায় ১,১৫,৬৬০ থেকে ৪,৮১,৯০০ টাকা) মত খরচের প্রস্তুতি নিতে হয়। আর
বসবাসের জন্য বাজেট করতে হয় ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরোর (প্রায় ৩৬,১৪০ থেকে ৬৭,৪৭০ টাকা) মধ্যে। তবে তা অবশ্যই শহরের ধরনের উপর নির্ভর করে। আবাসন, খাবার, পরিবহন সহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৫৭,৮৩০ টাকা) যথেষ্ট। আর ছোট শহরগুলোতে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,২০০ টাকা) নিচে জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
শেষ কথা
স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সমস্ত উপলব্ধ তহবিল বিকল্পগুলো ভালো ভাবে যাচাই করে নেয়া উচিত। চাহিদা, সামর্থ এবং লক্ষ্যগুলোর সব কিছুর সাথে সামঞ্জস্য করে চুড়ান্ত ভাবে সেরা বৃত্তির জন্য চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপলব্ধ নির্দিষ্ট বৃত্তিমুলক ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ-খবর করা যেতে পারে। গন্তব্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট; এমনকি সেখানকার অধ্যায়ন উপদেষ্টার সাথে স্কলারশিপ বা স্টুডেন্ট লোনের ব্যাপারে কথা বলাটা উত্তম। বিদেশে স্নাতক অধ্যায়নের জন্য আর্থিক সহায়তার মধ্যে আছে ফেডারেল অনুদান, ফেডারেল এবং ব্যক্তিগত ঋণ। এর বাইরে আছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি, যেগুলো এই দেশগুলোতে জীবনযাত্রার খরচের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে।
পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
গবেষণা নির্ভর বিদ্যাপীঠের জন্মস্থান জার্মানি জ্ঞানের এক সমৃদ্ধশালী বিশ্বকোষ। ইউরোপীয়ান দেশটির ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে কিউএস (কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস) র্যাঙ্কিং-এ। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো- বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থার অংশ হতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কোন অর্থই খরচ করতে হয় না। দেশটির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পনেরশটিরও বেশি বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে আসছে। এগুলোর মধ্যে প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, এবং সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের মতো অধিক চাহিদা সম্পন্ন কোর্সগুলোই প্রধান, যেখানে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা হয়। আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা হবে জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তরের জন্য আবেদন পদ্ধতি নিয়ে।
জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তরের জন্য পর্যায়ক্রমিক আবেদন পদ্ধতি
প্রথম ধাপ: জার্মানিতে স্নাতকোত্তর নিয়ে যথেষ্ট জ্ঞানার্জন ও পরিকল্পনা
আবেদন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য অনেক আগে থেকেই মাস্টার্স ও পিএইচডির ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আর এই তথ্যগুলোই তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করবে। প্রথমেই নিশ্চিত হতে হবে, শিক্ষার্থীর স্নাতক করা বিষয়টির উপর স্নাতকোত্তর করার সুযোগ জার্মানির বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিচ্ছে কিনা। খুব সহজে নিজের পছন্দের বিষয়টি খুঁজে নেয়ার জন্য কমুনিটি ওয়েবসাইট ডাড-এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে। বিনাখরচে পড়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টির শহরের প্রতিও নজর দেয়া উচিত। স্বাভাবিক ভাবেই উন্নত শহরে চাকরির ব্যবস্থা সহজসাধ্য হয়ে থাকে।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে রেস্ট্রিক্টেড ক্যাটাগরির কিছু কোর্স থাকে, যেগুলোতে ভর্তির আসন সংখ্যা থাকে সীমিত। এখানে সবচেয়ে সেরা প্রার্থীদের ভেতর থেকেই বাছাই করা হয়ে থাকে। আর কিছু থাকে নন-রেস্ট্রিক্টেড প্রোগ্রাম। এখানে তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখিত আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা পূরন করলেই অফার-লেটার পাওয়া যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচনের সময় এই রেস্ট্রিক্টেড ও নন-রেস্ট্রিক্টেড বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
