উন্নতি
ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি হয়নি
ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি না হওয়ায় এখনও তা বাসিন্দাদের জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সকাল ৯টা ১১ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
ভিয়েতনামের হ্যানয়, ইরাকের বাগদাদ ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৮৬, ১৭৬ ও ১৮৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুনা: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় তৃতীয়
এলএনজি টার্মিনাল থেকে উৎপাদন শুরু, চট্টগ্রামসহ অন্য স্থানে গ্যাস সরবরাহে উন্নতি
মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের ৪৫ দিনের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি শেষে উৎপাদন শুরু হওয়ার পর চট্টগ্রামসহ অন্যান্য স্থানে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
এক্সিলারেট এনার্জির এফএসআরইউ শনিবার (২০ জানুয়ারি) নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণের পরে উৎপাদন শুরু করেছে।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এখন এটি প্রতিদিন ২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস সরবরাহ করবে এবং আশা করছি শিগগিরই সরবরাহ ৫০০ এমএমসিএফডিতে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আরপিজিসিএল বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি এবং মহেশখালীতে বিদ্যমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা গ্রহণ করেছে। একটি সামিট গ্রুপ ও অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
প্রতিটি এলএনজি টার্মিনালে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে। এর বড় অংশ চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়।
এক্সেলারেট এনার্জির এফএসআরইউ ৪৫ দিনের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচিতে জাতীয় গ্যাস গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করে এবং সামিটের এফএসআরইউ কারিগরি ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। যার ফলে চট্টগ্রাম ও অন্য স্থানে গ্যাস সংকট দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের অনেক এলাকায় চরম গ্যাস সংকট বা গ্যাসের নিম্নচাপের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আরপিজিসিএল কর্মকর্তা জানান, সামিটের এফএসআরইউ খুব স্বল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু করেছে এবং ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতার বিপরীতে ১৩০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গ্যাস সংকটের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই কারণ সামিটের এফএসআরইউতেও তিন থেকে চার দিনের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি শুরু করার সময়সূচি রয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমরা মনে করি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে, তবে পুরোপুরি নয়।
এদিকে জ্বালানি বিভাগ মহেশখালীতে কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে গ্যাস সংকট নিয়ে গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও আশপাশের শিল্পকারখানায় সিএনজি হিসেবে আসছে ভোলার গ্যাস
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহেশখালী এলএনজি এফএসআরইউতে কারিগরি ত্রুটির কারণে শুক্রবার ভোর থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
‘এক সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হলেও বর্তমানে উন্নতির শিখরে’
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে উন্নতির শিখরে অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘উন্নয়ন ও নির্বাচন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (ইআরডিএফবি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর ৫৩ বছরের ইতিহাসে আর কোনো সরকারের আমলে কখনো এমন অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে ছিলেন- ইআরডিএফবির সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সমাজ নির্মিত হয়েছে এদেশের খেটে খাওয়া অসহায় কৃষকের ঘামে ও শ্রমে।
তিনি বলেন, কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ থেকে শিল্পভিত্তিক বাংলাদেশের পথচলা আমাদের নিজেদের ঘামে ও শ্রমে সম্ভব হয়েছে অন্য কারোর দয়ায় নয়।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী শাসকের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে এদেশের অসহায় জনগোষ্ঠীর ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে জনগণের সমর্থন ও সহায়তায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের মধ্যে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা চেয়ে জাতিসংঘে মোমেনের চিঠি
রাষ্ট্রপতি এখন কেবিনে সীমিত আকারে চলাফেরা করতে পারছেন: প্রেস সচিব
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির পর রাষ্ট্রপতি এখন কেবিনে রয়েছেন।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি এখন কেবিনে সীমিত আকারে চলাফেরা করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট
বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরোসের তত্ত্বাবধানে বুধবার সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
এর আগে চিকিৎসার জন্য ১৬ অক্টোবর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানাসহ সিঙ্গাপুরে যান তিনি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার উন্নতি
সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অস্ত্রোপচার বুধবার, দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা
সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার উন্নতি
সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
গত বুধবার সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বাই পাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
