বিএসএফ
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নদীতে পাথর তোলার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বগুলাহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পলাশ হোসেন (৩৫) তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের বগুলাহাগি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে কিশোর আহত
এদিকে ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষে বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে বগুলাহাগি এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে স্থানীয় কয়েকজন পাথর শ্রমিকের সঙ্গে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করছিলেন পলাশ। এ সময় ভারতের গীনগছ ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টহল টিম নদীর পাড়ে থাকা চা বাগান থেকে পাথর শ্রমিকদের উদ্দেশে গুলি ছোঁড়েন। এতে একটি গুলি পলাশের পেটের বাঁ পাশে লাগলে নদীর পানিতে পড়ে যায় সে। এসময় বাকি পাথর শ্রমিকেরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে কয়েকজন শ্রমিক ঘুরে এসে তাকে উদ্ধার করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান বলেন, আহত পাথর শ্রমিকের পেটের বাঁ পাশে একটি ক্ষত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তার পেটে গুলি লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, ভূড়ির কিছু অংশ সেই ক্ষত দিয়ে বের হয়ে এসেছে। তার শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংমেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, সীমান্তে আমরা সর্বদা সতর্ক অবস্থানে থাকি। অনবরত আমাদের টহল থাকে। তবে ঘটনাস্থল বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে।
তিনি আরও বলেন, যার একাংশ বাংলাদেশে, অপর অংশ ভারতে। তবে ঘটনার পরপরই আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: ৪দিন পর আজ লাশ হস্তান্তর
রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে কিশোর আহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিএসএফের গুলিতে এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওবাইদুল্লাহ (১৪) ওই গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে।
আহত ওবাইদুল্লাহ’র বাবা গোলাম রসুল জানান, আমার ছেলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চর আষাড়িয়াদহ এলাকার ভারতীয় সীমান্তের নিকট আমার জমির ধান দেখতে ও গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলো। এই সময় ভারতীয় সীমান্ত না বুঝতে পেরে প্রায় ১০ ফিট ভেতরে ঢুকে পরে। এই সময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাকে চলে যেতে বললে কাটা ঘাসগুলো বস্তায় ভরে চলে আসার সময় গুলি করে। এতে করে তার বাম পায়ের উরুতে লেগে গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও জানান, তার ছেলে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে ওবায়দুল্লাহ নামে একজন আহত হয়েছে। তাকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: ৪দিন পর আজ লাশ হস্তান্তর
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ চারদিনের মাথায় ভারতের পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে।
সোমবার বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. রফিকুল ইসলাম।
নিহত সাহাবুল হোসেন বাবু হিলি সীমান্তের ধরন্দা গ্রামের আবুল হোসেনের একমাত্র ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সীমান্তে ধরন্দা এলাকার ২৮৫/২৫নং সাব-সীমানা পিলারের পাশদিয়ে ভুলবশত ভারতের কুন্ডুপাড়া এলাকায় ঢুকে পড়ে বাবু। এসময় বিএসএফ বাবুকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবু।
সোমবার ৪ দিন পর বিকাল সাড়ে ৪টায় হিলি চেকপোস্ট দিয়ে নিহত বাবুর লাশ বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে হিলি সীমান্তেরপুলিশ বাংলাদেশের হাকিমপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হিলি স্থলবন্দরে ১৮ বছর পড়ে থাকা ৫০ ট্রাক পণ্য ধ্বংস
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশি স্থানীয়রা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীমান্তের ২৮৫ এর ২৫ সাব সীমানা পিলারের পাশে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাবুল হোসেন বাবু (২৪) হাকিমপুরের ধরন্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ১৮ বছর পড়ে থাকা ৫০ ট্রাক পণ্য ধ্বংস
হাকিমপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর সীমান্তের বাসিন্দারা দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পায়। ঘটনাটি আমাকে জানালে আমি ভারতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শাহাবুল হোসেন বাবু নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। সে বাংলাদেশের ধরন্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুল।
২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের পক্ষ থেকে এখনও লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।
শিগগিরই এ বিষয়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত: রেলমন্ত্রী
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া সীমান্তে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মংলু (৩৬) ও একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে সাদিক (২২)।
বড়খাতা ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম জানান, বুধবার গভীর রাতে মংলু ও সাদিকসহ কয়েক বাংলাদেশি দোলাপাড়া সীমান্তে যান ভারতীয় গরু আনতে। ভারতীয়দের সহায়তায় গরু নিয়ে পারাপারের সময় কাঁটাতারের এপাড়ে থাকা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই বাংলাদেশি।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত মংলু ও সাদিকের লাশ তাদের সহযোগীরা নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দোলাপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের অভিযোগ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে: বিএসএফ
শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত এবং একজন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার রাতে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ওপারে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ শামিম রেজা (২৫)। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর ইউনিয়নের সড়াপাড়া এলাকার বাইরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ
আহত ব্যক্তির নাম শরিফুল ইসলাম (৩৩)। একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের পোড়াপাড়া এলাকার মৃত সোহবুল হকের ছেলে।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাতে ১০-১২ জন মিলে ভারতে গরু আনতে যায়। এসময় ভারতের চাঁদনীচক বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শামিম রেজা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত শরিফুল ইসলামসহ অন্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে শরিফুল গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি রবিার রাতে বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
কিন্তু পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে তাদের পরিবার মুখ খুলছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও আমাদেরকে কিছু জানায়নি।
