অধ্যক্ষ
নাটোরে অধ্যক্ষের নামে আসা পার্সেলে বোমা, নিষ্ক্রিয় করেছে ডিসপোজাল ইউনিট
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল ও আইসিটি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের ঘরের দরজায় রাখা বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখের নেতৃত্বে ১১ সদস্যদের টিম শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বোমাসহ পার্সেলটি অধ্যক্ষের দরজার সামনে থেকে ক্যাম্পাসের ফাঁকা স্থানে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
পরে এক ব্রিফিংয়ে দলনেতা শফিউদ্দিন বলেন, পার্সেলের ভেতরে হাতে তৈরি ছোট আকারের বোমা ছিল। বোমাটির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় দম্পতির মৃত্যু
এর আগে শনিবার সকালে কলেজে গিয়ে নিজ দপ্তরের দরজায় তার নামে পাঠানো একটি বড় আকারের আমের পার্সেল দেখতে পান ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে রাজশাহী থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরকের আলামতের কথা জানান।
এরপর দিনভর প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে রাখে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সোয়া ১টার দিকে তা নিষ্ক্রিয় করে।
ইউএনবি’র নাটোর প্রতিনিধি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি এবং কোনো মামলাও হয়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার
নাটোরে সদর হাসপাতাল থেকে অভিনব কায়দায় নবজাতক চুরি
বরিশালে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) শিক্ষার্থীরা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কক্ষ তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করার পর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে বরিশাল-ঢাকা মহাড়কে এসে অবস্থান নেয়। এসময় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ২০ মিনিটের মতো অবস্থান করার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জের রহমতপুর ব্রিজ এলাকার দুই পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সিয়াম সরদার জানান, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ শ্রেণিকক্ষে বিনা কারণে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করা, ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ, কল্যাণ তহবিলের নামে অর্থ নিলেও তা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার কাজে ব্যবহার করেন না ও শিক্ষার্থীদের বিনা কারণে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। এই কারণে তার অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থী শচীন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী জিন্নাহকে বদলি, নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া, কলেজের ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করা, অতিরিক্ত ভর্তি নেয়া বন্ধ, ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও শিক্ষার্থীদের বদলি করাসহ নানা হুমকি দেয়ার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না এলে তারা পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করবেন।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তিনিসহ ৮/১০ জন অবরুদ্ধ রয়েছেন। ইউএনও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। শিক্ষার্থীরা আগে কিছু না জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, সামনাসামনি আলোচনা না হলে তো বলতে পারবো না, তারা কি অভিযোগ এনেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন। তাদের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলালউদ্দিন জানান, মহাসড়ক ক্লিয়ার রয়েছে। যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মহাসড়ক ও ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত: নোয়াখালীতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
চবি ছাত্রলীগের অবরোধ স্থগিত
অধ্যক্ষ মারেফা খাতুন আর নেই
লালমাটিয়া মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মারেফা খাতুন আর নেই। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাত ৭টা ৫৭ মিনিটে বার্ধক্যজনিত রোগে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি….রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি চার মেয়ে, নাতি-নাতনী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শনিবার বাদ জোহর উত্তরা, ৪ নম্বর সেক্টর জামে মসজিদে মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যক্ষ মারেফা খাতুন নিয়মিত লেখালেখি করতেন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি কৃষ্ণ ধর আর নেই
অভিনেতা মাসুম আজিজ আর নেই
রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কর্তৃক কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তাকে অনেক বিব্রত করেছে।
রবিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজন হলে আমরা সংসদ স্পিকারের কাছে যেতে পারি।
গত ৭ জুলাই সংসদ সদস্য ওমর ফারুক রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
পরদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী অপশক্তি পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল রাজুসহ অন্যদের উপস্থিতিতে সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজা দুজনেই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অস্বীকার করেন।
সেলিম রেজা বলেন, আবদুল আউয়াল তাকে সংসদ সদস্য ফারুকের কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন, সেখানে পৌঁছে তিনি বিভিন্ন কলেজের আরও সাতজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে দেখতে পান। ‘পরবর্তীতে প্রধান ফোরাম কমিটি গঠন এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের থামাতে সংসদ সদস্য ওমর ফারুককে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, সেদিন আর কিছুই হয়নি।’
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক বলেন, একটি সিন্ডিকেট ইস্যু তৈরির জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়েছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে বিকৃত রূপ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মূলত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য তাদের ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে এবং অধ্যক্ষ সেলিম ও আব্দুল আউয়াল একে অপরকে আক্রমণ করে যা আমাকে থামাতে হয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
স্কুল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় কলেজের এক শিক্ষক এবং কলেজ পরিচালনা পরিষদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. রহমাতুল্লাহ রনির ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (জনসংযোগ দপ্তর) পরিচালক মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঘটনার দিন নেতিবাচক ভূমিকা রাখায় মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক আক্তার হোসেন টিংকু এবং এ ঘটনায় নির্লিপ্ততার জন্য কলেজ পরিচালনা পরিষদকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-সে মর্মে দ্রুত সময়ের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত কমিটি সিন্ডিকেট সভায় ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বিএল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জমান।
এ প্রসঙ্গে মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্তার হোসেন টিংকু বলেন, শোকজের বিষয়টি শুনেছি। এখনও কোন চিঠি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, চিঠি পেলে অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে জবাব দেব।
মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী বলেন, শোকজের বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনও কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠি পেলে জবাব দেয়া হবে।
অধ্যক্ষ হেনস্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, শাওন, মনিরুল, রিমন ও রনির তিনদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে তাদের হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া নূর নবীর তিন দিনের রিমান্ড শুরু হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এ রিমান্ড চলবে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে কলেজছাত্র রাহুল দেব রায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সে এখন হাজতে। এছাড়া অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় ১৭০-১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: আ’লীগ নেতাকে অব্যাহতি
অ্যালুমিনিয়ামের পাইপ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ আটক
নরসিংদীর পলাশ সেন্ট্রাল কলেজের ১৬ শিক্ষার্থীকে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পণ্ডিতপাড়ার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে ছয়টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। রবিবার ষষ্ঠতম বিষয়ের শিক্ষক ক্লাস নিতে আসবেন না এমন খবরে অধিকাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে ওই শিক্ষক ক্লাসে এলে কয়েকজন ক্লাসে আসে।
পরদিন সোমবার সব শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে আসেন। বেলা ১১টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী অ্যালুমিনিয়ামের পাইপ নিয়ে শ্রেণিকক্ষে এসে গতদিন ষষ্ঠতম বিষয়ের ক্লাস না করা ১৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মারধরে জখমের ছবি পোস্ট করে অধ্যক্ষের বিচার দাবি করেন। মুহূর্তেই এসব পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ঠিকাদারকে কুপিয়ে হত্যা
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম মিত্র বলেন, ছাত্র পেটানো কেন, কোনো শিক্ষক ছাত্রকে তিরস্কার করে কথা বলার বিধানও আইনে নেই।
তিনি জানান, ঘটনাটি তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিলন কৃষ্ণ হালদারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের সম্পর্কে জানতে চাইলে নরসিংদীর পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের শাসন করেছি। এখন কেউ কেউ এটাকে ইস্যু বানিয়ে পরিবেশ ঘোলা করার চেষ্টা করছে।’
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
কুড়িগ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ১
দুর্নীতির অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে দুদকের তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহানারা বেগমকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৫ নভেম্বর সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে তাকে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য রেকর্ড করাতে বলা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রদত্ত সময়ে তিনি (শাহানারা বেগম) উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব
কুষ্টিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে নিন্দনীয়: হাইকোর্ট
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা যদি সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই তদন্ত রিপোর্ট দেখে আগামী ১ সেপ্টেম্বর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের মঙ্গলবার
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আদালত বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের আবেদনে সাড়া দেয়নি চেম্বার বিচারপতি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।
সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ দুজনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড-এর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।
ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন এখন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সেই অডিও ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের আদেশ মঙ্গলবার
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের পদে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিটের ওপর আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের আবেদনে সাড়া দেয়নি চেম্বার বিচারপতি
এর আগে রোববার (৮ আগস্ট) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গর্ভনিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি এই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় নতুন অধ্যক্ষের যোগদানে ‘বাধা নেই’
উল্লেখ্য সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ দুজনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সেই ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ফাঁস হওয়া ওই অডিও ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হেনেছে বলে মন্তব্য করছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্যরা। তারা বলছেন, অধ্যক্ষ কামরুন নাহার চলতি বছরের প্রথম দিন যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি বললেই চলে। কেউ যদি তাকে স্কুলে আসার বিষয়ে অনুরোধ করেন, তিনি (কামরুন নাহার) সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মন্ত্রী, সচিবালয় এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তার যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন গভর্নিং বোর্ডের কয়েকজন সদস্য।
অধ্যক্ষ নেই কুমিল্লার ৭ সরকারি কলেজে
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার সাত সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় কলেজগুলোর প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।