হাসপাতালের বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডা. কফিদিস থিওডোরোসের তত্ত্বাবধানে সার্জারির পর একদিন তাকে আইসিইউতে ডাক্তারের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়।
উল্লেখ্য, চিকিৎসার জন্য গত ১৬ অক্টোবর সিঙ্গাপুর যান রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির সফল অস্ত্রোপচার
সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অস্ত্রোপচার বুধবার, দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা
স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক অংশীদাররা দেশের সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে তাদের সহায়তা প্রসারিত করতে পারে এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজেএ’র উচ্চ পর্যায়ের সভায় দেওয়া বক্তেব্যে এই পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি প্রথম যে ক্ষেত্রটি উল্লেখ করেছেন তা হলো- শিশু, মা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য টেকসই উন্নয়ন সহায়তা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু-স্বাস্থ্য সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তার দ্বিতীয় পরামর্শটি ছিল সকলের জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্তঃ-পরিচালন পদ্ধতি, ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা ভাগ করে নেওয়া।
তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প গড়ে তুলতে সহায়তা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ আহ্বানটি ছিল দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্ট আপ সহ স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তার পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে টিআরআইপি বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম ইউএইচসি প্রচার করে ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে। আসুন আমরা সকলে এটি সম্ভব করার জন্য হাত একতাবদ্ধ হই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অথচ এসডিজি’র অর্জনযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত একটি দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিচ্ছে। সরকার মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৬৩ জনে নামিয়ে এনেছে। নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুহার ২৮ জনে নেমেছে।
অধিবেশনে তিনি বলেন,‘শিশুদের টিকাদানের উপর আমাদের জোর প্রচেষ্টায় সার্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’
শেখ হাসিনা আরও জানান, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবিলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি।’ সরকার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মান নির্ধারণ করেছে।’
মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক রোগের বিষয়ে সরকারের নীতি ও হস্তক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে বলে উল্লেখ কর তিনি বলেন, এটি সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।
তিনি বলেন, সরকার অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে 'ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ' প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং ডুবে যাওয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সুবিধা শূন্য বা সর্বনিম্ন খরচে সেবা প্রদান করে, যা জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে কভার করে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি স্বাস্থ্য ব্যয়ের জন্য কেউ কষ্ট পাবে না। একটি প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী দিয়ে তাদের পরিষেবার গুণমান উন্নত করার দিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।’
তিনি বলেন, তার সরকারের পরবর্তী টার্গেট হলো খরচ পরিশোধের জন্য একটি কার্যকর অর্থায়ন মডেল তৈরি করা।
বাংলাদেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা লোকজন নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সীমিত আকারে শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। আজ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে। প্রবল বর্ষণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ এখনো স্থাপিত হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, বন্যার্তদের জন্য ইতোমধ্যে ১৬৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার লিটার বোতলজাত পানি বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বন্যা ও পাহাড় ধ্বসে এ পর্যন্ত ৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহরের মধ্যমপাড়ায় সাংগু নদীর তীরবর্তী এলাকায় একটি পাকা ভবন এবং চারটি কাঁচা বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নিখোঁজের ৩২ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ফেনী, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এফএফডব্লিউসি তার নিয়মিত বুলেটিনে বলেছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, যা আগামী ২৪ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবি, ব্যবসায়ী নিখোঁজ
এ কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ঝালুখালী, ভুগাই-কংশা, সোমেশ্বরী, জাদুকাটাসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি কোনো না কোনো সময় দ্রুত বাড়তে পারে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় এবং অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে যাওয়ায় মুহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু, মাতামুহুরীসহ দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধীর গতিতে পতন হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, বল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদী স্বল্প সময়ের জন্য বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
