ভারত
আসামে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে
ভারতের আসাম রাজ্যের রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করার কথা নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ভারতের একটি প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নীতিগতভাবে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
বৈঠকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরসহ রপ্তানির বিষয়টি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে এ বিষয়ে ঢাকায় কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।মেঘালয় রাজ্য সরকারের যুগ্মসচিব (আইটি) কুমবামুট লাং ননগরি আজকের বৈঠকে অসমীয়া প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়ে কোনও সমস্যা নেই, আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পরও হাতে যথেষ্ট পরিমান ব্যান্ডউদথ আছে ও থাকবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
মন্ত্রী বলেন, দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব ও ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের কাজ শুরু করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত আরও প্রায় ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে আরও ৩৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হচ্ছে অর্থাৎ বর্তমানে বিদ্যমান ক্যাপাসিটির চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি।
আসামে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির যথাযথ প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিলেটের তামাবিল থেকে মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে গুয়াহাটিতে আসাম নিজস্ব ব্যয়ে ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করবে। এজন্য বাংলাদেশ তামাবিল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে বিকল্প লাইন স্থাপন করবে বলে মন্ত্রী প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক আখ্যায়িত করে দেশের মানুষের ডিজিটাল জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৮০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন-আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজার শ্যামল সরকার, আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের কনসালটেন্ট সিআর ডেকা, দীপংকর চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশ থেকে ২০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করে। ১০ জিবিপিএস দিয়ে আমদানি শুরু করলেও সম্প্রতি তা বেড়ে ২০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্তর থেকে সকলকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
ট্রলারডুবি: দেশে ফেরা অনিশ্চিত ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলের
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে ট্রলার মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও স্বজনরা।
স্বজন ও ট্রলার মালিকরা বলেন, সাগরে থাকলে হয়তো ভাসতে ভাসতে এলেও অন্তত লাশটাও আসতো। এখন তো বেঁচে থেকেও না বাঁচার মতো। এযাবৎকাল বাংলাদেশি জেলে জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করলে ফেরতের বিপরীতে স্থান হয় কারাগারে। যার কারণে বরাবরের মতো এবারও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
কিছুদিন আগে সাগর উত্তাল হওয়ায় অনেক ট্রলার ডুবি এবং জেলে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে পাথরঘাটার ৪৪ জন জেলে ভারতে অবস্থান করছেন।
এসব জেলেদের ফিরিয়ে আনতে জেলে এবং ট্রলার মালিকদের পক্ষে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ভারতে আছেন। কিন্তু জেলেদের ফিরিয়ে আনা তো দূরের কথা, অসুস্থ জেলেদের দেখতেও দেয়নি। আপাতত জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলে দেশে ফিরিয়ে আনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মৎস্যজীবী নেতাদের মতে, বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এ যাত্রায়ও ভারত বাংলাদেশি জেলেদের প্রতি মায়া দেখাবে না।
বিগত বছরে নানা দুর্যোগে সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার অপরাধে শত শত জেলে এখনও ভারতের কারাগারে আছে। অথচ ঠিক এমন দুর্যোগে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশে এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী মোবাইল ফোনে জানান, সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনার পর পরই আমি ভারতে আসি জেলেদের ফিরিয়ে নিতে। অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের দেখাও দিতে দেয়নি। বরাবরের মতো এবারও তারা একই আচরণ করছে।
আরও্র পড়ুন:ডাকাতিয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেন, জেলেদের আকুতি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলেদের দেশে পাঠানোর ব্যাপারে আন্তরিক। তবে দু'দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা জরুরি বলে মতামত দেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বহু বছর ধরে ভারতে আটকে থাকা জেলেদের ফেরত দিতে অনেক আন্দোলন, স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা মৎস্য বিভাগ এবং ট্রলার মালিক সমিতিতে জেলেদের তালিকা চেয়েছি। তালিকা পেলেই আমরা তাদের আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৩
রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল: ট্রলারডুবির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতের চারটি রাজ্যে শুক্রবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা রবিবার জানিয়েছেন।
এর মধ্যে শুধু হিমাচল প্রদেশে গত ৩৬ ঘণ্টায় ২২ জন নিহত হয়েছে। সেখানে সেতু এবং বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন সিনিয়র দুর্যোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মান্দি, কাংড়া এবং চাম্বা জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১০ জন নিখোঁজ বলেও জানা গেছে।’
তিনি বলেন, বন্যায় মান্দিতে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো হিমাচলের উদ্ধার অভিযানের ফুটেজ প্রচার করেছে। তবে অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণে কারণে উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ভারতের বিরোধী দলীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যু খবরে শোক জানিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ দেয়ার জন্য হিমাচল সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
গান্ধী আজ সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভূমিধস ও বন্যার কারণে হিমাচল প্রদেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।’
হিমাচল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উত্তরাখণ্ড এবং পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা থেকে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝাড়খণ্ডে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তরাখণ্ড রাজ্য জুড়ে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন ওড়িশার বাসিন্দা।
পড়ুন: উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার ঝুঁকিতে
ইরানে বন্যায় ২১ জন নিহত, ৩ জন নিখোঁজ
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে সফরকারী ভারত।
শনিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ৩৮.১ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ২৫.৪ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে শন উইলিয়ামস ৪২ এবং রায়ান বার্ল অপরাজিত ৩৯ রান করেন। ভারতের পক্ষে পেসার শার্দুল ঠাকুর ৩৮ রানে তিন উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক কেএল রাহুলকে হারায় ভারত। এরপর অভিজ্ঞ ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং শুভমান গিল দুজনেই ৩৩ রান করে করেন।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। এর ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
একই মাঠে সোমবার দু’দলের মধ্যে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
পড়ুন: সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি দলের পরামর্শক নিয়োগ
নাঈমের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয় পেল বাংলাদেশ
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এরূপ বক্তব্য আমাদের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বিব্রতকর। এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের গুণীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি অনুরোধ করেছেন।
হিন্দু ধর্মের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, দেবতা কৃষ্ণ দুষ্টকে ধ্বংস করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে দুষ্টরা নিরাপত্তা পাচ্ছে আর ভালোরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল সংখ্যালঘুরা নয় মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সৎ মানুষরা চাকুরি পাচ্ছে না এবং আদর্শিক মানুষ ব্যবসাও করতে পারছে না।’
অনেক মানুষ বাঁচার জন্য দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ ও বিচার।’
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। যদি কেউ এর সমালোচনা করে তাহলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সমালোচনা সহ্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয় তুললেই সরকার হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়। ‘ফলশ্রুতিতে বিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছি।’
নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে একটি ট্রাক্টর ও দ্রুতগামী ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন তীর্থযাত্রী নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে শনিবার পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে রাজ্যের রাজধানী জয়পুর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পালি জেলার সুমিরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ট্রাক্টরটি জয়সালমির জেলা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল। সুমিরপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন তীর্থযাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছে।
টুইটে মোদি বলেন, ‘রাজস্থানের পালিতে দুর্ঘটনাটি দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেতনা রইলো। আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’
পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের 'দয়ায়' ক্ষমতায় আছে কিনা প্রশ্ন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সমর্থন চাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক সমাবেশ থেকে মন্ত্রীরা বিভিন্ন হুমকি দিয়েছেন। আপনারা যখন এত হুমকি দিচ্ছেন, তখন কেন আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের সরকার এবং আপনাদের প্রধানমন্ত্রীকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সাহায্য চাইছেন?’
সোমবার এক আলোচনা সভায় এই বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
আরও পড়ুন: ভারতকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায়ে সাহায্য করতে বলেছিলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তাদের দল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সরকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারত সরকারের কাছেও জানতে চাই যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তার অর্থ কী? তার মানে কি এই সরকার ভারতের সমর্থনে টিকে আছে? মানুষ এর অর্থ জানতে চায়। এটা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সত্যিই স্বাধীন রাষ্ট্র হবে কি না, বাংলাদেশ সত্যিই একটি গণতান্ত্রিক দেশ হবে কি না এবং বাংলাদেশের জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার হরণ করেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করে জনগণকে ভোট ও নির্বাচিত করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় থাকতে পারেন তার জন্য তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন বিদেশি শক্তির শক্তিতে বলীয়ান নয়, আমরা বাংলাদেশের জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। সমস্ত বৈদেশিক রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু।
তিনি বলেন, 'এই দেশে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক শক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সুতরাং যারা অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বের হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বিশ্ব থাকতে পারে না।'
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য আওয়ামী লীগকে নাকি বিদেশি শক্তি টিকিয়ে রেখেছে -এ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ, জনগণের শক্তিতেই আমরা বলীয়ান। বিএনপির পৃষ্টপোষকতায় সারাদেশের ৫০০ জায়গায় বোমা ফোটানোর প্রতিবাদে ১৭ আগস্ট সমগ্র দেশব্যাপী আমরা বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম। এটা ছিল ট্রায়াল মাত্র। কিন্তু গতকাল মির্জা ফখরুল সাহেবের যে সংবাদ সম্মেলন তাতে আমার মনে হল ট্রায়াল দেখেই তারা ভয় পেয়ে গেছে। আমরা মাত্র রিহার্সেল দিয়েছি, ফাইনালি নামব আগামী মাসে, তখন তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্কের তুলনা হয়না: তথ্যমন্ত্রী
১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনকে জবাই করা হয়েছিল। কিন্তু কারবালার প্রান্তরে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি, তাদের সবাইকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, চার বছরের সুকান্ত বাবু, ১১ বছরের বেবি সেরনিয়াবাতকে হত্যা করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা বেগম আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন প্রকৃতপক্ষে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারসহ সকল কুশীলব ও এর পটভূমি রচয়িতাদের মুখোশ উন্মোচন ও বিচারকের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঠিক ইতিহাস জানানো আমাদের দায়িত্ব।'
সভার আয়োজক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালামের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, স্বজন কুমার তালুকদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দলকে সমর্থন দিতে ভারতকে কখনও অনুরোধ করেনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং আসার জন্য ভারতকে কখনও অনুরোধ করেনি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এটি কারো ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে।’
শুক্রবার রাজধানীর পলাশী মোড়ে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বৈরি সম্পর্ক নেই এবং অতীতে ভারতের সঙ্গে শত্রুতার কারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়নি।
যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করেছে তারা দুর্বৃত্ত, যোগ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত করার এখতিয়ার নেই: কাদের
রাজপথ দখলের হুমকির জন্য বিএনপির নিন্দা কাদেরের
ভারতকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায়ে সাহায্য করতে বলেছিলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চান উল্লেখ করে তিনি ভারত সরকারকে বলেছেন, ভারত বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করলে বাংলাদেশ খুশি হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামে তিনি কী বলতে চেয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চাই। আমরা কোনো অস্থিরতা চাই না। আমরা যদি এটি করতে পারি (স্থিতিশীলতা বজায় রাখা) তবে আমাদের সম্পর্কের এই সোনালি অধ্যায় যথার্থ হবে।’
শুক্রবার এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন।
মোমেন বলেন, তিনি জানিয়েছিলেন (ভারত সরকারকে) বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই কিছু দুষ্টু লোক আছে যারা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে এবং তিলকে তাল করে (ছোটখাটো বিষয়কে বড় করে তুলতে উসকানি দেয়)।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের সরকারেরই দায়িত্ব হবে তিলকে তাল করার সুযোগ সৃষ্টি করতে না দেয়া। আমরা যদি তা করতে পারি, তাহলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকবে এবং কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা (ক্ষমতায়) আছেন বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে এবং উনি আছেন বলেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে।’
আরও পড়ুন: মিডিয়াকে সহনশীল হওয়ার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে সবার জন্যই ভালো। বাংলাদেশে সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে।’
মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ক্ষমতায়) থাকলেই বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা থাকে এবং স্থিতিশীলতা থাকলেই উন্নয়নের যাত্রা নিরবচ্ছিন্ন থাকে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী তাকে যা বলেছিলেন তিনি ভারত সরকারকে ঠিক তাই জানিয়েছিলেন।
মোমেন বলেন, ‘ভারতে গিয়ে আমি বলেছিলাম আপনার আসামের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার জিরো টলারেন্স টু টেরোরিজম নীতি ও বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের হাব হতে পারে না-এমন ঘোষণার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স টু টেরোরিজম ঘোষণার পরে আসাম ও আশপাশের এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নেই। এর ফলে আসামে বিনিয়োগ বৃদ্ধি হয়েছে এবং এর ফলে তাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
মোমেন বলেন, ‘আমি ভারত সরকারকে জানিয়েছি যে আপনার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন শেখ হাসিনা থাকায় সেখানে স্থিতিশীলতা আছে। এতে দুই পক্ষই লাভবান হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার মোমেন বলেন, বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করতে তিনি ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু জাতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি ভারত সরকারকে বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাহলেই দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটা দেশ হবে।’
হিন্দুদের অন্যতম বড় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোমেন আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারকে সরাতে কেউ যদি দেশকে অস্থিতিশীলতার পথে নিয়ে যায়, তাহলে তা বিপদের। তাই আমরা সবাই স্থিতিশীলতা চাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি ভারত সরকারকে বলেছেন আমরা এমনভাবে কাজ করব যাতে আমাদের কোন কারণে কোন উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকে কখনও প্রশ্রয় দেব না। এটা যদি আমরা করতে পারি, ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের মঙ্গল।’
মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় ভারতকে তার সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয় না।
তিনি বলেন, আর আমাদের উন্নতি হচ্ছে বলে ভারতে লোক যায়। ২৮ লাখ লোক আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর ভারতে বেড়াতে যায়। ভারতের কয়েক লাখ লোক আমাদের দেশে কাজ করে। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সোনালী অধ্যায়ের ফলে। সুতরাং আমরা কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কাজ করব না।
সে কারণে মোমেন বলেন, তিনি ভারত সরকারকে শেখ হাসিনাকে সমর্থন অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেছেন। কারণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা দুই দেশের জন্য সুফল বয়ে আনে।
আরও পড়ুন: ‘বেহেশতে আছি’ মন্তব্যের ফের ব্যাখ্যা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী