ক্ষয়ক্ষতি
ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সমৃদ্ধ করে অবিলম্বে বিতরণ শুরু করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কপ-২৮ এর ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের সাফল্য নির্ভর করবে এর পর্যাপ্ত মূলধন সংগ্রহ এবং কত দ্রুত তা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে বিতরণ করা যায়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান তীব্র চাহিদা মোতাবেক কপ-২৮এর জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতিগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করতে সৌদি আরবের প্রতি পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে অনুষ্ঠানরত ‘ডেলিভারিং দ্য ইউএই কনসেনসাস গ্লোবালি: অ্যাগ্রিমেন্ট থেকে অ্যাকশন’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ক্লাইমেট ফাইন্যান্সিং এর একটি সর্বসম্মত সংজ্ঞা নির্ধারণ অপরিহার্য।
তিনি বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গ্লোবাল স্টকটেকের ফলাফল বাস্তবায়ন করতে হবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিদ ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ করতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।
আরও পড়ুন: টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রশমন কর্মকাণ্ড এবং জাস্ট ট্রানজিশন পাথওয়ের কর্মকাণ্ডগুলোকে ২০২৪ সালে জিএসটি ফলাফল বাস্তবায়ন এবং প্যারিস চুক্তির উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নে অবদান রাখতে সহায়তা করবে এমন ক্রিয়াকলাপগুলো অব্যাহত রাখতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে গৃহীত ঐকমত্য অনুযায়ী উচ্চাভিলাষী ফলাফলকে বাস্তবায়ন করতে হবে যা ১ দশমিক ৫ সেন্টিগ্রেড এবং আমাদের বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যদের চাহিদার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কপ ২৮ থেকে গ্লোবাল স্টকটেক সিদ্ধান্ত ২০২৪ এর জন্য ফলো-আপ টাস্ক গুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছে যা সময়মত বাস্তবায়ন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য জলবায়ু কর্মের অগ্রগতি ট্র্যাক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে বেস্ট প্রকল্পকে সফল করতে পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশ
শরীয়তপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৬ দোকান
শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান পুড়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নড়িয়া বাজার ব্রিজ রোডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
তারা আরও জানান, ভোর ৫টার দিকে মাহিয়া ইলেক্ট্রনিক্স ও বাবুল ইলেক্ট্রনিক্সের মাঝামাঝি জায়গায় প্রথম আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পরে আশপাশের দোকানে। খবর পেয়ে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে আশপাশের ৬টি দোকান পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নড়িয়া ইউনিট দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এতে ৬টি দোকান পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: তদন্তে জানা যাবে কারওয়ান বাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না: ডিএমপি কমিশনার
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চৈন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে রয়েছি।’
শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে গভীর সমবেদনা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
গাইবান্ধায় দুটি শোরুমে অগ্নিকাণ্ডে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা
গাইবান্ধায় অগ্নিকাণ্ডে মিনিস্টার ও মার্সেল কোম্পানির দু’টি শোরুম পুড়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে শহরের ডিবি রোডে অবস্থিত দুই শোরুমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত মিনিস্টার শোরুমের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার শোরুমের ৩৬টি ফ্রিজ, ৬০টি টেলিভিশন, ১০০টি রাইচ কুকারসহ অসংখ্য মালামাল পুড়ে গেছে। শোরুমের অবকাঠামোও পুড়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ড
অপরদিকে, মার্সেল শোরুমের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান মন্ডল বলেন, ‘হঠাৎ করেই শোরুমে এক কোণ থেকে আগুন লাগে। নিমিষেই ৩টি ফ্রিজ, ১৬টি টেলিভিশন, ৫০টির বেশি রাইচ কুকার, ১০টি প্রিন্টারসহ অন্যন্য মালামাল পুড়ে যায়। ডেকোরেশনসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ নাসিম রেজা মিলু বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে শোরুম দু’টিকে রক্ষা করা গেছে। ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি তহবিল নিয়ে আশার সঞ্চার
বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল আশার আলো দেখাচ্ছে। সম্মেলনের প্রথম দিনেই কার্যকর করা এই তহবিলে অর্থায়নে আশানুরূপ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে এই তহবিলে ৭০০ মিলিয়ন বা ৭০ কোটি ডলার জমা পড়েছে। যদিও চাহিদার তুলনায় এটি অত্যন্ত নগন্য। তারপরও গঠনের পর থেকে উন্নত দেশগুলো একে একে এগিয়ে আসছে এই তহবিলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে। যা বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
নতুন আশা তৈরি করলেও এই তহবিল থেকে অর্থ পেতে বাংলাদেশের আরও অন্তত আট মাস সময় লাগবে। কারণ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এই তহবিল ব্যবহারের মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। এজন্য জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকে এই তহবিলের অর্থ ব্যবহারের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের বিষয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করছে। এই সমীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে, বাংলাদেশে কোনে খাতে কী পরিমাণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। সেটি নিরুপনের পর বাংলাদেশ নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে অর্থ পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের লস অ্যান্ড ড্যামেজ সমন্বয়কারী এম হাফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের কার্যক্রম শুরু হতে আরও ৮ মাস সময় দরকার হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রথম সভায় বসবে এই তহবিল পরিচালনায় গঠিত পরিচালনা পরিষদ। আর এই পরিষদই ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রস্তুতির অভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে পারছে না। তাই শুরু থেকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য দক্ষ জনবল ও কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম শেষে গত বছর মিশরের রাজধানী শার্ম আল শেখে ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে ঐতিহসিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠন করা হয়। ফলে অর্থবিহীন এই তহবিলকে কার্যকর করা ছিল একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু এবারের ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনের প্রথম দিনেই এই কঠিন কাজটি সহজ করে দেয় আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত কপ২৮ সভাপতির তহবিল দেওয়ার ঘোষণা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী ইউএনবিকে বলেন, কপ২৮ সম্মেলনের সভাপতি আয়োজক দেশের পরিবেশমন্ত্রী সুলতান আল জাবের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়ে এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রস্তাব করেন। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে ঐতিহাসিক এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রাস্তব অনুমোদন করেন। ফলে অন্য দেশগুলোও এই তহবিলে অর্থায়নে এগিয়ে আসে।
এ পর্যন্ত এই তহবিলে ৭০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ জমা পড়েছে। আরব আমিরাতের ১০ কোটি ডলার ছাড়াও জার্মানি ১০ কোটি ডলার, ইতালি ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ফ্রান্স ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ১৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলন : শুক্রবার শুরু হচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া এই তহবিলে কোনো অর্থ না দিলেও তারা আবার জলবায়ু অর্থায়নে ফিরে এসেছে। দেশটির সাবেক সরকার জলবায়ু অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়াকে প্রত্যাহার করে নিলেও বর্তমান সরকার শুক্রবার প্যাসিফিক দেশগুলোর জন্য ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। তবে এই অর্থ এখনও প্রত্যাশার চাইতে অনেক কম। ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত দশেগুলোর প্রয়োজন ১০০ বিলিয়ন থেকে ৫৮০ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় অর্থ প্রাপ্তি চাহিদার মাত্র দশমিক ২ শতাংশ।
মির্জা শওকত আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলগুলো যেসব দেশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে ফান্ড পরিচালনায় বিশ্বব্যাংককে একসেস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা খুব একটা সন্তুষ্ট না হলেও সবাই রাজি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক আগামী ৪ বছর ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করবে।
২৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হবে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তহবিল নিয়ে আলোচনা করবে।
তিনি বলেন, অ্যাডাপটেশন ফান্ড দিগুন করার বিষয়ে এই কপে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বারোপ করেছে। তবে ন্যাশানাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যানের (ন্যাপ) ড্রাফট টেক্সট অ্যাডাপট করতে পারিনি। একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা এই টেক্সটটা দিয়ে কাজ করব আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসে জার্মানির বন সেশনে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
এছাড়াও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা জলবায়ু সহনশীল করার লক্ষ্যমাত্রা। আরলি ওয়ার্নিংয়ের মাধ্যমে কত শতাংশ জনসংখ্যা আনা হবে, সেটি চূড়ান্ত হয়নি। তবে কপ৩০ এ গিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান মির্জা শওকত আলী।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিনুল হক ইউএনবিকে বলেন, তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে তা অতি নগন্য। আবার এই অর্থ উন্নত দেশগুলো কবে দেবে তার সময়সীমা সংক্রান্ত কোনো রূপরেখা নির্ধারণ করেনি।
তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কারণে ধনী দেশগুলো বিপদাপন্ন দেশগুলোর জন্য বিশেষায়িত অভিযোজন তহবিলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ দিচ্ছে না। চলতি কপে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২১ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম। অভিযোজন তহবিলে অর্থ বরাদ্দ না বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বিপদ আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অর্থনীতি জিম্মি: ব্যবসায়ী নেতারা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলো তাদের আর্থিক ও অ-আর্থিক ক্ষতির জন্য এই তহবিল থেকে অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।
চট্টগ্রামে বন্যায় নিহত ১৬, ক্ষয়ক্ষতি ১৩৫ কোটি টাকার বেশি
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে চট্টগ্রামে অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সময় ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব মিলিয়ে ১৩৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া উপজেলার।
সোমবার রাত থেকে ৩ দিন কার্যত পানির নিচে ছিল এসব এলাকা। টানা ৩ দিন বন্ধ বিদ্যুৎ। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হলেও এখনো অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়নি বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন সিনিয়র কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৩৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার। গত ৩ দিন আমরা খাবার বরাদ্দ দিয়েছি। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে মোট ১ হাজার ১৯৩টি।
এদিকে বুধবার থেকে পানি কমতে শুরু করায় বিভিন্ন এলাকায় নৌকা ডুবে ও স্রোতের টানে ডুবে নিখোঁজ হওয় অনেক নারী-পুরুষ-শিশুর লাশ ভেসে উঠে।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বন্যায় ৩ উপজেলা ও মহানগরীতে মোট ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন মৃত্যুর এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
মতলবে আগুনে পুড়ল ৪ দোকান, আহত ৬
চাঁদপুরের মতলবে আগুনে পুড়েছে চারটি দোকান। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ছয়জন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উত্তর উপজেলার নতুনবাজারে (ইসলামিয়া মাকের্টে) এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আট থেকে ৯ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিক হিসেবে জানা যায়।
জানা গেছে, আগুনে তেলের দোকান,আসবাবপত্রের দোকান, ভলকানাইজিং ও টায়ারের দোকান ও মুদী দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: মোংলা ইপিজেডে ভিআইপি কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
খবর পেয়ে মতলব উত্তর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জাকির হোসেন তার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান রাত আড়াইটায়।
তিনি ইউএনবিকে জানান, এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে সবার ধারণা যে বৈদ্যুতিক শর্ট সাকির্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
তিনি আরও জানান, দোকানগুলো লাগালাগি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সব মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে আগুনে দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ঢাকায় শুটিং স্পটে আগুনে পুড়ে আহত অভিনেত্রী শারমিন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প। সোমবার এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সময় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে দুর্যোগ-প্রতিরোধী বাড়িগুলোতেই ছিল উপকূলের চার লাখ মানুষ। তাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
ভূমিহীনদের বাড়িগুলো উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
গত দুই বছরে চার দফায় ১৯টি উপকূলীয় জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৬১ হাজার ৩৭৮টি আশ্রয়ণ বাড়ি দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর সময় কয়েক হাজার প্রতিবেশী আধা-পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।
দুর্যোগ-প্রতিরোধী ঘরগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সময় গৃহপালিত পশু এবং অন্যান্য সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করেছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: জলাবদ্ধতা, যানজটে চরম ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
পিএমওর মনিটরিং সেলের তথ্যানুসারে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১৯টি উপকূলীয় জেলায় মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৬৯০ জন মানুষ এবং ৪৫ হাজার ৪৪৫টি গবাদি পশুকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উপকূলীয় এলাকায় মোট ধারণক্ষমতার প্রায় ৪৩ লাখ লোকের জন্য সাত হাজার ৪৯০টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প হলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি আবাসন প্রকল্প। যা সারাদেশে গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী জেলায় ছয় হাজার ৯৪১, বরিশালে চার হাজার ৮৩৪, বরগুনায় দুই হাজার ৬০০, ঝালকাঠিতে এক হাজার ৮৪২, পিরোজপুরে চার হাজার ৮৬৭, ভোলায় তিন হাজার ৫২৯, শরীয়তপুরে দুই হাজার ৬৬২, গোপালগঞ্জে তিন হাজার ৮০৫, বাগেরহাটে দুই হাজার ৭৯৪, নড়াইলে ৮২৯, খুলনায় তিন হাজার ৯৫০, যশোরে দুই হাজার ১৫৩, সাতক্ষীরায় দুই হাজার ৯০৬, ফেনীতে এক হাজার ৬৫৯, নোয়াখালীতে তিন হাজার ৬৮৮, লক্ষ্মীপুরে তিন হাজার ২২৮, চাঁদপুরে ৪০৮, চট্টগ্রামে পাঁচ হাজার ৪৩ এবং কক্সবাজারে তিন হাজার ৬৪০ বাড়ি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মুন্সীগঞ্জে গাছ চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু
সিত্রাংয়ে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
বরগুনায় বিহারি পট্টিতে আগুন, দশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
বরগুনা শহরের গোলাম সরোয়ার সড়কের বিহারি পট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসত ঘর ও আবাসিক হোটেলসহ ১৯ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আনুমানিক দশ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে একটি তুলার দোকানে আগুন লাগে। এর ১০-২০ মিনিটের মধ্যে আশপাশের কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আমতলী, বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট এসে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শ্যামলীতে পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
কুড়িগ্রামে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে গত দু’দিন ধরে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এর ফলে জনজীবনে দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। শনিবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জেলা জুড়ে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নীচে অবস্থান করায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাকরছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। এদিকে তীব্র শীতের কারণে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, শনিবার হাসপাতালে ২৯৬জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে ৪৮ জন এবং ডায়রিয়া আইসোলেশনে ৩৯ জন। শীতজনিত কারণে শিশুরা যাতে সমস্যায় না পরে এজন্য গরম কাপড়ে ঢেকে রাখতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও তাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সুষম খাবার দিতে হবে। ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন অব্যাহত রাখতে হবে। রোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নীচে অবস্থান করলে কৃষিতে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হবে। আলুতে লেট ব্লাইডের আক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও বোরা বীজতলা লালচে হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কৃষকরা ইতোমধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমির উপরে প্লান্টেশন শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আলুর ক্ষেত্রে ছত্রাক নাশক স্প্রে করার কম্পোজিশন কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে জানিয়ে দিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি জেলার বিভিন্ন জায়গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থাকায় আমাদের লোকবল সেখানে সম্পৃক্ত থাকায় এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য হাতে আসেনি। চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর বোরো বীজতলা ও ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কাঁপলো সিলেট
সিলেটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা ২৮ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিকটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৫.৬। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকা থেকে ৪৭৭ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মিয়ানমারে।
আরও পড়ুন: তিন দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সিলেটসিলেট নগরের লালবাজার এলাকায় একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি ৯ তলার ফ্ল্যাটে থাকি। মধ্যরাতে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ পুরো ভবন কেঁপে উঠে। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিশেষত বাচ্চারা কান্না শুরু করে দেয়। আমরা যারা উঁচু ভবনে থাকি তারা কাঁপুনিটা বেশি অনুভব করতে পারি।সিলেটকে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বারবারই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সক্রিয় চ্যুতির কারণে এখানে বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে।এর আগে গত ৭ জুন এক মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুই দফায় ভূমিকম্প হয়। তার আগে গত ৩০ মে ও ৩১ মে পাঁচ দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সিলেট। বারবার ভূমিকম্পের ফলে সিলেটের মানুষজনের মাধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০সর্বশেষ গত ৭ জুলাই সিলেটসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সে ভূমিম্পের মাত্রা ছিলো পাঁচ দশমিক ২। যার উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ২৪২ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের লক্ষিপুর।এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। এমন ভূমিকম্পে আতঙ্ক নয়, সতর্ক ও প্রস্তুতি থাকা দরকার।