জ্বালানি দক্ষতার উন্নতি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক
জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এর মধ্যে রয়েছে আবাসিক ও শিল্প গ্রাহকদের জন্য প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ, চূড়ান্ত ব্যবহারে দক্ষতা উন্নত করতে এবং মিথেনের নির্গমন কমানো।
গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে প্রাকৃতিক গ্যাস লিকেজ ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করবে ‘দ্য গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড কার্বন অ্যাবেটমেন্ট প্রজেক্ট’। পাশাপাশি এ প্রকল্প আবাসিক ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহারকারীদের ব্যবহারে অপচয় হ্রাস করবে এবং পুরো নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা জোরদার করবে।
শুক্রবার বিশ্বব্যাপী ঋণ প্রদানকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে ১২ লাখের বেশি প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ৮৫৮ মিলিয়ন ডলার তহবিল পাচ্ছে
এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৫৪ শতাংশ আবাসিক গ্রাহকের জন্য বৃহত্তর ঢাকায় ১১ লাখ প্রিপেইড মিটার এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) সমগ্র আবাসিক গ্রাহক যারা রাজশাহী বিভাগে রয়েছে তাদের ১ লাখ ২৮ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে।
এটি শিল্প খাতে গ্যাসের ব্যবহার আরও ভালোভাবে নিরীক্ষণ ও পরিচালনা করার জন্য স্মার্ট মিটারের কার্যকারিতা প্রদর্শনের লক্ষ্যে বৃহত্তর শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের কাছে প্রায় ৫০টি স্মার্ট মিটার চালু করবে।
প্রকল্পটি গ্যাস প্রবাহ পর্যবেক্ষণ উন্নত করতে ও মিথেনের নির্গমন কমাতে সহায়তা করার জন্য পিজিসিএল নেটওয়ার্কে একটি সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন (এসসিএডিএ) এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম চালু করবে।
তারা মিথেন লিক শনাক্ত করতে ও মেরামতের জন্য গ্যাস নেটওয়ার্কে আরও ভালো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাইরের চাপের মুখে বাংলাদেশের সতর্ক সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন: বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসে ২০২১ সালের ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স (এনডিসি) অর্জনে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি দক্ষতা উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি পরিবার ও শিল্পক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় হ্রাস ও গ্যাস পাইপলাইনগুলোতে মিথেন নির্গমন হ্রাস করতে সহায়তা করবে, যা প্রায়ই গ্যাস উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সঞ্চালন ও বিতরণ থেকে লিকের কারণে ঘটে।’
২০২১ সালে দেশের প্রাথমিক জ্বালানি ব্যবহারের ৬৮ শতাংশ ছিল প্রাকৃতিক গ্যাস।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনার্জি স্পেশালিস্ট ও প্রকল্পের টিম লিডার সামেহ আই মোবারেক বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের সবচেয়ে বড় উৎস তেল ও গ্যাস খাত থেকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার এবং উন্নত মনিটরিং সিস্টেমগুলো প্রাকৃতিক গ্যাসের চূড়ান্ত ব্যবহারকে কমাতে, মিথেন লিকেজ হ্রাস করতে এবং পরিবার এবং শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের জন্য কম গ্যাস বিলের দিকে পরিচালিত করতে সহায়তা করবে।’
প্রকল্পটি প্রাকৃতিক গ্যাসের ভেল্যু চেইনে কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেন নির্গমন উৎসগুলো শনাক্ত করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে এবং বিদ্যমান সুবিধা ও অবকাঠামোতে নির্গমন হ্রাস করার সুযোগ শনাক্তে অগ্রাধিকার দেবে।
এটি জ্বালানি ভেল্যু চেইনে টেকসই কার্বন হ্রাসের জন্য নির্গমন পর্যবেক্ষণ, রিপোর্টিং ও যাচাইকরণ (এমআরভি) প্রোটোকল এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো বিকাশে সহায়তা করবে যা এরপরে সরকারি ও বেসরকারি জলবায়ু অর্থায়নের সঙ্গে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান, সুদমুক্ত ও রেয়াতি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমানে ৫৩টি চলমান প্রকল্পে ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) প্রোগ্রাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে ৫ গুণ: বিশ্বব্যাংক
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
শুধু দুধকুমার নদের পানি বাদে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ সবক'টি নদীর পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৪/৫ দিন ধরে বন্যায় পানিবন্দী মানুষ শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য ও তীব্র জ্বালানি সংকট। বন্যার কারণে স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে এখন মানুষের প্রয়োজন শুকনো খাবারের।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানিয়েছে, চলতি বন্যায় জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ১৮৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬২ হাজার ৮৮০ জন মানুষ। এছাড়াও ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য ৬৫০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ নগদ টাকা ও ২ হাজার শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৭৫ মেট্রিক টন চাল, ৯ লাখ টাকা ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আশ্রয়ের জন্য ৩৬১টি অস্থায়ী এবং ১৮টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের জন্য ৪টি উদ্ধার নৌকাসহ ২৭৫টি শ্যা ইঞ্জিনযুক্ত নৌকা প্রস্তুত রয়েছে।
সাইদুল আরীফ বলেন, ‘আমরা যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি