উপসর্গ
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ৭ মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ছয় জনে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে করোনা উপসর্গে দুপুরে মা, সন্ধ্যায় ছেলের মৃত্যু
হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত আছে। আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে বর্তমানে ২২৭ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৮৮ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৩৯ জন।
হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে কুষ্টিয়া জেলায় শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৮৯ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৭৬।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
জেলায় বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৭২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২৬ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫৮৩ জন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৩ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২৫৮ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৯০৫ জন।
চাঁদপুরে করোনা উপসর্গে দুপুরে মা, সন্ধ্যায় ছেলের মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দুপুরে মা, সন্ধ্যায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার উপজেলার ৮ নম্বর হাটিলা (পূর্ব) ইউনিয়নের লাওকোরা গ্রামের কাজী বাড়িতে উপসর্গসহ এমন আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা জানায়, উপজেলার লাওকোরা গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত আমির হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৬০) কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি ও গলাব্যাথায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। সন্ধ্যায় মমতাজ বেগমকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নারী করোনা রোগীর ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা!
মমতাজ বেগমের দাফনের কিছুক্ষন পরেই তার বড় ছেলে সোহাগ মিয়া (৪২) এর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে উপজেলা হাসপাতালে নিলে পরীক্ষা করে হাজিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মায়ের পর ছেলে সোহাগের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের মাতম দেখা যায় এবং গ্রামবাসীর মাঝে করোনা আতংক বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান দুলাল মির্জা মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে শোক প্রকাশ করেন। তিনি ইউনিয়নবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহারে আহবান জানান।
রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় পাঁচজন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও আটজন। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে করোনা ইউনিটে এই ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জুলাই মাসে রামেকের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬৬ জনে।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে করোনায় মৃত্যু ৫, বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের দায়ে ৪৩৮ মামলা
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, চলতি মাসে (১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত) মারা যাওয়া ৫৬৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে ১৮৪ জনের। আর শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৪৪ জন। বাকি ৩৮ জন করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ।
তিনি আরও জানান, এর আগে গত জুন মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান ৪০৫ জন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ হওয়ার পর মারা গেছেন ১৮৯ জন। বাকিরা করোনা উপসর্গ নিয়ে নমুনা পরীক্ষার আগেই মারা যান। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৭, মার্চে ৩১, এপ্রিলে ৭৯ ও মে মাসে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে করোনায় আরও ৯ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৪০
রামেকের পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর তিনজন ও পাবনার পাঁচজন। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং ছয়জন নারী।
শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছেন ৪৩৩ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ জন।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ১৯ মৃত্যু
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১৮৮ জনের করোনা পজেটিভ রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭৮ জন; যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৭ জন।
বরিশাল বিভাগে করোনা ও উপসর্গে ২০ জনের মৃত্যু
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২০ জন মারা গেছেন।এর মধ্যে ১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং বাকি ৯ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এসময়ে বরিশাল বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬৫৬ জন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় করোনায় আরও ১৬ মৃত্যু
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস বৃহস্পতিবার সকালে জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১২ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৮৮৬ জন, মৃত্যু ৬ তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় শনাক্তের সংখ্যা ২৬৫ জন, পটুয়াখালীতে ১৭৮ জন, ভোলায় ১১৩, পিরোজপুরে ২৪, বরগুনায় ২৮ এবং ঝালকাঠিতে ৪৮ জন। এই পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ৮৪ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে এসে নারীর মৃত্যুএদিকে বরিশাল শের –ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩শ বেড বিশিষ্ট করোনা ইউনিটে বৃহস্পতিবার ৩০১ জন ভর্তি রয়েছেন, যার মধ্যে ১৩৩ জনের করোনা পজিটিভ।
সাতক্ষীরায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৮ মৃত্যু
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে । এরমধ্যে করোনায় একজন এবং করোনা উপসর্গে ৭ জন মারা গেছেন । এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে । এসময় আক্রান্তের হার ৩৫.৫৯ শতাংশ ।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে
এদিকে, জেলায় দায়সারাভাবে চলছে কঠোর লকডাউন। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও হাট বাজারগুলোতে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ২১ মৃত্যু
আংশিক খোলা রেখে শহরের অধিকাংশ দোকানপাটে বেচা-কেনা চলছে। সড়কে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি বেড়েছে ছোট ছোট যান চলাচল। তবে বন্ধ রয়েছে দুরপাল্লার সকল প্রকার গণপরিবহন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়, ২৫ জুলাই পর্যন্ত জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় মামলা দেয়া হয়েছে ৪৫টি এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ফরিদপুর মেডিকেলে করোনায় আরও ১৯ প্রাণহানি
গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জন মারা গেছেন। এনিয়ে চলতি মাসের ২২ দিনে এই হাসপাতালে ২৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১১১ এবং উপসর্গ নিয়ে ১৩৩ জন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান এ তথ্য জানেয়ছেন।
আরও পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জে করোনা ও উপসর্গে ১৫ জনের মৃত্যু
তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তারা ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদ, মাগুরা জেলা থেকে এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।
এই চিকিৎসক বলেন, দূরদুরান্ত থেকে যে রোগীগুলো আসে তাদের শারীরিক অবস্থা একেবারের খারাপ নিয়ে আসে। যে কারণে তাদের মধ্যেই মৃত্যুর হার বেশি।
তিনি বলেন, করোনার এই দুর্যোগে আমরা প্রত্যেক রোগীকে সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের চেষ্টার ঘাটতি নেই।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
হাসপাতালের এই পরিচালক বলেন, ২২ দিনের মধ্যে সব থেকে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ১৭ জুলাই। এই দিনে মারা গেছে ২১ জন।
বর্তমানে ৫১৬ শয্যার এই মেডিকেল কলেজে পুরোটাই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সোমবার (২২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩০৬ জন ভর্তি রোগী রয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউয়ে রয়েছে ১৬ জন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ’র) ফরিদপুর শাখার সভাপতি ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো বলেন, এই ভ্যারিয়েন্টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আক্রান্ত ব্যক্তিকে অল্প সময়েই খারাপ দিকে চলে যাচ্ছে আর এজন্য মৃত্যু বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ ঈদের দিন করোনায় মৃত্যু ১৭৩, শনাক্ত ৩০.৪৮ শতাংশ
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি শরীরে সামান্য জ্বর, ঠাণ্ডা বা অন্য কোনো সমস্যা হলেই দ্রুত চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকেই চলতে হবে।
ফরিদপুর জেলার করোনা আক্রান্তে বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮২ নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৯০ জন। শতকরা হারে যা ৩৪.৫৭ শতাংশ।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৭৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৯৮৭ জন। ফরিদপুর জেলায় এ পযর্ন্ত মোট মৃত্যু ৩৪১ জন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, করোনার এই দুর্যোগে সকলকেই স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে আসতে হবে। শুধু আইন প্রয়োগ করে নয়, করোনা যুদ্ধে সকল শ্রেণি মানুষের সহযোগিতা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জেলার হাট-বাজার, বিপনী বিতানসহ জনবহুল স্থানে মানুষকে সচেতন করতে এবং স্বাস্থ্য বিধির মধ্যে আনতে।
করোনায় কুষ্টিয়ায় পৌর কাউন্সিলরসহ ১২ জনের মৃত্যু
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় পৌর কাউন্সিলরসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৭৬ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৪৩ ভাগ।
আরও পড়ুনঃ বরিশাল বিভাগে আরও ১৬ জনের মৃত্যু
এদিকে, কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের (মোল্লাতেঘরিয়া-রাইনী) এলাকার কাউন্সিলর মো. ইসলাম শেখ (৪৫) মারা গেছেন।
বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, ইসলাম শেখ গত ১৩ জুলাই করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি নিজ বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। বুধবার সকালে তিনি রাহিনী বিশ্বাসপাড়া নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনার ছোবলে প্রাণ গেছে ৪১ লাখেরও বেশি মানুষের
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীসহ পৌর কাউন্সিলররা শোক জানিয়েছেন।
বগুড়ায় একদিনে ১৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৯৫
বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে একদিনে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ৭ জন এবং উপসর্গে ৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে জেলায় ৩৭৫ নমুনায় নতুন করে আরও ৯৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে বগুড়ার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা.সাজ্জাদ-উল-হক এ সব তথ্য জানান।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনার ছোবলে প্রাণ গেছে ৪১ লাখেরও বেশি মানুষের
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মোট ৩৭৫টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে ঢাকায় পাঠানো ৫২ নমুনায় ৪ জন, বগুড়া শজিমেকের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনায় ৭৭ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এছাড়া বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪১ নমুনায় ১৪ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বরিশাল বিভাগে আরও ১৬ জনের মৃত্যু
ডা. সাজ্জাদ জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৫৮৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৯৬০ জন এবং মারা গেছেন ৫২৩ জন। এছাড়া জেলায় ২ হাজার ১১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বগুড়ায় আক্রান্তের হার ৩৪ শতাংশ, মৃত্যু ১৭
বগুড়ায় দু’টি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতজন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ১০জনের মৃত্যু হয়।
এসময় নতুন করে ১৬৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এসকল রোগীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় আরও ৫২ মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬৫
সোমবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন।
তিনি জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৩৪ দশমিক ২১ শতাংশ। এদের মধ্যে সদরের ১০৩, শাজাহানপুরের ২৫, শিবগঞ্জের ১৫, শেরপুরের ৬, কাহালুর ৬, দুপচাঁচিয়ায় ৬, গাবতলীতে ৬, সারিয়াকান্দি ৪, নন্দীগ্রামে ৩, আদমদীঘিতে ২ এবং সোনাতলায় একজন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর মেডিকেলে ১৯ দিনে করোনায় ১৯৭ মৃত্যু
ডা. তুহিন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ২৪৬জন আক্রান্ত এবং ৫১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ২ হাজার ১২৩জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুলনায় আরও ১৩ মৃত্যু
খুলনার চারটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জন এবং উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনায় ৭৬৮ জন শনাক্ত, মৃত্যু ১০
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ৭ জন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দু’জন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বরিশালে করোনায় আরও ১২ মৃত্যু, শনাক্ত ৫৩৫
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩৪ জন, ইয়ালো জোনে ২৭ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ২০জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৩৩ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নড়াইলের ইকবাল হোসেন (৫৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪ জন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনায় আরও ১০ জনের মৃত্যু
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।