বিএসএফ
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুজ্জামান (৪০) উপজেলার রত্মাই সীমান্ত এলাকার তসলিম উদ্দিনের ছেলে।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ জানান, সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই সীমান্ত এলাকায় নুরুজামানকে গুলি করে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার ১৫২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সোনামতী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। এতে নিহত হন তিনি।অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে পলিটেকনিকের ছাত্র নিহত, আহত ২
আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আকালু বলেন, নুরুজ্জামান একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
বিএসএফ নিহত নুরুজ্জামানের লাশ ভারতের সোনামতি ক্যাম্পে নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সোমবার বিকালে বিজিবি-বিএসএপ কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ।
আরও পড়ুন: ত্রিশালে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ফের বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
নিহত রবিউল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুলা গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে এবং গরু ব্যবসায়ী।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর একই জেলার জীবননগর উপজেলার নোনাগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মিজানুর রহমান নামে আরেক বাংলাদেশি নিহত হন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, রবিউল ইসলাম নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। রবিউলের খোঁজ খবর নিতে পতাকা বৈঠক ডেকেছে বিজিবি।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর আমরা নিশ্চিত করেছি যে ঠাকুরপুর সীমান্তে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবী ছদ্দিনের ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, মিজানুর রহমান জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। তার লাশ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজও করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিজানুর। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা।
তিনি আরও বলেন, তার লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. জাবীদ হাসান গণমাধ্যমকে জানান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী ইসনাহার থানায় এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানার বরাত দিয়ে জীবননগর থানার ওসি আরও জানান, শনিবার বেলা ১১টার সময় এক নারী মৌখিকভাবে তার স্বামী মিজানুর তিন দিন ধরে নিখোঁজের বিষয়টি ৫৮ বিজিবিকে জানান। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে আজ শনিবার বিকালে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছে ৫৮ বিজিবি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
পঞ্চগড়ের মোমিনপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নুরুজ্জামান ওরফে নুর আলম (৩৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া বর্ডার অবজারভেশন পোস্টের (বিওপি) মোমিনপাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নুর আলম পঞ্চগড়ের বোদার সাকোয়া ইউনিয়নের বকশিগঞ্জ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে নুর আলমসহ কয়েকজন গরু নিয়ে ভারত থেকে ফেরার সময় বেরুবাড়ি সীমান্ত ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি ও টানাহেঁচড়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বিএসএফ গুলি চালায়। এতে নূর আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে অন্যরা নুর আলমের লাশ মোমিনপাড়ায় এক চা বাগানের পাশে ফেলে রাখে।
বিজিবি ও পুলিশ আরও জানায়, খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নুর আলমের লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে নুর আলমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তারা আরও জানায়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে মোমিনপাড়া সীমান্ত এলাকার শূন্য রেখায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের বেরুবাড়ি ২১ বিএসএফ ব্যটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সি এস তমার এবং নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিমের নেতৃত্বে উভয়পক্ষের ১০-১২ জন করে সদস্য পতাকা বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
হাড়িভাসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী জানান, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে ৪-৫ বার গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। তখন বের হওয়ার সাহস পাইনি। পরে সকালে অনেকের কাছে শুনতে পাই নুর আলমসহ কয়েকজন ভারতে গরু আনতে গিয়েছিল। গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, গুলিতেই নুর আলমের মৃত্যু হয়েছে। গুলিটি তার বাম চোখের নিচে লেগে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম জানান, বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, একদল চোরাকারবারী বিএসএফের টহল দলের ওপর হামলা চালায়। তখন বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। তবে কেউ মারা গেছে কি না বিএসএফ তা নিশ্চিত করেনি।
তিনি আরও জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৪ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
চুয়াডাঙ্গা মুন্সিপুর সীমান্তে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মানিক মিয়া (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত ১২টার দিকে আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার ১০৬২-২এস এর কাছে শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নিহত মানিক মিয়া জেলার রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মানিক মিয়াসহ ২০-২৫ জন বেহুলারচর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নম্বর ১০৬২-২এস-এর কাছে যায়। এ সময় ভারতের ৪৫ ব্যাটালিয়নের কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মানিক মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে সঙ্গীরা তার লাশ অন্যত্র সরিয়ে গোপনে দাফনের চেষ্টা করে।
দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ বন্দরের ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর এলাকা থেকে মানিকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জামালপুর বিজিবির ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাশরুকীর জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে বন্দরের ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর এলাকার মোতালেবের বাড়ি থেকে বেহুলারচর এলাকার মানিক মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
হাটখোলা সীমান্তে সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির হাটখোলা সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিএসএফকে বিজিবির মিষ্টি উপহার।
আজ (২৯ জুন) বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে দুপুরে হাটখোলা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার নাইমুল ইসলাম সীমান্তের ২৮১/১২ পিলার এলাকায় ভারতের গয়েশপুর বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার এস সুন্দর সিংকে এ মিষ্টি উপহার দেন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রস্তুত ইসি, বিজিবি মোতায়েন
ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার নাইমুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে সৌর্হাদ্য সম্প্রীতি বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে দুই দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবে বিজিবি-বিএসএফ একে-অপরকে মিষ্টি সহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দেওয়া-নেওয়া হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন,প্রত্যেক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসব মিষ্টি উপহার দেওয়া নেওয়া হয়।ফলে দু-দেশের সৌহাদ্য সম্পর্ক অটুট থাকে।
এসময় বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঈদ সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিত এক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (২৮ জুন) ভোরে উপজেলার কলসীরমুখ বিজিবি ক্যাম্প সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আলমগীর পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কাশিরডাঙ্গা গ্রামের জমরউদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
৫১বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সকালে আলমগীর হোসেন গরু পারপারকারী কলসীরমুখ সীমান্তের ৮০৫নং মূল সীমানা পিলার দিয়ে ভারতের একশ’ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
এসময় ভারতের টহলরত দৈয়ারটারী ৪০বিএসএফের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। গুলি তার পায়ে লাগলে সে দ্রুত পালিয়ে আসে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত, দায়িত্বপ্রাপ্ত আব্দুল মোত্তালিব সরকার বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফর গুলিতে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তের ৩৭৪/১ নম্বার মেইন পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জিন্নাত আলী (৫২) রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের চেকপোস্ট কলোনির মৃত মহিউদ্দীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
স্থানীয়রা জানান, জিন্নাত আলীসহ আরও কয়েকজন দুপুরে বাড়ির অদূরে ভারতের সীমান্তে ঘাস কাটার সময় ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুকরাদহ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে জিন্নাত আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় অন্যরা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল জানান, পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জগদল ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল মোমিন জানান, গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির ঠাকুরগাঁও-৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর আহমেদ জানান, শুক্রবার দুপুরে জিন্নাত আলী নামে এক বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তের শুন্যরেখা অতিক্রম করলে বিএসএফ টহল দল গুলি করে।
আহত অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসেন। চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ কৃষক আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই কৃষক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ধজনগর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে আজম আলী ভূঁইয়া (৫৫) এবং একই গ্রামের মৃত লোকমান ভূঁইয়ার ছেলে ইকবাল ভূঁইয়া (৪৫)।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে ওই দুই কৃষক ধজনগর সীমান্তের সীমারেখার পাশে গরু চড়াচ্ছিলেন। এ সময় আচমকা বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ছিটাগুলি নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। বর্তমানে দুইজনই শঙ্কামুক্ত।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিকালে এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে আহত পাথর শ্রমিকের মৃত্যু
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কালীরহাট সীমান্তের ৮৫৭ সাব পিলারের কাছে সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসুফ আলী (২৭) ওই ইউনিয়নের মেসের ডাঙ্গা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৮৫৭ নম্বর প্রধান পিলারের জগতবেড় ইউনিয়নের কালীরহাট এলাকা সীমান্তে ভারতীয় ১৬৯ মেখলিগঞ্জের রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মীররাপা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যদের ছোড়া গুলিতে ইউসুফ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানে নিহত হন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় এক কর্মচারীকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, নিহত ইউসুফের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি শোনার পরে বিওপি ক্যাম্পে যোগযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া কেন গুলি করা হয়ে তা জানতে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক করা হবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