অপরাধ
ফরিদপুরে কিশোরকে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই!
ফরিদপুর সদরে কিশোরকে হত্যার পর তার রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের উত্তর দয়ারামপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাব্বির বিশ্বাস (১৫) চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরুদ্দিন মুন্সিরডাঙ্গী গ্রামের ঘোড়াগাড়ির চালক আলমগীর বিশ্বাসের ছেলে ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার খরচ জোগাতে অটো রিকশা চালাতো।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে চালককে ছুরিকাঘাত করে টমটম ছিনতাই
সাব্বিরের চাচা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস জানান, সাব্বির গোলডাঙ্গির পদ্মার চর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। শুক্রবার সকালে ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সাব্বির। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়। শনিবার সকালে একটি খেতে স্থানীয়রা সাব্বিরের লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চালককে হত্যা পর অটোরিকশা ছিনতাই
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই রিকশা চালকের রিকশাটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ সদস্যদের অপরাধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান আইজিপির
পুলিশের কোনো সদস্য অপরাধে জড়িত থাকলে তাকে পুলিশ বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
বুধবার যশোর পুলিশ লাইন্সে খুলনা রেঞ্জের সকল পুলিশ ইউনিটের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও বাহিনীর সঙ্গে এক বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার মোহিত উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নতি অনেক দেশের কাছে গবেষণার বিষয়: আইজিপি
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমরা নিজেরা অপরাধ করবো না এবং সিনিয়র বা জুনিয়র সহকর্মীকেও অপরাধ করতে দেব না।’
জনগণের সঙ্গে অমানবিক ও অপেশাদার আচরণ না করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি।
প্রধানমন্ত্রীর ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী আধুনিক পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের সক্ষমতা বাড়াবে নবগঠিত এভিয়েশন উইং: আইজিপি
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম বুলেট ছুড়ে পুলিশ জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে। আর কোভিড-১৯ মহামারিতে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, জনগণের আস্থা বজায় রাখা খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
পুলিশ প্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে যশোর পুলিশ হাসপাতাল, ইন্সপেক্টরস কোয়ার্টার, চৌগাছা, যশোর ও পুলিশ অফিসার্স মেসের উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও তিনি যশোর জেলা পুলিশের বহুমুখী ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সিরাজগঞ্জে গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিরাজগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ছয় কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। এসময় একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খোর্দ্দ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার মো.জসীম উদ্দিন (৩১) ফেনী সদরের চোছনা গ্রামের ছেরাজুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৭ শিবির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২’র কোম্পানি কমান্ডার ও মিডিয়া অফিসার মেজর এম.রিফাত-বিন-আসাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে বগুড়ার শেরপুরের খোর্দ্দ এলাকায় মেসার্স আসিফ ব্রিকস্ নামে ইট ভাটার সামনে অভিযান চালিয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে নগদ ৮৫০ টাকা ও মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তার
এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গাইবান্ধায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা!
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজাবিরাট নয়াপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত খোকন মিয়া (৩৫) রাজাবিরাট নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন জানান, নিহত খোকন মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদক কিনতে মাঝে মধ্যে এলাকায় চুরি করতেন। শুক্রবার রাতে খোকন বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাজাবিরাট সাঁওতাল পাড়ায় চুরি করতে গিয়ে ধরা পরলে স্থানীয় লোকজন তাকে পিটুনি দেয়। পরে আহত অবস্থায় বাড়িতে ফেরার পর তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০০ টাকার জন্য ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আটক ১
ওসি জানান, খোকনের পরিবার অভিযোগ করার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গোপালগঞ্জে পুকুর থেকে ব্যবসায়ীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার
গোপালগঞ্জ সদরে পুকুর থেকে এক মুদি ব্যবসায়ীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খানারপাড় গ্রামের বাদশা শেখের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গাউজ দাড়িয়া (৪৫) ওই গ্রামের আজিম দাড়িয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের পাশে মুদির ব্যবসা করে আসছেন।
নিহতের বাবা আজিম দাড়িয়া বলেন, ‘গাউজ দাড়িয়া প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে বাড়ির পাশের দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ৬টার দিকে আমার স্ত্রী দোকেনে গেলে দোকানের দরজা খোলা দেখেতে পায়। এরপর তাকে খুঁজতে থাকে।’
আরও পড়ুন: কর্ণফুলি নদীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
পরে স্থানীয়রা বাদশা শেখের বাড়ির পাশের পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই শহিদুল ইসলামের অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় দোকোনের পাওনা টাকা নিয়ে আমার ভাইয়ের সঙ্গে গ্রামের কাইয়ূম মোল্লার ছেলের ঝগড়া হয়। এর আগেও একবার ওর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিলো ওই সময় আমার আব্বা মিমাংসা করে দিয়েছিল। আমাদের ধারণা ওই বিবাদের কারণে আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: নালিতাবাড়ীতে কার্টনে মোড়ানো ২ নবজাতকের লাশ উদ্ধার
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ে আমরা রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।
রাজধানীতে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে রবিবার ভোরে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবাসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সোহাগ চৌধুরী (২৫), রিয়াজুল ইসলাম (২৪), আফরিজ চৌধুরী (২৫), শাওন (২০) ও মাহাবুবুল আলম শুভ (২৫)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কক্সবাজার থেকে মাদক ক্রয় করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবক আটক, ৫ লাখ ইয়াবা জব্দ
ফেনীতে ভাতিজার ইটের আঘাতে চাচা খুন!
ফেনীর দাগনভূঞায় পারিবারিক কলহের জেরে দুই ভাতিজার ইটের আঘাতে চাচা নুরুল আফসার (৪৫) খুন হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার জায়লস্কলর ইউনিয়নের উত্তর জায়লস্কর গ্রামের শাহ আলম মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার অভিযোগে নিহতের ভাই শফিকুর রহমানের স্ত্রী রোকেয়া বেগম, তার ছেলে জাহেদ ও জনিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত নুরুল আফসার ওই এলাকার আফছার আব্দুল বারিকের ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে ঘর ঝাড়ু দেয়া আবর্জনা পথে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোকেয়া বেগমের সঙ্গে নিহত আফছারের স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়। এরপর নারীদের এই ঝগড়ায় বাড়ির পুরুষ সদস্যরাও যুক্ত হয়। এ সময় তাদের চাচা নুরুল আফছার ঝগড়া থামাতে এগিয়ে গেলে দুই ভাতিজা জনি ও জাহিদ আরও ক্ষিপ্ত হন। তারা চাচার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা চাচা নুরুল আফছারকে এলোপাথাড়ি কিল,ঘুসি ও ইট দিয়ে বুকে আঘাত করেন। এসময় নিহত নুরুল আফসার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এবিষয়ে জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন জানান, চাচা নুরুল আফছারের সঙ্গে আগে থেকেই ভাতিজা জনি ও জাহিদের বিরোধ ছিল। সে কারণে তারা আগে থেকেই চাচার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
আরও পড়ুন: সুপারি চুরির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক খুন
দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) পার্থ দেব জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এছাড়া নিহতের ভাই শফিকুর রহমানকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম হাসান জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীর পবায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবাকে গলাকেটে হত্যার পর সেফটিক ট্যাঙ্কে লাশ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আশগ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে দামকুড়া থানা পুলিশ।
নিহত সাজ্জাদ হোসেন (৬৫) ওই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে স্বপনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, গত মঙ্গলবার থেকে সাজ্জাদ হোসেন নিখোঁজ ছিলেন। পরে তার বড় ছেলে আবদুল হাদি বুধবার থানায় নিখোঁজের জিডি করে। নিখোঁজের বিষয়ে জানার জন্য হাদির ছোটভাই স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তিনি বাবাকে গলাকেটে হত্যা করেন।
স্বপনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তার বাবাকে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হলে গলাকেটে হত্যা করে বাবা সাজ্জাদ হোসেনের লাশ বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীকে ‘অপহরণ’
এক বছর আগে স্বপনের মা মারা যান। এরপর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার কথা বলছিলেন বাসায়। দ্বিতীয় বিয়ে করলে সম্পত্তি ভাগ হয়ে যাবে-এই চিন্তা থেকে স্বপন তার বাবাকে হত্যা করেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীকে ‘অপহরণ’
বান্দরবান সদর উপজেলায় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে স্বামীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার রাজবিলায় এলাকায় বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত চিংয়ানু মারমা (৩০) রাজবিলার থংজমাপাড়ার রেথোয়াই মারমার স্ত্রী। অপহৃত রেথোয়াই মারমা (৪০)।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, একজনকে হত্যা ও একজনকে অপহরণের খবর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, হত্যা ও অপহরণের মূল কারণ এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, আহত ২
চট্টগ্রামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ১
তালাক দেয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিলমিল নুর নবীর কলোনিতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মারধরের ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু তাহের (৪৮) নগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিলমিল নুর নবীর গলিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ বাড়ির ছাদে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
অভিযুক্ত আব্দুল জলিলের (৪০) বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর কিল্লার হাটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আসামি আব্দুল জলিল নোয়াখালীতে থেকে মুড়ি-চানাচুর বিক্রি করতেন। এক মাস আগে তিনি তার স্ত্রী রওশন আরাকে তালাক দেন। কিছুদিন ধরে জলিল আবার রওশনের সঙ্গে সংসার করতে চাপ দিলেও এতে রওশন রাজি হচ্ছিল না। এ কারণে জলিল সন্দেহ করতে তার রওশন বাসার আবু তাহেরের পরকীয়া করছে।
সম্প্রতি জলিল চট্টগ্রাম এসে পতেঙ্গায় রওশনের এক মামীর বাসায় ওঠেন এবং ১৪ ডিসেম্বর রওশনের বাসায় যান। সেখানে রওশনকে না পেয়ে তার সন্দেহ হয় আবু তাহের রওশনকে অন্যত্র নিয়ে রেখেছে। এমন সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার রাতে জলিল রওশনের মামাতো ভাই ও মামাতো বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাহেরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির বলেন, ‘তালাক দেয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সর্ম্পক রয়েছে এমন সন্দেহ থেকে আব্দুল জলিল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে আবু তাহেরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা তাকে আটক করেছি। অন্য দুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।’