অপসারণ
মহাসড়কে হাটবাজার, অননুমোদিত যানবাহন অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকা-গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে সব হাটবাজার, স্থাপনা, ময়লার ভাগাড়, অননুমোদিত যানবাহন অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে অপসারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের মহাসড়কে থাকা স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ নির্দেশ দেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, হাইওয়ে পুলিশের প্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শিশু আয়ানের মৃত্যু : পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল জারি
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।
এর আগে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক থাকা অবৈধ স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।
আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটায় ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
সন্ধ্যা ৭টা থেকে নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু করবে ডিএসসিসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচরি প্রচারসংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা থেকে করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই একযোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসিতে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পদে রদবদল
সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করপোরেশনের প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এ কাজে সম্পৃক্ত থাকবে।
নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানার অপসারণ প্রসঙ্গে করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টা থেকেই আমরা নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানারসহ নির্বাচনি প্রচারকাজে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সারা রাত এ কাজ চলবে। আজকের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে ধারাবাহিকভাবে আগামীকাল রাতেও এ কাজ পুনরায় শুরু করা হবে।’
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির আওতাধীন ভোটকেন্দ্রে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত
তিনি আরও বলেন, এই অপসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচন পূর্ববর্তী অবয়বে আমরা ঢাকা শহরকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে সম্মানিত প্রার্থীদের আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে আহ্বান জানাই। এছাড়াও নগরীর সৌন্দর্য রক্ষার্থে নতুন করে কোনো ধরনের পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন না লাগানোর জন্য নগবাসীকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে বাধা অপসারণ করুন: সরকারের প্রতি বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আহ্বান
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব বাধা অপসারণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটি।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, এটা এখন স্পষ্ট, সরকার তার প্রধান প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে জাতীয় নির্বাচনের আগে তাকে হত্যা করতে চায়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকদের বক্তব্যে দেশের মানুষের মতো বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সদস্য ও সমর্থকরা উদ্বিগ্ন।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি আমাদের নেত্রীর (খালেদা জিয়া) জীবন বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব এরকম যেকোনো দেশে পাঠাতে সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার পথে আরোপিত অমানবিক প্রতিবন্ধকতা অবিলম্বে অপসারণের আহ্বানও জানিয়েছে স্থায়ী কমিটি।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের শর্ত, তার বয়স ও অসুস্থতা এবং বিদ্যমান আইনের অযৌক্তিক ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অশালীন, নিষ্ঠুর ও অমানবিক বক্তব্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার 'অসুস্থ' প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটি।
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের ফলাফল জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি দৃঢ়ভাবে মনে করে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে যেভাবে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবন থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে, ঠিক তেমনি কোনো অপরাধ না করেও নির্ধারিত রায়ের মাধ্যমে তাকে বিনা চিকিৎসায় এবং ইচ্ছাকৃত পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে নদীতে ফেলে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য এবং প্রায় ৮০ বছর বয়সী মৃতপ্রায় ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করার কোনো মানে নেই বলে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রমাণ করেছে যে বর্তমান 'দখলদার' সরকার তাকে জীবিত দেখতে চায় না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোনো সভ্য, মানবিক ও সুস্থ সাধারণ নাগরিক, কোনো দেশের সরকার প্রধানের কথাই বলা হোক না কেন, প্রতিপক্ষকে নিয়ে এমন ‘সন্ত্রাসী’ শব্দ উচ্চারণ করতে পারে না। আমাদের নেত্রীর মৃত্যু চায় এমন সরকার অন্যায়ভাবে তার উন্নত চিকিৎসায় বাধা সৃষ্টি করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারের এই মনোভাব ও আচরণ দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
খালেদা জিয়াকে তার প্রাপ্য চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলে যদি খারাপ কিছু ঘটে তাহলে সরকারকে জনগণের রোষের মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসার পথ সুগম করতে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি পালন করছেন তারা। খালেদা জিয়ার (বিদেশে) চিকিৎসা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তারা (সরকার) তাকে হত্যা করতে চায়। তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া মানে জাতীয় নির্বাচনের আগে তাকে হত্যা করা।’
তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে আগামী দিনগুলোতে তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।
এর আগে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানোর সুপারিশ করেছে।
হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, লিভার সিরোসিসের কারণে পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং সংক্রমণ রোধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে সরকারের: আইন বিশেষজ্ঞরা
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অপসারণ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল
২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে ‘ব্যর্থতার’ দায়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সরিয়ে রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাশেদ ইকবাল জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ‘২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রাবণের ভূমিকায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সন্তুষ্ট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন ২৯ জুলাই তাকে দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেননি বলেই তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।’
২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ
রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে যানবাহনের সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও দলের আহ্বায়ক রেজা তার ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে যুগ্ম আহ্বায়ক-১ রাশেদ খানকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভায় সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
আরও পড়ুন:গণফোরাম ছাড়লেন রেজা কিবরিয়া
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় সভায় আহ্বায়ককে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এছাড়া দলের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি অবস্থা বিবেচনায় আগামী ১০ জুলাই দলের উচ্চ পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব মো. নুরুল হক (নূর) নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: নুর ইসরায়েলের মোসাদের সঙ্গে ৩ বার সাক্ষাৎ করেছেন: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে যাতে অসুবিধার সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনামূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের পূর্বেই সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে, যাতে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়। জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সংগ্রহ করা সহজ হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, পশুর হাট যেন ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সকল আয়োজন রাখা হবে।
ছাদ বাগান বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করে ছাদে বাগান এবং সবজি চাষ করাকে উৎসাহিত করার জন্য সকল সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকায় বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্সে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)ঢাকা ওয়াসার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে অপসারণের নিন্দা জানিয়েছে। যিনি গত সপ্তাহে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা) বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক সুজিত কুমার বালা।
মঙ্গলবার টিআইবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগকারী বোর্ড চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে ঢাকা ওয়াসা অভিযুক্তদের রক্ষার উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসকে মুক্তি দিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন: টিআইবি
এতে বলা হয়েছে, ‘এটি সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুর্নীতির জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির অভিযোগকারীদের রক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’
সাবেক চেয়ারম্যানের অভিযোগ বিবেচনা করে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ওয়াসার সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যানের মেয়াদ গত বছর অক্টোবরে শেষ হওয়ার পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়নি। অথচ, ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে বোর্ড চেয়ারম্যান মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হলো।’
তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনাটিকে যদি ‘কাকতালীয়’ হিসেবে মেনেও নেওয়া হয়, তবুও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অভিযোগকারীকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ‘ওয়াসা পরিচালনায় এমডির ইচ্ছা-ই শেষ কথা, আর নিজের স্বার্থ সুরক্ষায় যে কাউকে ওয়াসা থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষমতা ওয়াসা এমডির রয়েছে’- এই অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করা হলো।’’
আরও বলা হয়েছে, ‘‘যার ফলে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই বার্তাই দেওয়া হলো যে ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থানের বলে অবারিত বিচারহীনতার লাইসেন্স পাওয়া যায়; প্রয়োজনে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বার্তাবাহক বা অভিযোগকারীকে, তা যে-ই হোক না কেন, তাকে স্তব্ধ করতে ‘শ্যুট দ্য মেসেঞ্জার’ চর্চার ব্যবহারে কোনো দ্বিধা করা হবে না।’’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘‘ঢাকা ওয়াসাকে স্বেচ্ছাচার, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত করার যে অভিযোগ বোর্ডের চেয়ারম্যান করেছেন, তা ২০১৯ সালে টিআইবি প্রকাশিত ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’- শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতিফলন। তাছাড়া, দীর্ঘসময় ধরে সংবাদমাধ্যমেও একই ধরনের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিহীনতার প্রকট উদাহরণ। ওয়াসায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে জবাবদিহির লক্ষ্যে তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং আরও এক দফা দুর্নীতি ও অনিয়মের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতার দৃষ্টান্তই স্থাপিত হলো, যা হতাশাজনক।’
বিভিন্ন সময়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ডিএসএ বাতিলের দাবি টিআইবি’র
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন সমাধান নয়, অবিলম্বে বাতিল করুন: টিআইবি
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভাপতি পদ থেকে অপসারণ
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সংসদীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
রবিবার সংসদ নেতা শেখ হাসিনার পক্ষে সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন, যা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংসদে অনুপস্থিত।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, গত বছরের মার্চ থেকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সংসদে তার অনুপস্থিতির কারণে কোনো বৈঠক করতে পারেনি।
সংসদীয় সংস্থাটি ২০২২ সালে মাত্র দুটি বৈঠক করেছে।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, একটি সংসদীয় সংস্থার প্রতি মাসে অন্তত একটি সভা করার কথা।
কিন্তু গত ১০ মাসে সংসদীয় কমিটি কোনো বৈঠক করেনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের আদালত বর্জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল আদালত তিনদিনের জন্য বর্জন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদালত বর্জন করে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন-জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম লিটন,মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল -১ এর বিচারকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, গেল ১ ডিসেম্বর বিকালে মামলা করতে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল -১ এর বিচারক মামলাটি গ্রহণ না করে জেলার সকল আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেন।
এর আলোকে ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। সে সঙ্গে জাল স্ট্যাম্প,জালিয়াতির উৎস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয়ায় ঘুষখোর ও ঘুষখোরের মদদদাতা আদালতের নাজির মুমিনকে প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
অথচ তাকে রক্ষায় জেলা জজের ইন্ধনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করেছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: বিচারককে গালিগালাজ : ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বার সভাপতি-সম্পাদককে তলব
এরই প্রতিবাদে জেলার আইনজীবীরা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল হকের অপসারনের দাবিতে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার পর্যন্ত তিনদিনের জন্য সকল কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান বক্তারা।
এদিকে বর্জনকে ঘিরে সকাল থেকে জেলা জজ আদালত, মূখ্য বিচারিক আদালতসহ সবকটি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সময় পার হয়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক মামলাটি নেননি। তবে এ কারণে একজন বিচারককে আইনজীবীরা যেভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তার সঙ্গে আচরণ করেছে তা দুঃখজনক।
এছাড়াও তিনি আইনজীবী কর্তৃক জেলা জজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, জেলা জজকে নিয়ে এ ধরণের মন্তব্য সংবিধান পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় মূলত গেল ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতন্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এ ঘটনায় আদালতে কর্মরত-কর্মচারীদের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। তারা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিচার বিভাগীয় কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন সভা করে বুধবার থেকে কর্মবিরতি ও মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করে।
আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণে এসে বিচারবিভাগীয় কর্মচারীদের মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এসময় শত শত আইনজীবী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গনে জেলা জজ শারমিন নিগারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
লালমনিরহাট থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী নাটোরে উদ্ধার
খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দুই শিক্ষককে অপসারণ করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শিক্ষকদের আবেদনে জারি করা রুল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ওই তিন শিক্ষক হলেন-বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পেলেন দণ্ডিত এনামুল বাছির
তিনি সাংবাদিকদের জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষককে ২০২০ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোর কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন তিন শিক্ষক। টানা দুই সপ্তাহ শুনানি শেষে উচ্চ আদালত আজ শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন এবং তিন শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহাল করার আদেশ দিয়েছেন।
ওই শিক্ষকদের ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করেন রেজিস্ট্রার। সে চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষকদের পক্ষে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশের জবাব না পেয়ে তারা এ রিট দায়ের করেন।
২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন