রাজনীতি
তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা করার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। এর আগে চার দফা দাবিতে যুবলীগের পক্ষে থেকে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে তারেক রহমান ও জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনার দাবিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কারাগারে থেকেও কলকাঠি নাড়তে পারেন ইমরান
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা। সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের পর এখন উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে বন্দী আছেন তিনি।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে তিনি পদচ্যুত হন। এরপর থেকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ইরমানের রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে নাটকীয় মোড়।
ইমরানের দল সরকারের সমালোচনা করে এই মামলাকে সাজানো বলে মন্তব্য করেছে। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, এই মামলার লক্ষ্য হলো আসন্ন শরৎকালে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। সরকার ইমরানের প্রতি রাজনৈতিক নীপিড়নকে অস্বীকার করে তার দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে বৈধ বলছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে ৭০ বছর বয়সী ইমরান সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। পাশাপাশি ১৯৯০ সালে তার প্রতিষ্ঠা করা তেহরিক-ই- ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্ব থেকেও আইনানুযায়ী সরে যেতে হবে তাকে। এদিকে জরিপগুলো পিটিআই-এর জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয় এবং খানের কারাদণ্ড তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
তার বিরুদ্ধে কী মামলা ছিল
ইমরান ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার থেকে আয়ের প্রতিবেদন জমা দেননি বলে ইসলামাবাদের একটি আদালত শনিবার রায় দিয়েছে। পাকিস্তানে সরকারি পদ ছাড়ার পর নেতাদের এই ধরনের উপহার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেসব উপহারের মূল্যের একটি অংশ প্রদান করা হয়।
আদালত বলেছে, ইমরান সেই উপহারগুলোর মধ্যে কিছু বিক্রি করেছেন এবং গত বছর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদনে সেই উপার্জনগুলো উল্লেখ করেননি। এজন্য আদালত খানকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে, তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং তাকে ১ লাখ রুপি বা সাড়ে ৩০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করে।
রায়ের পরপরই, খানকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয় এবং রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে অ্যাটক শহরে একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইমরানের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলো
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আদালত অবমাননা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে।
সমালোচকরা বলছেন, আইনি লড়াইয়ের এই ঝাঁকুনি খানকে সরিয়ে দিতে শাসক জোটের একটি প্রচেষ্টার অংশ। কারণ তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে সক্ষম হয়েছেন।
খানকে একজন দুর্নীতিবাজ প্রতারক হিসেবে চিত্রিত করতে তাকে কারাগারের বাইরে রাখার পরিববর্তে ভেতরে রাখতে আইনি কৌশল প্রয়োগ করেছে সরকার। পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীতে সরকারের সমর্থক রয়েছে, যারা তার ৭৫ বছরের ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় ধরে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এই গ্রেপ্তার ভিন্ন কীভাবে?
ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে। এটি এমনটি একটি কারাগার, দণ্ডিত জঙ্গি ও সহিংস অপরাধীদের জন্য এর কুখ্যাতি রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানকার অবস্থার সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তারা বলেছেন, তার জন্য একটি ফ্যান এবং আলাদা গোসলের সুবিধাসহ তার নিজস্ব সেল রয়েছে। যা কারাগারের সাধারণ কয়েদিদের মতো কঠিন অবস্থার থেকে এক ধাপ উন্নত।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করায় পিটিআই’র বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলছে: ইমরান খান
মে মাসে ইমরানকে আটক করার ঘটনার চেয়ে এবারের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। এবার দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অভিযোগে আদালতের শুনানি পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেবার সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সেই আটককে বেআইনি ঘোষণা করেছিল। ইমরানকে পুলিশ কম্পাউন্ডে একটি গেস্ট হাউসে থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। সেসময় তার আটকের বিষয়ে আইনি যুক্তি শেষ হওয়ার সময় দর্শকরা সাক্ষাৎ করতে পেরেছিল। খান অবশেষে লাহোরে ফিরেও এসেছিলেন। সমর্থকরা গাড়িতে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে তাকে বরণ করেছিলেন।
এরপর কী হবে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বিশ্বাস করেন, সুপ্রিম কোর্ট খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং আপিলের সাজা বাতিল করতে পারে।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান গুল বলেছেন, ‘ইমরান খানের বিরুদ্ধে একেবারেই কোনো শক্ত মামলা ছিল না। তবে তাকে একটি প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে এই দোষী সাব্যস্ত হতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, খানের প্রতি সমর্থন কমে যাচ্ছে।
‘তিনি কিছু নিষ্পাপ, নির্বোধ সমর্থকদের প্রতারণা করতে পারেন, কিন্তু সাধারণ জনগণ এখন তার আসল চরিত্র চিনতে পেরেছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘মুখোশ খুলে তার আসল চেহারা তুলে ধরা হয়েছে। তুচ্ছ লাভের জন্য রাষ্ট্রীয় উপহার কুক্ষিগত করেছেন।’
যদি ইমরান দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি নির্বাচনে দলের নেতৃত্বও দিতে পারবেন না। কারণ অপরাধী দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কারাগারে থেকেও তিনি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
মে মাসে তাকে আটক করার পর তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছিল। খানের অনুগত কয়েক হাজার মানুষ শহরে তাণ্ডব চালায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে। সরকার ক্র্যাক ডাউন করেছে, ৭ হাজারেরও বেশি আটক করেছে। কিছু মামলার বিচার এখনও চলছে।
সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপের আশঙ্কায় আগেরবারের তুলনায় এবার ইমরানের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি নীরব ছিল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য এবার তার আহ্বান বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনৈতিক পতন কী?
