স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়: সামন্ত লাল সেন
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি এবং এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ওষুধ কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সংবাদপত্রে প্রায়ই ওষুধের মূল্য নিয়ে লেখালেখি হয়। হঠাৎ করে ওষুধের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে না। কেন বাড়ছে, কতটা বাড়ছে, যৌক্তিক কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নিহত: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে ১৫০ জন নিহত হয়েছে এবং আরও ৩১৩ জন আহত হয়েছে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ভূখণ্ডের উত্তর অংশেও।
অক্টোবরের শেষের দিকে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল উত্তরাঞ্চল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী গত একদিনে গাজার উত্তরাঞ্চলে ১৫ জনেরও বেশি হামাস জঙ্গিকে হত্যা করেছে এবং একটি স্কুলে জঙ্গি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলাসহ ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯০০ জনে দাঁড়িয়েছে। বেসামরিক ও যোদ্ধা নিহতের মধ্যে পার্থক্য না করলেও নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
জরায়ুমুখের ক্যান্সার রোধে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, জরায়ুমুখের ক্যান্সার রোধে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার বাড়ছে। তাই স্ক্রিনিং বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের দেশের নারীদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা দেয়ার কথা ভাবছি।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটি সরকারি কার্যক্রম। রুটিন অনুযায়ী যে টিকা দেয়া হয় এটাও সেভাবে দেয়া হবে। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের দিলে সেটি কার্যকর হবে।
এছাড়া এটি খুবই দামি টিকা হলেও বিনামূল্যে দেয়া হবে।
জাহিদ মালিক আরও বলেন, একটি করে ডোজ দেয়া হবে। এই টিকা একবার নিলে তারা আজীবন এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে বেশি বয়স হলে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়।
এছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সারেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। সেটি যাতে দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সেজন্য যন্ত্রগুলো উপজেলা পর্যায়ে নেয়ার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মেয়েরা রক্ত শূন্যতায় ভোগে, এটি নিয়ে কর্মসূচি রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার মাধ্যমে এটি কমে যাচ্ছে।
ডলার সংকটের কারণে এলসি বন্ধ হওয়ায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে জিএম কাদেরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের সমস্যার কথা শুনিনি। আমাদের স্টক আছে, এবং প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাচ্ছি। সরকার খুবই আন্তরিক। স্বাস্থ্যসেবার কোন কিছু প্রয়োজন হলে সেটি অন্য কিছু বন্ধ রেখেও হলে পূরণ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন কোন সমস্যা হবে না। তবে সরকারি হাসাপাতালে এখন পর্যন্ত কোন কিছুর ঘাটতি নেই। আবেদন সাপেক্ষে সরকারি চার ব্যাংক থেকে এলসি খোলা যাবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোন রোগী নেই: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেউ মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমসহ দেশের বেশকিছু অনলাইন ও ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে 'দেশে বিদেশী একজন নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্সের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে' সংক্রান্ত যে তথ্যটি প্রচার হচ্ছে সে তথ্যটি সঠিক নয়।
এতে বলা হয়, দেশে মাঙ্কিপক্সে এখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়নি। ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তির আক্রান্তের ঘটনা কখনো ঘটলে তা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে জানানো হবে।
এর আগে দুপুরে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত সন্দেহে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একজন তুর্কি নাগরিককে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, ওই ব্যক্তিকে প্রথমে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, দুপুরে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই যাত্রী আসেন। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ স্ক্রিনিংয়ের সময় ওই ব্যক্তি মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেন।
এর আগে ২২ মে স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ব্যক্তিদের নজরদারি ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাঙ্কিপক্স নতুন কোনো রোগ নয়। অতীতে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোর মানুষের মধ্যে এটি পাওয়া যেত। সম্প্রতি আফ্রিকান দেশগুলোতে ভ্রমণ না করেও ইউরোপীয় এবং আমেরিকান দেশগুলোতে মানুয়ের মধ্যেএটি শনাক্ত করা হয়েছে।
যারা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বা সংক্রামিত মানুষের কাছাকাছি এসেছেন তাদের মাঙ্কিপক্সের সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা উচিত।
পড়ুন: মাঙ্কিপক্স সন্দেহে তুর্কি নাগরিককে রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি
মহামারির রূপ নিবে না মাঙ্কিপক্স: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ভারতে করোনায় শনাক্ত ২৭১০, মৃত্যু ১৪
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দুই হাজার ৭১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন আরও ১৪ জন।
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩০ জনে এবং মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৫৩৯ জনে।
এছাড়া দেশটিতে এখন পর্যন্ত চার কোটি ২৬ লাখ সাত হাজার ১৭৭ জন মানুষ করোনা থেকে সুস্থ ও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এবং তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২৯৬ জন ছাড়া পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৩ কোটি ছাড়িয়েছে
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও ২৮
ভারতে একদিনে ৭১ হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ হাজার ৩৬৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ৯৭৬ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এক হাজার ২১৭ জনের মৃত্যুসহ দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ২৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ২ হাজার ৬৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এখনও আট লাখ ৯২ হাজার ৮২৮ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট চার কোটি ১০ লাখ দুই হাজার ৮৬৯ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। যার মধ্যে এক লাখ ৭২ হাজার ২১১ জন গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৪০ কোটি ছাড়াল
নথি গায়েব: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৪ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় বিভাগের চার কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
ওই চার কর্মচারী হলেন- ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা, জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ এর (গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিট) অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ফাইল গায়েব’: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠননথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ তদন্ত কমিটি চারজনকে চিহ্নিত করেছিল বলে জানান তিনি।
মো. আলী নূর বলেন, 'তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন প্রসিডিংস চলছে, তা চলবে। ফাইনালি যে জাজমেন্ট্ হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাদিরা হায়দার জিডিটি করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েব: সিআইডি হেফাজতে রাজশাহীর ঠিকাদার
ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজশাহীর এক ঠিকাদারকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক নাসিমুল গণি টোটন রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা।
সিআইডির রাজশাহীর বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল জলিল জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর সিআইডি রাজশাহীর একটি টিম ঠিকাদার নাসিমের বাড়িটি ঘিরে রাখে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
তিনি জানান, ঢাকায় মন্ত্রণালয় থেকে যে ১৭টি নথি গায়েব হয়েছে তার মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটার একটি নথি ছিল। ওই কেনাকাটার ঠিকাদার ছিলেন নসিমুল গণি টোটন। তার নামে কোনো মামলা না থাকলেও তদন্ত করতে গিয়ে ঢাকার সিআইডি মনে করেছে নাসিমুল গণি টোটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ জন্য তাকে নিয়ে যেতে ঢাকা থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। সে অনুযায়ী পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের কেনাকাটার ১৭টি নথি খোয়া গেছে। গত ২৭ অক্টোবর নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়েছিল। পরদিন ফাইলগুলো আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করছে সিআইডি।
পড়ুন: সুন্দরবনে আর দস্যুতা করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যাত্রাবাড়ীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
করোনা ফান্ড আত্মসাৎ: বহাল তবিয়তে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
করোনাকালীন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বরাদ্দের টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেও বহাল তবিয়তে আছেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন (লুবনা)।
তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তদন্তে টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে আবাসিক হোটেলে থাকা বাবদ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা ও হোটেলে খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা তুলে নেন ডা. শামীমা শিরিন (লুবনা)। এই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীম কবিরকে প্রধান করে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: শ্রীপুর পৌরসভায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগমের দপ্তরে পাঠানো হয়। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জন অফিস প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. হাসান ইমামের কাছে পাঠিয়ে দেন। কিছু সংশোধন ও সংযুক্তির জন্য পরিচালকের (প্রশাসন) দপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দ্বিতীয় দফা তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামে রেল কর্মকর্তা আটক
পরবর্তীতে গত ৪ এপ্রিল ২৫৩ নং স্মারকে ডা. শামীমা শিরিন লুবনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় প্রমাণাদিসহ তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। দুই মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) দপ্তরে পড়ে আছে বলে জানা যায়।
তদন্ত কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানান, আমরা সাধ্যমতো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছি। করোনাকালীন সময়ে রহমানিয়া হোটেলের ভাড়া করা কক্ষগুলো বন্ধ ছিল। সেখানে কোনও ডাক্তার নার্স থাকেনি। কিন্তু ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে খাবার হোটেলে কেউ খাবার খাননি। রহমানিয়া হোটেলে রান্না বা খাবার বিক্রি করা হয় না বলেও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাল আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান কারাগারে
তদন্ত কমিটির প্রধান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীম কবির বলেন, আমরা তদন্তে যা পেয়েছি তাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। একই কথা জানান কমিটির আরেক সদস্য ডা. মিথিলা ইসলাম।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম বলেন, ‘প্রথমে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলাম তা ফেরত দিয়ে কিছুটা সংযুক্তি জুড়ে দিয়েছিল পরিচালকের দপ্তর। দ্বিতীয় দফায় আমরা আবার প্রতিবদেন পাঠিয়েছি। এখন ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) দপ্তরের।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ইউএনও'র স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ১
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনা আগেই জানিয়েছিলেন, হোটেলে থাকা নিয়ে রহমানিয়া হোটেলের ম্যানেজার সঠিক তথ্য দেন নি। ডাক্তাররা রোস্টার ডিউটি করেছেন। ওই সময় তারা হোটেলটিতে ছিলেন। কোনও টাকা আত্মসাৎ হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
তবে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাঝহারুল ইসলাম জানান, শুরু থেকেই তিনি কোভিড-১৯ এ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কখনো হোটেলে থাকেননি।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় কুষ্টিয়ায় কোর্ট পরিদর্শকের কারাদণ্ড
আরেক চিকিৎসক আর্জুবান নেছা বলেন, তিনি বিভিন্ন সময় হোটেলে থেকেছেন। কিন্তু তারিখ বা কোন মাসে থেকেছেন সেটা তিনি জানাতে পারেননি। তবে তিনি প্রণোদনার টাকা পাননি।
এছাড়া হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত স্টাফরাও কোন প্রকার সরকারি প্রণোদনার টাকা পাননি বলে জানিয়েছিলেন।
রাশিয়া থেকে ৫ মিলিয়ন টিকা কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন রবিবার বলেছেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে দ্রুত ৫ মিলিয়ন করোনার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ আমদানি করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
রবিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার আই ইগ্নটভের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: চীনের উপহার ছয় লাখ টিকা আসবে ১৩ জুন
রাশিয়া থেকে দ্রুত করোনা টিকা আমদানির ক্ষেত্রে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান ড. মোমেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজের গতি এবং মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি কর্মরত রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ এবং শ্রমিকদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন এবং সে সময়ের সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও ড. মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়নে রাশিয়ার অবদান এবং বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে রাশিয়ার উন্নয়ন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে আগ্রহী চীন
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীও রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতার জন্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার কার্যকাল মেয়াদ শেষ করে আগামী ৮ জুন রাশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।