নির্বাচন কমিশন
ইভিএম নিয়ে ইসি এখনও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী নয়: হাবিবুল আউয়াল
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে কমিশন এখনও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচটি বৈঠকে বসেছি, কিন্তু আমরা ইভিএম নিয়ে পুরোপুরি আস্থাশীল হতে পারিনি। এ বিষয়ে পর্যালোচনা করতে আরও বৈঠক হবে। আমরা ইভিএম নিয়ে সবার আস্থা অর্জন করতে চাই।’
মঙ্গলবার আগারগাঁওস্থ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে: সিইসি
সিইসি দাবি করে বলেন, ইভিএমে কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে এক কোটি ডলারের ‘অদ্ভুত’ পুরস্কারের ঘোষণা তিনি দেননি।
তিনি বলেন, ‘মাত্র পাঁচ-সাত দিন আগে, আমরা চিঠির মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছিলাম যে আমরা ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। আমরা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করছি না।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি মাদারীপুরে এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, কেউ ইভিএমে ত্রুটি ধরলে এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন সিইসি।
এ বিষয়ে হাবিবুল বলেন, এটা কমিশনের বক্তব্য নয়। নির্বাচন কমিশনারদের তাদের বক্তব্যের ব্যাপারে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সিইসি বলেন, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুক্রবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় যোগ্য ভোটারদের তালিকাভুক্ত করার কাজ শুরু করেছে।
চার ধাপে সম্ভাব্য ভোটার ও মৃত ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথম ধাপে ৬৪টি জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ৯ জুন পর্যন্ত ঘরে ঘরে তথ্য সংগ্রহের কাজ করবেন গণনাকারীরা।
এসময় ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জনসংগ্রহণ করা ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
২০২৩ সালের ২ মার্চ এই সর্বশেষ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
তথ্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালীন, বিদ্যমান ভোটাররা তাদের ঠিকানা আপডেট করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তথ্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এছাড়া মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা ও শরীয়তপুর-এ চারটি জেলায় এ কর্মসূচির মোড়ক উন্মোচন করেন চার নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশন এবার সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধির অনুমান করেছে।
আরও পড়ুন: ইসির আলোচনায় বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
যদি কেউ ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে চান, তাহলে ব্যক্তির একটি ১৭ সংখ্যার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন শংসাপত্র, একাডেমিক সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়) এবং বাবা বা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি থাকতে হবে।
এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রায় ৫৬ হাজার গণনাকারী এবং ১১ হাজার ৩০০ সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সেজন্য চট্টগ্রামের ৩২টি এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: ইভিএম এখনও বুঝে উঠিনি: সিইসি
৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনও পুরনো ব্যালটের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে পুরো জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি।
মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২২ উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: ইভিএম এখনও বুঝে উঠিনি: সিইসি
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ব্যালট পেপার নাকি ইভিএম ব্যবহার করে হবে, কতটি আসনে ইভিএমের ভিত্তিতে ভোট হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি। এটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা যতটা সম্ভব নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনা করব। এটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে।
যে কেউ বা রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ মতামত দিতে পারে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘সবদিক পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কোন পদ্ধতিতে ভোট প্রয়োগ করা হবে। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, এ ব্যাপারে আমরা স্বাধীন।’
তিনি বলেন, সঠিক ভোটার তালিকা না থাকলে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন সম্ভব নয়।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
‘আস্থার ঘাটতি দূর করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চাই’
নির্বাচন কমিশন তাদের ওপর আস্থার ঘাটতি দূর করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিন বলেছেন, ‘আস্থার সংকট দূর করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা আপনাদের (মিডিয়া ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ) সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা করেছি। আমরা আস্থার সংকট দূর করে পক্ষপাতদুষ্টতার ঊর্ধ্বে নির্বাচন করতে চাই।’
সোমবার নগরীর আগারগাঁও এলাকার নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান নতুন সিইসি’র
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের মতামত নিবো এবং তা পর্যালোচনা করব। সংলাপের মতামত নিয়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।’
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে গঠিত সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন তিন দফায় শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের সদস্য এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
দেশের ‘স্বচ্ছ’ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশের ‘স্বচ্ছ ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে অবহিত করেছেন। এবং তাকে বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আয়োজিত তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে বলেন, দেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য তাদের (বিএনপি) নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আনুন।
ওয়াশিংটনে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন বলেন, তিনি মার্কিন পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থা রয়েছে। এবং একটি (বিএনপি) ছাড়া সব দল এই স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশ নেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে জনগণের কাছে যেতে হবে এবং ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থা আছে। আমাদের নির্বাচন কমিশন আছে। তারা (ইসি) স্বাধীন এবং নির্বাচনের সময় তারাই বস।
