ভারত
নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের ৬ষ্ঠ অধিবেশন অনুষ্ঠিত
ভারতের নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (আইএসএ) ৬ষ্ঠ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের বিদ্যুৎ ও নতুন ও নবায়নযোগ্য শক্তিমন্ত্রী শ্রী রাজ কুমার সিং। আইএসএর ১১৬টি সদস্য ও স্বাক্ষরকারী দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা অধিবেশনে অংশ নেন।
এই উপলক্ষে শ্রী রাজ কুমার সিং বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা এমন দেশে বাস করে যেগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানির উপর নির্ভর করে। নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ৬৫ শতাংশ সরবরাহ করতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ৯০ শতাংশ কার্বনমুক্ত করতে পারে। আন্তর্জাতিক সৌর জোট সদস্য দেশগুলিকে সৌরকে শক্তির উৎস হিসেবে বেছে নিতে, বিনিয়োগ আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এবং বাড়ন্ত বিশ্ব চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আইএসএ তার ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে প্রতি প্রকল্পে ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রকল্পের ব্যয়ের ১০ শতাংশ (যেটিই কম) অনুদান প্রদান করে। অধিবেশনে প্রকল্পের ধারণা এবং দেশগুলোর প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে প্রকল্পের ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
অধিবেশনের সহসভাপতি ফ্রান্সের উন্নয়ন, ফ্র্যাঙ্কোফোনি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রতিমন্ত্রী হেলেন জাকারোপুলো বলেন, ‘ফ্রান্সের জন্য আইএসএ ক্লিন এনার্জির উন্নয়ন এবং জলবায়ু বিঘ্ন মোকাবিলা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমাদের জোটকে নিয়মিত এবং ক্রমবর্ধমান সমর্থনসহ আমরা এই প্রকল্পে আমাদের পূর্ণ ভূমিকা পালন করছি।’
তিনি বলেন, ‘ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার (এএফডি) মাধ্যমে আমরা ২০১৬ সাল থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি মূল্যের সৌর প্রকল্পে অর্থায়ন করেছি। ফ্রান্স পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আমরা তা ত্বরান্বিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গত বছর, আমরা আমাদের অংশীদারদের জলবায়ু অর্থায়নে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ সরবরাহ করেছি। এগুলো কেবলমাত্র সংখ্যা নয়, বরং বাস্তব প্রকল্প। যেমন বেনিনের ওনিগবোলো সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ; যা আমরা এই বছর সম্পন্ন করেছি। যা বেনিনের জনগণের কাছে ২৫ মেগাওয়াট ক্লিন এনার্জি নিয়ে এসেছে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীদারদের ন্যায্য শক্তি রূপান্তর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অর্থায়নেও সহায়তা করি। এটি আমাদের সমস্ত আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠাতা নীতি: জাতীয় কর্মসূচি ও অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে। সৌর বিপ্লবকে শক্তির অভিগম্যতার একটি বিস্তৃত কৌশল দ্বারা সমর্থিত হতে হবে। আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে এই জোটের বিশ্বের বৃহৎ চ্যালেঞ্জগুলোর একটির সমাধান প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে, বিশ্বের অসঙ্গতি সত্ত্বেও।’
আন্তর্জাতিক সৌর জোটের মহাপরিচালক ড. অজয় মথুর বলেন, ‘বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এবং নির্ভরযোগ্য শক্তি না পাওয়াদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে এমন প্রয়োগে সৌর শক্তির বিকাশ ত্বরান্বিত করার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। যেমন- সৌর মিনি-গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া, কৃষি পাম্পে শক্তি জোগানো, কোল্ড স্টোরেজ পরিচালনা ইত্যাদি।’
তিনি বলেন, ‘আইএসএ এলডিসি ও এসআইডিসহ ৫৫টি উন্নয়নশীল দেশে ৯ দশমিক ৫ গিগাওয়াটেরও বেশি সৌর অ্যাপ্লিকেশন সুবিধা প্রদান করছে এবং সৌর শক্তিকে সমর্থন করে জীবিকা নির্বাহের উপায়গুলোর উপর উন্নয়নশীল বিশ্বজুড়ে প্রায় চার হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আমরা আমাদের সদস্য দেশগুলোতে সৌর শক্তি বিষয়ে প্রযুক্তি, জ্ঞান ও দক্ষতার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এমন স্টার কেন্দ্রগুলো গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
ড. অজয় মথুর বলেন, ‘এছাড়াও, আইএসএ সৌর মিনি-গ্রিডগুলোকে বিশ্বব্যাপী শক্তির অভিগম্যতা প্রদান করতে সক্ষম করছে, বিশেষ করে যেখানে গ্রিড সম্প্রসারণ খুব ব্যয়বহুল। গ্যারান্টিগুলো বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে এবং আইএসএ আফ্রিকার সদস্য দেশগুলোতে তার গ্লোবাল সোলার সুবিধার মাধ্যমে গ্যারান্টি প্রদানের জন্য এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করেছে। আমরা এই দেশগুরোর উদ্যোক্তাদেরকেও সক্ষম করছি, যারা সাহায্যে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলজুড়ে সৌর শক্তির প্রধান সরবরাহকারী হতে পারে।’
২০২০ সালের মে মাসে এলডিসি ও এসআইডির চাহিদা পূরণের জন্য আইএসএ নমুনা প্রকল্প শুরু করে। এর লক্ষ্য ছিল সৌর প্রযুক্তির অ্যাপ্লিকেশনগুলো প্রদর্শন করা, যা স্কেল আপ করা যেতে পারে এবং উপকারী সদস্য দেশগুলোর ক্ষমতা গড়ে তোলা। আইএসএ-র সহায়তায় স্থাপিত চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শ্রী আর কে সিং।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
মালয় প্রজাতন্ত্রের সংসদ ভবনের সৌরায়ণ, ফিজি প্রজাতন্ত্রের দুটি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সৌরায়ণ, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ৮ কিলোওয়াট সৌর পিভি সিস্টেম এবং ২০ কিলোওয়াট ব্যাটারি স্টোরেজ ক্ষমতাসহ সেইচেল প্রজাতন্ত্রের লা দিগ দ্বীপে কৃষি অংশীদারদের সুবিধার্থে ৫ মেট্রিক টন ক্ষমতার একটি সৌর চালিত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন। এছাড়া, কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের নওয়াই জুনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল (জেএসএস)-এ ২৪ কিলোওয়াট বিএসএসের সঙ্গে জুড়ি ৭ কিলোওয়াট সৌর পিভি ছাদ সিস্টেমসহ সৌরায়ণ।
প্রকল্পগুলো আইএসএর সদস্য দেশগুলোকে সৌর শক্তি উন্নয়নে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। আইএসএ সৌর শক্তির সুবিধাগুলো সবার কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করে চলবে, যাতে আমরা একটি টেকসই ও স্বচ্ছ শক্তি ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় টেক্সাইল ট্যালেন্ট হান্ট ৮.০ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শ্রী সিং বলেন, ‘আইএসএ অনুদান উদ্যোগের আওতায় আইএসএ’র প্রদত্ত ৫০ হাজার মার্কিন ডলার প্রতিটি প্রকল্পের মাধ্যমে মালয় প্রজাতন্ত্র, ফিজি প্রজাতন্ত্র, সেইচেল প্রজাতন্ত্র এবং কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করা আমার সম্মান ও সৌভাগ্যের। আইএসএ আমাদের সদস্য দেশগুলোর অর্জনকে স্বীকৃতি দেয় এবং সৌর শক্তির মাধ্যমে শক্তি রূপান্তরের কারণে তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে। আমাদের সম্মিলিতভাবে একে অপরের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ থেকে শিখতে হবে।’
অধিবেশনটিতে আইএসএ’র সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার প্রতিটি সদস্য দেশের প্রতিনিধিত্ব করা হয়।
এই সংস্থা আইএসএর ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এর উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গ্রহণযোগ্য সমন্বিত পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অধিবেশনটি বার্ষিকভাবে মন্ত্রী পর্যায়ে আইএসএর সদর দপ্তরে বসে।
এটি সৌর শক্তি স্থাপন, কর্মক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতা, খরচ ও অর্থায়নের স্কেলের ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য কার্যক্রমের সামগ্রিক প্রভাব মূল্যায়ন করে।
আইএসএর ষষ্ঠ অধিবেশনে শক্তি অভিগম্যতা, জ্বালানি সুরক্ষা এবং শক্তি রূপান্তরের তিনটি জটিল বিষয়ের উপর আইএসএর মূল উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আন্তর্জাতিক সৌর জোট (আইএসএ) ১১৬টি সদস্য এবং স্বাক্ষরকারী দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি সরকারগুলোকে সৌর শক্তির ব্যবহার সহজ করতে এবং কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যতে টেকসই রূপান্তর হিসেবে সৌর শক্তির প্রচারে সহায়তা করে।
আইএসএর লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর শক্তিতে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং প্রযুক্তি ও এর অর্থায়ন খরচ কমানো। এটি কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সৌর শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করে।
আইএসএ সদস্য দেশগুলো নীতি ও বিধিমালা প্রণয়ন, সেরা অনুশীলন শেয়ারিং, সাধারণ মানদণ্ডে সম্মত হওয়া এবং বিনিয়োগ সংগঠনের মাধ্যমে পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
এই কাজের মাধ্যমে আইএসএ সৌর প্রকল্পের জন্য নতুন ব্যবসায়ী মডেল শনাক্ত, নকশা এবং পরীক্ষা করেছে; সরকারগুলোকে সহজে সৌর বিশ্লেষণ এবং পরামর্শের মাধ্যমে তাদের শক্তি বিধিমালা এবং নীতিগুলোকে সৌরবান্ধব করতে সহায়তা করেছে; বিভিন্ন দেশ থেকে সৌর প্রযুক্তির জন্য চাহিদা পূরণ করেছে এবং খরচ কমিয়েছে; ঝুঁকি কমিয়ে এবং খাতটিকে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলে অর্থায়নে অভিগম্যতা উন্নত করেছে; সৌর প্রকৌশলী এবং জ্বালানি নীতি নির্ধারকদের জন্য সৌর প্রশিক্ষণ, ডেটা এবং অন্তর্দৃষ্টির অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করেছে।
আইএসএ ভারতে সদর দপ্তর সহকারে প্রথম আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। এটি বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি), উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ডিএফআই), বেসরকারি ও সরকারি খাতের সংগঠন, নাগরিক সমাজ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে যাতে বিশেষ করে অনুন্নত দেশ (এলডিসি) এবং ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে (এসআইডি) সৌর শক্তির মাধ্যমে ব্যয়বহুল ও রূপান্তরমূলক সমাধান স্থাপন করা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতীয় যুব উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ভারতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৪০
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের বিজয়নগরম জেলায় একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অন্তত তিনটি রেলগাড়ি লাইনচ্যুত হয়।
ভারতের রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সৌরভ প্রসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একাধিক উদ্ধারকারী দল এবং বাসিন্দারা ধ্বংসস্তুপ থেকে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি নিহতের ঘটনায় ৩ রেল কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনাস্থলে যতবেশি সম্ভব অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য প্রায়শই মানুষের ত্রুটি বা পুরানো সংকেত সরঞ্জামকে দায়ী করা হয়।
চলতি বছরের জুনে ভারতের পূর্বঞ্চলে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘনা।
এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ প্রতিদিন ভারত জুড়ে ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) রেলপথ ভ্রমণ করে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘনা: ময়মনসিংহের একই পরিবারের ৪ জন নিহত
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল ইংল্যান্ড
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ এ রবিবার (২৯ অক্টোবর) লাখনৌতে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
এদিকে ভারত এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় একমাত্র অপরাজিত দল। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে স্বাগতিকরা।
এ ছাড়া নেট রান রেটে ছয় ম্যাচ শেষে পয়েন্টের দিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে পিছিয়ে আছে তারা।
এদিকে পয়েন্ট টেবিলের দশম স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। নেদারল্যান্ডস শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশকে পরাজিত করায় ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা আবারও শেষ স্থানে চলে যায়।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় হার, আধিপত্য শ্রীলঙ্কার
পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে দুই পয়েন্ট পেয়েছে তারা। যা ১৯৯৯ সালের পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জন্য সবচেয়ে খারাপ রান।
১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া একমাত্র ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন যারা বিশ্বকাপে চারটি (বা তার বেশি) ম্যাচ হেরেছে।
ইংল্যান্ড কেবল বাংলাদেশকে হারিয়েছে এবং রান রেটে এখনও তাদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে তারা।
বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট পাওয়া অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া এখনও ভারতের হয়ে খেলতে পারছেন না। তার অনুপস্থিতিতে এক সপ্তাহ আগে ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছয়জন ব্যাটসম্যান ও পাঁচজন বোলারের সমন্বয়ে মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা।
এদিকে ভারত ও ইংল্যান্ড উভয়ই আগের ম্যাচের তুলনায় অপরিবর্তিত দল মাঠে নামিয়েছে।
এ ছাড়া রবিবার লাখনৌর আবহাওয়া শুষ্ক ও গরম। যার কারণে ব্র্যাভ স্টেডিয়ামে ধীর ও টার্নিং উইকেট প্রত্যাশিত।
এটি ব্যাটসম্যানদের সহায়তা করবে কিন্তু ম্যাচের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে স্পিনকে প্রাধান্য দিয়ে খেলতে হবে।
তবে সন্ধ্যায় শিশির দলকে সহায়তা করতে পারে। তবে পেসাররাও এই ভেন্যুতে আলোর নিচে বোলিং উপভোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
ভারত:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, মোহাম্মদ সিরাজ।
ইংল্যান্ড:
জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকস, জস বাটলার (অধিনায়ক), লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, ডেভিড উইলি, আদিল রশিদ, মার্ক উড।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ৩ উইকেটের পতন বাংলাদেশের
বিমসটেকের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে শিগগিরই যোগ দেবেন ভারতের ইন্দ্র মণি পান্ডে
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন ইন্দ্র মণি পান্ডে।
তিনি ১৯৯০ ব্যাচের একজন ভারতীয় ফরেন সার্ভিস অফিসার এবং বর্তমানে জেনেভায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ভারতের রাষ্ট্রদূত/স্থায়ী প্রতিনিধি।
শনিবার পান্ডে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের প্রধান আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেকের মহাসচিবের মর্যাদাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব আমাকে অর্পণ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
আরও পড়ুন: বিমসটেক সম্মেলন: নভেম্বরে থাইল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারই প্রথম কোনো ভারতীয় বিমসটেকের মহাসচিবের পদে অধিষ্ঠিত হবেন।
ইন্দ্র মণি পান্ডে শিগগিরই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
বিদায়ী বিমসটেক মহাসচিব তেনজিন লেকফেল ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর বিমসটেকের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি বিমসটেকের তৃতীয় মহাসচিব।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলম্বোতে বিমসটেক সনদ স্বাক্ষরিত
প্রধানমন্ত্রী বছরের শেষ দিকে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন
পশ্চিমা চাপ অব্যাহত থাকলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়তে পারে: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো যদি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো আরও চাপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়বে।
ক্রাইসিস গ্রুপের ‘অন দ্য হরাইজন’ রিপোর্টের অক্টোবর, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪ সংস্করণ অনুসারে, ‘এটি ভারত ও চীনের উপর সরকারের নির্ভরতা বাড়ানোর কারণ হতে পারে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এবং সম্ভাব্য অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো) সম্ভবত শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপর ভিসানীতির মতো আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ হলো একটি স্বাধীন সংস্থা, যা যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্বের লক্ষ্যে নীতি প্রণয়ণ প্রভৃতি নিয়ে কাজ করে।
বিএনপি ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে, ওই দিনই বিএনপির পতন শুরু হবে।
এখন পর্যন্ত দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, একটি বিতর্কিত নির্বাচনের ফলে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ শুরু হতে পারে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন-সম্পর্কিত কার্যক্রম যেমন প্রচার ও ভোটদান প্রভৃতির ফলে সহিংস হামলা ছড়িয়ে পড়তে পারে; ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অশান্ত রাজ্যগুলো থেকেও সহিংসতার উস্কানি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: আফরিন আখতার
ক্রাইসিস গ্রুপের উল্লিখিত হিসাবে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে কী দেখতে হবে:
১. ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সম্ভাব্য সহিংস নির্বাচন।
২. ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পদত্যাগ করার এবং নির্বাচনের ক্ষমতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে হস্তান্তরের আহ্বান উপেক্ষা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩. প্রতিদ্বন্দ্বী সমর্থকরা প্রকাশ্যে সংঘর্ষ বা দলীয় অফিস বা প্রার্থীদের উপর হামলা করতে পারে।
৪. ইসলামপন্থী দলগুলো সরকারের বিরোধিতায় আরও সক্রিয় হতে পারে।
৫. একটি বিতর্কিত ভোটের সম্ভাবনার মুখোমুখি সময়ে বিরোধীরা সম্ভবত নির্বাচন বয়কট করবে এবং আরও সহিংস কৌশল অবলম্বন করে মৌলবাদী হয়ে উঠতে পারে।
৬. আশার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা ও দারিদ্র্য একটি দুষ্টচক্র তৈরির হুমকি দেয়। যেখানে মরিয়া রোহিঙ্গারা; বিশেষ করে যুবকরা অপরাধী দল এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিতে পারে। যা সহিংসতাকে আরও উসকে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী
মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
ভারত থেকে কানাডার ৪১ কূটনীতিককে প্রত্যাহার
ভারত সরকার তাদের কূটনৈতিক নিরাপত্তা (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) প্রত্যাহারের পরে ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করেছে কানাডা। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত জুন মাসে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে দেশটির নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত থাকতে পারে বলে কানাডার অভিযোগের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের কারণে সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারত কানাডাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ‘সন্ত্রাসীদের’ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগটিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নাকচ করেছে এবং অভিযোগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভারতে থাকা কানাডার ৬২ কূটনীতিকের মধ্যে ৪১ জনকে তাদের পরিবারসহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জোলি বলেন, বাকি ২১ কানাডিয়ান কূটনীতিক ভারতে থাকবেন।
জোলি বলেন, ‘৪১ জন কানাডিয়ান কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের ৪২ জন সদস্য তাদের কূটনীতিক নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ঝুঁকিতে ছিলেন। এটি প্রত্যাহারে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছেন।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
জোলি বলেন, কূটনৈতিক নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া বিষয়টি নতুন নয়, কিন্তু এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। তবে এ কারণে কানাডা ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে একই জিনিস করার হুমকি দেবে না।
জোলি বলেন, ‘কূটনৈতিক বিশেষাধিকার ও মর্যাদার একতরফা প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি করার হুমকি দেওয়া অযৌক্তিক ও উসকানিমূলক।’
জোলি বলেন, ভারতের সিদ্ধান্ত উভয় দেশের নাগরিকদের পরিষেবাপ্রাপ্তিকে প্রভাবিত করবে।
তিনি বলেন, চণ্ডিগড়, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালোরে ব্যক্তিগত পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে কানাডা।
কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ভারতে কানাডিয়ান কূটনীতিকদের সংখ্যা কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, কানাডায় ভারতের কর্মকর্তাদের চেয়ে ভারতে কানাডার কর্মকর্তাদের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত মাসে বলেছিলেন, ভ্যাঙ্কুভারের বাইরে সারেতে জুন মাসে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের হাতে নিহত ৪৫ বছর বয়সী শিখ নেতা নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে।
কয়েক বছর ধরে ভারত অভিযোগ করে আসছে, ভারতে জন্মগ্রহণকারী কানাডিয়ান নাগরিক নিজ্জার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত।
তবে নিজ্জার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
ভারত কানাডিয়ানদের ভিসাও বাতিল করেছে, তবে কানাডা এজন্য প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এর আগে কানাডা একজন সিনিয়র ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার পরে, ভারতও কানাডার একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল।
তবে ট্রুডোকে কূটনৈতিক বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, কানাডা ‘উসকানি বা উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে না।’