তারপরেই আসছে খরচেই বিষয়টি। পড়াশোনার খরচ না থাকলেও একজন শিক্ষার্থী জার্মানিতে যেয়ে পড়াশোনার সময় প্রথম বছর তার থাকা-খাওয়ার খরচ চালাতে পারবে কিনা তার জন্য সিকিউরিটি মানির ব্যবস্থা করতে হয়। এই অঙ্কটি এখন পর্যন্ত ১০,৩৩২ ইউরো বা প্রায় ১০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হলেও, সামনের উইন্টার সেশন অর্থাৎ ২০২৩-এর শিক্ষার্থীদের জন্য ১১,১৭২ ইউরো বা ১০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৬ টাকা হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাবার পর ভিসা হওয়ার আগে জার্মানিতে নির্দিষ্ট ব্যাংকে এই টাকাটা পাঠিয়ে দিতে হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে এতগুলো টাকা একসাথে ব্যবস্থা করা খুব কঠিন ব্যাপার। তাই মনস্থির করার পর পরই এই টাকা ব্যবস্থা করার চেষ্টা শুরু করতে হবে।
শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ থেকেই জার্মানির নির্দিষ্ট ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকাটা পাঠাতে হয়, যেটা শিক্ষার্থীর নামেই ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট হিসেবে জমা থাকে। শিক্ষার্থীকে জার্মানিতে যাওয়ার পর প্রতি মাসে ৮৬১ ইউরো করে এক বছরে পুরো টাকাটা তুলতে পারবে। পূর্ব পরিকল্পনার সময় এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন ও খরচের বিষয়গুলো নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নিতে হবে।
জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত প্রতি বছরে ২টি সেশনে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। একটি সামার সেশন; যেখানে আবেদনের সময়সীমা থাকে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত। দ্বিতীয়টি হলো উইন্টার, এবং এখানে আবেদন করতে ১ মে থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আবেদনের ক্রিয়াকলাপ শুরু করার সময় এই সময়সীমার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা আবশ্যক।
পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
দ্বিতীয় ধাপ: আইইএলটিএস সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য টেস্ট
জার্মানিতে প্রায় সব স্নাতকোত্তর কোর্সই স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়। জার্মানি ভাষা শেখাটাতে স্বাভাবিক ভাবেই পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জবে সুবিধা পাওয়া যায়। তবে ইংরেজি বলতে পারা লোকদের জন্যও জার্মানি বেশ সাবলীল। তাই নূন্যতম ৬.৫ আইইএলটিএস স্কোর যথেষ্ট জার্মানির শিক্ষা ব্যবস্থা ও জীবন ধারণের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য। তবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ের উপর নির্ভর করে জিআরই বা জিম্যাটও চাইতে পারে। এর জন্য আগেই বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে চাহিদাগুলো জেনে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড়
→ (অনার্স, বিএসসি, বিবিএ, বিএ) স্নাতক সহ বিগত সকল একাডেমিক ডিগ্রীর সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
(স্টাডি গ্যাপ সর্বোচ্চ ৪ বছরের বেশি গ্রহণযোগ্য নয়)
→ যারা এখনো গ্রেডিং সিস্টেমের আওতাভুক্ত হননি তাদের জন্য মিনিমাম পাসিং গ্রেড সংযুক্ত করতে হবে
→ পাসপোর্ট
→ আইইএলটিএস সনদ
→ স্টাডি প্ল্যান সহ মোটিভেশন লেটার
→ ২টি রিকমেন্ডেশন লেটার (যে বিষয়ে জার্মানিতে পড়তে যাওয়া হচ্ছে সে বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীর নিজের স্নাতক করা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের নিকট থেকে ১টি, আর আরেকটি ব্যাচেলর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ডিনের কাছ থেকে)
→ জার্মানির ব্যাঙ্কে ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের নথি
→ ইউরো পাস সিভি
এছাড়াও কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো কিছু কাগজপত্র দরকার হতে পারে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট ভালো করে অধ্যয়ন করে নিতে হবে। সকল কাগজপত্র যোগাড় করে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, শিক্ষা বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, এবং ঢাকার জার্মান এম্ব্যাসি থেকে সত্যায়ন করতে হবে। অথবা বিকল্প হিসেবে নোটারি করা যেতে পারে।
পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
চতুর্থ ধাপ: আবেদন পদ্ধতি
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার আবেদনের জন্য সবচেয়ে সহজ ও বিনাখরচের মাধ্যম হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্ব স্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা। এর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আগে থেকেই স্ক্যান করে রাখতে হবে। তবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় হার্ড কপি চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে ফেডেক্স বা ডিএইচএলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় কুরিয়ার করতে হবে। এখানে কিছু খরচ করতে হবে। এছাড়াও ইউনি অ্যাসিস্টের মাধ্যমেও জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে ইউনি অ্যাসিস্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এখানে আবেদনপত্রসহ সত্যায়িত বা নোটারী করা কাগজগুলোর এক সেট ইউনি অ্যাসিস্টের এর ঠিকানায় ডিএইচএল বা ফেডেক্স দিয়ে পাঠাতে হয়। এখানে বেশ ভালো পরিমাণ খরচ হয়ে যায়।
একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে যেটার ডেডলাইন খুব কাছাকাছি, স্বাভাবিক ভাবেই সেটাতে আগে আবেদন করতে হবে। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের ইন্টারফেস এক রকম নয়। কিন্তু যে তথ্যগুলো প্রদান করতে হয় তা ঘুরে ফিরে প্রায়ই একই। তাই এক্ষেত্রে একটু সাবধানতার সাথে আবেদন ফর্ম পূরন করলে তেমন জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যানকপি আপলোড সহ যাবতীয় তথ্য প্রদান করলেই আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। এখানে কোন রকম টাকাপয়সা খরচ হবে না, বরঞ্চ সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনপত্র পেয়ে যাবে। এমনকি কৃতকার্য হলে অফার-লেটারটিও খুব কম সময়েই শিক্ষার্থীর ইমেইলে চলে আসবে।
পঞ্চম ধাপ: ভিসার জন্য আবেদন
বাংলাদেশের জার্মান এম্বেসির বর্তমান অবস্থা বেশ নাজুক। আজকে এপায়নমেন্টের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করলে ইন্টার্ভিউয়ের ডাক পেতে পেতে ১০ থেকে ১২ মাস লেগে যাচ্ছে। এই বিড়ম্বনাটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পুরনের সকল প্রচেষ্টা এক নিমেষেই ভেঙে গুড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই সময় হিসাব করে অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজগুলো করার মুহুর্তে আগে ভাগেই রেজিষ্টেশন করে রাখা ভালো। যারা ২০২৩-এর উইন্টার সেশনটা ধরতে চান তাদের জন্য সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে বছরের শুরুতে তথা জানুয়ারিতেই এপায়নমেন্টের রেজিষ্টেশন করে রাখা। তাহলে অক্টোবর থেকে নভেম্বর নাগাদ ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের ডেট পাওয়া যেতে পারে।
জার্মান এম্ব্যাসী থেকে ইন্টার্ভিউ ডেট দেয়ার পূর্বে যাবতীয় কাগজপত্রের সফট-কপি চেয়ে শিক্ষার্থীকে ইমেইল করা হবে। এর ৭ দিনের মধ্যে ঐ মেইলের রিপ্লাইয়ে সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দিতে হবে। দরকারি কাগজপত্রগুলো হলো-
→ ইনরোলমেন্ট সনদ
→ আবেদনকারির সম্প্রতি তোলা বায়োমেট্রিক্যাল পাসপোর্ট সাইজ ছবির ৩ কপি (৩ টি ছবি এক পেজে নিয়ে পিডিএফ করে পাঠানো যেতে পারে)
→ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সহ সম্পূর্ণ ভাবে পূরনকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
→ পাসপোর্ট
→ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির অফার লেটার
→ স্নাতক সহ বিগত সকল একাডেমিক ডিগ্রীর সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
→ আইইএলটিএস সনদ
→ ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের প্রমাণপত্র
→ ৬ মাসের ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স
→ মোটিভেশন লেটার
→ সম্মতির ঘোষণাপত্র
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
সবগুলো স্ক্যান করা ফাইলকে একসাথে করে একটি ১০ মেগাবাইটের পিডিএফ ফাইল বানিয়ে মেইল করতে হবে। ভাগ্য ভালো থাকলে কাগজপত্র ইমেইলের সাথে সাথেই ঐ দিনই ইমেইল অথবা ফোন করে ইন্টারভিউয়ের ডেট জানিয়ে দিতে পারে।
