বৃষ্টিপাত
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টিপাত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে এবং পূর্বে ওড়িশার রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৯০-১০০ কিলোমিটার (৫৬-৬২ মাইল) বেগে দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আইএমডির প্রধান কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, মঙ্গলবার বিকালে অন্ধ্র প্রদেশের বাপটলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মিগজাউম।
অন্ধ্র প্রদেশে সরকার সোমবার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং তামিলনাড়ুর কর্তৃপক্ষ চার জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওড়িশার পূর্ব রাজ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত আরও তীব্র হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩০
হিন্দু সংবাদপত্র জানিয়েছে, কর্মকর্তারা অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলীয় এবং নিচু গ্রাম থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে, আরও ৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।
তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টিতে রাস্তা ও গাড়ি ডুবে গেছে এবং শহরের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। ট্রেন ও বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের সদস্যরা শহরের নিচু এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে।
রাজ্য সরকার শনিবার জানিয়েছে, নিজস্ব দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী মোতায়েন করেছে তারা। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ হাজার ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন বলেছেন, রাজ্য কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং জনসাধারণকে ঝড়ের প্রভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের হরিয়ানায় বিষাক্ত মদ পানে ১৯ জনের মৃত্যু
ভারতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৪০
সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২ অক্টোবর) সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় দিনের মতো সোমবার সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি আকারে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস, সমুদ্রবন্দরগুলোর সতর্ক সংকেত নামানোর নির্দেশ
দেশে মৃদু তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা: বিএমডি
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) মৃদু তাপপ্রবাহের মধ্যে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিএমডি’র পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ঢাকা, খুলনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, বগুড়া, সীতাকুণ্ড, নারায়ণগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের অন্যত্র সামান্য হ্রাস পেতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের ৭ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি
অন্যদিকে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে দেশের সর্বোচ্চ ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে: বিএমডি
দেশের সব বিভাগে আরও বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি
বৃষ্টির ফলে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'ভালো'
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার বাতাসের মান 'ভালো' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩৯ নিয়ে বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৬৪তম স্থানে আছে ঢাকা।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং মালয়েশিয়ার কুচিং যথাক্রমে ১৬৫, ১৫৬ এবং ১৫৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস সোমবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে।
দেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে।
এতে আরও বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
মঙ্গলবার দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
৫ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়- ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকা সোমবার সকালে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত বাতাসের শহর
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর এবং নীলফামারী জেলা সমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়াও, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৪ বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে আরও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
সোমবার সকাল ৬টা থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হাতিয়া ও কুমিল্লায়। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বিএমডি’র পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা সামান্য দুর্বল হয়ে পড়েছে, মিয়ানামারের স্থলভাগে অবস্থান করছে: বিএমডি
এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেট জেলায়।
এছাড়া আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় নিম্নচাপটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বিএমডি
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি
ঢাকায় ক্ষণিক বৃষ্টিতে প্রচণ্ড গরমে কিছুটা স্বস্তি
ঢাকা শহরে বৃহস্পতিবার সকালে হওয়া বৃষ্টির ফলে কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র গরম থেকে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল এবং সকালে অবশেষে অফিসগামী মানুষেরা বৃষ্টির মুখে পড়ে।
অন্যদিকে, বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ব্যস্ত সময়ে নগরবাসী রাস্তায় আটকা পড়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীদমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৭ বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ
তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জের জনজীবন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার মধ্যরাতে ভোলার নিকটে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করলেও বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। বিষয়টি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুসারে, সিত্রাং খুব দ্রুত উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় ও বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে এবং বর্তমানে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।
মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের অধিক উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশটি সোমবার সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করে এবং এর কেন্দ্র মঙ্গলবার ভোরে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে।
ওই সময়ে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটারে পৌঁছেছিল।
সিত্রাং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত করা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে উপড়ে যাওয়া গাছ ও এর ডালপালার আঘাতে মানুষ মারা যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে শহর এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়।
১৯টি উপকূলীয় জেলায় কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের আশেপাশের প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য জোর দিয়েছিল। সোমবার গভীর রাতের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সিত্রাং আছড়ে পড়ার সময় পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি মানুষকে এইসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
ইতোমধ্যে দক্ষিণের তিনটি বিভাগের কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নদীবন্দর সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাবিবগঞ্জ, বরিশাল সিলেট, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর নদী বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সাত হাজারেরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে সমস্ত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নোঙর রাখতে বলা হয়েছে।
অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ভূমিধস হতে পারে বলে সতর্ক করেছে চট্টগ্রাম ও অন্যান্য পার্বত্য জেলার কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে ইউএনবি সংবাদদাতারা সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের অনেক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত। যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটার কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে দায়ী করেছে।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণকারী দুটি সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ডেসকোর কর্মকর্তাদের মতে, সিমপুর, উলান ও মানিকনগর গ্রিড লাইনে ত্রুটির কারণে অনেক এলাকা ঘন্টার পর ঘন্টা ব্ল্যাকআউটের সম্মুখীন হয়েছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান ইউএনবিকে বলেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে ঢাকার ধানমন্ডি, শেরেবাংলানগর, কাকরাইল, কাজলা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনে গাছ ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকায় ব্ল্যাকআউটও হয়েছে।