তিনি আরও জানান, শুনেছি ঘটনাটি অহেদপুর সীমান্ত থেকে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঘটেছে। সাধারণত ভারতের অভ্যন্তরে এমন কিছু ঘটলে বিএসএফ আমাদেরকে জানিয়ে থাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারাও আমাদের কোন কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে: বিএসএফ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শাহাদাত হোসেন (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর সকালে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় সীমান্তের ৮৬৩ নম্বর মেইন পিলারের ৭ ও ৮ নম্বর সাব পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শাহাদাত হোসেন উপজলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আউলিয়ারহাট গ্রামের গাইবান্ধাপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে এবং পেশায় গরুর রাখাল।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় শাহাদাত হোসেনসহ বাংলাদেশি রাখালের দল পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় সীমান্তের ৮৬৩ নম্বর মেইন পিলারের ৭ ও ৮ নম্বর সাব পিলারর মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তারা ভারতের কুচবিহার জেলার মাথাভাঙা থানার আশাকবাড়ি গ্রামের মডিকলবাড়ী সেতু এলাকা দিয়ে গরু আনছিলেন। এসময় বিএসএফ ১৬৯ রাণীনগর ব্যাটালিয়নের চুয়াঙ্গারখাতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এসময় বাকি রাখালরা পালিয়ে এলেও বিএসএফ শাহাদাতের লাশ নিয়ে যায়।
শাহাদাত হোসেনের বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, বিএসএফের গুলিতে আমার ছেলে শাহাদাত মারা গেছে। ছবিতে দেখেছি, তার বুকে গুলি লেগেছে। ছেলের লাশ ফেরত চাই।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত পিলার থেকে ১২০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি লাশ পড়েছিল। এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে: বিএসএফ
ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) প্রধান পঙ্কজ কুমার সিং বলেছেন যে তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫ হাজার ৫০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বুধবার দিল্লিতে বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এই ক্রয়ের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’
বিএসএফ প্রধান বলেছেন, নজরদারি ক্যামেরা, ড্রোন এবং অন্যান্য মনিটরিং গ্যাজেটের জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ৫ হাজার ৫০০ নজরদারি ক্যামেরা (সিসিটিভি) এবং কিছু অন্যান্য গ্যাজেট পেয়েছি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো ক্রয়ের জন্য ৩০ কোটি টাকার তহবিল অনুমোদন করেছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ দিন পর বাংলাদেশি কৃষকের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ
সিং বলেন, শিগগিরই বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।
তিনি সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের ব্যবহারকে একটি ‘প্রধান চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
বিএসএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, ‘আমরা সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে নজরদারি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এজন্য পশ্চিম ও পূর্বাংশে (পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে) নজরদারি ক্যামেরা এবং ড্রোন ব্যবহার করা হবে।’
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, জানিয়েছেন স্থানীয়রা
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ -এর নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের উত্তর গোতামারী সীমান্তে ৯০১ নং সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সাদ্দাম হোসেন (৩২) একই ইউনিয়নের ভুন্টিয়ামঙ্গল এলাকার আছির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ওই সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে নির্যাতন করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএফ ধরে নেয়ার ৩দিন পর মিলল কৃষকের লাশ
গোতামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোনাবেরুল হক মোনা জানান, তিনি লাশ দেখেছেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ও হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম নিহত সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, জানিয়েছেন স্থানীয়রা
পাটগ্রামে বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে বাংলাদেশি আহত
বিএসএফ ধরে নেয়ার ৩দিন পর মিলল কৃষকের লাশ
ফেনীর পরশুরামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশি এক কৃষককে ধরে নেয়ার তিনদিন পর তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বাঁশপদুয়া সীমান্ত এলাকার ৬৪ নং পিলারের ৯-১০ নং পিলারের একশ গজ ভিতরে স্থানীয়রা নিহতের লাশ দেখে বিজিবিকে খবর দেয়।
নিহত মেজবাহ উদ্দিন (৪৭) পৌর এলাকার উত্তর গুথুমা গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
স্থানীয় কাউন্সিলর, গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বিকালে উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের অংশে ধান কাটাছিলেন মেজবাহ উদ্দিন। এসময় ভারতীয় বিএসএফ ওই সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে এবং মেজবাহ উদ্দিনকে পেয়ে আটক করে নিয়ে যায়। মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম ও তার পরিবার বিষয়টি ওইদিনই স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা থেকে নিখোঁজ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার
স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন সুমন জানান, নিখোজেঁর পরদিন সোমবার সকাল ১১টা, দুপুর ২টা এবং বিকাল সাড়ে ৫টায় পর পর তিনবার বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেন। কিন্তু মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নেয়ার বিষয়টি বিএসএফ অস্বীকার করে।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার জানান, রবিবার বিকালে মেজবাহ সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফ তাকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলেই তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি দিতে দেখা যায়। এ সময় তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর তিনদিন আশপাশে খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে তার লাশ কাঁটাতারের একশ গজ ভিতরে জঙ্গলের ভিতরে ফেলে দেয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
৪ বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুর রহমান জানান, ভারতের কাঁটাতারের একশ গজের ভিতরে এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিজিবিকে খবর দেয়। তবে ওই লাশের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা দাবি করছেন তিনদিন আগে ওই ব্যক্তিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনদিন আগে বিএসএফ একজনকে ধরে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দেয়। যেহেতু ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা তাই বিজিবি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ উদ্ধার করবে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম জানান, ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি এক কৃষক মারা গেছেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন খবর পেয়েছি।
তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় রেললাইনে কিশোরীর লাশ উদ্ধার