একজন কানাডিয়ান কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছিলেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের নজরদারির মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া, তাদের প্রধান মিত্রদের নিয়ে গঠিত একটি গোয়েন্দা বাহিনীও একই তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ফাইভ আই’ গোয়েন্দা-শেয়ারিং জোট এ বিষয়ে কিছু গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিল। ‘ফাইভ আই’ গোয়েন্দা শেয়ারিং জোটে কানাডা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড রয়েছে।
ভারতের সর্বশেষ কূটনৈতিক বহিষ্কারের পদক্ষেপ এই দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
নয়াদিল্লিতে সাম্প্রতিক গ্রুপ অব ২০ বৈঠকের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রুডোর হিমশীতল কথোপকথন হয়।
এর কয়েকদিন পরে, ভারতে একটি বাণিজ্য মিশন বাতিল করে কানাডা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তপ্ত দ্বন্দ্বের মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, অভিযোগের বিষয়টি ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
নিজ্জার খালিস্তান নামে পরিচিত একটি স্বাধীন শিখ আবাসভূমি তৈরির আন্দোলনের এক সময়ের শক্তিশালী একজন নেতা ছিলেন।
১৯৭০ থেকে ১৯৮০’র দশকে একটি রক্তাক্ত শিখ বিদ্রোহ উত্তর ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেসময় দেশটিতে শিখ নেতাসহ হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
খালিস্তান আন্দোলন তার রাজনৈতিক শক্তি হারিয়েছে। কিন্তু এখনও ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে এ আন্দোলনের সমর্থক শিখ রয়েছে।
কয়েক বছর আগে সক্রিয় বিদ্রোহ শেষ হওয়ার সময় ভারত সরকার বারবার সতর্ক করেছে যে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালে ভারত কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা, অস্থায়ী বিদেশি কর্মী এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য শীর্ষ দেশ ছিল।
আরও পড়ুন: 'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
মিলার বলেন, কূটনীতিকদের মর্যাদা অপসারণের ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে কানাডার অভিবাসন বিভাগ ভারতে কানাডিয়ান কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।
মিলার আরও বলেন, শ্রমিকদের ভিসা ও পারমিট প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করবে।
ঊর্ধ্বতন কানাডিয়ান কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত কানাডিয়ান কূটনীতিকদের সংখ্যা এবং কূটনৈতিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় ছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত আরও ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা বিভিন্ন পারমিট বাতিল করবে। যেমন- কূটনীতিকদের স্বামী/স্ত্রীকে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া এবং গাড়িতে কূটনৈতিক প্লেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নেলসন ওয়াইজম্যান বলেছেন, কানাডার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভারত সর্বশেষ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অর্থহীন।
ওয়াইজম্যান বলেছেন, ‘কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার ভারতীয়দের বিচলিত মানসিকতা প্রকাশ করে; এতে বোঝা যায় যে তারা জানে যে তারা কানাডায় একজন কানাডিয়ান হত্যার সঙ্গে জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা হত্যার তদন্তে কানাডার সঙ্গে তাদের সহযোগিতার অভাব থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে।’
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বাংলাদেশকে গুড়িয়ে দিল ভারত
বিরাট কোহলির আরেকটি ওয়ানডে সেঞ্চুরির সুবাদে বৃহস্পতিবার পুনেতে আইসিসি বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশকে পরাজিত করে কমান্ডিং জয় পেয়েছে ভারত।
টস জিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৬ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫১ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত। কোহলির ৯৭ বলে ১০৩ রান ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ৪৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৪৮) ও শুভমান গিলের (৫৩) ৮৮ রানের জুটিতে শুরুটা শক্ত হয় ভারতের। কোহলির আগ্রাসী খেলায় ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা এবং হাতে সাত উইকেট থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: লিটনের পতনের পর দ্রুতই কয়েকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি ও হাসান মাহমুদ ১টি উইকেট নেন।
