নতুন শনাক্ত
করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১৪ মৃত্যু
খুলনার তিন হাসপাতালে করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১২ জন ও উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আটজন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- রূপসার সুফিয়া (৪৫), নগরীর সোনাডাঙ্গার আসাদুল হক (৭৫), খালিশপুরের শাহারা বেগম (৬৫), আফিলগেটের নাজির আহমেদ (৭০), খুলনার রাজিয়া (৫০) ও যশোরের এমএ খলিল (৮০)। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৩ জন। এর মধ্যে রেড জোনে ১২১ জন, ইয়ালো জোনে ৩৬, আইসিইউতে ১৯ ও এইচডিইউতে ১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৭ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ জন।
বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গা মেইন রোড এলাকার আরোয়া ফকরুদ্দীন (৪৪) ও যশোর কেশবপুরের মঞ্জুয়ারা বেগম (৫০)।
তিনি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৩৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন আট ও এইচডিইউতে ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ৩৬০, মৃত্যু ৫
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নগরীর ডালমিল মোড় এলাকার গোলাম কিবরিয়া (৬৮), রুপসার জীবন কৃষ্ণ পাল (৫৭) তেরখাদার মফিজুল ইসলাম (৫৫) ও অভয়নগরের জেসমিন বেগম (৪৫)।
এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭১ জন। তার মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ ও নারী ৩৭। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন রোগী। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন দুজন ও বাড়ি ফিরেছেন তিনজন।
বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ ৭১০ শনাক্ত
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ ৭১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২২হাজার ১০৯ জন।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে পিরোজপুরে দুজন, পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ঝালকাঠিতে একজন করে মারা গেছেন। এনিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত২২ হাজার ১০৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৬৪ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯৪
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২১১ জন নিয়ে মোট ৯ হাজার ৩৯৬ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৫৭ জন নিয়ে মোট ২৮৪৩ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩৫ জনসহ মোট ২২৫৬ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১৬০ জন নিয়ে মোট ৩১০৩ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৫৭ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৮৩৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১৯০ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৭৪ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ৫৯৬ জনের মধ্যে ৩০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে চার জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৯৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ৬৮ জনের করোনা ও ২৩০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে শনাক্তের হার ৬২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনেই ১৪ জন মারা গেলেন। এ পর্যন্ত জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭১ জনে। এ সময়ে নতুন করে আরও ৭০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫ হাজার ৮ জনে।
রবিবার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, নগরীর ৯টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৭০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাতজন ও উপজেলাগুলোতে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ৩৬০, মৃত্যু ৫
নগরীর নয়টি ল্যাবের মধ্যে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের ১০৬ ও উপজেলার ৭০ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ১১০ ও উপজেলার ৩২ জনের শরীরে এই জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এই দিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৬টি নমুনার মধ্যে তিন জনের পজিটিভ এসেছে।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষা করা ৪৯টি নমুনায় নগরের ৩৩ ও উপজেলার তিনটি নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের পরপরই ফলাফল প্রদানকারী এন্টিজেন টেস্টে ৬৬৮ জনের মধ্যে ২২৪ জন জীবাণুবাহক বলে জানানো হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৬১ জন ও উপজেলার ১৬৩ জন।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে রয়েছে রেকর্ডসংখ্যক ৪১৬ জন এবং উপজেলাগুলোতে ২৯৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ ৫৪ জন, হাটহাজারীর ৪৮, মিরসরাইয়ে ৩৩, রাউজানে ১৯, ফটিকছড়ির ২৩, বোয়ালখালীর ১১, রাঙ্গুনিয়ার ১৮, চন্দনাইশে ২৯, সন্দ্বীপে ১৬, সাতকানিয়ার ১৫, পটিয়ার ১৪, বাঁশখালীর আট, লোহাগাড়ায় চার ও আনোয়ারায় একজন রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৬৫ হাজার ৮ জন। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের বাসিন্দা ৫০ হাজার ১৩৪ এবং ১৪ উপজেলার ১৪ হাজার ৮৭৪ জন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৭
এদিকে, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নগরীর ৪০টিসহ মোট ৫৩টি, আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৯টি নমুনায় চট্টগ্রাম নগরের ১৮ ও উপজেলার তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অপরদিকে, বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৯টি নমুনার মধ্যে উপজেলার ছয়টিসহ ৩২টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে।
কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় করোনায় প্রতিদিনই শনাক্ত এবং মৃত্যুর নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জন মারা গেছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯৪
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। জেলার একমাত্র ২০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে বেশ কিছুদিন কোন শয্যা ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে না। শয্যা সংকটের কারণে বারান্দার মেঝেতে রোগীদের ঠাঁই হয়েছে। সেখানেও পা ফেলার কোন জায়গা নেই। আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ২৮৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৮৭ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৯৮ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, আয়া, ক্লিনারসহ জনবল ও জায়গার সংকট দেখা দিচ্ছে। এতো রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার মত সামর্থ্য এই হাসপাতালের নেই। অসংখ্য রোগীকে তারা সাপোর্ট দিতে পারছেন না। রোগীদের যে ধরনের চিকিৎসা সেবার দরকার তার ব্যবস্থা এখানে নেই। গত এক সপ্তাহে জেলায় প্রায় দুই হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, গত মাস থেকে করোনার ভয়াবহ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এটি একটি নিরূপায় পরিস্থিতি, সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
অপরদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৮৯ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ ভাগ। এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১০ হাজার ৬০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন। মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১০ জনে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৭
নতুন শনাক্তের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৭ জন, দৌলতপুরের ১৮, কুমারখালীর ১৭, ভেড়ামারার ৩৭, মিরপুরের তিন ও খোকসা উপজেলার চার জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৭ হাজার ২৮৩ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৮ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ১০৩ জন
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৭
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১৩ জনে। একই সময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১৫৭ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৯ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় নতুন করে ১৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯৯ জনের। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সদর উপজেলাতেই প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে সদরে ৭৬ জন, বালিয়াডাঙ্গীর ১৯, পীরগঞ্জের ১৯, রাণীশংকৈলে ৩০ ও হরিপুরে ১৩ জন। পীরগঞ্জে একজন ও রাণীশংকৈল একজন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৫ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ৩৬০, মৃত্যু ৫
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, শনিবার ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৭টি মামলায় বিভিন্ন জনকে মোট ১০ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯৪
এদিকে, শনিবার করোনা মহামারি মোকাবিলায় ঠাকুরগাঁও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব শরিফা খান ঠাকুরগাঁও জেলার করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে অনলাইনে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রণ করেন। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ সময় অংশগ্রহণ করেন।
সিলেটে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯৪
সিলেটে লকডাউনের মধ্যেও গত কয়েকদিন থেকে থামছে না করোনার ভয়বহতা। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৯৪ জনের। একই সময়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১১৮ জন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ছয় জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের চারজন, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের একজন করে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে ফরিদপুরে পুলিশের মসজিদভিত্তিক প্রচারণা
প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের চারটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ৩৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলার ২৬২ জন, সুনামগঞ্জের ১৩, হবিগঞ্জের ৩৫, মৌলভীবাজারের ৫৪ ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন নিয়ে এই বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ হাজার ৯৪১ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র সিলেট জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ০৯৭ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ২৪২, হবিগঞ্জে ৩ হাজার ৮৩ ও মৌলভীবাজারে ৩ হাজার ৫১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১০৪ জন, সুনামগঞ্জের চার ও মৌলভীবাজারের ১০ জন রয়েছেন। এনিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়ালো ২৪ হাজার ৭৩২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে সিলেটের ১৬, সুনামগঞ্জের সাত, মৌলভীবাজারের ১০ জন রয়েছেন। সব বিমিলিয়ে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৩৩ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৪৬৩ জন, সুনামগঞ্জে ৩৬, হবিগঞ্জে সাত ও মৌলভীবাজারে ২৭ জন।
আরও পড়ুন:বরিশাল বিভাগে একদিনে ২৮৪ জনের করোনা শনাক্ত
গত বছরের মার্চ থেকে এ বছরের ১০ জুলাই পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় ৫১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন সিলেট জেলায়। এ জেলায় করোনায় ৪১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৩৬, হবিগঞ্জে ২২ ও মৌলভীবাজারের ৪০ জন রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগে একদিনে ২৮৪ জনের করোনা শনাক্ত
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ হাজার ৩৯৯ জন।
একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনা ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৯ ও করোনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে পিরোজপুর জেলায় ৫ ও বরিশালের চার জনসহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে ৩৪৪ জন করোনায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
আরও পড়ুন: ১০ দিনে রামেকের করোনা ইউনিটে মৃত্যু ১৭১
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২১ হাজার ৩৯৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৯৪ জন। বরিশাল বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার ২ হাজার ৭৮৬ জন, ভোলার ২ হাজার ২২১, পিরোজপুরের ২ হাজার ৯৪৩ জন, বরগুনায় ১ হাজার ৭৮০ ও ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১৯ জন শনাক্ত নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৮৪ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৯ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৮৮ জনের মধ্যে ২২ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৮ মৃত্যু
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৯ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ২৩ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ২৮৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২১১ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯৯ জন করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। যার মধ্যে শনাক্তের হার ৬৫ দশমিক ৮২ শতাংশ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করোনা শনাক্ত ২৭, মোট মৃত্যু ১১৪
গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও, নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ২৭ জন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্য দাঁড়ালো ৪ হাজার ২৯৪ জনে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় করোনায় মৃত্যু ২, আক্রান্ত ১৪১
তিনি জানান, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪২২জন। আর মারা গেছেন মোট ১১৪জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ৭৫ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরও ৭ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৩২
তবে সোমবার লকডাউনের ৫ম দিনে জেলা শহরে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল অন্য দিনের তুলোনায় বেশি দেখা যায়।
বাগেরহাটে নতুন শনাক্ত ৪২
বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম দিনের লকডাউন চলছে। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সেচ্ছসেবকরা কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার সর্বত্রই সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, লকডাউনে আন্তজেলা ও উপজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। জেলার প্রবেশদারে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। সাপ্তাহিক হাট ও পশুর হাট বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট দিয়ে চলছে ভ্রম্যমাণ আদালত। একই সাথে পুলিশি টহল চলছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় করোনায় রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু ৮
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগেরহাটের অধিকাংশ রাস্তাঘাট ফাঁকাসহ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। বাসস্ট্যান্ড, দশানী, সাধনার মোড়, ট্রাফিকমোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান জানান, বিধি নিষেধ ভঙ্গ করলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধ করতে জেলায় সাতদিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কোন অবস্থাতেই বিধিনিষেধ ভঙ্গ করতে দেয়া হবে না।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, জেলার প্রবেশদারগুলোতে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে প্রবেশ ও বাহির হতে দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা এবং সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশ টহল দিচ্ছে। জারি করা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করছে।
বাগেরহাটে ক্রমশ করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর, কচুয়া, চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার সর্বত্রই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনায় একদিনের রেকর্ড মৃত্যু ১৮
এদিকে বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২ জনসহ জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২৭৯৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় ৭৩ জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ১,৮৪৩ জন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ। লকডাউন বাস্তাবায়ন করা গেলে দ্রুত সংক্রমণ কমে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নাটোরে নতুন করোনা শনাক্ত ২৮ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোর জেলায় নতুন করে ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৩৭ দশমিক ৮৩ ভাগ।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা প্রাপ্তিতে বিদেশগামী কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন
তথ্য অনুযায়ী, নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এখনও ৪২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এ অবস্থার মাঝেই শনিবার থেকে টিকা দান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত
এদিকে দ্বিতীয় দফা সাত দিনের লকডাউনের চতুর্থ দিনে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপর দেখা গেছে। প্রায় সকল ধরনের মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান বাংলাদেশের