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আগামী সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। সম্ভবত নভেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেবেন। সাম্প্রতিক আদমশুমারির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিলে সরকার কয়েক মাস ভোট পিছিয়ে দিতে পারে।
খানের কারাবরণ তাকে এবং তার দলের বৃহত্তর নির্বাচনী সমর্থন আদায় করতে পারে। ক্ষমতা হারানোর পর তিনি যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করেছিলেন। এটি আরও যোগ করবে যে পাকিস্তানের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য নির্ভীক কর্মী তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আজিম চৌধুরী বলেছেন, ‘ইমরান খানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে জেল থেকেও তার প্রার্থীদের জন্য কার্যকরভাবে প্রচারণা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি যে সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে; জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি, সেটি তারা মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, আজ বুধবার (১৯ জুলাই) আবার তারা পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। একই সঙ্গে আমাদের উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সংলাপ নিয়ে কোনো বিদেশি চাপ নেই: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আপনারা জানেন, মঙ্গলবার বিএনপি সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য দেশে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করা। যেটি গতকাল আবার স্পষ্ট হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তারা দেশের ৯টি জায়গায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মিরপুর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে, জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের 'শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা' শুরু আজ বিকালে
তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজনের উপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে। তারা পৌরভবনেও হামলা চালিয়েছে।
বগুড়ায় সাতমাথা মোড়ে বিএনপির যাওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না, পুলিশ বাধা দিলে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এতে বাধ্য হয়ে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুঁড়েছে।
লক্ষ্মীপুরে সামাদ একাডেমির সামনে আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষকে প্রভোক (উসকানি) করেছে।
এভাবে সংঘর্ষ বাধিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এটিই। এভাবে সংঘর্ষ বাধিয়ে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। আমরা সেটির সুযোগ দেব না।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিজয় মিছিল নয়, পরাজয়ের মিছিল: কাদের
উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দেশের জনগণকে ‘দেশ ধ্বংস করার মিশনে নিয়োজিতদের’ বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে আহ্বান জানাই যে দেশ ধ্বংস করার তালে যারা আছে, আপনারা তাদের বর্জন করুন।’
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করলে কোনো লাভ হবে না।’
এর আগে, সফররত জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গ্রপের (এসডিজি) চেয়ার আমিনা জে মোহাম্মদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, প্যারিস চুক্তি এবং বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্য রূপান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির জন্য বিশ্বব্যাপী পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তারা কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনা করেননি বরং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন - এইগুলো আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জ।’
দুঃখ করে মোমেন বলেন, অনেক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
আরও পড়ুন: অন্যের প্ররোচনায় বিপথগামী না হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজ সংরক্ষণের দেশিয় মডেল ঘর উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সফলভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে দেশে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা ও সংকট থাকবে না। এ পণ্য নিয়ে রাজনীতিও বন্ধ হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এ পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে দাম অস্বাভাবিক হয়, নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়।
মঙ্গলবার (২৩ মে) পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পূর্ব বনগ্রামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্মিত পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশীয় মডেল ঘর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এছাড়া ভারত থেকেই আমদানি করতে হয় বেশি। ভারত অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। এতে চরম সংকট দেখা দেয়। সেজন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল ফসল। এটি রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। এর ফলে কৃষকরা মৌসুমে কম দামে দ্রুত তা বিক্রি করে দেয়। মৌসুম শেষ হলে বাজার আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়। সেজন্য আমরা পেঁয়াজ সংরক্ষণের এই পরীক্ষামূলক ঘর তৈরি করেছি। যেখানে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। এটিতে সফল হলে দেশে পেঁয়াজের সংকট হবে না। আমদানিও করতে হবে না, বরং রপ্তানি করা যাবে।
পেঁয়াজ আমদানি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করে কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে ব্যবহৃত বিদ্যুৎকে ভর্তুকি বা কৃষি খাতে বিবেচনার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পেঁয়াজ রসুন সংরক্ষণাগার (মডেল ঘর)-
প্রতিটি ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য ছয়টি বায়ু নিষ্কাশন পাখা সংযুক্ত রয়েছে। মূলত ভ্যান্টিলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকার কারণেই সংরক্ষিত পেয়াজ-রসুন পঁচবে না।
তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ঘরে হাইগ্রোমিটার রয়েছে।
প্রতিটি ঘরের আয়তন প্রায় ৩৭৫ বর্গফুট। প্রতিটি ঘরে ২৫০-৩০০ মণ (১০-১২ মেট্রিক টন) পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে।
এছাড়া তিনটি স্তরের এই সংরক্ষণ ঘরের স্থায়িত্ব কমপক্ষে ১৫-২০ বছর।
কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২১ হতে জুন ২০২৬, মোট বাজেট ২৫ কোটি টাকা।
ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও পাবনা এই সাতটি জেলার ১২টি উপজেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করা হবে।
এ বছর ২০২২-২৩ সালে মোট ৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২৫০-৩০০ মণ পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
জাপানে ইয়ানমারের কারখানা পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি হত্যা-খুনের অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিটাই করছে। বিএনপি নেতাদের মনে এবং দলের মধ্যে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেটাই তাদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়কের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা এ সময় ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্কবার্তা জারি নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন দূতাবাসের এটি করা খুবই স্বাভাবিক। বিএনপি যেভাবে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা শুরু করেছে, আবার যেভাবে গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে, এগুলো দেখেই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বে তাদের জোট যদি এ রকম জ্বালাও-পোড়াও করতে থাকে তাতে অনেকেই এমন সতর্ক করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, এটি বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সারাদেশ বিবেচনায় নিলে মানুষ বাংলাদেশ টেলিভিশনই বেশি দেখে। বিটিভি’র অনুষ্ঠানে বহু গুণগত পরিবর্তন এসেছে। যেকোনও টেলিভিশনের চেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রামের মান এখন অনেক উন্নত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাটক, টেলিফিল্ম ও সিনেমাতে সমাজের জন্য বার্তা থাকা দরকার।
এর আগে ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সব টেলিভিশনকে উৎসাহ দিচ্ছি, যাতে তারা বাংলাদেশের শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে দেশের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিরিয়াল বানায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
একইসঙ্গে, সেগুলো যেন সমাজকে ভালো জিনিস শেখায়। যে কোনো সিরিয়াল বা নাটক যেমন বিনোদন দেবে, পাশাপাশি যদি সেখানে সমাজ হিতৈষী বার্তা থাকে, তাহলে সেটিকে আমি যথার্থ এবং পরিপূর্ণ মনে করি।
এদিকে ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি অনন্ত হীরা সংগঠনের পক্ষে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে ডিরেক্টরস গিল্ডের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি, টেলিফিল্মকে আলাদা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আওতায় আনা এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে কর্মরতদের পেশার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি।
সহ-সভাপতি মনোজ সেনগুপ্ত বিটিভিতে ডিরেক্টরস গিল্ড সদস্যদের পালাক্রমে কাজে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রী প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং বলেন, বাংলাদেশে টেলিভিশনের সংখ্যা যতো বৃদ্ধি পাচ্ছে, নাটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশি সিরিয়াল বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর।
আমরা বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে যথেচ্ছভাবে বিদেশি সিরিয়াল প্রচারের লাগাম টেনে ধরেছি। কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে একসঙ্গে একটার বেশি সিরিয়াল প্রচার করতে দিচ্ছি না। অনেক দেশের সিরিয়াল দেখানোর জন্য যেমন আমাদের কাছে আবেদন আসে কিন্তু, আমরা সবগুলো দেই না।
কারণ সেসব দেশের সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন। এতে অনেক টেলিভিশন সতর্ক হয়েছে এবং তারা নিজেরা সিরিয়াল বানাচ্ছে। আগে এ বিষয়ে অনুমতির বালাই ছিলো না, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় ‘বড় শোডাউন’ করবে বিএনপি
দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে জনসভার মাধ্যমে ‘বিরাট শোডাউন’ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করবে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং কোনো শর্ত ছাড়াই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাসহ দলের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্যও এই সমাবেশ।
ঈদুল ফিতরের পর এটি তাদের চলমান আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হওয়ায় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি।
সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করেন এবং সমাবেশে রাজধানীর ওয়ার্ডগুলো থেকে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।
দলীয় নেতারা জানান, শনিবারের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের দল চূড়ান্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম ধাপের সূচনা করতে যাচ্ছে।
সমাবেশ থেকে মির্জা ফখরুল দলের তৃণমূলকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সারাদেশে দলের ৮২টি সাংগঠনিক জেলায় বিভিন্ন দফায় সমাবেশের ঘোষণা দেবেন।
মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দলের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেন।
দলের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার নয়াপল্টনে ব্যাপক জনসমাবেশ নিশ্চিত করতে বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
ঢাকা মহানগরের আশপাশের বিএনপি নেতাদেরও সংলগ্ন জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, শনিবারের সমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা রাজপথে নামব। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
রাজনীতি এখন ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে ছিল আবেগের বিষয়: ফিরোজ রশীদ
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, রাজনীতি এখন একটি ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে যা আবেগের বিষয় ছিল।
রবিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে রাজনীতি ছিল আবেগের বিষয়, এখন এটা পেশায় পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, পাত্র সরকারি দল করে শুনলে, ‘তাহলে বলে আলহামদুলিল্লাহ।’
ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজনীতিই দেশবাসীর জীবন পরিবর্তনের একমাত্র উপায়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটা একটা পেশা হয়ে গেছে। আগে রাজনীতি আবেগ ছিল, জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করত।’
পাকিস্তান আমলের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, একজন মানুষ রাজনীতিতে যুক্ত হলে চাকরি পাবেন না বলে বিয়ে করেননি।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
ফিরোজ রশীদ দাবি করেন, সংসদের অনেক অর্জনের পাশাপাশি দুর্বলতাও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত (বঙ্গবন্ধু হত্যার) কমিশন গঠন করতে পারছেন না… কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল। ডালিম, ফারুক, রশিদ গিয়ে এটা করল… ঠিক তা নয়। এর পেছনে একটা ষড়যন্ত্র ছিল, আপনারা সেটা বুঝতে পারেননি।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, চরম বাম ও চরম ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের নাম উচ্চারণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘কারণ সবাই নৌকায় উঠেছে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) নৌকায় চড়বেন। আপনারা নৌকার চালক। তারা নৌকায় বসে আছে এবং জিজ্ঞাসা করছে আর কতদূর?'
ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতি এখন দুই ভাগে বিভক্ত।
তিনি বলেন, ‘কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তি নেই। শিক্ষক, চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই বিভক্ত। গোটা দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত।’
তিনি আরও দাবি করেন, এ আমলে বিএনপির ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবসা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে: প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন বলে আগে যে বক্তব্য দিয়েছেন-সেই বক্তব্যে অনড় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আবারও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে?
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
সাংবাদিকরা মন্ত্রীদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতির বিষয়টি বুঝতে হবে। আইনে যাই থাক। ইরানের খোমেনির রাজনীতি কী বন্ধ ছিল? বঙ্গবন্ধু জেলে থেকে রাজনীতি করেছেন না।
এছাড়া কনভিকশন (দণ্ডিত) হয়নি, কনভিকশন হলেই কী বঙ্গবন্ধু রাজনীতি বন্ধ করে দিতেন? আমি সেই জায়গা থেকে বলেছি। জেলে বসেও তো রাজনীতি করা যায়। আমি তো সেই কথাটিই আপনাদের বলেছিলাম। আবারও বলছি।’
আজ নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য পিম ভ্যান স্ট্রিয়েনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা নিয়ে ফের বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে তো বিদ্রোহী ও বিপ্লবীরা এভাবেই রাজনীতি করেছেন। খালেদা জিয়া ইলেকশনে যেতে পারবেন না, আইনের কারণে। কিন্তু তার রাজনীতির চিন্তা-চেতনা এগুলো কী তারা বন্ধ করে দেবে নাকি-যে আমি রাজনীতি করবো না।
কিন্তু আপনারা মন্ত্রিসভার সদস্যরা একমত হতে পারছেন না কেন-প্রশ্ন করলে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন আব্দুর রাজ্জাক।
এরপর তিনি বলেন, ক্যাবিনেট কলিগরা বলছেন কীভাবে? আমি ওনাদের সঙ্গে কথা বলিনি, কী বলেছেন। আমাকে যদি কোনো কারণে জেল দেয়। লালু প্রসাদ কী রাজনীতি বন্ধ করেছেন?