অতঃপর ভিসা ইনটারভিউয়ের ডেট পাওয়ার পর ইমেইল করা প্রতিটি কাগজপত্রের মুল কপি সঙ্গে নিয়ে এম্ব্যাসিতে যেতে হবে। অনলাইন সফ্ট কপিগুলোর ২ সেট সাদাকালো ভাল মানের অফসেট কাগজে প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে।
সাধারণত ইন্টারভিউয়ের দিন থেকে ২৫ কর্মদিবসের মধ্যেই ভিসা দিয়ে দেয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে কমবেশি হতে পারে। পাসপোর্ট সংগ্রহের ইমেইল পাওয়ার পর ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের সময়ে যে কাগজ দিয়েছিলো, সেটা নিয়ে এম্ব্যাসিতে গেলেই ভিসা হাতে পাওয়া যাবে।
শেষাংশ
ব্যবহারিক জ্ঞান ও গবেষণাধর্মী কাজে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যেই জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার এই উদ্যোগ। অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ন্যায় বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি গত কয়েক বছর ধরে সফলতার সঙ্গে পড়াশোনা করছেন জার্মানিতে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে গুরুত্ব পাচ্ছে জার্মান ভাষা শিক্ষার। এরই ধারাবাহিকতায় ইংরেজির মত জার্মান ভাষারও শিক্ষা ও চর্চার জন্য সৃষ্টি হয়েছে অনেক সুযোগ। তবে ভিন্ন সংস্কৃতির এই দেশটিতে পড়তে যাওয়ার জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি দরকার সেটি হচ্ছে ধৈর্য্য। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা সহজলভ্য হলেও পদে পদে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। বিশেষ করে জার্মানির পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য আবেদনের মুহুর্ত থেকেই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
১১ লাখ ডলারে হিটলারের ঘড়ি বিক্রি
জার্মানির নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের একটি ঘড়ি যুক্তরাষ্ট্রে নিলামে ১১ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
হুবার টাইমপিস ব্রান্ডের ঘড়িটি একজন অজ্ঞাত ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
মেরিল্যান্ডের আলেকজান্ডার হিস্টরিকাল অকশন্সের নিলামে ঘড়িটি বিক্রির আগে ইহুদি নেতারা এর নিন্দা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হিটলারের বাড়ি থানা হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা
তবে আগেও নাৎসি স্মারক বিক্রি করা নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটি জার্মান গণমাধ্যমকে বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য ইতিহাস সংরক্ষণ করা।
অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানির নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে ৬০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে শুধু ইহুদি হওয়ার জন্য।
ঘড়িটির পণ্য তালিকায় বলা হয়েছে, এটি সম্ভবত ১৯৩৩ সালে ফ্যাসিস্ট এই নেতাকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছিল। এই বছরই তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর হয়েছিলেন।
জার্মানিতে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুরিকাঘাতে নিহত ১, আহত ৫
জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলে এক আশ্রয় কেন্দ্রে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত এবং অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে সোমবার জানিয়েছে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ।
ডিপিএ’র খবরে বলা হয়, হামলাকারী ব্যক্তি ওই আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি লেক কনস্ট্যান্সের ক্রেসব্রোনের ভবনের কক্ষের দরজায় টোকা দেন এবং বাসিন্দারা দরজা খুললে তিনি তাদের ছুরিকাঘাত করেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় নাইটক্লাবে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু
এতে এক ব্যক্তি আঘাতের সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান এবং আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় অন্য কেউ আহত হয়েছেন কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা আশ্রয়কেন্দ্রের সামনে থেকে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন। তবে জার্মান গোপনীয়তা নীতি অনুসারে তার নাম জানানো হয়নি। সোমবার সকালে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে তদন্ত করছিলেন।
আরও পড়ুন: নরওয়েতে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ জন নিহত, আহত এক ডজনের বেশি
নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় জার্মানি
জার্মানির স্টেট সেক্রেটারি এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার মরগান বলেছেন, তারা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমি এখানে শুনতে এবং শিখতে এসেছি; এবং আমরা একসঙ্গে মিলে কি করতে পারি তা দেখতেও এসেছি। আমি মনে করি আমাদের একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
তিনি আরও বলেন,এটা স্পষ্ট যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি সক্ষমতা থেকে একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়।
শনিবার বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টারের সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির জলবায়ু বিষয়ক প্রথম দূত জেনিফার মরগান এসব কথা বলেন।
দূত বলেন, দ্রুত সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং স্পষ্ট এর (জলবায়ু পরিবর্তনের)প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
জার্মান জলবায়ু দূত বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জ্বালানি দক্ষতার বিষয়ে কাজ করতে চাই এবং কীভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতার প্রচেষ্টা বাড়াতে পারি তা দেখতে চাই।’
৪ এপ্রিল প্রকাশিত জাতিসংঘের আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) প্রতিবেদনে দেখায় যে, গত এক দশকে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের বৃদ্ধি কমেছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক নির্গমন অর্ধেক করা, লক্ষ্যমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাসহ আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ঢাকার
ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করল নরওয়ে ও জার্মানি
ইউক্রেনের জন্য প্রায় দুই হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলসহ একটি হারকিউলিস সি ১৩০ পরিবহন বিমান নরওয়ে থেকে যাত্রা করেছে।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া রুশ হামলার প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এই অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে নরওয়ে।
নরওয়ের জাতীয় বার্তা সংস্থা এনটিবি জানিয়েছে, চালানটি ইউক্রেনে পরিবহনের আগে বৃহস্পতিবার অসলো থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
এছাড়াও ডিপিএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে দুই হাজার ৭০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে।
রাশিয়ার হামলার পর গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করতে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে জার্মানি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ভারতীয় শিক্ষার্থী জিম্মির খবর অস্বীকার নয়াদিল্লির
পশ্চিম ইউরোপে ঝড়ে নিহত ১২
পশ্চিম ইউরোপে প্রচণ্ড ঝড়ের প্রভাবে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আয়ারল্যান্ড, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে গাছ পড়ে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় প্রায় চার লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
শুক্রবারের এই ঝড়টি এক সপ্তাহের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা দ্বিতীয় ঝড়।
ঝড়ের প্রভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আইল অব ওয়াইট-এ শুক্রবার ১২২মাইল প্রতি ঘণ্টায় ১৯৬ কিলোমিটার দমকা হাওয়া রেকর্ড করা হয়েছে। এটি নিশ্চিত হলে ইংল্যান্ডে এটি হবে সবচেয়ে বড় ঝড়ের রেকর্ড।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়া বাজার ও প্রযুক্তি পণ্য অবরোধের মুখে পড়বে
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার আরও শক্তিশালী ঝড় ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানবে। এ সময় তুষারধসের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল রেল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, বৃহত্তর গ্রেট ব্রিটেন জুড়ে রুটগুলোতে আবহাওয়ার কারণে রেল যোগাযোগের ব্যাঘাত অব্যাহত থাকবে।