এর আগে বাংলাদেশ ২৫৬ রানের স্কোর করে। শক্তিশালী শুরু সত্ত্বেও, ১৪তম ওভারের পরে বিনা উইকেটে ৯০-এ পৌঁছানো সত্ত্বেও, তারা সম্ভাব্য ৩০০ রান বা তারও বেশি রান করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের বিরুদ্ধে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের
প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম নড়বড়ে শুরুর পর ৫ ওভারে মাত্র ১০ রান সংগ্রহ করেন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটি করেন তানজিদ।
তবে ফিফটি করার পরে লিটন গতি বজায় রাখতে লড়াই করেছিলেন এবং লং অনের দিকে আলগা শট দিয়ে আউট হন।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং পজিশনে ঘন ঘন পরিবর্তনের কারণে প্রভাব ফেলতে পারেননি। তৌহিদ হৃদয় একটি স্থিতিশীল শুরু করলেও তবে মাঝখানে স্থির থাকতে না পেরে মাত্র ১৬ রান করে আউট হন।
জসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ ২টি করে উইকেট নেন, বুমরাহ ১০ ওভারে ৪১ রান দেন এবং সিরাজ ১০ ওভারে ৬০ রান দেন।
মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষ ১০ ওভারে শক্তিশালী ফিনিশিংয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ৩৮ রানে মুশফিকের আউট বাংলাদেশের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত এলবিডব্লিউ আপিল থেকে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ।
পরের বলে বুমরাহর কাছে স্টম্প হারান তিনি।
বুমরাহর কাছে পড়ে যাওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ ৩৬ বলে ৪৬ রান করে চাপের মধ্যেও ৩৭ রান পর্যন্ত পারফর্ম করতে সমর্থ হন।
শরিফুল ইসলাম বড় ছক্কা মেরে ইনিংস শেষ করেন এবং বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫৬ রান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচে পেশিতে চোট পেয়ে এই ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই খেলে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বিশ্বকাপে ১০০০ রানের ক্লাবে মুশফিক
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বিশ্বকাপে ১০০০ রানের ক্লাবে মুশফিক
দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এক হাজারের বেশি রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
৩২ ম্যাচে ৯৯৬ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার পুনেতে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুশফিক ম্যাচের ২৯.৪ ওভারে আর এ জাদেজার বলে দুই রান করে বিশ্বকাপে স্বপ্নের ১০০০ রানের ক্লাবে যোগ দেন।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের বিরুদ্ধে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের
শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মুশফিক ৪৬ বলে একটি চার ও একটি ছক্কাসহ ৩৮ রান করেন এবং ৩৩টি বিশ্বকাপে তার ব্যক্তিগত রান সংখ্যা ১০৩৪ এ উন্নীত করেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৩২ ম্যাচে ১২০১ রান করে আইসিসি বিশ্বকাপে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে স্কোরারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: লিটনের পতনের পর দ্রুতই কয়েকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ
জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, যিনি এবারের আইসিসি বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন, তিনি ২৯ ম্যাচে ৭১৮ রান করেছেন।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত, খেলছেন না সাকিব
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের বিরুদ্ধে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের
ভারতের পুনেতে আইসিসি বিশ্বকাপ-২০২৩ এ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভারতের বিরুদ্ধে মাঝারি সংগ্রহ নিয়ে ইনিংস শেষ করেছে বাংলাদেশ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করতে সক্ষম হয়।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান সংগ্রহ করে। প্রথম ৪-৫ ওভারে কিছুটা নড়বড়ে শুরুর পরও শক্ত ভিত গড়ে দেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম।
আজ তানজিদের কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। মাত্র ৪১ বলে তিনটি ছক্কা এবং পাঁচটি চার সহযোগে তিনি তার প্রথম ফিফটি অর্জন করেন।
এটি এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজসহ মিডল-অর্ডাররা ম্যাচে থিতু হতে পারেননি।
তৌহিদ হৃদয় কিছুটা স্থির সূচনা করলেও ৩৫ বল খেলে ১৬ রান করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: লিটনের পতনের পর দ্রুতই কয়েকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ
জসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ আজ দারুণ ছিলেন। তারা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। বুমরাহ ১০ ওভারে ৪১ রান দেন এবং সিরাজ তার ১০ ওভারে ৬০ রান দেন।
শেষ ১০ ওভারে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শক্তিশালী জুটির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৮ রানে মুশফিক আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সুযোগটি বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে যায়।
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত খেলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে বেঁচে যান তিনি।
পরের বলেই ইনিংসের অন্যতম সেরা মাহমুদউল্লাহ প্রতিপক্ষ বুমরাহ’র কাছে স্টাম্প হারান। আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন।
শফিউল ইসলাম ইনিংসের শেষ বলে একটি ছক্কা মেরে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৬তে পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ তাদের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই খেলছে। যিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচে পেশীতে চোট পেয়ে এই খেলা থেকে বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় যোগ করা হয়েছে নাসুম আহমেদকে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত, খেলছেন না সাকিব
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বৃহস্পতিবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা প্রদর্শনী বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সমিতি, সিনেমাটির নির্মাতা শ্যাম বেনেগালসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশের ব্যাপারে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সিনেমার দুটি দৃশ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য রয়েছে। যা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে সমাজের কাছে হেয় করে।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিনেমার ওই অংশ বাতিল করে নোটিশ গ্রহীতাদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি গত ১৩ অক্টোবর দেশের ১৫৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুক্তি পাবে ২৭ অক্টোবর।
ভারতের নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমায় জাতির জনকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। খন্দকার মোশতাক আহমদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। কিশোর শেখ মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্য জ্যোতি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’: দর্শকের মনে আরও গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু
এ ছাড়া রেণু (শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব) চরিত্রে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনা চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, শেখ রেহানা চরিত্রে সাবিলা নূর, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাজউদ্দীন আহমদ চরিত্রে রিয়াজ, এ কে ফজলুল হক চরিত্রে শহীদুল আলম সাচ্চু, টিক্কা খান চরিত্রে জায়েদ খানসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ (লুৎফর রহমান), দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (ছোট রেনু), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া), মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান) ও এলিনা (বেগম খালেদা জিয়া)। সিনেমাটিতে ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন- শ্রীজা ভট্টাচার্য, রাজেন মোদি, দেবাশীষ নাহা, সোমনাথ, কৃষ্ণকলি গাঙ্গুলি, আবির সুফি, অরুণাংশু রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশের ৬০ ভাগ ও ভারতের ৪০ ভাগ ব্যয়ে নির্মিত এই বায়োপিকের শুটিং ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শেষ হয়। আগামী ২৭ অক্টোবর সিনেমাটি ভারতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’