অর্থ সহায়তা
বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিহত জেলে পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান
বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবনের দুবলারচরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮ মাছ ধরা ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ সাত জেলের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ট্রলার ডুবিতে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের লাশ উদ্ধার
এব্যাপারে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে বাগেরহাটর যে কয়জন জেলে মারা গেছে তাদের প্রত্যেক পরিবারক ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহীদের এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অপর নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে প্রতিদিন উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে শোকের মাতম
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রতিদিন ১২ হাজারের বেশি ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবনের দুবলারচরের বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমে ঝড়ের তাণ্ডবে দেড় শতাধিক জেলেকে নিয়ে ১৮টি মাছ ধরা ট্রলার ডুবে যায়। প্রায় দেড়শত জেলে সাঁতরিয়ে এবং অন্য ট্রলারের সাহায্যে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও কমপক্ষে ১৪ জেলে নিখোঁজ হন।
কৃষিতে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে অর্থ সহায়তার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশের কৃষিতে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তায় বিশ্ব ব্যাংকসহ বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়েছন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার স্থানীয় সময় বিকালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ‘ডায়ালগ অন প্রসপেক্ট অব সোলার পাওয়ার্ড ইরিগেশন টু ইনহেন্স ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স ইন দ্য এগ্রিকালচার সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
সেচ কাজে ডিজেল চালিত পাম্পের পরিবর্তে সোলার প্যানেল ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহিষ্ণু, ব্যয় সাশ্রয়ী,পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি হিসেবে দেশে-বিদেশে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বেড়েছে। প্রতি বছর দেশে সেচের জন্য এক লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল চালিত পাম্প ব্যবহার হচ্ছে। এতে বছরে ডিজেল চালিত সেচ পাম্পে এক লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি ডিজেল ব্যবহার হচ্ছে। ডিজেল চালিত সেচ পাম্পকে সোলার প্যানেলে পরিণত করা গেলে বছরে সাশ্রয় হবে এক লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল।
মন্ত্রী বলেন, ডিজেল চালিত পাম্পের পরিবর্তে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়ানো গেলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা পাবে অন্যদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং কার্বন নিঃসরণ কমবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৬ সম্মেলনে ‘লস ও ড্যামেজ’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
তিনি বলেন, ডিজেল চালিত পাম্প মাঝে মাঝে নষ্ট হয়। এ জন্য কৃষককে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে তা মেরামত করতে হয়। কিন্তু একটি সোলার প্যানেল নিরবিচ্ছিন্নভাবে ২০ বছর ব্যবহার করা যাবে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন,ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর প্রক্রিয়ার মতোই ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পরিবর্তে সোলার প্যানেল ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেচ পাম্পে ডিজেলের পরিবর্তে সোলার প্যানেল ব্যবহার গুরুত্ব দিয়ে এর ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইটকল সেচে সোলার প্যানেল স্থাপনের কাজ করে আসছে। সরকারি নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ৪৪৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৭৮৯টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রেটিজিক অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করে কাজ করে আসছে। এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি নিরসনে এই অ্যাকশন প্ল্যান বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই জলবায়ু ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশ বিশ্ব রোল মডেল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহের অনুদান, সহজ ঋণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সফলভাবে এক হাজার ৫১৫টি সৌর চালিত পাম্প স্থাপন করেছে ইটকল। ইটকলের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু তহবিল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো দেশে সৌর সেচ কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য অর্থ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানির দক্ষতার উন্নয়নে ইটকলের অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিশ্রুতি অর্জনে একটি সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে। আমাদের এনডিসি প্রতিশ্রুতি কেবল কার্বন নিঃসরণ কমাতেই নয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। জীবনের জন্য আমাদের বিনিয়োগ, গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সবুজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ইটকলের আয়োজনে ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিশ্বব্যাংক,জ্যাইকা,এডিবি,ইউএসএআইডি,ইউএনডিপি,জিইএফসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
করোনার প্রথম আঘাতের মতো এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কর্মসংস্থান হারানো ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনায় মৃত্যু মিছিলের মধ্যেই চলমান লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে নিরলস চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যেই করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ-এ প্রান্তিক জনগণের কষ্ট-দুর্দশা দূর করতে সরকার ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিম্ন-আয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ইউএনবিকে জানান, আগামী রবিবার (২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী এই অর্থ সহায়তার কার্যক্রম শুরু করবেন।
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে অর্থসহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গতবছরও করোনার প্রথম প্রকোপের সময় সরকার সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করে।
পিএমও সচিব জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে সরাসরি অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী কোভিড সঙ্কট: দ্রুত পুনরুদ্ধারে ইএসসিএপি-কে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ শেখ হাসিনার
দেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর কর্মহীন হয়ে পড়ে সমাজের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রান্তিক শ্রেণীর অসহায় জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবেই মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে ৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
পিএমও সচিব বলেন, অন্যান্য অর্থ সহায়তার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের জরুরি সাহায্যের জন্য প্রত্যেক জেলার ডিসিদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সচিব আরও বলেন, করোনার আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নিজ উদ্যোগে ১০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
এছাড়া সরকারি তথ্য সেবা ৩৩৩-হেল্প লাইন সেন্টারের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন জানান, সমাজরে মধ্যবিত্ত মানুষের কথা মাথায় রেখেই সরকার এই সেবা চালু করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ সংকোচ না করে হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়া হলে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন সাহায্যপ্রার্থীর পরিচয় গোপন রেখে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেবে।
কুড়িগ্রামে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভাঙনকবলিতদের আগাম পূর্বাভাস
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবের ইউনিয়ন ও চর রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ১৫ গ্রামে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভাঙনকবলিতদের আগাম পূর্বাভাস দেয়াসহ তাদের স্থানান্তরের জন্য নগদ ২১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়াবিদদের অর্থ সহায়তা দিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়া সাংবাদিক ও সংগঠকদের আর্থিক সহায়তায় প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার চেক বিতরণ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
ঝালকাঠিতে ২৫০ কর্মহীনকে অর্থ সহায়তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী
ঝালকাঠির নলছিটিতে করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া ২৫০ জন দুস্থ মানুষকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নুরুজ্জামান নান্না।
মানিকগঞ্জে ৫০০ দুস্থ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিল সিজেডএম
মানিকগঞ্জে করোনাভাইরাসের প্রভাবে অসহায় দুস্থ ৫০০ পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা দিয়েছে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)।