বরাদ্দ
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গবেষণায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান যুগে এগিয়ে যেতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প দিয়েছেন। আমাদের যে টেকসই অভীষ্ট রয়েছে সেখানে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বিসিএসআইআর (সায়েন্স ল্যাব) আয়োজিত ‘বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমাদের শিক্ষানীতির আলোকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
শেখ হাসিনার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় কেউ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেননি মন্তব্য করে তাপস বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হতো না। কিন্তু ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এই খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেন।
আজ আমাকে বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান বললেন, শুধু গবেষণায় ৯ কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটাও পর্যাপ্ত নয়। আমার বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, এই এলাকার সংসদ সদস্য এবং আমিসহ সবাই মিলে আমরা যদি এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে পারি তাহলে ৯ কোটি ৯০ কোটিতে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, একসময় বিজ্ঞান শিক্ষা পিছিয়ে পড়লেও শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও কর্মক্ষেত্র বাড়ছে। বিজ্ঞান চর্চায় ও বিজ্ঞানে পড়াশোনায় আমাদের শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে এখন আবারও আগ্রহ ফিরে পেয়েছে। আগে আমাদের শিক্ষার্থীরা বড় হলেই ভাবত পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে যাব। এদেশে আমার কর্মের সুযোগ নেই, আমার মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এই পথচলায় আমাদের অনেক সন্তান বহির্বিশ্বের অনেক সুযোগের হাতাছানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশে ফিরে আসছে। দেশের জন্য দেশপ্রেম ও নিষ্ঠা নিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও গবেষণায় অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই তারা দেশে ফিরে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
লক্ষ্মীপুরে ৪টি আসনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চারটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের মধ্যে এই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে জেলার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, তৃণমূল বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দলের সর্বমোট ২৮ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বাবার দেওয়া আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত ২ সন্তানের মৃত্যু!
প্রার্থীরা হলেন-
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন: আ.লীগের ড. আনোয়ার হোসেন খান নৌকা, জাতীয় পার্টির মাহামুদুর রহমান লাঙ্গল, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিয়াজ মাখলুম ফারুকী মোমবাতি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশাররফ হোসেন আম, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ গোফরান কেটলি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন ঈগল প্রতীক পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আইনজীবী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন নৌকা, জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন আহমেদ লাঙ্গল, জাসদের মো. আমীর হোসেন মশাল, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন একতারা, বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মো. মনসুর রহমান ডাব, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোরশেদ আলম চেয়ার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম মোমবাতি, মুক্তিজোটের মো. ইমাম উদ্দিন সুমন ছড়ি, স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা তরমুজ ও মো. ফরহাদ মিয়া হাত ঘড়ি প্রতীক পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসন: আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু নৌকা, ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার ট্রাক, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙ্গল, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মাহাবুবুল করিম টিপু হাতুড়ি, তৃণমূল বিএনপির মো. নাইম হাসান সোনালি আঁশ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আবদুর রহিম কাঁঠাল প্রতীক পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর): জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর মোশাররফ হোসেন নৌকা, এ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মামুন ঈগল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইস্কান্দার মির্জা শামীম ট্রাক, সাবেক এমপি মামুনের স্ত্রী মাহমুদা বেগম তবলা, সুপ্রিম পার্টির মো. সোলাইমান একতারা প্রতীক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা-নাতির মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
কুড়িগ্রামে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
কুড়িগ্রামে চারটি সংসদীয় আসনে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
এসময় পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মোত্তাকিম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিনসহ প্রার্থী, সমর্থক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
এবার জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে দুইজন, জাতীয় পার্টি থেকে চারজন অংশ নিয়েছে।
এরমধ্যে কুড়িগ্রাম-১ ও কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
এছাড়াও জাকের পার্টির তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে আব্দুল হাই নামে একজন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এর বাইরে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে অবস্থান করছেন।
