ভারত
‘এখন যুদ্ধের সময় নয়’:এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনকে মোদি
প্রায় সাতমাস ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের এই সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বললেন, এখন ‘যুদ্ধের সময় নয়’।
শুক্রবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও)শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে একথা বলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেতদনে জানিয়েছে,রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই দুই নেতা প্রথমবার সমরখন্দে মুখোমুখি হলেন।
এসময় মোদি পুতিনকে বলেন, ‘আমি জানি আজকের যুগ যুদ্ধের যুগ নয়।’
রাশিয়ার প্রধান মিত্র চীনের ইউক্রেনের সংকট নিয়ে ‘উদ্বেগ’ রয়েছে বলে পুতিনের স্বীকারোক্তির পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এই মন্তব্য করেন।
এসময় পুতিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবিস্তারে বলেন যে তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে চান এবং তিনি ভারতের উদ্বেগকে স্বীকার করেছেন।
পড়ুন: পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুতিন মোদিকে বলেন ‘আমি ইউক্রেনের সংঘাতের বিষয়ে আপনার অবস্থান ও আপনার উদ্বেগ সম্পর্কে জানি... আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি শেষ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে, মোদি ও পুতিন দ্বিপক্ষীয় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আরোচনা করেছেন।
ইউক্রেন আক্রমণের জন্য ভারত রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানায়নি। সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানের জন্য জোর দিয়েছে নয়াদিল্লি।
স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং রাশিয়া-ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বেইজিংয়ের ‘উদ্বেগ’ রয়েছে বলে পুতিনের স্বীকার করা সত্ত্বেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার বলেছেন যে বেইজিং ‘একে অপরের মৌলিক স্বার্থ’ এগিয়ে নিতে রাশিয়াকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: গাড়ি বোমা হামলায় ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ খ্যাত দুগিনের মেয়ের মৃত্যু
ঢাকা-মস্কো গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে: পুতিন
ভারতে দেয়াল ধসে নিহত ৯
প্রবল বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশে দেয়াল ধসে অন্তত নয়জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
দিল্লি থেকে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ের দিলকুশা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাত ২টার দিকে আর্মি ক্যাম্পের বাইরে অস্থায়ী কিছু কুঁড়েঘরের ওপর সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। তখন প্রায় ১১ জন অভিবাসী শ্রমিক কুঁড়েঘরের ভিতরে ঘুমাচ্ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে দেয়াল ধসে পড়েছে। আমরা দু’জন শিশুসহ নয় জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ ভারতীয় রুপি এবং আহতদের প্রত্যেকের জন্য ২ লাখ ভারতীয় রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
ভারতে দেয়াল ধসে পড়া একটি সাধারণ ঘটনা, বিশেষ করে বর্ষাকালে।
পড়ুন: জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে: ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
খালি হাতে ফিরিনি, তেল-গ্যাসের নিশ্চয়তা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
ভারত সফরে বাংলাদেশের অর্জন বিষয়ে বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন বলেন, তার সাম্প্রতিক প্রতিবেশী দেশ সফর কোন অর্জন ছাড়াই সমাপ্ত হয়নি।
বুধবার বিকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
একটি প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ কী অর্জন করেছে, তা নির্ভর করে একজনের উপলদ্ধির ওপর।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারত থেকে তেল পেতে যাচ্ছে। ভারতের আসামের নুমালিগড় থেকে আমাদের উত্তরাঞ্চলের ডিপোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করবে। পাইপলাইনটি নির্মাণও করবে ভারত। এই তেল সরবরাহ শুরুর ম্যধদিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও যোগ করেন যে ভারত থেকে এলএনজি আমদানির জন্যও বাংলাদেশ আলোচনা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুলনা অঞ্চল ক্ষণে ক্ষণে তীব্র গ্যাস সংকটে পড়ে। আমরা ভারত থেকে ওই অঞ্চলে গ্যাস আমদানির কথা ভাবছি, যাতে ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সরাসরি সুবিধাভোগী হতে পারেন।’
ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে তেল ও গ্যাস পাওয়ার আশ্বাসকে তার সাম্প্রতিক ভারত সফরের বড় অর্জন বলে অভিহিত করে
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ছাড়াল
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ১৪ হাজার ৫৮১ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ২০ হাজার ৫০৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৭২ লাখ ৭০৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৫ লাখ চার হাজার ৯৪৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ১৮৫ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৩৭ লাখ ছাড়াল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ৪৩৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৩৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৩ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৩০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২৬৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য,শনাক্ত ৪২১
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৪২ লাখ ছাড়াল
জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত
আগামী বছর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন বসবে ভারতে। এ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে দেশটি বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএনই) অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবে।
মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।
ভারত চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য জি-২০’র সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে।
ভারত ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে সারা দেশে ২০০টিরও বেশি জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সমাচার: গোল্ডেন ভিসা ও গ্রিন ভিসা
রাজ্য/সরকার প্রধানদের স্তরে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন আগামী বছরের ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷
জি-২০ সদস্যদের ছাড়াও, জি-২০ প্রেসিডেন্সির কিছু অতিথি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে জি-২০’র বৈঠক এবং শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর একটি ঐতিহ্য রয়েছে।
নিয়মিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো হলো- (জাতিসংঘ, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, ডব্লিউএইচও, ডব্লিউটিও, আইএলও, এফএসবি এবং ওইসিডি) এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর মধ্যে এইউ, এইউডিএ, এনইপিএডি এবং আশিয়ান)-এর সভাপতিরা যোগ দেবেন।
জি-২০ বা গ্রুপ অব টুয়েন্টি, বিশ্বের প্রধান উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির একটি আন্তঃসরকারি ফোরাম।
এটি ১৯টি দেশ নিয়ে গঠিত-আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
সামষ্টিকভাবে, জি-২০ বিশ্বব্যাপী জিডিপির ৮৫ শতাংশ , আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ, এটিকে
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান ফোরাম করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া প্যালেস্টাইন ও জর্ডানের নাগরিকেরা বাংলাদেশের একেকজন শুভেচ্ছাদূত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, ইতালি এবং ভারত নিয়ে গঠিত জি-২০ ত্রয়িকার (বর্তমান, পূর্ববর্তী এবং আগত জি-২০ প্রেসিডেন্সি) অংশ এবং সভাপতিত্বের সময় ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিল ত্রয়িকা গঠন করবে।
এই প্রথমবার যখন ত্রয়িকা তিনটি উন্নয়নশীল দেশ এবং উদীয়মান অর্থনীতির সমন্বয়ে গঠিত হবে, তখন তাদের একটি বৃহত্তর কণ্ঠস্বর তৈরি করবে।
আইএসএ (আন্তর্জাতিক সোলার অ্যালাইয়েন্স), সিডিআরএ (কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রিসাইলেন্ট ইনফ্রাসট্রাকচার) এবং এডিবি (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ হাইকমিশনারের
ভারতে ২ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ তরুণী
দীর্ঘ দুই বছর সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন সাত তরুণী। সোমবার সন্ধ্যায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের কাছে তাদের হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত আসা তরুণীরা হলেন- তুলি বিবি (২৪), রাবেয়া বেগম (২৭), মুন্নি খাতুন (১৭), কোহিনুর বেগম (৩৬), রিতা বেগম (২১), জারা আক্তার (২২) ও চম্পা বেগম (২৭)। এরা খুলনা, মাগুরা ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশে ফেরত আসা এই সাত বাংলাদেশি তরুণী দুই বছর আগে দেশের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যান। ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে এলাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে অবৈধভাবে কাজ করার সময় সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। ভারতের আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেয়। সেখান থেকে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি শেল্টার হোম তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘রিপেট্রিয়েশন’ এর মাধ্যমে তাদের আজ দেশে ফেরত আনা হয়।
ওসি আরও জানান, ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করে সাত তরুণীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এবিএম মুহিত হোসেনের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের হাতে তুলে দেবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল চেকপোস্টে ইউএস ডলার উদ্ধার, নারী আটক
বেনাপোলে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক চারদিনের ভারত সফরের ফলাফল বিষয়ে বুধবার বিকালে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বুধবার বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দেশটিতে চারদিনের সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন এবং পৃথকভাবে দেমটির রাষ্ট্রপতি দ্রুপদি মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা-দিল্লি সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করেন।
অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণা প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
ভারতের সঙ্গে মৈত্রী রক্তের বন্ধন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী রক্তের অক্ষরে ও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এ বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে।সোমবার সকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দপ্তরে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ড.হাছান বলেন, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সফল একটি ভারত সফর করেছেন এবং এ সফরে অনেকগুলো অর্জন আছে, যেমন- কুশিয়ারা নদীর পানি আমাদের পক্ষে বন্টন, ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি সুবিধা যার জন্য আমরা বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম, আলাপ-আলোচনার মধ্যেই ছিলাম সেটি এ সফরে সুরাহা হয়েছে, এটি একটি বড় অর্জন।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেলেও দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে পাশে চেয়েছেন। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি চুক্তি নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইতিবাচক সাড়া রয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুরে দু’দিনের সফরে এসে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ বাসভবনে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তেলের দাম বাড়ার পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে বিনিয়োগের জন্য নানা দাবি উত্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই দাবিগুলো শুনেছেন। তারা বাংলাদেশে জ্বালানি, ট্রান্সপোর্ট ও এগ্রো প্রসেসিং কার্যক্রমে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন।
এছাড়া আদানী গ্রুপ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে, কিন্তু দেশে ডলারের দাম বেড়েছে। ডলারের দামের সঙ্গে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে করে দুই মাসের মধ্যে আরও এক ধাপ সয়াবিন তেলের দাম কমবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে খাবার, চাল আমদানি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে করে দেশে নিত্য পণ্যের দাম কমে আসবে।
এছাড়া টিসিবি’র মাধ্যমে এক কোটি অস্বচ্ছল পরিবারকে সাশ্রয়ী দামে খাদ্য সামগ্রী বিক্রির মাধ্যমে দেশের পাঁচ কোটি মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছে। খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে। দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সেদিকে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, মাহিগঞ্জ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ টিটুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
রানির মৃত্যু, ভারত কি এবার ফেরত পাবে কোহিনূর?
যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী রাজত্বকারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কোহিনূর বা কোহ-ই-নূর নামক হীরা ফেরত দেয়ার দাবি করছেন অনেক ভারতীয়। হীরা এই প্রয়াত রানির মায়ের জন্য তৈরি করা মুকুটে রাখা হয়েছিল।
ভারতীয় টুইটারাটি দাবি করতে শুরু করেছে যে ১০৫-ক্যারেট ডিম্বাকৃতির ‘আলোর পাহাড়’ রত্নটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরপরই তার উৎপত্তিস্থলে ফিরিয়ে আনা হোক।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
কোহিনূর হলো রানির মায়ের মুকুটের মাঝ বরাবর শোভা পাচ্ছে। এটি বর্তমানে সবচেয়ে দামি রত্নগুলোর একটি। ১৪ শতকে ভারতের গোলকুণ্ডা খনিতে হীরাটি পাওয়া গিয়েছিল এবং কয়েক শতাব্দীতে এটির মালিকানা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ও পরবর্তীতে ভারত সরকার বহুবার কোহিনূরের প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করেছে। তবে ব্রিটেন ক্রমাগত এই দাবির বিরোধিতা করেছে।
রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কে পাচ্ছেন কোহিনূরের মুকুট?
সর্বশেষ বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানি কনসোর্ট ক্যামিলা এখন বিখ্যাত হীরার মুকুটটি পড়বেন। রাজা চার্লস তৃতীয় যখন আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসবেন তখনই রানি ক্যামিলা এটি প্রথম পড়বেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
ব্রিটেন কি ভারতকে কোহিনূর ফেরত দেবে?
রত্ন ফেরত দেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানা গেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা ২০১৬ সালে ভারত সফরের সময় বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকার বিশ্বাস করে যে হীরা পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও আইনি ভিত্তি নেই।’
কোহিনূর যেভাবে ভারত থেকে ব্রিটেনে গেল
লিখিত রেকর্ডে দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোহিনূর প্রথম সামনে আসে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬২৮ সালে সিংহাসনকে একটি বড় রত্নখচিত করার আদেশ দেন। স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের মাধ্যমে ইহুদি ধর্ম এবং খ্রিস্টান ধর্মের ইতিহাসে দেখা যায়, অলঙ্কৃত সৃষ্টিটি তার নকশার ইঙ্গিত নিয়েছিল ইসলামের কিংবদন্তী হিব্রু সুলতান সুলেমানের সিংহাসন থেকে।
আরও পড়ুন: রানির মৃত্যু: 'দ্য ক্রাউন' সিরিজের প্রোডাকশন স্থগিত
কোহিনূর হীরা এবং তৈমুর রুবি দুটি খুব বড় রত্ন ছিল যা অবশেষে সিংহাসনকে সাজানোর জন্য ব্যবহার করা সমস্ত মূল্যবান পাথরের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান হয়ে উঠে। হীরাটি সিংহাসনের একেবারে শীর্ষে ময়ূরের মাথায় একটি উজ্জ্ল রত্নপাথর হিসেবে স্থাপন করা হয়।
পারস্যের নাদের শাহসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য রাজাদের এই ধরনের সম্পদে আগ্রহ জন্মেছিল।
১৭৩৯ সালে নাদের শাহের দিল্লী আক্রমণে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের অর্থনীতি ক্ষতিসাধন হয়। স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের ফিচার আরও তুলে ধরে যে নাদের তার লুটের অংশ হিসেবে ময়ূর সিংহাসনটি করায়ত্ত করেছিলেন এবং তিনি সিংহাসন থেকে বের করে কোহিনূর হীরা ও তৈমুর রুবি তার বাহুবন্ধনিতে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের নতুন আদেশ
কোহিনূর হীরাটি ৭০ বছর ভারত থেকে দূরে ছিল, যা শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সম্পদে পরিণত হয়। একের পর এক ট্র্যাজেডিতে, এটি বেশ কয়েকটি রাজার হাত বদল হয়। এসব রাজাদের মধ্যে একজন নিজের ছেলেকে অন্ধ করেছিলেন, অন্যজন ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তার মাথা গলিত স্বর্ণ দিয়ে আবৃত করা হয়।
বছরের পর বছর সংঘর্ষের পর, হীরাটি ভারতে ফিরে আসে এবং ১৮১৩ সালে শিখ রাজা রঞ্জিত সিং অধিগ্রহণ করে। কোহিনূরের প্রতি সিং-এর নির্দিষ্ট সখ্যতা রত্নটির মর্যাদা এবং ক্ষমতার আভাকে দৃঢ় করে। ১৮৩৯ সালে রঞ্জিত সিং-এর মৃত্যুর পর চার বছরে চারটি ভিন্ন লোকের হাতে মুকুটটি ছিল। সমস্ত বিশৃঙ্খলা অবসানের পর বালক দুলীপ সিং ও মা রানি জিন্দানের জন্য হীরাখচিত মুকুটটি রাখা ছিল।
স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের ফিচারে বলা হয়েছে, ব্রিটিশরা, যারা ততদিনে ভারতের ওপর তাদের দখলদারিত্ব শক্ত করেছিল, তারা দুলীপকে একটি আইনি নথিতে সই করতে বাধ্য করেছিল। যার জন্য ১০ বছর বয়সী ছেলেটিকে কোহিনূর এবং সার্বভৌমত্বের সমস্ত দাবি ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
সেই দিক থেকে, রানি ভিক্টোরিয়া হীরাটির গর্বিত মালিক ছিলেন। ভিক্টোরিয়া একটি ব্রোচ হিসেবে কোহিনূর পরতেন, পরে এটি ক্রাউন অলঙ্কারের একটি অংশে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন