নির্বাচন কমিশন
পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপি নির্বাচন ৫ জানুয়ারি
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, পঞ্চম ধাপে ৭০৭ টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, দেশের ৪৭টি জেলার ৭০৭টি ইউনিয়নের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমাদান ৭ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৯ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর।
পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৩৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএম এবং বাকি ইউনিয়ন পরিষদে প্রচলতি ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হবে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে দুই সতীন মুখোমুখি, বিপাকে স্বামী
ইউপি নির্বাচন: কুমিল্লায় সহিংসতায় যুবক নিহত
জমে উঠেছে আউশকান্দি ইউপি নির্বাচন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে হবিগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বাধা দূর হওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২৮ নভেম্বর (রবিবার) ভোট হওয়ার কথা।
এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (চশমা), আব্দুল হামিদ নিক্সন (ঘোড়া) ও এজাহারুল ইসলাম (আনারস)।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এর আগে দ্বিগর ব্রাম্মন গ্রামের বাসিন্দা নিশি সূত্রধরসহ পাঁচজন তাদের গ্রামকে প্বার্শবর্তী মৌলভীবাজার জেলার খলিলপুর ইউানয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনটির সরেজমিন তদন্ত করে কোন যৌক্তিকতা নেই মর্মে প্রতিবেদন দেন জেলা প্রশাসক।
পড়ুন: শরীয়তপুরে নির্বাচনী সহিংসতা: আহত আ’লীগ কর্মীর মৃত্যু
এদিকে, বর্তমান চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন পরিষদের সভায় তার ইউনিয়নের কোন গ্রামকে যেন খলিলপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত না করা হয় এ মর্মে রেজুলেশন গ্রহণ করেন। অপরদিকে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। উক্ত রিটের শুনানি শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রেসপনড্টেদের বিরুদ্ধে রুল জারি করে চার সপ্তহের মধ্যে জবাব দিতে বলেন হাইকোর্ট।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, হবিগঞ্জ ও মৌলভী বাজারের জেলা প্রশাসকসহ সাত জনকে বিবাদী করা হয়। এছাড়া বিগত ৮ মার্চ রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন।
এদিকে অন্যান্য ইউনিয়নের সাথে এই ইউনিয়নের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। গত ১ নভেস্বর মহিবুর রহমান নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আরও একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে চূড়ান্ত সীদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেন।
গত ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টে মহিবুর রহমানের দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে ওই ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ২৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে মিস মামলা দায়ের করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন।
পড়ুন: শার্শায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
মুন্সিগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ ৫
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি মহল নির্বাচন না করে ক্ষমতায় থাকার নানা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। তারা দ্বিগর ব্রাম্মনগ্রামের সহজ সরল কয়েকজন লোককে ভুল বুঝিয়ে প্বার্শবর্তী খলিলপুর ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সীমানার মধ্যে এ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে অসন্তোষ জানিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, দ্বিগর ব্রাম্মনপাড়া (ঢালারপাড়) গ্রামটি মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার ১নং জে এল ভুক্ত। ভূমি রেজিষ্ট্রিসহ যাবতীয় কাজে তাদেরকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় যেতে হয়। ওই গ্রামের সকল উন্নয়ন কাজ করা হয় আউশকান্দি ইউনিয়নে বরাদ্দ থেকে। কিন্তু ভূমি উন্নয়ন করের কোন অংশ পান না।
তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় ইকনোমিক জোন করা হচ্ছে। ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বার্থে সীমানা নির্ধারণের যৌক্তিকতা রয়েছে।’
ইউপি নির্বাচন: নরসিংদীতে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৩
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে তিনজন নৌকা সমর্থক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের মৃত হেকিম মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (৩০), আব্দুল হক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬) ও হাজী সিরাজ মিয়ার ছেলে দুলাল (৪৫)। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত জাহাঙ্গীর ও সালাহউদ্দিনের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং দুলাল মিয়ার লাশ তার বাড়িতে রয়েছে। তিনজনই আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থক বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় আহতদের নরসিংদী সদর ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীরা জানান, রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল হক ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে ভোট শুরু হওয়ার পূর্বেই সকাল ৬টার দিকে এ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে পুলিশ প্রশাসন।
রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘বাঁশগাড়িতে এখন পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের লাশ এলাকায় রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি।’
নরসিংদী সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুন অর-রশিদ বলেন, বাঁশগাড়ীর ঘটনায় এ পর্যন্ত নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে দুজনের লাশ এসেছে।
পড়ুন: দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
কুষ্টিয়ায় ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের মৃত্যু
দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এতে বিভিন্ন পদের জন্য ৪১ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং কোনো বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন ৮৪৮টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করলেও ভোট হচ্ছে ৮৩৫টিতে। সাতটির ভোট স্থগিত এবং একটির ভোট বাতিল করেছে ইসি। পাঁচটিতে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ৮১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশব্যাপী দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য ৩ হাজার ৩১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীসহ মোট ৪১ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের মৃত্যু
সদস্য পদের জন্য প্রায় ২৮ হাজার ৭৪৭ প্রার্থী এবং সংরক্ষিত আসনে ৯ হাজার ১৬১ জন মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এই ধাপে ২০৩ সদস্য প্রার্থী এবং সংরক্ষিত আসনে ৭৩ জন মহিলা প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সারাদেশের ৮ হাজার ৪৯২টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৪ লাখ ৫ হাজার ৮৩১ জন, নারী ভোটার ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৯ জন ও হিজরা ভোটার ১৬ জন।
সাম্প্রতিক নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বুধবার বলেছেন, ‘প্রত্যেক এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করে এই ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সহনশীলতাই এই ধরনের ঘটনা রোধ করার একমাত্র উপায়।’
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপি নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর
ভোটের টাকার জন্য স্ত্রী খুন: স্বামী পলাতক, দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেপ্তার
চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপি নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, চতুর্থ ধাপে দেশের বিভিন্ন জেলার ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের ভোট আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফ, নরসিংদীর রায়পুরা ও পাবনার আটঘরিয়া পৌরসভা নির্বাচনও একই দিনে হবে।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা ২৫ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের সময়সীমা ২৯ নভেম্বর এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বুধবার নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানায়।
৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ও তিনটি পৌরসভার ভোট ইভিএম পদ্ধতিতে হবে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: রায়পুরায় গ্রেপ্তার ১২, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
ইউপি নির্বাচন: লালমনিরহাটে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই
ইউপি নির্বাচন: কক্সবাজারে প্রার্থীসহ ২ সহোদর গুলিবিদ্ধ
সরকারের ইচ্ছানুযায়ী ইসি গঠিত হতে যাচ্ছে: বিএনপি
সার্চ কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি বলেছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার কেবল কমিশনে তার পছন্দের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তারা এখন সার্চ কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে এত কথা বলছে। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে এই সার্চ কমিটি গঠিত হবে? বতর্মানে যে পরিস্থিতি, তাতে বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিদের নিয়ে তারা সার্চ কমিটি গঠন করতে চাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত এক সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে এবং ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মানসিক রোগে আক্রান্ত-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ফখরুল। তিনি বলেন,‘তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, নির্বাচন কমিশনার সত্যি কথা বলায় তারা এখন বিভিন্ন মন্তব্য করে বেড়াচ্ছে। তারা বলছেন নির্বাচন কমিশনার নাকি মানসিকভাবে অসুস্থ! আমি বলছি, সরকার মানসিকভাবে অসুস্থ।’
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মানুষের সামনে আসতে ভয় পায়। তাই তারা সব কাজ ভার্চুয়ালি করে। তিনি বলেন,আপনারা বাড়ির বাইরে আসেন না। ঘরে বসে এত কথা বলেন, কই আপনাদের কোনও নেতাকে তো বাইরে আসতে দেখিনা। আপনারা কেউ গণভবনে বসে, আবার অন্য মন্ত্রীরা নিজেদের বাড়িতে বসেই সবকিছু ভার্চুয়ালি করেন।
আরও পড়ুন: সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
ফখরুল ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা বাইরে আসেন, মানুষের সাথে কথা বলে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা জানার চেষ্টা করে দেখেন। তিনি বলেন,‘আপনারা নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচনের আয়োজন করেন আর মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেন, তাহলেই আপনারা নিজেদের দলের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবেন। আপনারা পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না।’
তিনি আরও বলেন,আগামী নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারে, এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন,দেশটা এখন আমলারাই চালাচ্ছে। তারা এখন আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান হয়ে গেছেন।
এখন কোথায় আওয়ামী লীগ আছে? সবখানেই এখন আমলালীগ। আপনি যেখানেই যাবেন, দেখবেন ডিসি, এসপি এবং ওসি বড় ক্ষমতার অধিকারী। তারা তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) চেয়েও বড়। তারা নিজেরাই বলে যে মাছের রাজা ইলিশ এবং দেশের রাজা পুলিশ।
ফখরুল বলেন, দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি কৃষক দলের নেতাকর্মীদের তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে এবং সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য আসন্ন আন্দোলনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ফখরুল আরও বলেন,‘যারা নতুন নেতৃত্বে এসেছেন তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা আশা করি কৃষক দল সত্যিই গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হবে। কৃষক দলকে পুনরুজ্জীবিত করুন এবং এই খারাপ সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছান, যাতে আমরা বর্তমান দানবীয় শাসন অপসারণ করতে পারি এবং জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
তিনি কৃষক দলের নবগঠিত আংশিক কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক ক্ষমতা দেয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশনের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন: বাহাউদ্দিন নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার চলছে সেই সরকারই নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে।
বুধবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মুক্তমঞ্চে (পৌর পার্ক মাঠ) আয়োজিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, হাওয়া ভবনের প্রতিষ্ঠাতা, দুর্নীতির রাজপুত্র তারেক রহমান দেশের বাইরে বসেও ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। সেনা ছাউনিতে বেআইনিভাবে যেই বিএনপির জন্ম তারা মানুষের কথা ভাবে না। তারা পিছনের রাস্তা খুঁজতে ব্যস্ত। সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি জামাতের দুঃশাসন ভুললে চলবে না। তারা ২০০১ সালের অক্টোবরে নীলনকশার নির্বাচনে জিতে দেশে অপশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ যখন বিদ্যুৎ চেয়েছিল তখন বিএনপি জামাত ২০০৬ সালে গুলি করে ২০ জন নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছিল। তবে ইলা মিত্রের চাঁপাইনবাবগঞ্জকে তারা দাবায়ে রাখতে পারেনি। বিএনপি জামাতের অপশাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ প্রতিবাদ করেছিল। এখনও তাদের সকল অপকর্মের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তিনি সততা, দৃঢ়তা, পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার জন বাংলাদেশ ধন্য। তার নেতৃত্বে একুশ বছর লড়াই সংগ্রাম করে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের শীর্ষে উঠবো, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির কবর রচনা করব।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমে ‘নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হবে: কৃষিমন্ত্রী
সম্মেলন শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাবেক সভাপতি মইনউদ্দিন মন্ডল এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রয়াত সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।
বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষ থেকে দুই শতাধিক কৃষিবিদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের মহাসচিব, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সাবেক সভাপতি ও মহাসচিব কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের চাঁপাইনবাবগঞ্জ আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সোমালিয়া নয় যে নির্বাচনে জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে: তথ্যমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইফতেখারুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মু. জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওদুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল মুকুল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ।
নাসিকের প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত হয়নি: মির্জা ফখরুল
বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যাপারে এখনও দলের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও তিনি জানান।
শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের উপজেলার পাচঁরুখী এলাকায় বিএনপি'র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের প্রয়াত বাবা মোস্তাফিজুর রহমানের কুলখানি অনুষ্ঠানের শোক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে কোন নির্বাচনই হতে পারে না। তবে যদি নির্বাচন কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়, তার অধীনেই নির্বাচন হতে পারে। এমন পরিস্থিতি হলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই। বিরোধীদলগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার কোন সুযোগ পাচ্ছে না। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সকল রাজনৈতিক দল দুর্বিষহ সংকটপূর্ণ পরিস্থতি অতিক্রম করছে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ স্থানীয় নেতাগণ।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে ‘নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হবে: কৃষিমন্ত্রী
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সেটিই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি তাদেরকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। নির্বাচন কমিশন তাদের শপথ অনুযায়ী স্বাধীনভাবে দেশে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এক্ষেত্রে সরকারের কোন ভূমিকা বা হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই, থাকবেও না।’
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক না কেন, বিএনপি নির্বাচনে হারলে বলবে কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেনি। তারা ১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে নির্বাচনে জিতেছিল, সেজন্য নির্বাচন দুটি তাদের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
পড়ুন: সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের মানুষকে দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অন্য দেশ বা ভিন্ন গ্রহ থেকে মানুষকে ধরে আনা যাবে না। সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, আইনগতভাবে তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট।’
ড. রাজ্জাক বলেন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ধর্মান্ধ জামায়াত, হেফাজতসহ সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং তাদের মদতদাতা বিএনপি হুমকিস্বরূপ। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি পারভীন জামান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুলতান প্রমুখ এসময় বক্তব্য দেন।
পড়ুন: বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন চায় জাপা
নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী সমাধানে সংবিধানের আলোকে একটি আইনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি. এম কাদের। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো আইন নেই। এটি খুবই দুঃখজনক। সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা চাই সংবিধানের আলোকে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক যা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এটি নির্বাচন কমিশন গঠনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতেও সাহায্য করতে পারবে।’
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, `রাষ্ট্রপতি প্রতি পাঁচ বছর পর একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন যা নানা ধরনের সমালোচনার জন্ম দেয়।’
‘কমিশনারদের পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিতে নিয়োগ করা হলে জনগণের ভোটাধিকার ব্যাহত হয়। সুতরাং, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন করা জরুরি হয়ে উঠেছে’, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
তিনি আশা করেন, উৎসবমুখর পদ্ধতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনের মাধ্যমে একটি সৎ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব হবে।
জাতীয় পার্টির প্রধান আরও বলেন, ‘একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষকে নির্বাচনে আগ্রহী করে তুলতে পারে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে তাদের ভূমিকা আরও তীব্র করতে সক্ষম হবে। তবেই মানুষ গণতন্ত্রের আসল স্বাদ পেতে শুরু করবে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের