ভারত
রেলের ৪৩৩ মিলিয়ন ডলারের দুটি উন্নয়ন প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ রেলওয়ের নুতন দুটি প্রকল্পের কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রকল্প দুটি হলো-‘খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনের মধ্যে ডাবল লাইন রেল ট্র্যাক নির্মাণ’ ও ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর-কাউনিয়া সেকশনে মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ লাইনে রূপান্তর’।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেলভবনে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
উভয় প্রকল্পই ভারত সরকারের দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি)-এর অধীনে বাংলাদেশ সরকারকে প্রদত্ত দুই বিলিয়ন ডলার রেয়াতি ঋণের সহায়তায় সূচিত হতে যাচ্ছে। ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিট পোর্টফোলিও’র প্রায় এক-চতুর্থাংশ নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার।
এছাড়া খুলনা-দর্শনা রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে মোট ৩১২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই রেললাইনের মোট দৈর্ঘ্য হল ১২৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার (ডাবল লাইন) যার মাঝে রয়েছে ১৪ দশমিক ৪০ কিলোমিটার লুপ লাইন এবং ১৪৭টি গার্ডার ব্রিজ ও কালভার্ট। এই প্রকল্পটি খুলনা-ঢাকা, খুলনা-চিলাহাটি, খুলনা-রাজশাহী রুটে এবং মোংলা বন্দর ও দর্শনা-গেদের মধ্যে যোগাযোগকে উন্নত করার পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
এটি হরিয়ান, ভেড়ামারা, সান্তাহার, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশন, আমানুরা, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও এবং রংপুরে প্রস্তাবিত জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহে জ্বালানি পরিবহনকে সহজ করে দেবে।
কনসালটেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে এসটিইউপি কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড, এএআরভিইই অ্যাসোসিয়েটস্ আর্কিটেক্টস্ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টস্ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে (বাংলাদেশি অংশীদার)।
পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে মোট ১২০.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল পার্বতীপুর এবং কাউনিয়া জংশনের মধ্যে ৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা যার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট-কাউনিয়া-রংপুর-পার্বতীপুর-কাঞ্চন-পঞ্চগড় সেকশন, কাঞ্চন-বিরল সীমান্ত সেকশন এবং শান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-রংপুর-পার্বতীপুর-কাঞ্চন-পঞ্চগড় করিডোর অংশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও লাইনের পরিবহন ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটবে। এটি বিরল সীমান্ত দিয়ে আন্তসীমান্ত যাতায়াত সহজ করতেও সহায়তা করবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে খুলনা অঞ্চল থেকে সরাসরি রংপুর বিভাগে জ্বালানি পরিবহন করা যাবে। কনসালটেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে এসটিইউপি কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড, এএআরভিইই অ্যাসোসিয়েটস্ আর্কিটেক্টস্ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টস্ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে (বাংলাদেশি অংশীদার)।
ভারত সরকারের রেয়াতযোগ্য লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে পরিচালিত এই গুরুত্বপূর্ণ রেল সংযোগ প্রকল্পসমূহের জন্য কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সমগ্র অঞ্চলের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ, এক ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ
ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু জুনে: রেলমন্ত্রী
যৌথ নদী কমিশন: ঢাকা, দিল্লি পানি-বন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশ ও ভারত তিস্তা ও গঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর ‘পানি বণ্টন চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যা’- নিয়ে আলোচনা করেছে।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে দুই দেশ পানি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে।
জেআরসি সভায় বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের জলশক্তি (পানি সম্পদ) মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
এর আগে চলতি বছর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম রাউন্ডের বৈঠকে, বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটিতে শনিবার নদী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোমেন ও জয়শঙ্কর
বরিশালে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে নিখোঁজ তরুণের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ: শ্রিংলা
ভারতের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ক সমন্বয়ক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা মঙ্গলবার বলেছেন, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি গত এক দশকে দুই দেশের অর্জন এবং দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ওপর আলোচনা করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, ‘ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই বিশেষ এবং চিরন্তন।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর যে অতন্ত ইতিবাচক ফল আনবে তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ওপর বিশেষ বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে সাবেক দুই পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইসিডব্লিউএর ডিজি বিজয় ঠাকুর সিং স্বগত বক্তব্য দেন।
শ্রিংলা সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা করেন যা উভয় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রয়োজন বলে ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, এটি দুই দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রিংলা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই ঘনিষ্ঠ ও অনন্য সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি উভয় দেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক নীতির সাথে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানে ভুল করে একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দায়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তদন্ত আদালত কর্তৃক অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ার পর মঙ্গলবার তাদের বরখাস্ত করা হলো।
গত ৯ মার্চ ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্য পাঞ্জাবের বিমান ঘাঁটি থেকে দুর্ঘটনাজনিতভাবে একটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অভ্যন্তরে পতিত হয়েছিল।
এরপর ১১ মার্চ ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলে, ‘৯ মার্চে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হয়। ভারত সরকার বিষয়টি কঠোরভাবে দেখছে এবং উচ্চ পর্যায়ের আদালতের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।’
সূত্র বলছে, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য বিমানবাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং বরখাস্ত করে।
এই দুর্ঘটনার পরদিন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার বলেছিলেন, ‘৯ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে ভারতের অভ্যন্তর থেকে একটি উচ্চ গতিসম্পন্ন বস্তু উড়ে এসেছে পাকিস্তানে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিক গতিপথ বিচ্যুত হয়ে এটি পাকিস্তান সীমায় প্রবেশ করে পাকিস্তানেই আছড়ে পড়ে। ফলে কোনো মানুষ হতাহত না হলেও সাধারণ মানুষের কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিতর্কিত কাশ্মীর এলাকাকে ঘিরে ১৯৪৭ সাল থেকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত কমপক্ষে তিনবার বড় ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
আমি নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারকে কিছু বলিনি: ড. মোমেন
আসামে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে
ভারতের আসাম রাজ্যের রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করার কথা নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ভারতের একটি প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নীতিগতভাবে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
বৈঠকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরসহ রপ্তানির বিষয়টি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে এ বিষয়ে ঢাকায় কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।মেঘালয় রাজ্য সরকারের যুগ্মসচিব (আইটি) কুমবামুট লাং ননগরি আজকের বৈঠকে অসমীয়া প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়ে কোনও সমস্যা নেই, আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পরও হাতে যথেষ্ট পরিমান ব্যান্ডউদথ আছে ও থাকবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
মন্ত্রী বলেন, দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব ও ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের কাজ শুরু করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত আরও প্রায় ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে আরও ৩৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হচ্ছে অর্থাৎ বর্তমানে বিদ্যমান ক্যাপাসিটির চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি।
আসামে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির যথাযথ প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিলেটের তামাবিল থেকে মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে গুয়াহাটিতে আসাম নিজস্ব ব্যয়ে ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করবে। এজন্য বাংলাদেশ তামাবিল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে বিকল্প লাইন স্থাপন করবে বলে মন্ত্রী প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক আখ্যায়িত করে দেশের মানুষের ডিজিটাল জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৮০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন-আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজার শ্যামল সরকার, আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের কনসালটেন্ট সিআর ডেকা, দীপংকর চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশ থেকে ২০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করে। ১০ জিবিপিএস দিয়ে আমদানি শুরু করলেও সম্প্রতি তা বেড়ে ২০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্তর থেকে সকলকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
ট্রলারডুবি: দেশে ফেরা অনিশ্চিত ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলের
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে ট্রলার মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও স্বজনরা।
স্বজন ও ট্রলার মালিকরা বলেন, সাগরে থাকলে হয়তো ভাসতে ভাসতে এলেও অন্তত লাশটাও আসতো। এখন তো বেঁচে থেকেও না বাঁচার মতো। এযাবৎকাল বাংলাদেশি জেলে জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করলে ফেরতের বিপরীতে স্থান হয় কারাগারে। যার কারণে বরাবরের মতো এবারও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
কিছুদিন আগে সাগর উত্তাল হওয়ায় অনেক ট্রলার ডুবি এবং জেলে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে পাথরঘাটার ৪৪ জন জেলে ভারতে অবস্থান করছেন।
এসব জেলেদের ফিরিয়ে আনতে জেলে এবং ট্রলার মালিকদের পক্ষে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ভারতে আছেন। কিন্তু জেলেদের ফিরিয়ে আনা তো দূরের কথা, অসুস্থ জেলেদের দেখতেও দেয়নি। আপাতত জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলে দেশে ফিরিয়ে আনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মৎস্যজীবী নেতাদের মতে, বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এ যাত্রায়ও ভারত বাংলাদেশি জেলেদের প্রতি মায়া দেখাবে না।