মোমেন বলেন, তারা (বিএনপি) যদি সত্যিই গণতন্ত্রের প্রতি বদ্ধপরিকর হয়, তাহলে তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা উচিত। তারা নির্বাচন করতে চাইলে তাদের স্বাগত জানাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মেয়র তার সিটিতে (সিলেট) খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রাচীনতম আধুনিক গণতন্ত্রগুলির মধ্যে একটি হলেও মোমেন মার্কিন গণতন্ত্রের দুর্বলতার কথা উল্লেখ করেছেন।
যেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৫০ বছরের দেশ। যার মধ্যে ১৮ বছর সামরিক-সমর্থিত সরকার ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিপুল জনসংখ্যা নির্বাচনে তাদের ভোট দিয়েছে অথচ যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যাটা খুবই কম।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ইসিকে সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সাহস ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার বিকালে বঙ্গভবনে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, রাশিদা সুলতানা, মোহাম্মদ আলমগীর ও আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: অনেক সৌদি কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নতুন ইসির তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাহী শাখাসহ সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন, নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসবে: আইনমন্ত্রী
সরকারি পদক্ষেপের কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘গত ৪০ বছরে সারাবিশ্বে ভোজ্যতেলের দাম যে পরিমাণ বাড়েনি, সম্প্রতি সময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে। সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমার মনে হয় সরকারি পদক্ষেপের কারণে ভোজ্যতেলের দাম দ্রুত সময়ের মধ্যে কিছুটা কমে আসবে।’
এ জন্য তিনি জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।
শুক্রবার (১১ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শেষেসাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। আমার বিশ্বাস তাদের প্রথম কাজ হিসেবে তারা শিগগিরই জেলা পরিষদ নির্বাচন দিয়ে দেবেন। সেখানে যদি আইন সংশোধন করতে হয়, নির্বাচনের স্বার্থে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা করার চেষ্টা করবে সরকার।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদস্য মোঃ শাহআলম, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ভূঁইয়া, কসবা পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, পৌর সভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের কর মওকুফ হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হাইকোর্টে রিট
ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিশাল জয়
ক্ষমতা বিরোধী ও সমালোচকদের সমালোচনা ভুল প্রমাণ করে বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো। গত মাসে নির্বাচনে যাওয়া পাঁচটি ভারতীয় রাজ্যের মধ্যে চারটিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছে ক্ষমতাসীন এই দলটি।
ভারতের বৃহত্তম ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে জয়লাভের পাশাপাশি উত্তরাখন্ড, গোয়া ও মণিপুর রাজ্যেও জয় নিশ্চিত করেছে মোদীর দল।
উত্তরপ্রদেশে সন্ন্যাসী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে।
আরও পড়ুন: কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠক
তবে উত্তর ভারতের পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আম আদমি পার্টির (এএপি) জয় হয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত সর্বশেষ ফলাফল অনুসারে, ৪০৩ সদস্যের বিধানসভায় ২৫০ সদস্য অতিক্রম করেছে বিজেপি। অন্যদিকে তরুণ নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে সমাজবাদী পার্টি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে সাতটি ধাপে ফেব্রুয়ারি ১০, ১৪, ২০, ২৩, ২৭ এবং ৩, ৭ মার্চ করোনা সুরক্ষা মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৪ সালে ভারতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আব্রামোভিচসহ ৭ রুশ নাগরিকের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম গ্রহণ রাষ্ট্রপতির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সার্চ কমিটি ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি এখন নামগুলো পর্যালোচনা করবেন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার নিয়োগ দিতে সেখান থেকে পাঁচজনকে বেছে নেবেন।
প্রতিটি পদের জন্য দুটি নামের প্রস্তাব করা হয়েছে।
নির্বাচিত নামগুলো শিগগিরই গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন নির্বাচন কমিশন: সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ
শনিবার ২০ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বসবে সার্চ কমিটি
ইসি গঠনের নামে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে সরকার: বিএনপি
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের নামে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটের ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নতুন ইসি গঠিত হচ্ছে। আমরা আগেই বলেছি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার না হলে এই ইসি কোনো কাজে আসবে না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জীবন ও কর্মের ওপর ‘স্মৃতি অ্যালবাম’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বিএনপির অভ্যাস: দীপু মনি
বিএনপির এই নেতা বলেন, একদলীয় বাকশাল শাসন পুনরুদ্ধার করতে ক্ষমতা সংহত করতে চায় সরকার। ‘তারা জনগণকে প্রতারিত করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, কিছু দুর্নীতিবাজ চিহ্নিত করায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের একজন কর্মকর্তাকে অপসারণ করেছে। তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না করেই তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের মদদে দুর্নীতি দেশকে গ্রাস করেছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, চাঁদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের নামে শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়রা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লুটপাট করেছে।
আরও পড়ুন: দুবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে বিএনপি নেতার ভাই গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পত্রিকায় পড়েছি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ব্যয় ২১৩ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে যা বিশ্বে নজিরবিহীন। সর্বত্রই এখন ব্যাপক দুর্নীতি। দুর্নীতি এখন ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।’
এমনকি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও দুর্নীতিতে লিপ্ত বলে দুঃখ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ এমন কোনো জায়গা বা খাত নেই, যেটাতে দুর্নীতি নেই।’
দেশের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।