হত্যা মামলা
সিলেটে যুবক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
দীর্ঘ ১২ বছর পর সিলেটের কানাইঘাটে যুবক শাহনেওয়াজ হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার পাত্তন গ্রামের নুরুল হক ওরফে কুঠি মাস্টারের ছেলে আবুল কাশেম উরফে মারুফ, একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে বাবুল আহমেদ, ইরফান আলীর ছেলে লোকমান, কানাইঘাট উপজেলার মালিগ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে খলিল উদ্দিন ও একই এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে দর্জি হেলাল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবক হত্যা: গ্রেপ্তার ৫
এর মধ্যে বুধবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেম ওরফে মারুফ ও দর্জি হেলাল। আসামি বাবুল আহমেদ, লোকমান ও খলিল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে কানাইঘাট উপজেলার মালিগ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে শাহনেওয়াজের পূর্ববিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১১ সালের ২৬ জুন রাত ৯টার দিকে শাহনেওয়াজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে শাহনেওয়াজের পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে কানাঘাট উপজেলার পর্বতপুর গ্রামের লাইন নদীতে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
দুই দিন পরও শাহনেওয়াজ বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার খুঁজতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যুবক হত্যা: মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে পর্বতপুর লাইন নদীর সাকোঁতে শাহনেওয়াজের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন গিয়ে শাহনেওয়াজের লাশ শনাক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত শাহনেওয়াজের পিতা ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কানাইঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর কানাইঘাট থানার এসআই এনাম উদ্দিন আহমেদ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার কাজ শুরু করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবক হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন
দীর্ঘ শুনানি ও ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার (২০ মার্চ) আদালত রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ছয়ফুল আলম, এ এস এম এ গফুর ও রমা চন্দ্র নাথ মামলাটি পরিচালনা করেন।
নরসিংদীতে মাদরাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নরসিংদীর শিবপুরে চাঞ্চল্যকর মাদরাসা ছাত্র আবুল বাশার ওরফে বাদশা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক শামিমা পারভিন এই রায় ঘোষনা করেন।
আসামি রায়হান শিবপুরের সৈয়দনগর পাঁচভাগ গ্রামের বাচ্চু মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, বাদশা স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখা পড়া করতেন। ২০০৬ সালের ১৮ জুলাই টাকার প্রয়োজনে বাদশা বাড়িতে আসে। ওই সময় বাশার তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে লাগানো কলা খেত থেকে কলার ছড়ি কাটতে যায়। এতে বাধা দেয় প্রতিবেশী বাচ্চু মোল্লা, তার ছেলে রায়হান মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
তাদের কথা উপেক্ষা করে কলার ছড়ি কাটার জেরে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মোল্লার নির্দেশে তার ছেলে রায়হান মোল্লা পেছন থেকে বাদশাকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের দাদা নুরুল ইসলাম মৃধা বাদী হয়ে রায়হান মোল্লাসহ চারজনকে আসামি করে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ রায় প্রদান করেন।
নরসিংদী জজকোর্টের আইনজীবী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী আসাদ্দুজ্জামান ওরফে জামান বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় রায়হানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলছাত্র তাজেমুল হককে (১৫) হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা আসামিরা হলেন- জেলার নাচোল উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকা আব্দুল খালেকের ছেলে রুবেল হোসেন আবীর ও নিয়ামুল হকের ছেলে হযরত আলী। এর মধ্যে হযরত আলী পলাতক।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রবিউল ইসলাম জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি অটোরিকশা চালাতেন তাজেমুল হক। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর আসামিরা ধান নিয়ে আসার কথা বলে তাজেমুল হকের অটোরিকশা ভাড়া নেয়। এরপর অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পুকুরপাড়া মোড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায় তাজেমুলকে। সেখানে তার গলায় গামছা ও রশি পেঁচিয়ে এবং ইট দিয়ে মুখ থেতলে হত্যা করে তাকে। পরে ওই ভবনেই বালুচাপা দিয়ে লাশ গুম করে।
এ ঘটনায় তাজেমুলের নানা আব্দুল ওহাব বাদী হয়ে নাচোল থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩১ মে নাচোল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রসুল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আবু হোসাইন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলী টুরার স্ত্রী মোসা. সহিদা বেগম ও ছেলে রব্বানী, একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন এবং দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম ও ছেলে রাফিউল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকালে পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ির সামনে খড়ের গাদা থেকে খড় খোলার সময় ওই গ্রামের আবু তাহেরের উপর আসামিরা হামলা চালায়। এ সময় তার ছেলে আবু হোসাইন সেখানে ছুটে যান। আসামিরা তাকেও আক্রমণ করে। তিনি গুরুতর আহত হলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে মারা যান আবু হোসাইন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
পরে এ ঘটনায় তার বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা আবু হোসাইনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে আবু হোসাইনকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় তার বাবা আবু তাহের ওই বছরের ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালেহ মোহাম্মদকে হত্যার দায়ে ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস আলী এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি হলেন- হাদিউজ্জামান , আরিফুল, আবু নাছের, শাহজাহান আলী, আশরাফ আলী, লাল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, জহির, শাসছুল আলম, সায়েম উদ্দিন, ওবাইদুল, সইম, রহিম, আবু সাঈদ, আবু বক্কর, রানু বেগম ও সাহেরা বেগম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পাঁচ আসামি। তারা হলেন- অমিছা বেগম, শহিদুল ইসলাম, বেলছি বেগম, হাফেজা ফকির ও সবদুল ফকির। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৯ সালের ২ মে সকাল ৮টার দিকে সালেহ মোহাম্মদকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আসামিরা। স্বজন ও এলাকাবাসী আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পাঁচবিবি থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজিজুল হক। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
জয়পুরহাটের জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলায় ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
তবে রায় ঘোষণার সময় ৬ আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেওয়ানপাড়া মহল্লার মৃত ইউনুছ আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদীন; শান্তিনগর মহল্লার মৃত শাজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন; আরাফাতনগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ; দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর; তেঘরবিশা গ্রামের মৃত কাবেজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম; দেওয়ানপাড়া মহল্লার আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা; দেবীপুর কাজিপাড়া মহল্লার মৃত মকবুল হেসেনের ছেলে শাহী; দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল; দেবীপুর মন্ডলপাড়া মহল্লার রফিকের ছেলে সুজন; দেবীপুর কাজিপাড়া মহল্লার নুর হোসেন নমুর ছেলে রহিম ও নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকালে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে পৌর এলাকার পাঁচুরচক মাধ্যমিক বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জয়পুরহাট শহরের জামালগঞ্জ সড়কের একটি আম গাছের নিচে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরদিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে পরের দিন জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বুধবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে গত ১৭ অক্টোবর গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পিচ্চি মনির।
লালবাগ ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, লালবাগ জোনের ডিবি পুলিশের একটি দল বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদশেষে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ নভেম্বর ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৭ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচরে নিজ বাসার সামনে রমজান আলী ওরফে পেটকাটা রমজান নামে এক অপরাধীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, চুরি যাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্র ও মাদক বিক্রি করে অর্জিত অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে পিচি মনিরের সঙ্গে রমজানের শত্রুতা ছিল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সিলেট মহানগর বিএনপি ও জেলা যুবদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইয়াছির আরাফাত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা হলেন— মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের জিয়াউদ্দিনের দুই ছেলে জসিমউদদীন (৩৪) ও সালাউদ্দীন (৩৬) বহরা, গ্রামের আজিজুর রহমান উরফে ফরিদ মেম্বার (৫২), আক্তার মিয়া (৪৪) ও রফিজ উদ্দিন (৪৫)।
২০০৬ সালের ২১ মার্চ রাত অনুমান সোয়া ৯টায় কালিকাপুর চৌরাস্তা মোড় থেকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক আফজালুর রহমান (৪৮) বহরা গ্রামে তার বাড়িতে ফিরছিলেন।
তিনি ডরাছড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে আসামিরা জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। মাধবপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সখিনা বেগম বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা করেন।
নিহতের একমাত্র ছেলে আইনজীবী সাইফুল আলম বলেন, তিনি এ রায়ে সন্তুষ্ট নন। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আদালতের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী তপন সিং।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ নারীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৬
২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
১৯৯৮ সালে কুমিল্লা বরুড়ায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এই ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গোসলের ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায়ে দেন।
মো. শহিদুল্লাহ বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের মৃত মাওলানা আব্দুল মজিদের ছেলে।
তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী ছিলেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ২৫ মে দুপুরে শহিদুল্লাহ তার জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যায়। তখন শহিদুল্লাহর সঙ্গে আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে রাতের বেলায় শহিদুল্লাহকে তার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা কুপিয়ে জখম করে। এইসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এই ঘটনায় ২২ মে নিহত আসামির ভাই আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ১৫ জনের নামে অভিযোগ পত্র দেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলা: মুক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করে উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এর আগে দেওয়া জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাকিমকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রমের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন— ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সোরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সোরোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে তাকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ অর্থাৎ গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজা বহালের রায় প্রকাশ, আমান দম্পতিকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি। কারাগারে আছেন কয়েক বছর ধরে। গত আগস্ট মাসে এ মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছিল দেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল আপিল বিভাগ।
কিন্তু এই নির্দেশনা গোপন রেখে হাইকোর্টে চাওয়া হয় ওই আসামির জামিন। গত ২০ নভেম্বর মুক্তিকে জামিন দেন বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর গত বুধবার মুক্তি পান তিনি। এদিকে এ আসামির মুক্তিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে সরকারের শীর্ষ মহলে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘মামলাটি টাঙ্গাইল জেলার হলেও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ঢাকার জেলার নাম উল্লেখ করা রয়েছে। শুধু জেলার নাম ভুলই নয়, আসামির নামও ভুল লেখা হয়েছে। ছিল না কোনো টেন্ডার নম্বর।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামিন চাইতে পারেন যেকোনো আসামি। কারণ এটা আসামির অধিকার। জামিন পেতেও পারেন। তবে এভাবে ভুল তথ্য দিয়ে জামিন হাসিল করাটা কতটা ন্যায়সঙ্গত। এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। সে অনুযায়ী বিষয়টির উপর সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে গত ২০ নভেম্বর মুক্তিকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ রবিবার প্রত্যাহার করে নেন। পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।’
প্রসঙ্গত, সহিদুর রহমান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এই মামলায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
পরে পুলিশ এই চারজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। বর্তমানে এই মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
নিপুণ রায়কে ৮ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