ইসি
বাংলাদেশে এখন ভোটার ১১.৯৬ কোটি: ইসি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এখন ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন।
এছাড়া ৮৫২ জন ট্রান্সজেন্ডার ভোটারকে তৃতীয় লিঙ্গের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইসি সূত্র বলছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইসি ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রক্রিয়া ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন ১১ কোটি ৯১ লাখ ভোটার: ইসি
হালনাগাদ ভোটার তালিকার চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা প্রকাশ বৃহস্পতিবার
সরকারের নির্দেশে সংলাপের নামে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে ইসি: বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের নামে সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা আজ (বৃহস্পতিবার) সংলাপের জন্য একটি চিঠি (বিএনপি কার্যালয়ে) নিয়ে এসেছেন। এটা কোন সংলাপ এবং কার জন্য? তিনি বলেন, 'আমাদের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে এবং অন্যদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে তারা কী সংলাপ চায়?
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর পর তাকে চিঠি পাঠানো এবং দলীয় নেতাদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, 'আপনারা (ইসি) কি সংলাপের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন? সরকারের নির্দেশে তারা (ইসি) সংলাপের নামে এই উপহাস ও প্রহসন করতে যাচ্ছে।’
আমরা জানি আপনারা (ইসি) কী করবেন। কোনো ভোট হবে না। সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যাদের নামের তালিকা দেয়া হবে, তাদের বিজয়ী ঘোষণা করবেন। এটা ছাড়া তিনি (সিইসি) কিছুই করতে পারবেন না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নয়াপল্টনে দলের কর্মীসহ কাউকে ঢুকতে না দেওয়ায় ৪/৫ দিন ধরে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় জনশূন্য।
আরও পড়ুন: বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
তিনি বলেন, 'বিএনপির সব নেতা-কর্মী আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন এবং ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি গাড়ি দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছে।
রিজভী বলেন, সরকার সহিংসতার দায় দলের ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিন-রাত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবং বিএনপি নেতাদের খুঁজে না পেলে তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিপজ্জনক অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। জাতীয় নেতাদের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, যা ঔপনিবেশিক আমলেও হয়নি।’
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ, রবিবারের হরতাল ও তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহে সারাদেশে ৯৬টি মামলায় অন্তত চার হাজার ৫৫৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন
তিনি বলেন, এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ হাজার ৪৭৬ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং একজন সাংবাদিকসহ ৯জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে লেখা একটি আমন্ত্রণপত্র রেখে যান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক কর্মকর্তা। গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের দিন থেকে কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে।
রবিবার গ্রেপ্তার হওয়ায় ফখরুল নিজে কারাগারে আছেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার বিএনপিকে সংলাপে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি হস্তান্তর করতে বিএনপির অন্য কোনো নেতা-কর্মীকেও পাওয়া যায়নি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে শনিবার বিকাল ৩টায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের কথা রয়েছে ইসির।
বিএনপি মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে সংলাপে তাদের দুজন প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
গত শনিবার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দলের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে সারাদেশে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ইসিকে সময়মতো নির্বাচন করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন করা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন ইসিকে যথাসময়ে নির্বাচন করতে হবে।’
সিইসি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তবে এর মানে এই নয় যে পরিবেশ অনুকূল না হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।’
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তারা হয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারে বা বয়কট করতে পারে, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন কোনও বিকল্প নেই।’
কমিশনের প্রধান এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের আশা প্রকাশ করেন। আমরাও একই কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে সমস্যার সমাধান হবে না। তিনিও (মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস) বিশ্বাস করেন যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিৎ।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) যখনই তফসিল ঘোষণা করবে, তখন থেকেই এই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এটা করেছেন। এখন তার ওপর নির্ভর করে তিনি কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবেন, বা কী করবেন, কী করবেন না। আবার সংবিধান অনুযায়ী যদি আমরা বলি, যখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।’
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সংবিধান সংশোধনের দাবিতে ৩০ অক্টোবর বিএনপির আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। তবে সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটাকে আবার রিভিজিট করে সংবিধান সংশোধনের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা: আইনমন্ত্রী
সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও ২০১৪ সালে দেখা গেছে মন্ত্রিসভা ছোট হয়েছিল। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ের ইতিহাস আপনারা জানেন। বিরোধী দলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা ধরেননি। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালেও তিনি আলোচনা করেছেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচনে গেছেন। কিন্তু প্রতিবারই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নষ্ট করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কখন হবে, সেই অনুসারে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
আরও পড়ুন: মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান আইনমন্ত্রীর
হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক চেয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তদারকির জন্য আগ্রহী আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসি।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথমার্ধে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। সমস্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণের জন্য উন্মুক্ত।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব সময় অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং বিশ্বব্যাপী বিদেশি মিডিয়া আমাদের স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আমাদের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং বিদেশি গণমাধ্যমকে ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বরের মধ্যে ‘আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য গাইডলাইন’ অনুসরণ করে আবেদন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং বিদেশি গণমাধ্যমকে আবেদনকরার সময় আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য নির্দেশিকা'র ২.৩, ২.৪, ২.৫, ২.৬ ও ৩.১ ধারা অনুসরণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গাইডলাইন ও সংশ্লিষ্ট ফরম www.ecs.gov.bd পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে: ইসি সচিব
সব দলকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব থেকে সরে আসছে ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক অঙ্গনে কোনো সমঝোতা না হলে, যেসব দলই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত তাদের নিয়েই তারা নির্বাচন করবেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজ নয়। আমরা সংবিধান অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করব। রাজনৈতিক সমঝোতা আমাদের জন্য বড় বিষয় নয়।’
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের কোনো উদ্যোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘ইসি যদি কোনো সংলাপের আয়োজনের কোনো উদ্যোগ নেয়, তাহলে তা জানানো হবে। আমরা আস্থার জায়গা নিয়ে কাজ করছি। তাদের (বর্জনকারীদের) আত্মবিশ্বাস ও মানসিকতা গড়ে তোলা তাদের প্রয়োজন।’
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা বিশ্বাস করা না করা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। এখন পর্যন্ত আমরা কোথাও কোনো ভুল করেছি? কোনো আইন লঙ্ঘন করেছি? আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করার চেষ্টা করছি। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা ক্রমাগত এজন্য চেষ্টা করছি।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সমর্থনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা নিতে হবে। তাদের (সরকার) সমর্থন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারও চায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা এতে বিশ্বাস করি। তবে আমরা পারব কি না, তা এখনই বলা যাবে না। আমরা আমাদের মতো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: সরকারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছেন সিইসি: খসরু
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো ঘাটতি হবে না: সিইসি
নির্বাচন আইনত সঠিক হয় কি না তা দেখবে ইসি : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার বলেছেন, নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাবে না, তবে প্রক্রিয়াটি আইনগতভাবে সঠিক কিনা তা নিয়ে সতর্ক থাকবে।
তিনি বলেন, ‘যদি এক শতাংশ ভোট দেওয়া হয় এবং ৯৯ শতাংশ ভোট না দেওয়া হয়, তবে তা আইনত বৈধ। সেক্ষেত্রে বৈধতার বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে। বৈধতার প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে বৈধতার প্রশ্ন উঠবে না।’
বুধবার (৪ অক্টোবর) নগরীর আগারগাঁও এলাকার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘নিরবিচ্ছিন্ন ভোটাধিকার: প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় সিইসি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
তিনি বলেন, তারা বৈধতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না।
তিনি আরও বলেন,‘রাজনৈতিক দলগুলো এটা নিয়ে (নির্বাচনের বৈধতা) লড়াই করবে। নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে লড়াই করবে না। আমরা দেখব ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয় কি না।’
নির্বাচন কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করা ইসির দায়িত্ব উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচন এবং 'অংশগ্রহণমূলক' নির্বাচনের অর্থ নিয়ে তিনি কিছুটা সন্দিহান।
তিনি আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক মানে যেমন আমি বুঝতে পারি, যদি বিপুল সংখ্যক ভোটার আসে এবং ভোট দেয়। কে আসে বা না আসে তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। যদি প্রকৃত ভোটার ৭০ শতাংশ হয় এবং তারপরে এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়, তবে আমাদের কেবল সামান্য রেফারির ভূমিকা থাকবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
তিনি বলেন, কাউকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব ইসির নয়। ‘কাউকে আনার দায়িত্ব আমাদের নয়। তারপরও আমরাও আমাদের নৈতিক অবস্থান থেকে বহুবার (বিএনপি ও অন্যান্য দলকে) আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা এর বেশি আর কী করতে পারি?’
নির্বাচনের আগে পোলিং এজেন্টদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় তাদের গ্রেপ্তার না করতে ইসি সরকারকে বারবার অনুরোধ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার সরকারকে বলবো, তাদের গ্রেপ্তার করতে হলে নির্বাচনের ছয় মাস আগে করুন, আর তা না হলে নির্বাচনের পরে করতে হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত নয়।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ ও কবিতা খানম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও এসএম শামীম রেজা, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এছাড়া কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার, বর্তমান ও সাবেক ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ভোট হবে ব্যালট পেপারে। এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনের দিন সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে ৩০জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়। এই উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচান কমিশন সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ জন্য সব দলের সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশনের ওপর সবার আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এনআইডি সার্ভার কখন চালু হবে তা জানাল ইসি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার মঙ্গলবার সকাল থেকেই ডাউন রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট উইং (এনআইডি) এর সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম বলেছেন, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের কারণে আগামী বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত এনআইডি সার্ভারের পরিষেবা পাওয়া যাবে না।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট একই কারণে এনআইডি সার্ভার ডাউন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
ইসি প্রথমবারের মতো ২০০৭ সালে ছবিসহ একটি সমৃদ্ধ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে। এরপর, ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে ভোটারদের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর মাধ্যমে তথ্য হালনাগাদ করা হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটারদের তথ্য নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার সকাল থেকে এনআইডি সার্ভার ডাউন: নির্বাচন কমিশন
সব দলের অংশগ্রহণ ইসির ওপর নির্ভর করে না: আনিছুর রহমান
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করে না।
তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে কি-না, তা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন তথা আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বর্তমানে তিনি তিন দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রয়েছেন।
এসময় আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর এবং আমরা তা করব। গত দেড় বছরে সব দলকে একাধিকবার আমরা আহ্বান জানিয়েছি। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। আমরা বারবার আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা নির্বাচনে আসেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে হলে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর। এক্ষেত্রে আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ধীরে ধীরে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসারের সম্মেলনকক্ষে জেলা, উপজেলা নির্বাচন অফিসারের অংশগ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন মো. আনিছুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে বিকাল ৩টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান কমিশনার।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর জেলার হাওরবেষ্টিত উপজেলা মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার।
১৯ সেপ্টেম্বর সকালে নিকলী উপজেলার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরে দুপুরে নিকলী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সব দল কখনো অংশ নেয় না: ইসি আলমগীর
নির্বাচন নিয়ে খেলতে ইসি ‘অচেনা’ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে: ফখরুল