টিকা
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ করোনার ফাইজার টিকার আরও এক কোটি ডোজ অনুদান হিসেবে বাংলাদেশকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিয়ে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মার্কিন সরকার তিন কোটি ৮৬ লাখের বেশি করোনার টিকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেছে।
ইউএস চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ সোমবার বলেন, করোনার এই টিকা শিক্ষার্থী ও যারা এখনও প্রথম ডোজ নেয়ার অপেক্ষায় আছেন তাদের টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। এছাড়া করোনার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধরন ওমিক্রন থেকে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতে তাদের বুস্টার ডোজ পেতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৯৬ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বব্যাপী করোনা মোকাবিলায় সাড়াদান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দানে ২০২২ সালের মধ্যে ফাইজারের ১০০ কোটি ডোজ টিকা অনুদান হিসেবে প্রদান করতে অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে এ এক কোটি ফাইজার টিকা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আগামী মাসগুলোতে ফাইজারের আরও টিকা দেশে আসবে বলে মার্কিন পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অনুদান হিসেবে টিকা দেয়ার পাশাপাশি জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা এবং মহামারির প্রতি সরকারের সাড়াদান জোরদারে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র করোনা-সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশ এর মাধ্যমে ১২১ মিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৪০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে ও কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পেতে সহায়তা করার পাশাপাশি রোগের পরীক্ষা করা ও মনিটরিংয়ের সামর্থ জোরদার করেছে, রোগী ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো শক্তিশালী করেছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষিত করেছে এবং জনগণের মধ্যে সংক্রমণ থেকে নিজেদের আরও ভালোভাবে রক্ষা করা সংক্রান্ত জ্ঞান বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে চার বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করেছে। যার মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন পদ্ধতিতে কোভিড টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন, নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রবেশগম্যতা তৈরিতে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর
ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে জনসনের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেশের ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমরা কিছু জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পেয়েছি। খুব শিগগিরই সেগুলো দেয়া শুরু হবে।রবিবার মহাখালীতে বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, জনজন অ্যান্ড জনসনের টিকা এক ডোজের হওয়ায় আমরা সেগুলো ভাসমান, দিনমজুরদের দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তাদের নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা না থাকায় তাদের খোঁজ সবসময় পাওয়া যায় না। একবার এক ডোজ দিয়ে দিলে তাদের পরে আর খোঁজতে হবে না।এর আগে গত ২০ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের তিন লাখ ৩৬ হাজার ডোজ করোনা টিকা দেশে এসেছে। অন্যান্য টিকার মতোই এই টিকা ইপিআইয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্য কোম্পানির টিকা যেখানে অন্তত দুই ডোজ দিতে হয়, জনসনের তৈরি এই করোনাভাইরাসের টিকা এক ডোজের। অবশ্য পরে বুস্টার ডোজ দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।গতবছর জুন মাসেই জনসনের কোভিড টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভ্রমণকারীদের জন্য করোনার বিধিনিষেধে পরিবর্তন আনছে যুক্তরাজ্য
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের জন্য সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে যুক্তরাজ্যকে ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার দেয়া এক ঘোষণায় জানানো হয়, ১১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪ টা থেকে দেশটিতে আসা ভ্রমণকারীদের মধ্যে যারা পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়নি, শুধুমাত্র তাদের যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর দুই দিনের মধ্যে একটি প্রি-ডিপারচার পরীক্ষা এবং একটি পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। তবে পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের জন্য পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে ফিরে আসার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির ভ্রমণ খাত।
করোনার বিধিনিষেধ কমানোর ফলে ইউরোপের সবচেয়ে উন্মুক্ত অর্থনীতি ও সমাজের পাশাপাশি; সবচেয়ে মুক্ত-প্রবাহিত সীমানা উন্মুক্ত করল যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি আর নেই
দেশটির পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ নীতি কার্যকর হবে। টিকা নেয়া যাত্রীদের সীমান্তে পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। আমরা ব্রিটেনকে মুক্ত করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ইতোমধ্যেই ইউরোপের সবচেয়ে উন্মুক্ত অর্থনীতিগুলোর মধ্যে একটি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এ দেশ ব্যবসা ও ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত। এখানে আগত লোকদের পূর্ণ ডোজের টিকা দেয়া থাকলে কভিড পরীক্ষার ফল দেখাতে হবে না।
ইউকে হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ বলেছেন, তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং তারা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে শেখার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: যুক্তরাজ্যে নতুন সতর্কতা
আগামী মার্চের মধ্যে ইউরোপে করোনায় আরও ৭ লাখ মানুষ মারা যাবে: ডব্লিউএইচও
বাংলাদেশকে ২ কোটি ১২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল ফ্রান্স
করোনার বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের লড়াইয়ে সংহতির অঙ্গীকার হিসেবে গ্লোবাল শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের আরও দুই কোটি ১২ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ফ্রান্স।
নতুন এই ডোজসহ এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ডোজ দিয়েছে ফান্স।
এমিরেটসের একটি ফ্লাইট সোমবার গভীর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই কোটি ১২ লাখ ছয় হাজার ১০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের চালানটি নিয়ে এসেছে।
ফ্রান্সের দেয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের দুই কোটি ৬ লাখ মিলিয়ন ডোজ এর প্রথম চালানটি ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় চালানটি ১৯ ডিসেম্বর দেশে পৌঁছেছিল।
তিনটি চালানই কোভ্যাক্স সুবিধার অধীনে ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কানাডা থেকে এলো ২২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা
বাংলাদেশকে আরও ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান
৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
করোনা সংক্রমণ রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো.সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে পাঁচটি বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। বিধিনিষেধগুলো হলো-
১. ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৩. সামাজিক/ রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টফিকেট আনতে হবে।
৪. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমুহে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ প্রহণ করতে হবে।
৫. বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সধরণের জসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। অবশেষে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৭ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় কাজ করার নির্দেশ
ওমিক্রন ঠেকাতে ১৫ নির্দেশনা
দিনে ১২ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে বাগেরহাটে
বাগেরহাটে করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ২৪টি বুথে প্রতিদিন ১২ হাজারে বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে বুথগুলোতে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এপর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭০ জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ, সাত লাখ ১০ হাজার ৬০৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ১৭ হাজার ৮৮২ জনকে বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে জেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শতভাগ শিক্ষার্থী অর্থাৎ, এক লাখ ৫০ হাজার ৭৮২ জনকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া জেলার ফকিরহাট উপজেলাকে শতভাগ করোনা টিকা গ্রহণকারী উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ১২ থেকে ১৭ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন
তবে, বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আট জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। এপর্যন্ত বাগেরহাটে মোট সাত হাজার ১০১ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত মারা গেছে ১৪৪ জন।
এর পরেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। হাট-বাজারে মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে অর্থদণ্ড পর্যন্ত করা হলেও মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাট জেলায় মোট জনসংখ্যা ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৭ জন। জেলায় ১২ লাখ ২১ হাজার ১০৬ জনকে টিকা দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে। এজন্য জেলায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এপর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ৬২ দশমিক ২৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে এক দশমিক এক শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফকিরহাটে শতভাগ মানুষকে টিকাদান
চট্টগ্রামে বস্তিবাসীদের টিকাদান শুরু আজ
খুলনায় টিকা পায়নি ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হলেও ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনার প্রায় ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী এখনও টিকা পায়নি। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ৪৪ হাজার ৫৯৮ জন এবং মাদরাসা ও কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের ১২ হাজার ৪২৯ শিক্ষার্থী টিকার বাইরে রয়ে গেছেন।
খুলনার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, খুলনায় ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী রয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৩৫৯ জন। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৩৫৬ জন। মূলত স্কুল ও মাদরাসার ৭ম শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের এইচএসসি পরীক্ষার্থী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে খুলনা নগরী ও ১০ জানুয়ারি থেকে উপজেলা পর্যায়ে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নগরীর দু’টি টিকা কেন্দ্রে এবং প্রত্যেক উপজেলায় একটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। এদিকে টিকার মজুদ পর্যাপ্ত বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে টিকার জন্য শিক্ষার্থী প্রতি নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা!
নগর স্বাস্থ্য ভবন টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অপ্রশস্ত জায়গায় ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়াতে হচ্ছে। তীব্র রোদে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
নগরীর নিউজপ্রিন্ট মিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল বিশ্বাস বলেন, সকাল ১০টা থেকে রোদে দাঁড়িয়েছিলাম, এখন সিঁড়িতে দাঁড় করিয়েছে। কখন শেষ হয় জানি না।
ইউসেপ টেকনিক্যাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র পার্থ কুমার শীল বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো। টিকার জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা জানান, কমবেশি সবাই দুই থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
টিকা কক্ষে উপস্থিত খানজাহান আলী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, আগে যে সব শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে বাদ পড়েছেন তাদের এখন টিকা দেয়া হচ্ছে। আজ থানার ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৭০ জনের টিকা নেয়ার কথা রয়েছে। টিকা গ্রহণের জন্য স্কুল ভাগ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সব শিক্ষার্থী একই সময় চলে এসেছে। এজন্য ভিড় বেশি।
খুলনার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, নানা কারণে প্রথম দিকে টিকা দেয়ার হার কম ছিল, পরে বেড়েছে। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন। প্রতিদিনই টিকা কার্যক্রম চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ দেয়া শেষ হবে।
২০২২ সালে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন যেভাবে
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক সম্মেলন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান হজ। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌদি আরবের মক্কা গমনকারীদের বৃহৎ মিলনায়তনে শামিল হন বাংলাদেশের মুসলমানরাও। করোনার প্রকোপে ২০২০ থেকে এই আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্মেলনটি শুধুমাত্র সৌদির হজপালনকারীদের জন্য সীমাবদ্ধ করায় বিশ্বের অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের ন্যায় বাংলাদেশিরাও বঞ্চিত হয়েছেন হজে অংশগ্রহণ থেকে। এ বছর যথাযথ সতর্কতা মেনে সৌদি হজ কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমে হজের জন্য প্রস্তুতি নেয়া যাবে। চলুন জেনে নিই ২০২২ সালে কিভাবে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন।
হজের নিবন্ধন পদ্ধতি
বাংলাদেশে প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের নিবন্ধন নেয়া হয়। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়া হজ যাত্রীর সংখ্যা মোট হজ যাত্রীর মাত্র ৫ শতাংশ। সরকারি-বেসকারি উভয় ক্ষেত্রেই যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো প্রাক-নিবন্ধন।
হজের জন্য সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর পৃথিবীর সকল দেশের একটি নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ করেন দেয়। মক্কা-মদীনায় থাকা-খাওয়া সংক্রান্ত জরুরি সেবা প্রদানের জন্য ধারণ ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই কোটা বরাদ্দ হয়ে থাকে।
এরপরেও প্রতি বছর এই কোটার বাইরেও বহু সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। আর এই জন্যই বাংলাদেশের হজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সৌদি ই-হজ সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতির অবতারণা। প্রাক-নিবন্ধিত লোকদের ভেতর থেকে প্রতি বছর কোটা অনুসারে হজে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে অপেক্ষমান যাত্রীদের পরের বছরে হজে যেতে হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
হজের প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি
প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অন্তর্গত হজ যাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেম থেকে প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
→ সরকারি তত্ত্বাবধানে হজ যাত্রায় প্রাক-নিবন্ধনের জন্য নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করা যাবে।
১। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র (ইউডিসি)
২। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
৩। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়
৪। পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
বেসরকারি ভাবে প্রাক-নিবন্ধনের জন্য যেতে হবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত বৈধ হজ এজেন্সিগুলোতে।
→ আবেদন করার জন্য প্রথমে জিমেইল আইডি দিয়ে লগ-ইন করতে হবে।
→ লগ-ইন করার পর প্রার্থীর তথ্য প্রদানের পালা। একাধিক আবেদনের ক্ষেত্রে ‘নতুন আবেদন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে । তথ্যগুলো অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের অনুরূপ হতে হবে। অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্যানুসারে ফরম পূরণ করতে হবে।
→ এবার ‘পেমেন্ট আবেদন’ বাটনে ক্লিক করে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংক-এর তথ্য প্রদান করতে হবে।
→ অতঃপর ‘ভাউচারের জন্য আবেদন করুন’ অপশনে যেতে হবে।
→ ভাউচার তৈরি হয়ে গেলে প্রার্থীর জিমেইলে একটি মেইল যাবে এবং প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বারে একটি এসএমএস যাবে। ভাউচার ডাউনলোড করার জন্য জিমেইল থেকে অথবা প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমে লগ-ইন করে পেমেন্ট আবেদন লিস্ট থেকে ‘পেমেন্ট ভাউচার ডাউনলোড করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
→ অবশেষে ভাউচারটি প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে প্রাক-নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর ব্যাংক থেকে সিরিয়াল নাম্বার সহ প্রাক-নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে। সেই সাথে মোবাইল নাম্বারে একটি পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ যাবে। এমনকি জাতীয় হজ নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীর প্রাক-নিবন্ধন নম্বর চলতি বছর হজ গমনের জন্য নির্বাচিত হলে তা জানিয়ে প্রার্থীর মোবাইল এবং জিমেইলে ম্যাসেজ দেয়া হবে।
→ হজ গমনের জন্য নির্বাচিত হলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে।
→ তারপর হজ অফিস বা সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি পরিশোধ নিশ্চিত করলে হজ্জযাত্রীর জন্য একটি অপরিবর্তনযোগ্য পিলগ্রিম আইডি (পিআইডি) তৈরি হবে, যা হজযাত্রীর মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। এই পিআইডি প্রাপ্তির মাধ্যমেই হজ নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়। প্রাক-নিবন্ধনে প্রাপ্ত তথ্যাবলি পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে যাচাই করা হয়ে থাকে।
এছাড়া প্রাক-নিবন্ধন সম্বন্ধে আরও তথ্য জানার জন্য যোগাযোগের ঠিকানা: হজ তথ্য সেবা কেন্দ্রে, ফোন নাম্বার- +৮৮০৯৬০২৬৬৬৭০৭, স্কাইপে- hajjcallcenter, ই-মেইল- [email protected]।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
আইনি লড়াই হেরে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন জকোভিচ
আইনি লড়াইয়ে হেরে অস্ট্রেলিয়া থেকে সোমবার দুবাই পৌঁছেছেন বিশ্বের শীর্ষ টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা হচ্ছে না বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়ের।
এর আগে করোনার টিকাগ্রহণ না করা জকোভিচের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেয় অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালত।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে গত ৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় যান জোকোভিচ। কিন্তু করোনার টিকা না নেয়ায় তাকে অভিবাসন দপ্তর আটকে দেয়। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। জোকোভিচ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার আবেদন করে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী পরে তার ভিসা বাতিল করে দেন। তিনজন ফেডারেল কোর্টের বিচারক রবিবার সর্বসম্মতিক্রমে জকোভিচের ভিসা বাতিলের আদেশ বহাল রাখায় শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যোগ দেয়ার ছাড়পত্র পেলেন না এই সার্বিয়ান তারকা।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছে টাইগাররা
জোকোভিচ পরবর্তী কোথায় ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস টুর্নামেন্ট আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুরু হচ্ছে না, যেটি জোকোভিচ ২০২০ সালে জিতেছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইতে ভ্রমণকারীদের টিকা দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। যদিও ফ্লাইটে চড়ার জন্য তাদের অবশ্যই করোনার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হয়।
জোকোভিচ নয়টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে পরপর তিনটি। তিনি মোট ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম পর্যায়ের শিরোপা (সবচেয়ে মর্যাদাবাহী ৪টি টেনিস প্রতিযোগিতা) জয় করেছেন, যা টেনিসের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক।
আরও পড়ুন: ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বিরাট কোহলি
শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
সরকারি ও বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করে করোনার টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে টিকা নিতে পারবে। টিকা কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
রবিবার সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নবীন কর্মকর্তাদের দুই মাস মেয়াদী প্রথম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের এখনই টিকা দেয়া হবে না। তবে তাদের শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ জন্য কঠোর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিপিএটিসির রেক্টর রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কোর্সের উপদেষ্টা মহসীন আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স নবীন কর্মকর্তাদের জন্য আবশ্যিক, গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক একটি প্রশিক্ষণ। এবার বিভিন্ন জেলায় কর্মরত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২৯ জন নবীন কর্মকর্তা এ কোর্সে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী