মুদি দোকানি
চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে উপজাতি এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মো. রফিক নামে এক মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রফিক (৩৮) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার পূর্ব সোনাই গ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর স্পেশাল পিপি এমএ নাসের চৌধুরী বলেন, মামলাটিতে আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নে পূর্ব সোনাই এলাকার ওই (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) তরুণীর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে মো. রফিক মুদির দোকান করতেন। সেখান থেকে তরুণী বিভিন্ন সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনার জন্য আসা-যাওয়া করতেন। ২০১৭ সালে ২৬ মার্চ থেকে অনুমানিক ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সকালে দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গেলে দোকানে কোন লোকজন না থাকায় তরুণীকে মুখ চেপে ধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। দোকানের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে আসামি। তরুণীকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলে এবং গোপন রাখলে তরুণীকে বিয়ে করবে বলেও আশ্বাস দেয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে দোকানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একসময় গিয়ে তরুণী মানসিকভাবে বিমর্ষ ও মন খারাপ করার কারণ জিজ্ঞেস করে মা। তরুণীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে একপর্যায়ে সে জানায় বাড়ির পাশের মুদির দোকানি মো. রফিক ধর্ষণ করেছে। তখন তরুণী পাঁচ থেকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এই ঘটনায় তরুণীর জেঠাতো ভাই বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট ভুজপুর থানায় মামলা করেন।
এই মামলায় আদালত আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
মীরসরাইয়ে একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার, আটক ২
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিন জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম সোনা পাহাড় নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- স্থানীয় মুদি দোকানি মো. মোস্তফা সওদাগর (৬৭), তার স্ত্রী জোসনারা বেগম (৫৫) এবং তাদের ছেলে আহমদ হোসেন (২৫)।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূর হোসেন মামুন বলেন, গ্রামবাসীর দেয়া খবরের ভিত্তিতে ভোরে একই পরিবারের তিন জনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিন জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটি ডাকাতি না পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। বাড়িতে থাকা মোস্তফার বড় ছেলে সাদ্দাম ও তার স্ত্রী আইনুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
পড়ুন: ‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
যশোরে পেট্রল ঢেলে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
গাজীপুরে মেয়েসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা
চট্টগ্রামে নিজ দোকানে ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মন্দাকিনী এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খুন হয়েছেন মোহাম্মদ সরোয়ার আজম (২৬) নামে এক মুদি দোকানি।
মঙ্গলবার রাতের কোনও এক সময়ে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মন্দাকিনী এলাকায় নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দুর্বৃত্তরা তাকে জবাই করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধ মাতব্বরকে কুপিয়ে ‘হত্যা’
নিহত আজম ওই এলাকার মৃত মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলমের পুত্র।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় দিনেদুপুরে ঘরে ঢুকে বন্ধুকে জবাই করে হত্যা!
স্থানীয় সূত্র জানায়, সরোয়ার আজম প্রতিদিনের মত দিনভর ব্যবসা করে রাতে দোকানে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে না উঠায় পাশের লোকজন তাকে ডাক দেয়। ডেকে কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে লোকজন দরজা খুলে দেখতে পায় সরোয়ারের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।
পরে স্থানীয় জনগণ এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সারোয়ারের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: রংপুরে মেয়েকে জবাই করে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর ভুঁইয়া বলেন, নিহত আজম রাতে নিজ দোকানে ঘুমিয়েছিলেন। বুধবার সকালে স্থানীয়রা তাকে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া না পেয়ে দোকানের টিনের চাল খুলে গলা কাটা অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে আমরা মরদেহ উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শৈলকুপায় মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সুবিদ্দা গোবিন্দপুর গ্রামে বরিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।