ব্যবসা
আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আইনের বাইরে কেউ ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না এবং আইন না মেনে ব্যবসা করলে সরকার কঠোর হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে হঠাৎ চালের দাম বাড়ানোর যুক্তি সঠিক নয়। বাজারে যে চাল আছে, সেটি নতুন কেনা ধানের চাল নয়।
কম দামে কেনা ধানের চাল বেশি দামে বিক্রি করছেন কেন- মিল মালিকদের প্রতি এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, মিলগেটের চালের দাম বস্তায় লেখা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। এতে খুচরা ও পাইকারি বাজার মনিটরিং আরও শক্তিশালী হবে।
মন্ত্রী বলেন, মিলাররা কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দোষ দেয়। কিন্তু তাদের অবৈধভাবে ধান-চাল কিনতে মিলাররাই সহযোগিতা করে। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্যাকেট করে চাল সরবরাহ করেন মিলাররাই।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঢাকার খুচরা বাজারে অভিযানে গেলে অভিযোগ করে মিলাররা চাল ছাড়ছে না, আর মিলাররা বলছেন তাদের চাল বিক্রি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বাজার বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করবেন এটা মেনে নেওয়া হবে না। বাজারে স্বাভাবিক চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিলারদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান শুরু করেছি আমার নির্বাচনি এলাকা থেকেই। সারাদেশে অভিযান এখন চলছে। আমরা এটি চালিয়ে যাব।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হুসাইনি, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান জাকারিয়া, ঝিনাইদহ অটোরাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স (বাণিজ্যিক অনুমতি) নিতেই হবে। এছাড়া কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের রাজস্ব মেলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রাজস্ব আদায়ে আমাদের অভিযানগুলো আরও কঠোর করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষের প্রতিষ্ঠান, নামকরা মার্কেট বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা; যাই হোক না কেন, কেউ যদি ট্রেড লাইসেন্স না করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাহলে প্রয়োজনে সেসব স্থাপনা-মার্কেট সিলগালা করে দিতে হবে, ক্রোক করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজস্ব আদায়ের সার্বিক পর্যালোচনা সভা ‘রাজস্ব সম্মেলন’ এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করা হলে বাকিরাও নড়েচড়ে বসবে। সেজন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে আরও কঠোরতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিচ্ছি। বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া আমরা কাউকে ঢাকা শহরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দিবো না।
মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায়ে একটি বড় বিষয় হলো আপনার আচরণ ও ব্যবহার। এক্ষেত্রে আপনার দপ্তরে যারা সেবা নিতে আসছেন, তাদের সঙ্গে ভালো ও সুন্দর ব্যবহার করবেন।
তিনি বলেন, সেবা নিতে এসে একজন ব্যক্তির যেন আপনার দপ্তরে তিনবার, চারবার আসা না লাগে। সেটা কাম্যও নয়। যেদিন এসেছেন, সেদিনই তাকে সেবা দিবেন। প্রয়োজনে একটু বিলম্ব হলেও সেদিনই সেবা দেবেন। তাকে কালকে আসেন, পরশু আসেন, তিনদিন পরে আসেন, দশ দিন পরে আসেন- এসব বলা যাবে না।
শেখ তাপস বলেন, এতে করে সে ব্যক্তি কর দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন। আপনার আচরণগত কারণে বা তাকে যথাযথ সেবা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করার কারণে একজন আগ্রহী করদাতাও করখেলাপি হয়ে যেতে পারেন। সুতরাং কোনো আগ্রহী করদাতাকে করখেলাপি বানাবেন না।
এ সময় হয়রানি ছাড়া জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কঠোরতা দেখানো হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
তিনি বলেন, এখানে থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি, অবহেলার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও এলসি নিয়ে আলোচনা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা বুধবার রাতে এক নৈশভোজে রপ্তানি সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেছেন, নৈশভোজের সময় রাষ্ট্রদূত লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) সুরক্ষাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন।
মুখপাত্র বলেছেন, ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ গ্রেনস (একটি আমেরিকান কোম্পানি) আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত, মার্কিন দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্টাফ সদস্য। সেখানে তারা প্রধান বেসরকারি খাতের কৃষি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের কৃষি পণ্য রপ্তানি করেছে।
দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি ব্যবসাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবান অংশীদার। কারণ দেশটি সয়াবিন, গম, তুলা ও পশুসম্পদ উন্নয়ন থেকে তৈরি পোশাক খাত পর্যন্ত অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করতে চায়। যেগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সসহ অন্যান্য দেশের বেশ কয়েকজন কূটনীতিক নৈশভোজে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কাজ করার অনুমোদন পেল নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে কাজ শুরুর অনুমোদনের কপি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তার কার্যালয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের হাতে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের কপি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) হস্তান্তর করেন।
এসময় নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে শুভেচ্ছা জানান ও সফলতা কামনা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গত তিন বছর ধরে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা চালু করার জন্যে নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল নগদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার ফলে সামনের দিনে ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
এ বিষয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আমরা দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেলাম। সাধারণ মানুষ যারা নানা কারণে ব্যাংকে আসতে পারে না, তাদের কাছেই সেবা নিয়ে হাজির হবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে আর ব্যাংকে আসতে হবে না, বরং ব্যাংকই মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রথাগত ব্যবসায়ীর বাইরে যারা আছেন, তাদের কোনো রকম জামানত ছাড়াই এক অংকের ঋণ দেব। পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম চালুসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সমাধান দেবে আমাদের ডিজিটাল ব্যাংক। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ আরও সুগম হবে।
সব আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতি শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
অনুমোদনের কপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বিআরপিডি) মো. মনিরুল ইসলাম ও নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
ব্যবসায়ীরা মায়ের কোলে থেকেই ব্যবসা করছেন: খাদ্যমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের আমলে ব্যবসায়ীরা ভালো আছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার কখনো ব্যবসায়ীদের দল-মত হিসেবে বিবেচনা করে না। তাদের ব্যবসায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না।
তিনি আরও বলেন, সে যেকোনো দলেরই হোক না কেন। তাই বলা যায় মায়ের কোলে থেকেই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন।
আরও পড়ুন: পিঠা-পুলি বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ: খাদ্যমন্ত্রী
বুধবার দুপুরে নওগাঁ শহরের কনভেনশন সেন্টারে ব্যবসায়িক মিলন মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের মানবিক হতে হবে। দেশের জনগণের প্রতি ব্যবসায়ীদের লক্ষ রাখতে হবে, ভোক্তাদের যাতে কোনো কষ্ট না হয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন বলেন, জেলার ১১টি উপজেলায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজের অনুমোদন ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নওগাঁ শহরের তীব্র যানজট দূর করতে চার-লেন সড়ক নির্মাণ কাজও শুরু হবে শিগগিরই। ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনায় রেখে সীমান্ত এলাকায় স্থলবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা অনেকটা এগিয়েছে। এটি নির্মাণ হলে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসবে।
তিনি বলেন, কৃষিতে সমৃদ্ধ উত্তরের জেলা নওগাঁ। তবে এখনো জেলায় ভারী কোনো শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি। কৃষিভিত্তিক এ জেলাকে এগিয়ে নিতে এবং শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে এফবিসিসিআই কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এতে এ জেলাসহ আশপাশের জেলার উন্নয়ন হবে।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সরকারের সহযোগিতা চায় বিটিসিসিআই
থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় শিল্প স্থানান্তরে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিটিসিসিআই)।
দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের লাভজনক খাতগুলোকে উন্নীত করতে শুল্ক বাধা অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিটিসিসিআই।
মঙ্গলবার শিল্প ভবনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বিটিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদের সৌজন্য সাক্ষাতে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।
শামস মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। বিটিসিসিআই ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিটিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আরও যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিল্পমন্ত্রীকে সহায়তা ও উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সিয়াম সিটি সিমেন্ট লিমিটেডের মতো বাংলাদেশের কয়েকটি বড় কোম্পানির বিনিয়োগ বাংলাদেশকে বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে থাইল্যান্ডের আগ্রহ প্রমাণ করে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পাট, চামড়া, কৃষি, হালকা প্রকৌশল প্রভৃতি খাত ছাড়াও বাংলাদেশ থাই বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ওষুধ, তৈরি পোশাক, পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা, হিমায়িত খাবার, মৎস্য, অবকাঠামো, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের দিকেও নজর দিতে পারেন।
বিটিসিসিআইকে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডও বাংলাদেশের অবকাঠামোখাতে বিনিয়োগ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিটিসিসিআই'র জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই'র সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সুসম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র
চাঁদপুরে ৫০০০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চাঁদপুরে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এসব ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাটের জাহিদ হোটেলের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজার টেকনাফ এলাকার দেলোয়ার হোসেন, ফয়েজ উদ্দিন হারিস, রেদওয়ান, সোনা মিয়া ও মো. মিজান।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রেপ্তারদের দেহ তল্লাশি করে ৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে চাঁদপুরের হরিণাঘাট হয়ে শরিয়তপুর নিয়ে যাওয়ার সময় তারা গ্রেপ্তার হন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন কবির জানান, মাদকের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস নেই। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২২৮০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ২
টেকনাফ সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবা জব্দ, আটক ৩
রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) দামকুড়া থানার চরমাজারদিয়াড় এলাকায় হাড়ুপাড়া ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক আবু সাঈদ (৩০) চরমাজারদিয়াড় মধ্যপাড়া গ্রামের আমির হোসেন চৌকিদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, আবু সাঈদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শত্রুতা চলছিল। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আবু সাঈদ প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
সেই বিরোধের জেরে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন সাঈদের পথ আটকে তার পায়ে গুলি করে এবং তাকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানিয়রা সাঈদের পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয় দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সাঈদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় দামকুড়া থানায় নিহত সাঈদের স্ত্রী বাদী হয়ে রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান রাত থেকেই শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
চৌকি বিছিয়ে ব্যবসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবাজার
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ-এর তত্ত্বাবধানে, করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বঙ্গবাজারের এক দশমিক ৭৯ একর জায়গা জুড়ে বালি ও ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা ও প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে। পুরো এলাকায় প্রায় দুই দশমিক পাঁচ লাখ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে জানা গেছে। আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
এছাড়াও সোমবার সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলীর নেতৃত্ব এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখনও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
বঙ্গবাজারের স্থানটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধ ছিল ব্যসায়ীদের
বুধবার থেকে ব্যবসায়ীরা চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আগামী বুধবার থেকে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
তিনি বলেন, সোমবার সকাল থেকে পূর্ণোদ্যমে পরিষ্কার কার্যক্রম আরম্ভ করব। যাতে করে আগামী এক থেকে দুদিনের মধ্যে সেখানে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে তালিকা প্রণয়ন শুরু হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা যায়নি। আমরা আশা করছি আগামীকালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকার সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
এ ছাড়া তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সব মহল থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে নগর ভবনে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, এরই মাঝে দুই কোটি টাকা তহবিলে জমা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারে আমাদের করপোরেশন সভা আছে। সেখানে আমরাও সিদ্ধান্ত নেবো। আমরাও এই তহবিলে অংশগ্রহণ করব। যাতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসিত হতে পারে এবং আমরা আশা করছি যে আগামী মঙ্গলবারে না হলেও বুধবার নাগাদ যেন তারা সেখানে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে।
এজন্য পরিষ্কার করার পরে সেই জায়গাটা সমতল করব। পুরো ব্যবস্থাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশন করে দেবে। তারপর চৌকি বিছিয়ে তারা সেখানে ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
এ সময় সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা সকলের কাছে আবেদন করছি মানবিক দিক বিবেচনা করে, এত সংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনযাপন বিবেচনা করে সকলেই যেন এগিয়ে আসে। এই তহবিলে যেন অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া এটা যেহেতু রমজান মাস, তাই মানবতার খাতিরে সকলেই যেন এগিয়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত অনুদানের ব্যবস্থা করবেন।
আমরা আশাবাদী, যেভাবে আমরা সাড়া পাচ্ছে তাতে অচিরেই হয়তোবা এই সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রূপ আমরা দিতে পারব। সকলে মিলে তহবিল গঠন করবে। এতে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
আরও পড়ুন: নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
নগর পরিবহনের ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করা হবে: মেয়র তাপস