রাজনীতি
আ.লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সোহেল তাজ
প্রায় শতাধিক সমর্থক নিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে গিয়ে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনার ফলে পুনরায় তার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার জল্পনা আরও বেড়েছে।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোহেল তাজ রাজনীতিতে তার সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিনি এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার জন্ম একটি রাজনৈতিক পরিবারে। আওয়ামী লীগ আমার রক্তে মিশে আছে। আমি কখনোই রাজনীতির বাইরে ছিলাম না। কিছুদিন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আজ পার্টি অফিসে এসেছি, আমি এখানে নিয়মিত আসার চেষ্টা করব।’
সোহেল তাজ জানান, তিনি দলের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ‘হটলাইন কমান্ডো’ নিয়ে আসছেন সোহেল তাজ
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আমি যেমন ছিলাম, এখনও তেমনই থাকব।’
সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। তিনি ২০০১ সালের গাজীপুর-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে আবারও নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে শেখ হাসিনা তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বানান। তবে এর পাঁচ মাস পরে তিনি পদত্যাগ করেন।
২০১২ সালের এপ্রিলে আবারও তিনি এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই সোহেল তাজ সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সোহেল তাজের অপহৃত ভাগনে উদ্ধার
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য চা বাগান মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে চা শিল্পে শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করেন। তারা অনেক দরিদ্র এবং অসহায়। মজুরি বৃদ্ধির জন্য দাবি জানাচ্ছেন। চা বাগানের মালিকদের অনুরোধ করেছি, আপনার চা শিল্পে যারা কাজ করেন তাদের মজুরি সহানুভূতি, মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন। যতটুকু পারবেন আপনারা তাদের সঙ্গে বসে ঠিক করুন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দক্ষিণ ময়ূরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই সব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমি খুব হতাশ হয়েছি চা বাগানের শ্রমিকরা এখনও কাজে যোগ দেননি। আমি মনে করি মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি সহানুভূতি ও মানবিকাতর সঙ্গে বিবেচনা করলে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিবে এবং কাজ করে শিল্পকে অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। প্রতিষ্টার পর থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছি এবয় তার নেতৃত্বে আমরা সবাইকে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তাই দুঃখ, দুর্দশায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা রাজপথে লড়াইয়ের হুমকি দিচ্ছেন তাদের বলতে চাই পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই, সংগ্রাম করে এই দলের জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ লড়াই, সংগ্রাম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এখন যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশের রাজনীতির ময়াদানে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার কোনো শক্তি নেই।
তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি পরিহার করে যদি ভাবেন জনপ্রিয়তা আছে তাহলে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবো।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের সক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ
তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি পরিহার করে যদি ভাবেন জনপ্রিয়তা আছে তাহলে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে রাখতে হবে। আর না হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শান্তির পরিবেশ রাখা দুরূহ হবে।
নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপেক্ষা করে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত দ্বারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে নির্বাচন কমিশন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভায় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, দেশের অশিক্ষিত ও কম শিক্ষিত মানুষ এখনও প্রার্থীদের নাম পড়তে পারে না, সাধারণ মানুষ নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক দেখে ভোট দেয়।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেছেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মনে করে ইভিএম হলো ভোট জালিয়াতির যন্ত্র। তাই রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার চায় না।’
এমন বাস্তবতায় সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মনে করে যে একটি দলকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করছে ইসি।’
এর আগে নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে প্রচলিত ব্যালটের পাশাপাশি সংসদীয় মোট ৩০০ আসনের ১৫০টিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে: জিএম কাদের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য: ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি ভিডিওতে মানহানিকর মন্তব্য করায় ছাত্রলীগ এক নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার বিকাল ঠাকুরগাঁও ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকারের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কার বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা আরিফ খান জয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দিন স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা আরিফ খান জয়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হওয়া অভিযোগ সম্পর্কে লিখিত জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে দিতে বলেছে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে তার লিখিত জবাব সন্তোষজনক না হলে তাকে সংগঠন থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: অপহরণের ঘটনায় মাগুরা ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার
গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসে র্যালির একটি ভিডিওতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্যের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে। এর প্রেক্ষিতে গত বুধবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নজরে আনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন বক্তব্যের জন্য ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
পিস্তল-গুলিসহ কুষ্টিয়ায় ছাত্রদল নেতা আটক
কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার বিকালে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মিরপুর বিজিবি সেক্টরের কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, আটক খন্দকার তসলিম নিশাত (২২) জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব।
এই সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রদলের নেতা!
তবে খন্দকার তসলিম নিশাতের বাবা খন্দকার টিপু সুলতান দাবি, আটকের সময় তার ছেলের কাছে কোনো অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, সোমবার আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিয়ে এসে বিজিবির ‘কিছুক্ষণ’ ক্যান্টিনে বসে বন্ধুদের সঙ্গে চা পান করছিল নিশাত। সেখান থেকে তাকে ডিবি পুলিশ আটক করে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আজ (সোমবার) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজ (সোমবার) বিকাল ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
চিকিৎসকরা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
বরিশালে শোক সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
বরিশালে জাতীয় শোক দিবস ও একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের অক্সফোর্ড মিশন রোডে এই ঘটনা ঘটে।
তবে ছাত্রলীগের এই অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জানা নেই বলে দাবি করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শোক দিবস ও একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় টোল প্লাজায় হামলা: ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি গঠন
অনুষ্ঠানের শুরুতে সামনে দাঁড়ানো নিয়ে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধ বাঁধে। এই সময় উপস্থিত নেতারা তাদের শান্ত করে। এরপর অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করা সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ আবারও হামলায় জড়িয়ে পড়ে এবং চেয়ার ভাঙচুরও করে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ‘অনুষ্ঠান শেষে আমরা সবাই বেরিয়ে এসেছি। যতসময় অনুষ্ঠান হয়েছে ততক্ষণে কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা বেরিয়ে আসার পরে কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই।
আরও পড়ুন: চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো ধরনের মারামারির খবর জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আ.লীগের প্রতি বরাবরই দুর্বলতা আছে পুলিশের: ভূমিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রতি বরাবরই পুলিশ দুর্বলতা দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। দুঃসময়ে পুলিশ প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের সবসময় দুর্বলতা ছিল। পুলিশকে সাধারণত যেই সরকার থাকে তার নির্দেশনামতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হয়। সেটা করেছেন, কিন্তু বরাবরই আমি দেখেছি আওয়ামী লীগের প্রতি পুলিশের দুর্বলতা।'
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) আয়োজিত শনিবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শতভাগ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা: ভূমিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ক্ষমতায় যে-ই থাকুক না কেন, সে বিএনপি হোক বা জাতীয় পার্টি হোক, কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাদের সবসময় আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। সবসময়ে লুকিয়ে এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করতে দেখেছি।
তিনি সবসময় লুকিয়ে এবং পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, পুলিশ যদি আওয়ামী লীগের প্রতি কঠিন, অ্যাগ্রেসিভ ও চরম আকার ধারণ করত, আওয়ামী লীগের টিকে থাকা কঠিন হতো। হয়তো টিকে থাকত, কিন্তু আরও বেশি কঠিন হতো।
মন্ত্রী বলেন, '১৯৭৫-পরর্বতী সময়ে জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই সময়েও তিনি পুলিশের সহযোগিতা পেয়েছিলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে পুলিশ সবচেয়ে বঞ্চিত। বিগত কোনো সরকার সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি। পুলিশের পরিবারকে দেখাশোনা, তাদের চাহিদা, তাদের বেতন কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা কোনোটিই দেয়া হয়নি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসে আপনাদেরকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে, আপনাদেরকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আমি মনে করি বিগত সরকার যারা ছিল, সব সরকারের চেয়ে আমাদের সরকারের আমলে আপনারা ভালো অবস্থানে আছেন। কেন থাকবেন না আমাদেরও দায়িত্ব আছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে গতি আনতে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অন্য উচ্চতায় চলে আসছে। বাংলাদেশের সুখ, বাংলাদেশের অবস্থান স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কখনও মেনে নেয়নি। এখনো মেনে নেবে না। কী কী বলবে আমাদের দেখার দরকার নেই। জাতি দেখেছে তারা কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছে। তারা ব্যর্থ।
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার সকালে লোহাগড়া উপজেলার পারশালনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কাজী তারিকুল ইসলাম (৪২) উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই।
আরও পড়ুন: খালাসের পরও কারাগারে ৭ বছর: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
সোমবার সন্ধ্যায় নড়াইল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ ঘোষ রাহুল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারিকুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গালমন্দ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেয়ার অভিযোগে কাজী তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে: সিইসি
নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে। তাই কমিশন চায় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, কমিশন চায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক, যদিও তারা সবসময় অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা দেয় না।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ( ইসি) ভবনে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে তার মানে এই নয় যে ভোট চুরি হবে না। তবে সব দলের অংশগ্রহণ ভারসাম্য তৈরি করে,’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন করা কঠিন কাজ। এর জন্য প্রয়োজন সকলের আন্তরিক সহযোগিতা, তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হতে পারে: সিইসি
‘আমরা বারবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছি। নির্বাচন যখন অংশগ্রহণমূলক হয়, তখন মানুষের ধারণার পরিবর্তন হয়। তবে অংশগ্রহণের অর্থ এই নয় যে কোনও অবিচার বা ভোট চুরি হবে না,’ তিনি বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ইসি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চায়। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অবশ্যই এটাই চাই।
‘নির্বাচন কমিশন যে দায়িত্ব পালন করবে সেদিকে আপনাকে নজর রাখতে হবে। যদি আমরা কিছু ভুল করে থাকি, আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি আপনারা অবিলম্বে এটি খুঁজে বের করতে দ্বিধা বোধ করবেন না,’ তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন ‘আমরা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্য বিবেচনা করব। নির্বাচন যতটা সম্ভব শান্তিপূর্ণ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আমরা সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন চাই।’
মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই সংলাপে অংশ নেয়।
এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর কথা ‘কৌতুক’ ছিল: সিইসি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই: সিইসি