এর বাইরে বিভিন্ন দল থেকে ১৫ জন প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দকালে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাছুম ইকবাল ও মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক দাবি করায় লটারির মাধ্যমে মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক পান।
অপরদিকে মাছুম ইকবাল কাচি প্রতীক নেন।
প্রতীক বরাদ্দকালে দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী মো. সাফিউর রহমান ও কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান খান অনুপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সব প্রার্থী যাতে নির্বাচনে সমান অধিকার পান সে ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনী তৎপর থাকবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
ফরিদপুরের ২০ প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনের ২০ প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা নির্বাচন কমিশনার।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন: মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
প্রতীক বরাদ্দের সময় উপস্থিতি ছিলেন- রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানসহ চার সংসদীয় আসনের প্রার্থী, তাদের প্রস্তাবক ও সমর্থকরা।
জেলার চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। তারা হলেন-
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
ফরিদপুর-১ আসনে আরিফুর রহমান দোলন।
ফরিদপুর-২ আসনে আইনজীবী জামাল হোসেন মিয়া।
ফরিদপুর-৩ আসনে ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ ও
ফরিদপুর-৪ আসনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে চার প্রার্থী চূড়ান্ত, প্রতীক বরাদ্দ আজ
ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন প্রতীক পেয়ে বলেন, আমার পছন্দের প্রতীক পেয়ে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে দোয়া কামনা করছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর জেলা রিটারিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, চারটি আসনে যারা দলীয় প্রার্থী হয়েছেন তারা সেই দলের প্রতীক পেয়েছেন। এর বাইরে চারটি সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পছন্দের ঈগল পাখি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার এবারের ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ১১২ জন ভোটার এই নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আগামী সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত করবেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ
স্বচ্ছতা-জবাবদিহি বজায় রেখে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে ডিএসসিসি: তাপস
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বর্তমানে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র তাপস বলেন, বর্তমানে আমরা নিয়মিতভাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বরাদ্দ গ্রহীতাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় দোকান বরাদ্দ দিচ্ছি। এই বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়ে আগে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা হতো।
আরও পড়ুন: সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর মার্কেটে বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানিদের মধ্যে বরাদ্দপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে সেসব বিষয়কে আমরা কঠোরভাবে দমন করেছি। এখন এই প্রক্রিয়ায় আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করেছি।
ক্ষতিগ্রস্তদেরও যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, শুধু নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রেই নয় বরং পুনর্নির্মাণ কার্যক্রমে যেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমরা তাদেরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসন করছি।
অনুষ্ঠানে ৩০৩ জন বরাদ্দ গ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার পূরণে সব পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) নগর ভবন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত সুত্রাপুরস্থ পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাসের 'আশালতা' বাসার বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’ স্মার্ট ঢাকা বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে: মেয়র তাপস
তাপস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দেশের সব মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণের জন্যই সংবিধান দিয়েছিলেন এবং দেশ গঠনে নিয়োজিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন কেউ আর গৃহহীন থাকবে না। বাংলাদেশের সব নাগরিকের ঘর থাকবে, বাসস্থান থাকবে।
মেয়র বলেন, আজকে আমরা ১৩৮ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর মাঝে বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। বিগত তিন বছরে আজ অবধি আমরা ৫২৫ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর মাঝে বাসা বরাদ্দ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত অঙ্গীকার পূরণে ক্রমান্বয়ে আমরা সব পরিচ্ছন্নকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দিতে পারব।
পরিচ্ছন্নকর্মীসহ করপোরেশনে কর্মরত সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করে তাপস বলেন, আমাদের সব পরিচ্ছন্নকর্মী, গাড়িচালকসহ অন্যান্য কর্মীদের জন্য এমনকি আমাদের কর্মকর্তাদের জন্যও আমরা বাসস্থান নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
আমরা আশা করি, সবার জন্য আরও বাসস্থান নির্মাণ করে সবাইকে যেন বাসা বরাদ্দ দিতে পারি সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আরও প্রকল্প দেবেন।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত, বৃষ্টি হলেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে: মেয়র তাপস
অমর একুশে বইমেলা: স্টল বরাদ্দে হাইকোর্টে রিট আদর্শ প্রকাশনীর
আদর্শ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. মাহাবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দায়ের করা রিটে অমর একুশে বইমেলায় ২০২৩-এ স্টল না দিতে দেয়ার বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। আবেদনকারীর আইনজীবী অনিক আর হক বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দিতে আদালতের নির্দেশনা চেয়েছেন আবেদনকারী।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মেলার পরিচালনা পর্ষদ (বাংলা একাডেমি) গত ১২ জানুয়ারি বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে আদর্শের নাম বাদ দেয়া হয়।
পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামাতা ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইটি নিয়ে আপত্তির কথা জানতে পারে আদর্শ।
রিটে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ প্রকাশনা সংস্থাকে মেলায় অংশ নিতে না দেয়ার কারণ হলো এমন একটি বই যা নিষিদ্ধ বা কালো তালিকাভুক্ত নয়। সুতরাং, বাংলা একাডেমি আইন ২০১৩ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত অবৈধ। এছাড়াও, এটি বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলার শিকড়ের সন্ধান
একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
তেল বরাদ্দ না থাকায় ৪৫ দিন থেকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের দুইটি অ্যাম্বুলেন্স দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে এসে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া বা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যেতেও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে রোগীদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে তেল বরাদ্দ না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে আবার এই সেবা চালু করা সম্ভব হবে।
১৯১৭ সালে ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিলটুলী মুজিব সড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত হয় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল। বর্তমানে এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১২৫টি।
শহরের রোগীরা প্রথম অবস্থায় শহরের মধ্যে অবস্থিত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও রোগীরা আগে চিকিৎসা সেবা নিতে হাসপাতালটিতে যান। এই হাসপাতালে যে সব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব তাদের এখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত জটিল রোগীদের পাঠানো হয় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
ফরিদপুর শহরের বাসিন্দা বিমান দত্ত বলেন, আমার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স নিতে চাইলে তাকে জানানো হয় তেল সংকটের কারণে সব কিছু ঠিক থাকলেও হাসপাতালের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরে তাকে দ্বিগুন টাকা দিয়ে একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হয়।
মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। সে সুস্থ হয়েছে, তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে দুই হাজার টাকা খরচ করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি যেতে হচ্ছে। অথচ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি লাগত না।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতাল প্রাঙ্গণের পশ্চিম পাশে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের কাছে চারটি গাড়ি রাখার গ্যারেজ রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি গ্যারেজে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স দু’টি কলাপসিবল গেট টেনে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্স দু’টির চালক মোতাহার হোসেন(৫১) ও ইমরান হোসেন(৪২) অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় তাদের হাসপাতালে কোনও কাজ নেই। তবে তারা প্রতিদিনই হাজিরা দেন হাসপাতালে।
শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাসিন্দা শফিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সময়মত রোগীকে হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছেনা। বাইরের অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হয়, এছাড়া এই সুযোগে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলোও ভাড়া বেশি আদায় করছে।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গণেশ কুমার আগারওয়ালা বলেন, তেল বরাদ্দ না পাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যে পেট্রোল পাম্প থেকে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের তেল নেয়া হতো, সেই পেট্রল পাম্পে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা বকেয়া পড়েছে। ফলে গত ১ নভেম্বর থেকে রোগীদের সেবায় আমরা অ্যাম্বুলেন্স দিতে পারছি না। এটি দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, তেল কম বরাদ্দ পাওয়ায় আমাদের পক্ষে অ্যাম্বুলেন্সের সেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে তেল বাবদ আমাদের বরাদ্দ দেয়া হয় ৩০ লাখ টাকা। অথচ বর্তমানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৭২ হাজার টাকা। বরাদ্দের টাকা বাড়বে ভেবে আমরা নির্ধারিত পেট্রোল পাম্পে বুঝিয়ে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ টাকার তেল বাকিতে ব্যবহার করেছি। কিন্তু এখনো বরাদ্দ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ রাখতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ সংকট সমাধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে (অর্থ) দুই দফা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একবারসহ মোট তিনবার লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো সদুত্তর পাইনি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে আবার এই সেবা চালু করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
আবারও বাড়ল সয়াবিন তেল ও চিনির দাম
ঝিনাইদহে সরকারি প্রকল্পের ঘর ভেঙে ফ্লাট তৈরি
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর গ্রামে ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তাঁর নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের বাড়ি ভেঙ্গে ফ্লাট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটির আওতায় ঘর ভাঙ্গার কোনো নিয়ম নেই।
একই পরিবারের তিন সদস্য পেয়েছেন এই প্রকল্পের বাড়ি। তৎকালীন কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনেকটা সেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এই ঘর বরাদ্দ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ৫-৬ বছর আগে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর গ্রামের শ্রী নারায়ণ হালদার, তার ছোট ছেলে বাসুদেব হালদার ও বড় ছেলে প্রহল্লাদ হালদারের স্ত্রী সুমি হালদারের নামে প্রকল্পের বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়। নারায়ণ হালদারের বড় ছেলে প্রহল্লাদ হালদার কোটচাঁদপুর ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত থাকায় প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের পরিবারের তিন সদস্যের নামে তিনটি ঘর নিজেদের নামে নিতে সক্ষম হন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
বর্তমানে অনুমতি ব্যতিত সেই বাড়ি ভেঙ্গে নিজের ইচ্ছামতো ফ্লাট তৈরি করছেন।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, একই পরিবারে এই প্রকল্পের ঘর দেয়ার বিধান নেই। যদি কেউ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন তবে অনিয়মের মাধ্যমে করেছেন।
কোটচাঁদপুর ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত প্রহল্লাদ হালদার জানান, আমার পরিবারের তিন সদস্য ঘর পেয়েছে এটা সত্য। তবে ঘরগুলো ছিল কাঠের, তাই ঘুণ পোকা লেগে নষ্ট হয়েছিল। আমার স্ত্রীর নামে বরাদ্দ ঘরটি ভেঙ্গে তাই ছাদ দিচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ওয়ালীউল্লাহ জানান, এই প্রকল্পের সঙ্গে আমার অফিসের সংশ্লিষ্টতা নেই। কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভুমি) দপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে, তারাই ভালো বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মেগাপ্রকল্প বিএনপির ‘মেগা-যন্ত্রণার’ কারণ: ওবায়দুল কাদের
সাবদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর মান্নান বলেন, আমার আগের চেয়ারম্যানের সময় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আইন মোতাবেক প্রকল্পের বাড়ি একই পরিবারের তিন সদস্য পেতে পারে না।
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। আগের কর্মকর্তা কি করেছেন আমার জানা নেই। তবে একই পরিবারের তিন সদস্যকে ঘর দেয়ার বিধান আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের ফাইল তলব করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক চার লেনসহ একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন
অপরিকল্পিত প্রকল্প উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে: এলজিআরডি মন্ত্রী
পরিকল্পনা এবং পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে এলজিইডিসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: এলজিআরডি মন্ত্রীস্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প নিয়ে অবকাঠামোসহ যেকোনো উন্নয়ন কাজ করলে যেমন তা টেকসই হয় না তেমনি উন্নয়নের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় না। বরং সুফলের চেয়ে কুফল বয়ে আসে। তাই সকল উন্নয়ন প্রকল্প নেয়ার আগে তার ফিজিবিলিটি স্টাডি করে গ্রহণ করতে হবে।প্রকল্প গ্রহণের আগে ফিজিবিলিটি স্টাডির গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ইনভায়রনমেন্টাল, জিওলজিক্যাল, হাইড্রোলোজিক্যাল, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট, ডেমোগ্রাফিক সাইজ এবং ইকোনমিক আউটপুট বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প নিতে হবে। এসব বিষয়ে স্ট্যাডি না করে প্রকল্প নেয়া যাবে না। নিলে সুফল মিলবে না।এপ্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গৃহীত প্রকল্পগুলো যদি উৎপাদনশীল, ইনকাম জেনারেটিং, টেকসই এবং সময়মত শেষ না হয় তাহলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব হবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্প নেয়া হয়, বাস্তবায়ন করার পর দেখা যায় তার সুফল মিলছে না।
আরও পড়ুন: পানির জন্য দেশে এখন মিছিল মিটিং হয় না: এলজিআরডি মন্ত্রীপ্রকল্পের ডিজাইনে কোনো ত্রুটি রাখা যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ, ইউনিয়ন ও উপজেলা রাস্তার ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নেভিগেশন সুযোগ রেখে ব্রিজ নির্মাণ করে নৌ পথগুলো চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি জানান, নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িত থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
বিভিন্ন ইট ভাটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। যার ফলে এই ইট দিয়ে রাস্তা পাকা করার সময় রাস্তার কাজ টেকসই হচ্ছে না। তাই এ বিষয়টি আমলে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।এলজিইডির সমস্ত রাস্তা আইডিভুক্ত করার পর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রাস্তা আইডিভুক্ত করা নেই। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সকল রাস্তা আইডিভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আইডি নাম্বার অনুযায়ী যদি রাস্তার বরাদ্দ প্রদান করা হয় তাহলে সুষ্ঠুভাবে রাস্তা নির্মাণ এবং সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। এ ক্ষেত্রে এক রাস্তায় দুই প্রতিষ্ঠান অথবা দুইবার তিনবার কাজ করার কোনো সুযোগ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার স্বপ্ন অনুযায়ী ঢাকা শহর গড়ে উঠবে: এলজিআরডি মন্ত্রীমো. তাজুল ইসলাম বলেন, শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে সরকার আমার গ্রাম আমার শহর দর্শন বাস্তবায়ন করছে। এই দর্শন বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আর এই কাজ করলে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলা গড়ে উঠবে।স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।এছাড়া, এলজিইডি, ডিপিএইচই, সকল সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা প্রতিনিধি এবং চলমান প্রকল্পসমূহের প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।