‘আমাদের ওবায়দুল কাদের সাহেবও তো বলেছেন, সে (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করতে পারবেন না, আইন অনুযায়ী। সংবিধানে আছে দু-বছরের বেশি সাজা হলে নির্বাচন করা যাবে না। কিন্তু রাজনীতিটা আপনি বন্ধ করবেন কেমনে?’
সংসদে শেখ ফজলুল হক সেলিম বলেছেন খালেদা জিয়া রাজনীতি না করার জন্য মুচলেকা দিয়েছেন-এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এটা আমি জানি না, কোথায় মুচলেকা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। একটা জানি যে, তারেক জিয়া দিয়েছে। বিদেশে যাওয়ার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে সে-ই দিয়ে গেছে।’
খালেদা জিয়া তো এখন নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘জেলে থেকেও তো একজন মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারে। জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে? যদি সে আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ হয়, দেশপ্রেমিক হয়। গোপনে সে চিঠি লিখে পাঠালো-কর্মীদের নির্দেশনা দিলো। এটা করো, সেটা করো। আমি সেটা মিন করেছি। সেটা সে করতেই পারে।’
নির্বাচনের ১০ মাস আগে আওয়ামী লীগ এ ইসু্যটাকে সামনে আনলো কেন- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু না। আমর মনে হয় এটা নিয়ে যেটুকু আলোচনা হয়েছে সেটা যথেষ্ট। আমি তো ভারতের দুটি উদাহরণ দিলামই।’
খালেদা জিয়া তো এখন নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘জেলে থেকেও তো একজন মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারে। জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে- যদি সে আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ হয়, দেশপ্রেমিক হয়। গোপনে সে চিঠি লিখে পাঠালো- কর্মীদের নির্দেশনা দিলো। এটা করো, সেটা করো। আমি সেটা মিন করেছি। সেটা সে করতেই পারে।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও একই কথা বলেন। তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতিতে যে সব দলের কোনো খবর নাই, নাম নাই, ঠিকানা নাই, সভাপতি আছে সম্পাদক নাই বা সম্পাদক আছে সভাপতি নাই, সেই সব রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম-অতিডান-অতিবাম-তালেবান সবাইকে নিয়ে জোট করে মাত্র ছয়টি আসন পাওয়া বিএনপি এবার তাদের সেই ২২ দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে করল ১২ দলীয় জোট, তারপর নামসর্বস্ব রাজনীতির 'টোকাই'দের নিয়ে করেছে ৩৪ দলীয় জোট।
তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে বিএনপির ছয় সংসদ সদস্যের পদত্যাগের পর বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন উকিল আব্দুস সাত্তার। আপনারা যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, শতশত উকিল আব্দুস সাত্তার তৈরি হয়ে আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি বিষধর সাপ, তারা এখন পদযাত্রার নামে দম নিচ্ছে, সুযোগ পেলেই ছোবল দেবে। এর নমুনাও পেয়েছি। সিরাজগঞ্জ ও অন্যান্য জেলায় তাদের পদযাত্রা থেকে আমাদের সমাবেশের ওপর হামলা, পিস্তল উঁচিয়ে সন্ত্রাসী তাণ্ডব আমরা দেখেছি।
ড. হাছান বলেন, খালেদা জিয়ার ১০ বছর, এরশাদ সাহেবের সাড়ে ৯ বছরে রংপুর 'বিভাগ' হয়নি, জননেত্রী শেখ হাসিনা রংপুরকে বিভাগ বানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন বানিয়েছেন, ঢাকা সংযোগ মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হয়েছে, যেখানে দেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইন ঢাকা-চট্রগ্রাম সড়ক এখনও চার লেন।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম, রংপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বকুলসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী