ব্যবসা
পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
পুলিশে উপপরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগে জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। আগ্রহীরা প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন বলে ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে।
তবে কতজন নেয়া হবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে চাকরি: বিভিন্ন পদে নিয়োগ
পদের নাম: উপপরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র)
বয়সসীমা: ১৯ থেকে ২৭ বছর
উচ্চতা: পুরুষদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও নারীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে উপপরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) পদে আবেদন করতে হলে।
যোগ্যতা:
অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যুনতম স্নাতক পাস ও কম্পিউটারে অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা ৮ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ৪ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে চিকিৎসকের ২৯ শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
আবেদনের প্রক্রিয়া:
police.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে লগ ইন করে আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপগুলো সম্পন্ন করে আবেদন করতে হবে।
ইইউতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাধা নেই: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ‘ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে দেশের জন্য কোন বড় বাধা নেই।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের প্রস্তাবিত ২০২৪-২০৩৪ জিএসপি রেগুলেশনে অন্যতম শর্ত ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ইম্পোর্ট থ্রেশেল্ড থেকে শর্তটি বাদ দিয়েছে।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিএমইএ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিজিএমইএর সভাপতি ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের প্রধান বাজার, যেখানে আমাদের ৬০ শতাংশ রপ্তানি হয়।’
তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণের মাধ্যমে এই বাজারটিতে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় পরিবর্তন আসবে। বর্তমানে এই সুবিধা ২০২৯ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘২০২৯ সালের পরও যেন আরও অন্তত ১২ বছর এই সুবিধা (অর্থাৎ ইবিএ) বহাল রাখা হয় তার জন্য সরকার ও বিজিএমইএ একসাথে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য, বিজিএমইএ’র প্রতিবাদ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৯৭১ সাল থেকে জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাণিজ্য অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।
বিশ্ব অর্থনীতির সাথে একীভূত হতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য জিএসপি হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন, যা দারিদ্র্য হ্রাস, এবং মানবতা ও শ্রম অধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা ও সুশাসন, টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজেট: বিজিএমইএ
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ‘আমরা এই সফরে প্রায় ৩০টিরও বেশি সভা করি। এর মধ্যে কিছু ছিল সম্মেলন এবং বেশ কিছু দ্বি-পাক্ষিক সভা ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করতে, আমাদের অগ্রগতি, প্রচেষ্টা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে।’
ক্যাশ আউট খরচ কমলো বিকাশে
গ্রাহকের লেনদেন আরও সাশ্রয়ী করতে ক্যাশ আউট চার্জ কমালো মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এখন থেকে মাসে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাজারে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা খরচে ‘প্রিয় এজেন্ট’ নম্বরে ক্যাশ আউট করতে পারবেন গ্রাহক।
শুক্রবার বিকাশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব সময়ের মতই বিকাশের এই চার্জের মধ্যে ভ্যাটসহ সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গ্রাহককে ক্যাশ আউটের জন্য বাড়তি আর কোন খরচ করতে হবে না।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু
বিকাশ লেনদেনের সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৯৫ শতাংশ গ্রাহকই মাসে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ক্যাশ আউট করে থাকেন। সেই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েই বিকাশ তার এক দশক পূর্তিতে গ্রাহকের জন্য এই সাশ্রয়ী ক্যাশ আউট চার্জ নিয়ে এসেছে।
সেবাটি পেতে গ্রাহক ক্যালেন্ডার মাস অনুযায়ী একজন বিকাশ এজেন্টকে ‘প্রিয় এজেন্ট’ হিসেবে যোগ করে নিতে পারবেন। ক্যালেন্ডার মাস শেষ হলে প্রয়োজনমত ‘প্রিয় এজেন্ট’ নম্বর পরিবর্তনও করে নিতে পারবেন তিনি।
আরও পড়ুন: দারাজে পেমেন্ট বিকাশ করলে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
‘প্রিয় এজেন্ট’ নম্বর সংযুক্ত করতে গ্রাহককে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিনের ক্যাশ আউট আইকন ক্লিক করে পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। অন্যদিকে *২৪৭# ডায়াল করে ‘মাই বিকাশ’ মেনু থেকে ‘প্রিয় নম্বর’ মেনু নির্বাচন করে ‘প্রিয় এজেন্ট’ নম্বর যুক্ত করে নেয়ার সুযোগও থাকছে। https://www.bkash.com/bn/cashout লিংকে ক্লিক করে প্রিয় এজেন্ট নম্বর যুক্ত করার পদ্ধতির বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকার চেয়ে বেশি ক্যাশ আউট করার ক্ষেত্রে হাজারে ১৮ টাকা ৫০টাকা ক্যাশ আউট চার্জ প্রযোজ্য হবে। ‘প্রিয় এজেন্ট’ ছাড়া অন্য এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে একই হারে চার্জ প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: সুবিধাবঞ্চিতদের ঈদ উদযাপনে বিকাশে অনুদান দেয়া যাবে
এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রায় ১৫ হাজরেরও বেশি এটিএম বুথ থেকে যেকোন সময় প্রয়োজনমত হাজারে ১৪ টাকা ৯০ টাকায় ক্যাশ আউটের সুযোগ অব্যাহত থাকছে।
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম দুই চালান মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। দু’জন আমদানিকারকের ৪৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট মর্টারের দুটি চালান কলকাতা থেকে ছেড়ে ওই দিন রাতে বেনাপোল বন্দরে আনলোড করা হয় বলে কৃর্তপক্ষ জানিয়েছে।
বুধবার পণ্য চালানটি খালাশ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসবে।
বন্দর কৃর্তপক্ষ জানান, দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করা যায় বিধায় সড়ক পথের পরিবর্তে রেল পথে পণ্য আমদানিতে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিক ছাড়াও এ পথে আরও দুটি পার্সেল ভ্যান ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলে পণ্য পরিবহন করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিকের ইন্দো-বাংলা ট্রেড ম্যানেজার অনুস্কর জানান, বাংলাদেশে প্রথম তারা রেল যোগে আমদানি পণ্য পরিবহন করছেন। রেলে ২০ কেজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিমাণের পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম তারা। পরিবহনে খরচও অনেক কম পড়বে। বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে সপ্তাহে একদিন কলকাতা থেকে রেলযোগে পণ্য নিয়ে আসবেন তারা। বন্দরে পণ্য রাখার জায়গা বাড়লে সপ্তাহে সাত দিনই তারা পণ্য পরিবহন করবে।
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিক পার্সেল ভ্যানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ জানান, রেলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন করে পার্সেল ভ্যান যুক্ত হওয়ায় দ্রুত ও কম খরছে রেলপথে পণ্য আমদানি বাড়বে। তবে বন্দরে সক্ষমতা বাড়ালে পার্সেল ভ্যানে আমদানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্র্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, সড়ক পথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে একটি পণ্য চালান আমদানি করতে ২০ দিন সময় লাগে। বেনাপোলের ওপারে বনগাঁ কালিতলা পার্কিং এ সিন্ডিকেটের কাছে আমদানি বাণিজ্য জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, কলকাতা থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক কালিতলা পার্কিংয়ে ২০ দিন পর্যন্ত সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। প্রতিদিন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা করে ক্ষতি গুনতে হয়। ফলে সময়মতো পণ্য আমদানি করতে না পারায় দেশের শিল্প-কলকারখানাসহ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রেলে পণ্য আমদানিতে দিনের দিন কলকাতা থেকে পার্সেল ভ্যান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে হঠাৎ করে জরুরি অক্সিজেন আমদানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, রেলের পার্সেল ভ্যানে পণ্য আমদানি হওয়ায় দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আমদানি বাণিজ্যে গতি ফিরে আসবে। দিনের রাজস্ব দিনে আদায় করা সম্ভব হচ্ছে। আমদানি বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। বর্তমানে বন্দরে জায়গা স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন রেলের পার্সেল ভ্যান আসতে পারছে না।
দুবাই এক্সপো ২০২০: ভিজিটরদের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত এমিরেটস প্যাভিলিয়ন
আগামী ১ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাইয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রদর্শনী এক্সপো ২০২০ শুরু হতে যাচ্ছে। এই উপলক্ষে অসাধারণ সব উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে দর্শকদের মন মাতাতে প্রস্তুত দুবাইভিত্তিক বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন।
এক্সপো ২০২০ গতবছর অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও করোনা অতিমারির কারণে বহু প্রতীক্ষিত এই ইভেন্টটির তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পর্দা নামলো বেসিস সফটএক্সপোর
রবিবার বিমান সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরচুনিটি ডিক্টিক্টে আল ওয়াসলি ডোম থেকে পায়ে হাটা দূরত্বে অবস্থিত এমিরেটস প্যাভিলিয়ন। আগামী ৫০ বছরে আকাশ ভ্রমণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির প্রভাবে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক এভিয়েশন কেমন হবে তা সম্পর্কে ধারণা পাবেন ভিজিটররা। এছাড়াও দুটি তলাজুড়ে থাকবে ইন্টার্যাকটিভ বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও স্থাপনা যেমন ফ্লাইটের হলোগ্রাফিক মডেল, ভবিষ্যত ল্যাব, উড়োজাহাজের পারফেক্ট মডেল তৈরির চ্যালেঞ্জ, ভবিষ্যতের বিমানবন্দর ইত্যাদি।
আগ্রহী ভিজিটররা এখনই এমিরেটস প্যাভিলিয়ন ভিজিটের জন্য পছন্দের তারিখ ও সময় আগেভাগে বুক করতে পারবেন।
এমিরেটস প্যাভিলিয়নটির নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের মার্চে শুরু হয়ে চলতি বছরের জুনে শেষ হয়। ৪তলা বিশিষ্ট এই প্যাভিলিয়নটির নকশা উড্ডয়নরত উড়োজাহাজের পাখার আকৃতি দেয়া হয়েছে। প্যাভিলিয়নটি ঘণ্টায় ১২০ জন ভিজিটরকে স্বাগত জানাতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: নেক্সট বিজনেস লিডার খুঁজছে গ্রামীণফোন
ডিজিটরদের সহায়তায় এমিরেটস কেবিন ক্রুরা সর্বক্ষণ নিয়োজিত থাকবেন। অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে থাকছে নিচ তলায় অবস্থিত প্যাভিলিয়ন ক্যাফে ও আগ্রহীদের জন্য এমিরেটস অফিসিয়াল সেন্টার থেকে এক্সপো সম্পর্কিত বিভিন্ন স্বারক সংগ্রহের সুযোগ। এক্সপো ২০২১ চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এমিরেটস প্যাভিলিয়ন ভিজিটরদের জন্য খোলা থাকবে।
সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান সালমান এফ রহমানের
সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সোমাবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রিয়াদের ম্যারিয়ট হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘সৌদি-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সালমান এফ রহমান বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বর্ণনা করেন। সৌদি বিনিয়োগকারীদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্ধারণ করার প্রস্তাবও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে: সালমান এফ রহমান
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে আগামী দিনে দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
আরও পড়ুন: অটিজম সচেতনতায় সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস নীল আলোয় সজ্জিত
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সুবিধা তুলে ধরে সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ও বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষের (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ।
সভায় সৌদি আরবের বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, চেম্বার প্রতিনিধি, বিনিয়োগকারী ও স্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যোগ দেন এবং বাংলাদেশ থেকে আগত উচ্চ পর্যায়ের সরকারি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৮ মাস পর পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দিল সৌদি আরব
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
সোমবার সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ সৌদি সফররত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এর সাথে বৈঠককালে এ সম্ভাবনার কথা জানান।
বৈঠকে সালমান এফ রহমান বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বর্ণনা করেন। পাশাপাশি সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেন। সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী বাংলাদেশের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব ব্যবস্থায় সৌদি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে খসড়া সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত করার জন্য অনুরোধ করেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে সৌদি বিনিয়োগের সুযোগ প্রসারিত হবে।
এ সময় সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী জানান, সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং তা দ্রুত স্বাক্ষর হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। আলোচনাকালে সৌদি মন্ত্রী বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল খাত ভিত্তিক বিনিয়োগ বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: মহামারির ধাক্কা কাটাতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রয়োজন: গোলকিপারস প্রতিবেদন
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দু দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিনিধি দল বিনিময় এর গুরুত্ব তুলে ধরে সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রীকে আগামী নভেম্বর এর ২৮ ও ২৯ তারিখে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের অনুরোধ জানালে মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ তা সাদরে গ্রহণ করেন।
এর আগে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি আরবের পরিবহন মন্ত্রী সালেহ আল জাসের এর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নির্মানাধীন কনটেইনার টার্মিনালে সৌদি আরবের রেড সি গেট ওয়ে টার্মিনাল কোম্পানির বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি তিনি ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে সৌদি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের পরিবহন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা যেতে পারে। এ সমঝোতা স্মারকের অধীনে দক্ষতা বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো অনুসন্ধান করে দেখা যেতে পারে। এ সময় সৌদি পরিবহনমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সোমবার রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের সাথেও বৈঠক করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে পাঁচ বার সরকারি সফরের মাধ্যমে সৌদি বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উম্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকল সহযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগের আহবান কৃষিমন্ত্রীর
বর্তমানে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে উল্লেখ করে তা আরও বাড়ানোর ওপর তিনি জোর দেন।
উপদেষ্টা দুদেশের চেম্বার কর্মকর্তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য দ্বিপক্ষীয় সফর ও বৈঠকের ওপর গুরুত্ব দেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাথে সৌদি আরব সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি অনুরোধ করেন।
এর পাশাপাশি উপদেষ্টা দু’দেশের চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে ২০০৫ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগী করার প্রস্তাব দিলে সৌদি ফেডারেশন অব চেম্বার তাঁদের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী সৌদি কোম্পানীগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে তাঁদের সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাগুলোতে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার), বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ও বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সৌদি চেম্বারের সাথে বৈঠকের সময় বাংলাদেশ থেকে আগত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
‘ই-কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
দেশে ই-কমার্সের ব্যাপক প্রসার হলেও আইনী কাঠামোর অনুপস্থিতি ও পরিবীক্ষণ না থাকায় এই সেক্টরে জবাবদিহিতা গড়ে উঠেনি। কিছু সংখ্যক মুনাফা লোভী প্রতারক গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুন্ন করে টাকা লুট করছে। যে সমস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ লুট করেছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
শনিবার এফডিসিতে ‘ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ’ বিষয়ক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই)সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
আরও পড়ুন: দেশে ই-কমার্স বাজার ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ কে আজাদ বলেন,প্রতারিত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নিতে হবে।যেখানে দেশের ব্যাংকগুলোতে অলস টাকার পরিমাণ বাড়ছে সেই টাকা বিনিয়োগে না এনে সাধারণ নাগরিকদের অস্বাভাবিক লোভনীয় অফার দিয়ে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। দিনশেষে অনলাইন পণ্য কেনার নামে প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের সংখ্যা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ফলে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। সার্বিকভাবে এই খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষায়িত সেল গঠন জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন,দেশের কোম্পানি আইন, ট্রেড লাইসেন্স আইন বা আয়কর আইনে ই-কমার্স হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়নি। বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসা তথ্য প্রযুক্তি সেবা হিসেবে নিবন্ধিত হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায় বাংলাদেশে, ই-কমার্স খাতে নিয়োজিত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কোন ঘোষণা ছাড়াই ব্যবসা বন্ধ করে আত্মগোপন করেছে। সম্প্রতি আলোচিত ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং ই-অরেঞ্জের মালিক ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর ই-কমার্সের প্রতারণার চিত্র আরও দৃশ্যমান হয়। ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জ ছাড়াও নিরাপদ ডটকম, ধামাকা শপিং ডটকম, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডটকম ডটবিডি, কিউকুম নামক আরও অনেক প্রতিষ্ঠান গা-ঢাকা দেয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরা ভোক্তাদের বোকা বানিয়ে মায়াজাল ও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বাহারি বিজ্ঞাপন, অস্বাভাবিক ও আকর্ষণীয় অফার,অবিশ্বাস্য ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক ইত্যাদি প্রলোভনের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। প্রাথমিক হিসাবে জানা গেছে, ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা আর সম্পদ রয়েছে ৬৫ কোটি টাকার। গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্যমূল্য বাবদ ২১৪ কোটি টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করা এবং পণ্য কেনা বাবদ ১৯০ কোটি টাকা দেয়নি ইভ্যালি। এছাড়াও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকের এক হাজার কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স বাস্তবায়নে চুক্তি সই
ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বন্ধ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরির মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সাতটি সুপারিশ করেছেন।
সুপারিশগুলো হলো - ই-কমার্স খাতের নৈরাজ্য বন্ধে নীতিমালা ও নির্দেশিকার পাশাপাশি আইন প্রণয়ন জরুরি, ই-কমার্স খাতে বিদ্যমান নৈরাজ্য অনুসন্ধান ও আইনী কাঠামো তৈরির জন্য একটি কমিশন গঠন করা,জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনলাইন কেনাকাটায় বিভিন্ন প্রতারণায় অভিযুক্তদের দৃশ্যমান শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রহকের অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা করা,দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রতিযোগিতা কমিশন ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বিদ্যমান আইনের আওতায় প্রতারিত গ্রাহকরা কীভাবে আইনী প্রতিকার পেতে পারেন তা জনগণকে অবহিত করা,ইভ্যালি বা ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছে তাদের সঠিক তালিকা ও অর্থের পরিমাণ জানার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা, প্রতারণার সাথে জড়িত কাউকে ই-ক্যাব বা অন্য কোন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য না করা এবং ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতারণায় অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসক বসিয়ে তাদের সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে যতটা সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত গ্রহকের অর্থ ফেরত দেয়া।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে বিলিয়ন ডলারের মার্কেট রয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ কে আজাদ আরও বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে ক্রমবর্ধমান হারে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি ব্যাংকে ঋণ খেলাপির পরিমাণ ২০-২৫ শতাংশ। প্রতিবছর সরকার ঋণ খেলাপের কারণে ছয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ঋণখেলাপি এক শতাংশের বেশি নয়।বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও ঋণখেলাপির সংখ্যা বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে আর্থিক খাতে বিপর্যয় আসতে পারে।
তিনি বলেন,করোনার অভিঘাতে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান কমেছে। অন্যদিকে সরকারি খাতেও দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশে বেকার তরুণের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষার গুণগত মান নিম্নমুখী হওয়ার কারণে তরুণরা শ্রমবাজারের চাহিদার আলোকে নিজেকে তৈরি করতে পারছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের করোনার ভ্যাকসিন সনদ পৃথিবীর অনেক দেশ গ্রহণ করছে না।
প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি এর বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
খাগড়াছড়িতে ৭১ কৃষকের মুখে হাসি ‘ফোটাল’ ইউসিবি
খাগড়াছড়ির ৭১ কৃষককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকার ঋণ দিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)।
প্রাথমিকভাবে কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মারমা উন্নয়ন সাংসদ কমিনিউটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষকদের হাতে ঋণ তুলে দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মং সার্কেল চিফ (রাজা) সাচিংপ্রু চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এখানে চাষিরা মনে করে প্রাইভেট ব্যাংক মানে অনেক কিছু কিন্তু এই ধারণা পাল্টে দিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি। অনেক সময় আমাদের চাষিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তারা নানা জটিলতার কারণে ঋণ নিতে পারে না। ফলে করোনার মাঝে কৃষকদের জীবন-যাপন আরও বেশি কঠোর হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় আমাদের কৃষকদেরকে সহজশর্তে জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে এই ব্যাংকের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে আমাদের চাষিদের যেকোন সমস্যায় আপনারা পাশে দাড়াঁবেন।’
আরও পড়ুন: অফিসার নেবে ইউসিবি ফিনটেকের `উপায়’
অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী বলেন, ‘দেশের এই সংকটের মাঝেও খাগড়াছড়ির কৃষকদের কাঁধে কাঁধ মিলাতে পেরে খুবই আনন্দিত। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে দরকার ক্ষতিগ্রস্তদের যতদ্রুত সম্ভব ঋণ দেয়া। এটি পালনে আমরা দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি। আমরা এই প্রথম এক সাথে ৭১ জন কৃষককে মোট ২ কোটি ১০ লাখ টাকা দিয়েছে। যেটি আর কোথাও দেয়া হয়নি। তাছাড়া যেসব এলাকায় কৃষকের জন্য সংকট আর বিপর্যয়, আমরা সেই সব এলাকার কৃষকদের পাশে দাড়াঁনোর জন্য চেষ্টা করবো।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ে ইউসিবির কর্মশালা
ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এন মুস্তাফা তারেক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ির ফলজ মালিক সমিতির সভাপতি দিবাকর চাকমাসহ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা মানবসত্তার মর্যাদা ও মানব উন্নয়নের সম্ভাব্য সব মাপকাঠিতেই অতি দরিদ্র বা অতি প্রান্তিকবহিঃস্থ মানুষ হলেও তাদের জীবন ধারণের একমাত্র ভরসা কৃষি। এমন অবস্থায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কৃষকদের সহায়তা করতেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি।
নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে আন্তদেশীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় নেপাল
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুঁগাও স্থলবন্দর ব্যবহার করে আন্তদেশীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় নেপাল।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাকুঁগাও স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বংশিধর মিশ্র বলেন, নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি করিডোর ব্যবহার করে নেপালের সাথে যোগাযোগ অত্যন্ত সহজ। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। জাতিগতভাবে আমরা প্রায় একই। আমরা এই দুই দেশের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় ভারতের শিলিগুড়ি করিডোর ব্যবহার করে সড়ক পথে নেপালের সাথে সহজ যোগযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনা মহামারির পর আমরা বাংলাদেশের সাথে আরও বেশ কিছু চুক্তি সম্পাদন করতে পারব বলে বলে বিশ্বাস করি। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করে গেলাম। পরবর্তীতে আমরা চুক্তি করার লক্ষ্যে কাজ করব। যেহেতু এই বন্দর দিয়ে ভুটানের সাথে যোগাযোগ রয়েছে, তবে নেপালের সাথে কেনো নয়। নেপালের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি হতে পারে ভালো একটি মাধ্যম।
আরও পড়ুন: ইউরিয়া সার রপ্তানি: বিসিআইসি ও নেপালের কেএসসিএলের মধ্যে চুক্তি
এসময় রাষ্ট্রদূত নাকুগাঁও স্থলবন্দর ব্যবহারকারি আমদানি-রপ্তানিকারক, বন্দর কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন এবং বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় নেপাল
এর আগে দুপুরে রাষ্টদূত নাকুগাঁও স্থলবন্দরে এসে পৌঁছলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুক্তাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীন, পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক এবং বন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।