ব্যবস্থা
মাধ্যমিকে পর্যটন শিক্ষা অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে পর্যটন শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পর্যটনসংক্রান্ত শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে: পর্যটনমন্ত্রী
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এবার আমরা চেষ্টা করব মাধ্যমিক পর্যায়েও পর্যটনবিষয়ক শিক্ষা চালু করার। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
মন্ত্রী বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নকে বেগবান করতে হলে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ নীতিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের দীর্ঘদিনের দাবি ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটরদের ব্যাংকিং চ্যানেলে সংগৃহিত বৈদেশিক মুদ্রার মোট বিলের উপর ১০ শতাংশ অগ্রিম কর কাটা বন্ধ করা এবং পর্যটকদের পরিবহন সেবা দেওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটরদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব।
আরও পড়ুন: ৭ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: বাংলাদেশের নেতৃত্বে পর্যটনমন্ত্রী
ফারুক খান বলেন, বিদেশি পর্যটক বৃদ্ধির জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসার আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ই-ভিসা চালু করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি প্রচারের অংশ হিসেবে বছর জুড়ে বিদেশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো যাতে বাংলাদেশের পর্যটন গন্তব্যগুলোকে আরও জোরালোভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকদের কাছে উপস্থাপন করে সেই বিষয়েও আমরা কাজ করছি। সরকারি এবং বেসরকারি অংশীজনের সম্মিলিত প্রয়াসেই বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প সামনে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
বাংলাদেশে হতাহত ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিন: মিয়ানমারকে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে হতাহতের কারণ হতে পারে এমন 'যেকোনো অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি' বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের আর কোনো অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করার বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান দৃঢ় করেছে।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল ও গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আরও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়- রাখাইন রাজ্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।
উপযুক্ত সময়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে যা বলল ঢাকা
২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের কথা উল্লেখ করে তাদের ফিরিয়ে নিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশের সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের নীতির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তাদের কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে বিজিপি সদস্যদের দ্রুততম সময়ে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তার সরকারের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল মার্কিন দূতাবাস
সাফারি পার্কে প্রবেশে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জনগণ যাতে ঝামেলা মুক্তভাবে কক্সবাজার ও গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রবেশ করতে পারে এজন্য অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, সাফারি পার্কের পরিবেশ ও বন্য প্রাণীর ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত ও যুগোপযোগী করা হবে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বোটানিক্যাল গার্ডেনের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি। সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি বরাদ্দ সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা ঘোষণা
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
‘মিথ্যা প্রতিবেদন’: একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে মুশফিকের আইনি ব্যবস্থা
বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ চলাকালে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
গত ৬ ডিসেম্বর প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে মুশফিকের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান একাত্তর টিভিকে আইনি নোটিশ পাঠান।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত
নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো-
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিবেদনটি অবিলম্বে অপসারণ, ক্ষমা প্রার্থনা সম্বলিত একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবেদককে সতর্ক করা।
লিগ্যাল নোটিশে জোর দিয়ে বলা হয়- একাত্তর টিভির মতো একটি স্বনামধন্য চ্যানেলে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ অপ্রত্যাশিত এবং সাংবাদিকতার নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হন মুশফিক। বোলারের বল ডেলিভারির পর ব্যাট দিয়ে রক্ষা করার পরে আবার তা দূরে ঠেলে দিয়ে তিনি ক্রিকেটীয় আইন লঙ্ঘন করেছিলেন, কারণ ব্যাটসম্যানদের ডেলিভারি খেলার সময় বা পরে বল পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে এই ধরনের প্রথম আউট।
একাত্তর টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশফিকের আউটের সঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ের সম্পর্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডকে ১৩৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্ট: ফিলিপস আক্রমণে নিউ জিল্যান্ডের লিড
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।’
চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পুঁজি করে নাশকতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: র্যাব
রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পুঁজি করে নৈরাজ্য বা নাশকতার সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম শাখা) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বুধবার(২৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে নওগাঁর জেসমিনের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট
কমান্ডার মঈন বলেন, 'স্বার্থান্বেষী কিছু গোষ্ঠীর রাষ্ট্রবিরোধী, নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ করতে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে।
নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলছে এবং ২৮ অক্টোবরকে সামনে রেখে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সাইবার নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে।
খন্দকার মঈন আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি র্যাবের কাজ হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করবো।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত র্যাব: কমান্ডার মঈন
বিএনপি আইন মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না: হানিফ
বিএনপির মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ।
তিনি বলেন, বিএনপি আইন মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না। এটাই প্রমাণ করে তাদের মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই। সবসময় তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী মনোভাব বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: বিএনপির সময়ে রিজার্ভ ছিল মাত্র সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার: হানিফ
সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের (কেপিসি) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বিএনপি আসলে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন তার চেয়ে এটা নিয়ে রাজনীতি করাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এটাকে একটা রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে তারা ব্যস্ত।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এ নিয়ে তারা কথাবার্তা বলছে, সভা-সমাবেশ করছে কিন্তু আদালতে যাচ্ছে না। এটা আদালতি প্রক্রিয়া কিন্তু তারা সেদিকে যাচ্ছে না। উদ্দেশ্য একটাই বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি আসলে রাজনীতি করতে চায়।
হানিফ বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও বেগম জিয়ার নামে আরও মামলা আছে। বিএনপি আদালতে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার মানে দুর্নীতির ঘটনা সঠিক।
আরও পড়ুন: সরকার কচুরিপানার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে: হানিফ
প্রশাসন যেখানে অনুমতি দিয়েছে, বিএনপিকে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: হানিফ
শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ইউনেস্কো, প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে; যাতে সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
ইউনেস্কো সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে ইউনেস্কোর শিক্ষাবিষয়ক এডিজি, এমএস স্টেফানিয়া জিয়ানিনি এবং সেনেগাল, বেনিন এবং ইকুয়েডরের শিক্ষামন্ত্রীরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্ত বয়স্কদের সাক্ষরতার উপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজির টার্গেট ৪ দশমিক ৬ অর্জন করা। যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপায়গুলো অন্বেষণ করার যত প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু ও অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে।
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে, আমাদের বিশ্ব, সমাজ, জাতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা। আমাদের সমাজের সচেতনতাসহ সমালোচনামূলক মন আছে এমন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সহায়তা করতে হবে।
তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সাক্ষরতা এই সমস্ত কিছুর পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে কারণ এটি শিক্ষার প্রবেশদ্বার।
সাক্ষরতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য স্টেকহোল্ডার ও সম্প্রদায় বিশেষ করে যুবকদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি চালু করার কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান যে, ২০২৩ সালের সাক্ষরতা মূল্যায়ন সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ২০১১ সালে ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ার আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি দর্শকদের জানান যে, এটি সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার ভালো অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান যে, আমরা জীবনব্যপী শেখার জন্য পলিসিতে মৌলিক সাক্ষরতার উপর গুরুত্বারোপ করছি। এটি সাক্ষরতাকে মৌলিক দক্ষতা বিকাশ এবং জীবনব্যাপী শেখার সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে করা হবে।
আরও পড়ুন: স্কুলে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করবে ফ্রান্স: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং: ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্লাস-পরীক্ষা বহিষ্কারসহ ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
র্যাগিংয়ের ধরন অনুযায়ী শাস্তি হিসেবে মার্কেটিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের ২ জনকে ২ সেমিস্টার (১ বছর) করে এবং ৪ জনকে ১ সেমিস্টার (৬ মাস) করে ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মৌখিক নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে আরও ৩ শিক্ষার্থীকে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শাস্তির কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসসহ আবাসিক ছাত্রাবাস এলাকায় ২৪ আগস্ট র্যাগিংয়ের অজুহাতে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন হয়রারির শিকার শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণ পান সংশ্লিষ্টরা।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. প্রফেসর মামুনুর রশীদ।
আরও পড়ুন: ১০ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান
হাবিপ্রবিতে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন: ড. ইউনূসের পক্ষে চিঠি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশের একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে এবং আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মঙ্গলবার ড. ইউনূসের পক্ষে যারা চিঠি লিখেছেন তাদের প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (বিচার) প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।’
প্রতিমন্ত্রী জানতে চান, বিশ্বে এমন কোনো উদাহরণ আছে কি না, যেখানে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে, আর তা তদন্ত করা যাবে না।
আরও পড়ুন: আ. লীগের অভিধানে কোনো চাপ, ভয় নেই: শাহরিয়ার আলম
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যা বলতে চাই তা হলো, এখানে অতীতে সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিষয়টিকে ‘হতাশাজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের অবশ্যই রায় মেনে নেওয়ার সাহস থাকতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান ‘নজিরবিহীন’।
যারা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে চান সরকার তাদের স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূসের পক্ষে যারা এই আহ্বানে যোগ দিচ্ছেন তারা নিজেদের সুনামের সঙ্গে যথাযথ ন্যায়বিচার করছেন বলে আমি মনে করি না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে সরকার কোনো মন্তব্য করতে চায় না।
বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লিখেছেন শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিশ্ব নেতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি সম্বোধন করা চিঠিতে সই করাদের মধ্যে রয়েছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিক, কূটনৈতিক, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন- বারাক ওবামা, হোসে রামোস-হোর্তা, মেরি রবিনসন, মারেড করিগান-ম্যাগুয়াইয়ার, শিরিন এবাদি, ডেনিস মুকওয়েগে, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, অস্কার আরিয়াস সানচেজ, জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, বান কি-মুন, লরা বোলড্রিনি, পল ডেভিড হিউসন (বোনো) এবং স্যার রিচার্ড ব্রানসন প্রমুখ।
এই চিঠিতে সইকারীরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই, পালকি পাঠিয়ে কাউকে আনতে পারব না: শাহরিয়ার আলম
বাংলাদেশ-ভারত অর্থনীতির নতুন যুগে পা দিয়েছে: শাহরিয়ার আলম