বিগত বছরে নানা দুর্যোগে সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার অপরাধে শত শত জেলে এখনও ভারতের কারাগারে আছে। অথচ ঠিক এমন দুর্যোগে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশে এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী মোবাইল ফোনে জানান, সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনার পর পরই আমি ভারতে আসি জেলেদের ফিরিয়ে নিতে। অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের দেখাও দিতে দেয়নি। বরাবরের মতো এবারও তারা একই আচরণ করছে।
আরও্র পড়ুন:ডাকাতিয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেন, জেলেদের আকুতি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলেদের দেশে পাঠানোর ব্যাপারে আন্তরিক। তবে দু'দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা জরুরি বলে মতামত দেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বহু বছর ধরে ভারতে আটকে থাকা জেলেদের ফেরত দিতে অনেক আন্দোলন, স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা মৎস্য বিভাগ এবং ট্রলার মালিক সমিতিতে জেলেদের তালিকা চেয়েছি। তালিকা পেলেই আমরা তাদের আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৩
রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল: ট্রলারডুবির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতের চারটি রাজ্যে শুক্রবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা রবিবার জানিয়েছেন।
এর মধ্যে শুধু হিমাচল প্রদেশে গত ৩৬ ঘণ্টায় ২২ জন নিহত হয়েছে। সেখানে সেতু এবং বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন সিনিয়র দুর্যোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মান্দি, কাংড়া এবং চাম্বা জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১০ জন নিখোঁজ বলেও জানা গেছে।’
তিনি বলেন, বন্যায় মান্দিতে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো হিমাচলের উদ্ধার অভিযানের ফুটেজ প্রচার করেছে। তবে অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণে কারণে উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ভারতের বিরোধী দলীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যু খবরে শোক জানিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ দেয়ার জন্য হিমাচল সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
গান্ধী আজ সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভূমিধস ও বন্যার কারণে হিমাচল প্রদেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।’
হিমাচল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উত্তরাখণ্ড এবং পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা থেকে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝাড়খণ্ডে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তরাখণ্ড রাজ্য জুড়ে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন ওড়িশার বাসিন্দা।
পড়ুন: উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার ঝুঁকিতে
ইরানে বন্যায় ২১ জন নিহত, ৩ জন নিখোঁজ
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে সফরকারী ভারত।
শনিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ৩৮.১ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ২৫.৪ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে শন উইলিয়ামস ৪২ এবং রায়ান বার্ল অপরাজিত ৩৯ রান করেন। ভারতের পক্ষে পেসার শার্দুল ঠাকুর ৩৮ রানে তিন উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক কেএল রাহুলকে হারায় ভারত। এরপর অভিজ্ঞ ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং শুভমান গিল দুজনেই ৩৩ রান করে করেন।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। এর ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
একই মাঠে সোমবার দু’দলের মধ্যে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
পড়ুন: সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি দলের পরামর্শক নিয়োগ
নাঈমের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয় পেল বাংলাদেশ
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এরূপ বক্তব্য আমাদের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বিব্রতকর। এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের গুণীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি অনুরোধ করেছেন।
হিন্দু ধর্মের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, দেবতা কৃষ্ণ দুষ্টকে ধ্বংস করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে দুষ্টরা নিরাপত্তা পাচ্ছে আর ভালোরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল সংখ্যালঘুরা নয় মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সৎ মানুষরা চাকুরি পাচ্ছে না এবং আদর্শিক মানুষ ব্যবসাও করতে পারছে না।’
অনেক মানুষ বাঁচার জন্য দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ ও বিচার।’
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। যদি কেউ এর সমালোচনা করে তাহলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সমালোচনা সহ্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয় তুললেই সরকার হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়। ‘ফলশ্রুতিতে বিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছি।’
নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে একটি ট্রাক্টর ও দ্রুতগামী ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন তীর্থযাত্রী নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে শনিবার পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে রাজ্যের রাজধানী জয়পুর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পালি জেলার সুমিরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ট্রাক্টরটি জয়সালমির জেলা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল। সুমিরপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন তীর্থযাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছে।
টুইটে মোদি বলেন, ‘রাজস্থানের পালিতে দুর্ঘটনাটি দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেতনা রইলো। আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’
পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত