ফ্রান্স
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস ফ্রান্সের
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্স।
রবিবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
সাক্ষাৎকালে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, নির্মাণখাতে সবুজায়ন, পরিবেশ সুরক্ষাসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, ৭-৮ মার্চ ২০২৪ তারিখ ফ্রান্সের প্যারিসে ৭০টি দেশের ১৪০০ প্রতিনিধি ‘বিল্ডিং অ্যান্ড গ্লোবাল ফোরাম ২০২৪- এ মিলিত হন।
ফোরামে ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।
ফোরামে কপ- ২৮ সম্মেলনের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৯ দফা সিদ্ধান্ত সম্বলিত ‘ডিক্লারেশন দে শ্যালট’ গৃহীত হয়।
ওই ঘোষণার আলোকে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সাক্ষাতে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও কৌশলগত সহযোগিতা-অংশীদারিত্ব চায় ফ্রান্স
জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি, প্রতিরক্ষা, এভিয়েশন, মহাকাশ, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
তিনি দু'দেশের জনগণের মধ্যে সংস্কৃতি, রন্ধনপ্রণালী ও শিল্পকলার মিল তুলে ধরেন এবং প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন ও সাংস্কৃতিক দল বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
আগামী বছর প্যারিসে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও শিল্পকলা নিয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী একটি উৎসবের আয়োজন করবে ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফ্রান্সের স্বীকৃতির কথা স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। এসময় দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেন হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানেল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত সম্পর্কের দিকে রূপান্তরিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় ফরাসি প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন পত্র দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগামী তিন বছরে ১ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক প্রতিশ্রুতিসহ উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য ফরাসি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উত্থাপিত গভীর উদ্বেগের জবাবে ফরাসি রাষ্ট্রদূত তার সরকারের অব্যাহত মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষই গাজার যুদ্ধের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন এবং সঙ্কটের দ্রুত অবসানের প্রত্যাশা করেছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে ফ্রান্সের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
২০০৯ সাল থেকে তার সরকারের বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই। এ সময় শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ৬ বছরের জিএসপি+ সুবিধা দিতে ইইউ'র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য, বন্যা ও খরার মতো বিষয়গুলো কমে এসেছে বলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকার অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রামাঞ্চলে ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। শহরাঞ্চলেও এ ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অবশ্যই তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে।
তারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তারা শিক্ষা বা কাজের সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন ছাড়া অপরাধ পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না।
তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আটকে পড়া পাকিস্তানিদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের চতুর্থ প্রজন্ম এখানে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে পাকিস্তান তাদের ফেরত নেবে না। তাই আমরা এখানে তাদের স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুন: প্রার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি ফরাসি গ্যাস কোম্পানিগুলোকে অনুসন্ধানসহ বাংলাদেশের গ্যাস খাতে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও হাইকমিশনার এয়ারবাস ক্রয় ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণসহ দ্বিপক্ষীয় কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর একটি বার্তা হস্তান্তর করেন।
তিনি দু'দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন, যা বিশেষ করে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালে ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফরের পর জোরদার হয়েছে।
জলবায়ু ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ইউটিলাইজেশন ফান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে অগ্রগামী হিসেবে দেখতে চায়।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশকে গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনে সহায়তা করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ ব্লু ইকোনমি ও সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
নিরাপত্তা পরিষদে ব্রাজিলের আনা খসড়া প্রস্তাবের ব্যর্থতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস বলেছে, ফ্রান্স খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। এটি কাউন্সিলকে সাধারণ নীতির কাছাকাছি আনতে পারে এবং এটি ১২টি দেশের সমর্থন পেয়েছিল।
এই খসড়াটিতে দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের ‘সন্ত্রাসী হামলার’ নিন্দা; জিম্মিদের মুক্তির দাবি; আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, মানবিক বিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেসামরিক জনগণের মৌলিক পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজায় জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) এবং মানবিক সংস্থাগুলোর পূর্ণ, নিরাপদ ও বাধাহীন মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মিশরকে গাজায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি ইসরায়েলের
খসড়া প্রস্তাবে নিরাপদ ও স্বীকৃত সীমানার মধ্যে পাশাপাশি বসবাসকারী দু’টি রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির কথাও স্মরণ করা হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা রোধে প্রচেষ্টা বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ব্রাজিলকে তার উদ্যোগ ও সমন্বয়কারী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে ফ্রান্স। মানবিক জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় এবং আঞ্চলিক সংঘাত এড়ানোর জন্য ফ্রান্স এর অংশীদারদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ থাকবে।
ফ্রান্স ইতোমধ্যে গাজার জনগণের জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা হিসেবে ১০ মিলিয়ন ইউরো সংগ্রহ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
ফ্রান্সের টেমস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এফবিসিসিআই নেতা জীবন দেবনাথের ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন
ফ্রান্সের বিখ্যাত দ্য থেমাস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।
ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতের ডিজিটাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে এই সম্মানা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে থেমাস বিশ্ববিদ্যালয়।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ একজন মেধাবী এবং দূরদর্শী ব্যবসায় উদ্যোক্তা। কৌশল ও উদ্ভাবনী চিন্তার প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশের ব্যাংকিং এবং ফ্যাইন্যান্স খাতকে প্রতিনিয়ত অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
ড. দেবনাথ টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। টেকনোমিডিয়া সারাদেশে এটিএম বুথ, নোট সর্টিং মেশিন, নোট বাইন্ডিং মেশিন, ব্যাংকিং সফওয়্যার, অনলাইন চেক ক্লিয়ারিং সফটওয়্যার এবং ব্যাংকগুলোতে নিজস্ব সিকিউরিটি সার্ভিসের মাধ্যমে নিরাপদে নগদ টাকা সরবরাহ করে থাকে। ফলে সময় এবং খরচ কম লাগে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের ৭০ শতাংশ এটিএম সেবা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড এবং প্লাস্টিক কার্ড আইডি লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. দেবনাথ।
এছাড়া, তিনি মানিপ্ল্যান্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রোটেকশন ওয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর পরিচালক নিযুক্ত আছেন।
শিল্পখাতে অবদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ব্যাংকিং খাতের ডিজিটাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি পুরস্কার দেওয়া হয় ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে।
এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কার, জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারসহ বেশকিছু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ডি. লিট উপাধি প্রদান উপলক্ষে ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে চিঠি পাছিয়েছে থেমাস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
সরকার কমিশন পাওয়ার জন্য ১০টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনছে: ফখরুলের অভিযোগ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, কমিশন পাওয়ার উদ্দেশ্যে সরকার ফ্রান্স থেকে ১০টি এয়ারবাস বিমান কিনছে।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই ভালো ব্যাপার যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এখানে এসেছেন...তিনি আমাদের বড় মেহমান। আপনারা (সরকার) সেই অতিথিকে নাচ ও গানের মাধ্যমে খুব ভালভাবে স্বাগত জানিয়েছেন।’
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক কর্মসূচিতে ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাওয়া সাধারণ মানুষেরা মনে করছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরে ভালো কিছু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কি হয়েছে? বলা হয়েছে ১০টি এয়ারবাস বিমান কেনা হবে। তাদের (সরকারের) আসল লক্ষ্য এই এয়ারবাসে কিকব্যাক পাওয়া। আপনারা কি কিকব্যাক বোঝেন? এর মানে কমিশন।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, বোয়িং কিনে কমিশন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ‘তাই ১০টি এয়ারবাস প্লেন কেনা হচ্ছে।’
সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ফখরুল বলেন, দেশের মানুষের খাবার, তাদের চিকিৎসা, হাসপাতাল নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারলেও সরকার এয়ারবাস বিমান কিনতে যাচ্ছে। ‘তারা (সরকার) জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি যখন ভেঙে পড়েছে তখন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য ১০টি এয়ারবাস প্লেন কেনার যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বিমানও ঠিকমতো কোনো সেবা দিতে পারে না। ‘তারা এয়ারবাস বিমান কিনছে চুরির সুযোগ তৈরি করার জন্য (জনগণের অর্থ)।’
পরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে গৃহীত তিন দিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এই বিএনপি মহাসচিব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে একটি সংক্ষিপ্ত সফরে রবিবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঢাকা আসেন।
গত তিন দশকের মধ্যে এটিই কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন তিনি।
দুই নেতা অবকাঠামো ও স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ এয়ারবাস থেকে ১০টি এ৩৫০ বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মহামারিতে রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু: বিএনপি
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশ-ফ্রান্সের
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রেলওয়ে সেক্টরসহ বাংলাদেশে মানসম্মত ও স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আশা প্রকাশ করেছেন, প্যারিস ও টুলুসে আগামী ২৩ ও ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ফ্রান্স বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি আনবে।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে এমন উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী ও অটুট।’
যৌথ প্রবৃদ্ধি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতি ফ্রান্স আস্থা প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই শিল্প থেকে পরিষেবা পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরে বিস্তৃত তাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের গভীরতার কথা স্মরণ করেছে এবং ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় সহযোগিতার মাধ্যমে এটিকে আরও গভীর ও প্রসারিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে খুশি ফ্রান্স
ফ্রান্স বাংলাদেশের শ্রম খাতে (২০২১-২০২৬) জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রশংসা করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) অধীনে একটি মসৃণ ও টেকসই পরিবর্তনের সুবিধার্থে এর বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমুখীকরণের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
২০২১ সালের নভেম্বরে তার আমন্ত্রণে ফ্রান্স সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময়ে প্রধানমন্ত্রী ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশে আসার নিমন্ত্রণ করেন। অবশেষে, চলতি মাসের ১০-১১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বাংলাদেশে সফর করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সোমবার ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য সাক্ষাত করেছেন এবং বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিস্থাপকতা, সমৃদ্ধি এবং মানুষ-কেন্দ্রিক সংযোগের সমর্থনে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের জন্য একটি বিশ্বস্ত ও অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য তাদের অভিন্ন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স তাদের অংশীদারিত্বের কৌশলগত মাত্রাকে আরও গভীর করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে সম্পর্ককে 'কৌশলগত' পর্যায়ে নিতে চায় ঢাকা-প্যারিস
নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮৪ ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি সই
এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে খুশি ফ্রান্স
এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফ্রান্স। দুই দেশ বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে উন্নত এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অব্যাহত সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
শান্তি, সমৃদ্ধি ও জনগণের জন্য বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের অংশীদারিত্বের যৌথ ঘোষণায় উভয় দেশ কৌশলগত খাতে বর্ধিত সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছে।
বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স সার্বভৌমত্ব এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে একটি স্থিতিশীল, বহু-মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বের মূল নীতি হিসাবে বিবেচনা করে।
একইভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের ২০৪১ সালের রূপকল্পে অবদান রাখার জন্য দুই দেশ এয়ারবাস ডিএস এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) মধ্যে একটি মহাকাশ অংশীদারিত্বের সমাপ্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। যা নিজস্ব সার্বভৌম পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটের মালিক হওয়ার পরে মহাকাশ জাতি হিসাবে বাংলাদেশের অস্থানকে শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: তুরাগে নৌকা ভ্রমণ করলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আইসিটি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফ্রান্স বাংলাদেশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মতো উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
তারা আন্তর্জাতিক আইনে নিয়ন্ত্রিত একটি বৈশ্বিক, উন্মুক্ত এবং নিরাপদ সাইবারস্পেসের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সমস্যাগুলোর একটি বর্ধিত ব্যবস্থাপনার দিকে তাদের প্রচেষ্টায় যোগদানের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
ফ্রান্স সাইবার নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা শনাক্ত করতে কাজ করবে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টে একসঙ্গে কাজ করবে।
অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের অগ্রগতি, টেকসই শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব বিদ্যমান।
এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে বহু-স্তর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক বন্ধন যা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখেছে ফ্রান্সের সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আন্দ্রে মালরাক্স, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তাঁর স্মরণীয় আহ্বান এবং ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার পরবর্তী বৈঠক এপ্রিল 1973 সালে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতির স্বাধীনতাকে সম্মান করে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী
এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে বহুস্তরবিশিষ্ট ঐতিহাসিক সম্পর্ক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফ্রান্সের সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আন্দ্রে মালরাক্স ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তার স্মরণীয় আহ্বান এবং ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ।
২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের সময় বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁকে। তার আমন্ত্রণের আলোকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২০২৩ সালের ১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সোমবার ঢাকায় বৈঠক করেন। বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি এবং জনকেন্দ্রিক সংযোগের সমর্থনে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে উৎসাহিত করে একটি বিশ্বস্ত ও অর্থবহ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে তাদের অভিন্ন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮৪ ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি সই
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
তিনি ফরাসি ভাষায় ভিজিটরস বইয়ে লিখেছেন, ‘আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলাম, যিনি তার জাতির স্বাধীনতার জন্য, এর ভাষা ও সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য লড়াইয়ে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফ্রান্স আবারও আপনার পাশে থাকবে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ফরাসি প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘তার পরিবারের যেসব সদস্য তার সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন, আমি ফরাসি জনগণের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব প্রকাশ করতে চাই।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকা আসেন ম্যাক্রোঁ।
গত তিন দশকের মধ্যে ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সফর।
প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট মিটাররান্ড ১৯৯০ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
শেখ হাসিনা রবিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের সম্মানে ভোজসভা আয়োজন করেন।
দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় দুটি চুক্তি সই করেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সরকার আন্তরিকভাবে আশা করে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতির স্বাধীনতাকে সম্মান করে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
ঢাকা-প্যারিস দুটি সমঝোতা স্মারক সই
ঢাকা ও প্যারিস অবকাঠামো ও স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতে নথিপত্রে সই করা হয়।
এগুলো হলো:
১. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ফ্রান্সের ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এফডিএ)-এর মধ্যে ‘ইমপ্রুভিং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার প্রোগ্রাম’- বিষয়ে একটি ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অ্যাগ্রিমেন্ট এবং
২. বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএস- এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।
এর আগে, হাসিনা ও ম্যাক্রোঁ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
৩৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সফরকারী প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের পর ভারত থেকে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) দুপুর ২টায় ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে ফরাসি নেতার।
ফ্রাঁসোয়া মিটাররান্ড শেষ ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৯০ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে বর্তমানে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে এবং ফ্রান্স রপ্তানির ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ।
ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি, এরোস্পেস ও ওয়াটার সেক্টরসহ বিভিন্ন খাতে সম্পৃক্ত।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স আবারও আপনার পাশে থাকবে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী