সিদ্ধান্ত
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদা বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাদেকা হালিম।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে নারীদের কথা বলার জায়গাটা তৈরি করে দিতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলোতে নারীদের নিয়ে আসতে হবে।’
জেন্ডার ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নারী পরিচয়ের আগে আমার বড় পরিচয় হলো আমি একজন মানুষ। নারী-পুরুষের মধ্যে যে ভেদাভেদ তৈরি, নারীকে হেয় করা, শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষের থেকে দুর্বল মনে করা হচ্ছে এবং এ কারণে নারীকে অধস্তন করে রাখতে হবে, এটা সম্পূর্ণ অমূলক।’
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সাদেকা হালিম
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের মূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এমন হয়েছে, যে সমাজে নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের নারী ও পুরুষ সমান। কিন্তু বাস্তবে কোনো দেশই খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে নারীকে পুরুষের সমান ভাবা হয়।’
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ‘সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রেই নারীত্ব নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সেটা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্র, এমনকি ধর্মীয়ভাবেও। পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয় নিয়েও রাজনীতি করা হয়। সন্তান জন্মের পর পরই সন্তানের অধিকার কীভাবে হবে সেটা আমরা ধর্মীয়ভাবে নির্ধারণ করি। বাবা ও মায়ের অধিকার কতটুকু, আমাদের সিভিল ল’তে কতটুকু, শরিয়া ল’তে কতটুকু, এসব বিষয় অনেকটাই পুরুষকেন্দ্রিক। পুরুষকে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়। পুরুষরাই এ সমাজের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।’
এ উপমহাদেশে নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে ড. সাদেকা উল্লেখ করেন, ‘ভারত উপমহাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন যে এখন হয়েছে, তা নয়। অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশে নারীরা কিন্তু ইউরোপের নারীদের আগেই ভোটাধিকার পেয়েছিল। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নারীরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, রানি হয়েছে, ট্যাক্স সংগ্রহ করেছে। আধুনিক রাষ্ট্রে পুঁজিবাদের বিস্তার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে, কিন্তু নারীদের পণ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার কাজ কে কাজ হিসেবে আমরা দেখিনি। নারীরা স্ত্রী, মা বা মেয়ে হিসেবে যে ভূমিকা পালন করে সেটিকেও অবমূল্যায়ন করা হয়।’
আরও পড়ুন: রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো নারী চাকরি করলেও তাকে আমরা প্রশ্ন করি তার স্বামী কী করে। সে যদি স্বামীর থেকে বেশি বেতন পায়, তাহলে পুরুষও হীনমন্যতায় ভুগে।’
সমাজের সাধারণ নারীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন তো নারীদের অনেকেরই হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টর, চিংড়ি মাছের ঘের, কল-কারখানায় নারীরা কাজ করছে। এটি ভারত বা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু নারীর সামাজিক মর্যাদা কি বেড়েছে? এটা খুবই জটিল একটা বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চরম দারিদ্র্যের শিকার নারীরা কোনো কিছু ভাবে না। তারা জানে তাদেরই কাজ করতে হবে, ক্ষুধা মেটাতে হবে, তারাই শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। সাধারণ নারীরা অনেক পরিশ্রমী, সামাজিক সমালোচনা গ্রাহ্য না করে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে পারিনি। বাংলাদেশে বা প্রবাসে যে পরিমাণ নারী কাজ করে সেখানেও আমরা দেখি যে নারীরা নিরাপদ না। খুব নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হয়।’
তবে নারী সমাজের পরিবর্তনের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, এবং এবারকার কেবিনেটে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এটা ইতিবাচক দিক। সংখ্যার দিক থেকে নারীর অংশ গ্রহণ অনেক বেশি, কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদার জায়গায় গুণগত মানের দিক থেকে কতটা বদলেছে সেটি বড় বিষয়। যখন নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আসবে, নেতৃত্ব দেবে, সমাজ কিন্তু তখনই বদলাবে।’
আরও পড়ুন: দুর্যোগের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ বোধ করেন না প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী
‘একুশে পদক-২০২৪’ পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্টজন
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৪’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
২১ জনের মধ্যে ভাষা আন্দোল বিভাগে পদক পাচ্ছেন দুইজন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
তারা হলেন- মো. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। আর শিল্পকলার বিভিন্ন বিভাগে এই পদক পেয়েছেন ১১ জন।
সংগীতে পেয়েছেন- জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।
অভিনয়ে- ডলি জহর ও এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
নৃত্যকলায়- শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।
ভাষা ও সাহিত্যে এবার একুশে পদক পেয়েছেন চারজন।
তারা হলেন- মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)।
এছাড়া শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু রয়েছেন এ তালিকায়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিন্নাত বরকতুল্লাহ মারা গেছেন
মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত
মূল্যায়ন পদ্ধতি ও নতুন কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে, কারিকুলাম এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও মানোন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এনসিটিবির প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বোর্ডসমূহের প্রতিনিধিরা এই কমিটির সদস্য হবেন।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
‘বিশেষ প্রণোদনা’ দিয়ে বিমানের সবার ৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের বেতনের সঙ্গে প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ।
সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের ২৯৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিমানের বর্তমান কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্যাজুয়াল শ্রমিক মূল বেতনের উপর এ প্রণোদনা পাবেন। শতাংশের হিসেবে পাঁচ শতাংশ হলেও বেতন বাড়বে ন্যূনতম ১ হাজার।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে ৩৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বোর্ড সভার এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অফিসিয়াল আদেশ আকারে নোটিশ দেন বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) মো. ছিদ্দিকুর রহমান। আদেশে পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিকে 'বিশেষ সুবিধা' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, বিমান, বিএফসিসি, বিপিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে প্রাপ্য মূল বেতনের পাঁচ শতাংশ হারে (এক হাজার টাকার কম নয়) বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের উপর এবং পেনশন গ্রহণকারীরা ১ জুলাই প্রাপ্য নিট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে (তবে এক হাজার) টাকার কম নয়) এই ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন। স্কেলভুক্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে এ সুবিধা প্রতি বছর প্রদান করার ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, বিমানের (বিএফসিসি, বিপিসিসহ) সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্ত নৈমিত্তিক ভিত্তিতে যেসব কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন তারাও স্ব স্ব মজুরির পাঁচ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একই ধরনের আদেশ জারি করেছিল বিমান। তবে সেই আদেশে প্রণোদনাপ্রাপ্তদের তালিকায় ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাদের দাবির মুখে এবার নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান। সেপ্টেম্বরে জারি করা আদেশটিও বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চেন্নাই রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধন
ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
সোমবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে যেহেতু আইনি জটিলতা রয়েছে, তাই সেই পত্র আমি আইন মন্ত্রণালয় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম তাদের মতামতের জন্য।
তিনি আরও বলেন, যে মতামতটা আসছে সেই মতামত বোধহয় তাদের (খালেদা জিয়ার পরিবার) পক্ষে আসেনি। এটা দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন আমাদের আর কিছু করণীয় নেই বলে আমি মনে করছি।
সিদ্ধান্ত কি খালেদা জিয়ার পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ওনারা যদি জানতে চান আমরা অবশ্যই জানিয়ে দেব। তবে এরই মধ্যে উনি জেনে গেছেন।
তিনি বলেন, তাদের কোনো কিছু জানার থাকলে, কথা বলতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেটা সেটা পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত তামিম নিজেই নিয়েছেন: মাশরাফি
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে তামিম ইকবালের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নয় বরং তার নিজের বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তামিম ইকবালকে ছাড়াই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আরও পড়ুন: হঠাৎ দলের দায়িত্ব থেকে নাফিস ইকবালকে অব্যাহতি
তামিমের বাদ পড়ার কারণ হিসেবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন তার ইনজুরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মাশরাফি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
মাশরাফি বলেন, অনেকেই দাবি করছেন যে তামিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো তামিম নিজেই দলে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাদ দেওয়া ও নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে।
দল ঘোষণার পর মাশরাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অ্যাকাউন্টে নিজের মতামত শেয়ার করেছেন। স্কোয়াড ঘোষণার দিনই মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাকে দেখা যায়। দল নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন কি না- তা এখনও অনিশ্চিত।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে তামিমের বাদ পড়াটা বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে এক বিস্ময়কর ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরিতে ভুগছেন এই ওপেনার।
পুনর্বাসনের জন্য এক মাসেরও বেশি সময় ব্যয় করার কারণে তিনি এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। একই কারণে অধিনায়কত্বও ছাড়তে হয়েছিল তাকে। ইনজুরি পুনরায় দেখা দেওয়ার আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে তামিম ইকবাল মাত্র একটি ম্যাচে ব্যাটিং করেছিলেন। যার ফলে তিনি ফাইনাল ম্যাচ থেকে অনুপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছেন তামিম: প্রধান নির্বাচক
টাইগারদের বিশ্বকাপ দলে নেই তামিম, ফিরল রিয়াদ
গণভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তামিম
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল অবসরের ঘোষণা দেওয়ার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তামিম বলেন যে তিনি তার মত পরিবর্তন করেছেন।
ফিটনেস নিয়ে বিতর্ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কিছু কঠোর মন্তব্যের পর গত বৃহস্পতিবার সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম।
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ’: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অশ্রুসিক্ত অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তামিম বলেন, ‘আমি আমার অবসরের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি দেশের প্রধানকে না বলতে পারি না।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে তার অবসর বাতিল করে ছুটি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তামিমের সাক্ষাতের সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও বিসিবি সভাপতি।
আপাতত দেড় মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে ছুটিতে থাকবেন তামিম। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপে ফিরবেন তিনি।
আরও পড়ুন: তামিমের আকস্মিক অবসরে সতীর্থরা মর্মাহত ও আবেগাপ্লুত
লিটন দাস বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক
আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি। এটা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা ব্যালট পেপার নির্বাচনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নয় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘সব দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের। সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
আরও পড়ুন: সংলাপে নয়, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ: সিইসি
সিইসি বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা।
'ব্যালটের চেয়ে ইভিএম বেশি নিরাপদ' উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি বন্ধ করা সহজ। কিন্তু ব্যালট বা ইভিএম দিয়ে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।
আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আগাম নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: সিইসি
৭ দিনের মধ্যে গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের ভোট বাতিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত একটি কমিটির প্রাথমিক তদন্ত আংশিক ছিল এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য তাদের পূর্ণ তদন্ত প্রয়োজন।
শনিবার সকালে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের ভোট পর্যবেক্ষণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
আউয়াল বলেন, ইসি মাত্র ৫১টি বন্ধ কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছে, গাইবান্ধা-৫ এ বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘তারা সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তারপর সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
কমিটির নেতৃত্বে থাকা ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
গত ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। এটি গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা তিন মাস বা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত মুলতুবি থাকা অবস্থায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা সে বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না থাকলেও ইসি বলেছে যে একটি আসন শূন্য হওয়ার পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিয়ম অনুসরণ করার সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫-এর সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে খালেদার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে নেয়া হবে: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ আসনের স্থগিত নির্বাচন নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: সিইসি
আশিয়ান: বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য না থাকার ঘোষণা মিয়ানমারের
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা স্বীকার করেছেন যে মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের প্রচেষ্টা সফল হয়নি এবং তারা দেশটিতে সহিংসতা বন্ধে দৃঢ় সংকল্প বৃদ্ধিতে ঐক্যমত হয়েছে। দেশটিতে গত বছর একটি সামরিক অভ্যুণ্থানের কারণে সংকট তৈরি হয়েছে যা এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
রবিবার মিয়ানমারের কাচিনে সামরিক বিমান হামলা চালিয়ে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ৪০ জনেরও বেশি সদস্যকে হত্যা এবং জুলাই মাসে রাজনৈতিক বন্দীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করাসহ সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংস্থা (আশিয়ান) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে৷
বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় মিয়ানমারের ওপর এক বিশেষ বৈঠকে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন যে তাদের প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। গত বছরের এপ্রিলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে গ্রুপটি পাঁচ দফা ঐকমত্যে পৌঁছেছে তার বাস্তবায়নকে শক্তিশালী করতে ‘জোরলো, বাস্তবসম্মত এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ’ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পরপরই আসিয়ান অন্তর্ভুক্ত মিয়ানমারে শান্তি স্থাপনের ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্কুলে হেলিকপ্টার হামলা, ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩
পাঁচ দফা ঐকমত্য অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে একটি সংলাপ, একজন আসিয়ান বিশেষ দূতের মধ্যস্থতা, মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে দেখা করার জন্য বিশেষ দূতকে মিয়ানমার সফরের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার সরকার প্রাথমিকভাবে ঐকমত্যে সম্মত হলেও তারা এটি বাস্তবায়নে খুব কম চেষ্টা করে। মানবিক সাহায্য এবং আসিয়ানের দূত কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখোনকে স্বল্প পরিসরে সফর করার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু তাকে সু চির সাথে দেখা করার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। সু চিকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন অভিযোগে বিচার করা হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন রাজনীতি থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।
এসবের প্রতিক্রিয়ায় আসিয়ান জোট মিয়ানমার নেতাদের তাদের অফিসিয়াল বৈঠকে অংশ নিতে দেয়নি। যদিও কর্মরত পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা যোগ দিয়েছেন।
সর্বশেষ আশিয়ান বৈঠকের সভাপতিত্বকারী প্রাক সোখোন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বৈঠক থেকে বলা হয় যে, আসিয়ানের নিরুৎসাহিত হওয়া উচিত নয়, বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে মিয়ানমারকে সাহায্য করতে আশিয়ান আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্য বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় মন্ত্রীরা তাদের উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন ‘অগ্রগতির পরিবর্তে পরিস্থিতির অবনতি এবং অবনতি হচ্ছে বলেও বৈঠকে বলা হয়।
মারসুদি আরও বলেন, ‘আবার সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’ ‘সহিংসতা বন্ধ না করলে এই রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের কোনও অনুকূল পরিস্থিতি থাকবে না।’
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে যে এটি ‘বৈঠকের ফলাফলের দ্বারা তারা প্রভাাবিত হবে না। কারণ বৈঠকে মিয়ানমারের উপস্থিতি ছাড়াই আসিয়ানের অন্য নয় দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা জোর দিয়েছে যে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সহযোগিতা করে। জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালানোর পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পাঁচ দফা রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকটি ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর আসিয়ানের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত হলো। আসিয়ানের শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনায় থাকবে মিয়ানমার সংকট। এই সমস্যাটি গ্রুপের ঐক্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আশিয়ান সদস্যরা ঐতিহ্যগতভাবে একে অপরের সমালোচনা করা এড়িয়ে চলে। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সহিংসতাকে ব্যাপকভাবে দেখা হয়। একটি ভূ-রাজনৈতিক এবং মানবিক জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় গোষ্ঠীটির দুর্বলতা প্রকাশ করে যা তাদের সকলকে প্রভাবিত করতে পারে।
ক্রমবর্ধমান শরণার্থী মিয়ানমার ছেড়ে পুরো অঞ্চল জুড়ে আশ্রয় খুঁজছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রুপ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে আনুমানিক সাত লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছে। সংস্থাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নেতাদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে য, এসব জনগণকে যেন ওইসব দেশের সরকারগুলো মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বাধ্য না করে।
এই সংস্থাটির গবেষক শায়না বাউচনার বলছেন, ‘জান্তার সহিংসতা এবং নিপীড়ন থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের রক্ষা করার পরিবর্তে আঞ্চলিক নেতারা মিয়ানমারের শরণার্থী এবং অন্যান্য নাগরিকদের ক্ষতির পথে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ মিয়ানমারে নির্বাসন ত্বরান্বিত করেছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে তাদের আশ্রয়ের দাবিগুলো অবজ্ঞা করে গত এপ্রিল থেকে দুই হাজার জনেরও বেশি লোককে ফিরিয়ে দিয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষ আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা যাচাই না করেই মিয়ানমারের সীমান্তে ফিরিয়ে দিয়েছে।
আসিয়ান গঠিত হয়েছে- ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামকে নিয়ে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