উপসর্গ
বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গে ১৯ মৃত্যু, শনাক্ত ২৩৮
বগুড়া, ০৬ জুলাই (ইউএনবি)- বগুড়ায় একদিনে করোনা ও উপসর্গে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জন মারা গেছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
করোনায় মৃত আটজনের মধ্যে বগুড়া জেলার দুজন ও বাকি ছয়জন অন্য জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তিনজন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তিন, টিএমএসএস হাসপাতালে একজন এবং বাকি একজন শিবগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
করোনায় মৃতরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার রেহানা (৯০), নওগাঁর মুসলেমা (৪০) ও আব্দুর রহমান সরকার (৬৩), জয়পুরহাটের মোর্শেদা (৪০), তবিবর (৬৮) ও বাবু (৩৫) এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দুলাল (৮৫) ও আজাহার (৫০)।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
এছাড়া একই দিনে তিন হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ১১ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে শজিমেকে দুজন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আট এবং বাকি একজন টিএমএসএস হাসপাতালে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১০ নমুনার ফলাফলে নতুন করে ২৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৮৮ জন।
তিনি জানান, নতুন শনাক্তের মধ্যে সদরের ১৭৭ জন, শেরপুরে ১১, দুপচাঁচিয়ায় ৯, গাবতলী, আদমদীঘি ও কাহালুর সাতজন করে, সারিয়াকান্দি ও ধুনটের ছয়জন করে, সোনাতলা ও শাজাহানপুরে তিনজন করে এবং শিবগঞ্জের দুজন রয়েছেন। এর আগের দিন জেলায় ১ হাজার ১৬২ নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৩১৪ জন করোনা শনাক্ত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ মৃত্যু
ডা. তুহিন জানান, এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৩১ জনে পৌঁছেছে। সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৩ জন। মোট মৃত্যু ৪৩৭ জন এবং মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় চিকিৎসাধীন ১ আছেন ৪১৩ জন।
খুলনায় করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
খুলনার চার হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন, আবু নাসের হাসপাতালে একজন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ মৃত্যু
রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই চারটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনায় ১২ জন ও উপসর্গে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় পাঁচজন ও উপসর্গে পাঁচজন মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮৭ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১১৭ জন, ইয়ালো জোনে ৩০জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৫ জন।
আরও পড়ুনঃ নাটোরে করোনার নতুন শনাক্ত ১৮৩
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১১৯ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ জন। এছাড়া পিসিআর ল্যাবে ৬৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় করোনায় নতুন শনাক্ত ১৭৪, মৃত্যু ৩
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত নগরীর নিরালা এলাকার ওয়াহিদুজ্জামান (৬৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া করোনা শনাক্ত হওয়া ৪১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
করোনা: খুলনায় আরও ১১ মৃত্যু
খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এরমধ্যে করোনায় ১০ জন ও উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দু’জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্য সাতজন করোনায় এবং করোনা উপসর্গে নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০৪ জন। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে রেড জোনে ১১০ জন, ইয়ালো জোনে ৫৪জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে আছে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ জন।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু, বাড়ছে শনাক্ত
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে যশোরের মনিরামপুরের একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১০৯ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় ৪০ লাখ
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৬ জন, তার মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৩ জন মহিলা।
তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
রাজশাহীতে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু, বাড়ছে শনাক্ত
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১২ জনের করোনা পজেটিভ এবং পাঁচজন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে মারা যাওয়াদের ১০ জনই রাজশাহীর। এছাড়া চাঁপাইনবাগঞ্জের তিনজন, নাটোরের দুইজন, নওগাঁর একজন ও পাবনার একজন। এদের মধ্যে আইসিইউতে মারা যান তিনজন।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
তিনি জানান, এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম দুই দিনের মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯ জনে। এদের মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিল ১৭ জন। এর আগে গত জুন মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান ৪০৫ জন। এদের মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিল ১৮৯ জনের।
শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৫ জন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় ৪০ লাখ
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪০৫ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৬৮ জন। আইউসিইউতে চিকিৎসাধীন ১৮ জন।
এদিকে রাজশাহীতে আবারও বেড়েছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। বৃহস্পতিবার দু’টি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪৬৭নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এর আগে বুধবার শনাক্তের হার ছিল ৩৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
করোনাঃ বরিশালে ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ২৮৬, উপসর্গসহ মৃত্যু ১২
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় এক দিনে সর্বোচ্চ ২৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ হাজার ৮৮৬ জন।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের এবং বরিশাল জেলায় ১, পটুয়াখালীত জেলায় ১ ও পিরোজপুর জেলায় ৪ জনসহ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১১ জনে গিয়ে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮৮৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয় জনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০৭ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ৫৩৩ জনের মধ্যে ৩৭ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরায় করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, অক্সিজেন সংকট
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন, বিগত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহষ্পতিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে পাঁচজন ভর্তি হয়েছেন। উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি ছয়জন মারা গেছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। যাদের মধ্যে ২৪ জনের করোনা পজেটিভ এবং ১২৪ জন আইসোলেশনে রয়েছে। এছাড়া আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জনের করোনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ৪১.৭৯ শতাংশ পজিটিভ ।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ অনেকটা স্থিতিশীল থাকলেও ১৬ জুনের পর তা বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৩৫ জনের মৃত্যু, ১২৪৫ শনাক্ত
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘এ বিভাগে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে। পিরোজপুরে ডেল্টা ধরণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে বিভাগে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
সাতক্ষীরায় করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, অক্সিজেন সংকট
সাতক্ষীরায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জন এবং করোনা উপসর্গে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭৪ জন এবং উপসর্গে ৩৫০ জনের মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুনঃ রামেকে রেকর্ড ২২ জনের মৃত্যু
সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪৯.০৩ শতাংশ।
এদিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটিড হাসপাতাল ঘোষণা করা হলেও সেখানে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেছেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দেয়। আর এ কারণেই ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা অক্সিজেন বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার সকাল থেকেই আমরা সংশ্লিষ্ট মহলকে বলেছি। কিন্ত অক্সিজেন সরবরাহ পেতে পেতে রাত ৮ টা বেজে যায়। যে কারণে ওই সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিনে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করতে দেখা গেছে।
রামেকে রেকর্ড ২২ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে রাজশাহীর ১৪ জনসহ রেকর্ড ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে মারা যাওয়াদের মধ্যে পাঁচজনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন মারা যাওয়াদের ১৪ জনই রাজশাহীর। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর পাঁচজন।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৬ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৪৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাতজন, নাটোরের চারজন, নওগাঁর চারজন, পাবনার একজন, কুষ্টিয়ার একজন ও জয়পুরহাটের দুইজন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৬ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় রেকর্ড শনাক্তের দিনে ১১৫ জনের মৃত্যু
এই হাসপাতালে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪০৫ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৬২ জন।
তিনি জানান, চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর ৩০৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৬ জন, নাটোরের ৩৫ জন, নওগাঁর ৪৩ জন, পাবনার ১৬ জন, কুষ্টিয়ার পাঁচজন, চুয়াডাঙ্গার একজন, জয়পুরহাটের একজন, দিনাজপুরের একজন ও মেহেরপুরের একজন।
এছাড়া আইউসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন ২০ জন।
করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ অনুযায়ী, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮ জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১ ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনায় রেকর্ড শনাক্তের দিনে ১১৫ জনের মৃত্যু
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনার ১৩০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে ৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৮ জন, যার মধ্যে রেড জোনে ১০৫ জন, ইয়ালো জোনে ৪৫ জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।
জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রামপালের তিমির ঘোষ (৫০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন, আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাটের মোংলার চিলা বাজার কালীকাবাড়ীর বিপ্লব মন্ডল (৩৫) মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৯৩ জন, এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন আর এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন, আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
রাজশাহীতে করোনায় ১ মাসে ৩৫২ মৃত্যু
গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের পাঁচজনের করোনা পজেটিভ ছিল এবং বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে মৃত আটজনই রাজশাহীর। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের দুইজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর একজন রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১২
তিনি আরও জানান, এ নিয়ে চলতি এক মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৫২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৬৭ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১৫ জন। এছাড়াও মারা যাওয়া ৩৫২ জনের মধ্যে ১৭১ জনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকি ১৮১ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৩ জন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়াতে করোনায় আরও ৮ মৃত্যু
তিনি জানান, চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর ৩০০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৬ জন, নাটোরের ৩৫ জন, নওগাঁর ৪০ জন, পাবনার ২২ জন, কুষ্টিয়ার চারজন, চুয়াডাঙ্গার একজন, দিনাজপুরের একজন ও মেহেরপুরের একজন। আইউসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন ২০ জন।
কুষ্টিয়াতে করোনায় আরও ৮ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা: এম এ মোমেন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১২
করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জনে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১৬৫ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ২৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানানো হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা: এম এ মোমেন জানান, হাসপাতালে আপাতত অক্সিজেনের কোন সংকট নেই। আর এখন থেকে প্রতিদিন ১শ অক্সিজেন সিলিন্ডার কুষ্টিয়া থেকেই রিফিল করা সম্ভব হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। বাকি অক্সিজেন সিলিন্ডার আগের মত প্রতিদিন যশোর থেকেই রিফিল করে আনা হবে।কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৮১ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪২। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭ হাজার ৭২৬ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৫ জন। মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০২ জন।