প্রতিপক্ষ
মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে কৃষক খুন
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ধারলো অস্ত্রের আঘাতে ইসরাফিল মোল্যা নামে এক কৃষক খুন হয়েছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চাচুড়ী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক ইসরাফিল উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত হক মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জে বাবার হাতে ছেলে খুনের অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, কৃষ্ণপুর গ্রামের মালেক মোল্যার ছেলে নফু মোল্যার সঙ্গে একই গ্রামের আনোয়ার ফকিরের ছেলে প্রিন্সের চাচুড়ী বিলের একটি মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত এক বছর ধরে এ নিয়ে একাধিক হামলা-পাল্টা হামলা হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের চারটি মামলা চলমান।
সর্বশেষ শনিবার বিকাল থেকে ওই মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরে রবিবার সকালে প্রিন্সের লোকেরা ওই ঘেরে গেলে নফু মোল্যার লোকজন বাধা দিলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
একপর্যায়ে নফু মোল্যার সমর্থক ইসরাফিল মোল্যা গুরুতর আহত হন। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা ইসরাফিলকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নড়াইর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুজল বকসি বলেন, ইসরাফিল মোল্যা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের দাগ রয়েছে।
কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দাদিকে বাঁচাতে গিয়ে নাতি খুন
সিলেটে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
প্রতিপক্ষের মারধর: মাদরাসা সভাপতির মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
পাবনার চাটমোহরে মাজার শরীফের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে আব্দুল আলীম সরকার নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বড় গুয়াখড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল আলীম সরকার বড় গুয়াখড়া গ্রামের মৃত ইছাহাক সরকারের ছেলে। তিনি মা মালেকা ইছাহাক দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদরাসার সভাপতি ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- একই গ্রামের মৃত আরজান সরদারের ছেলে আফসার আলী মাস্টার ও তার ছেলে টেঙ্গরজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান ওরফে খোকন মাস্টার।
আরও পড়ুন: সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালাল আসামি, পরে গ্রেপ্তার
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মা মালেকা ইছাহাক দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদরাসার অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইসলামি জলসার আয়োজন নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে মহেলা বাজারে চা খেতে যান আব্দুল আলীম সরকার।
সেখানে চা খাওয়া শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বড় গুয়াখড়া গ্রামের মাজার শরীফ গেটের সামনে এলে আফসার আলী মাস্টার ও কামরুল হাসানসহ তাদের সহযোগীরা আলীমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে খোকন মাস্টার উত্তেজিত হয়ে আলীমকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার উপর পড়ে যান। এ সময় অভিযুক্তরা আলীমকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। মারধরের এক পর্যায়ে আলীম সরকার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এ সময় আশপাশের লোকজন ও আলীম সরকারের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক ঘটনাস্থলে এলে আফসার আলী ও তার লোকজন পালিয়ে যান। পরে আলীম সরকারকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ও ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িত অভিযোগে দুইজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই গোলজার হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আফসার আলী মাস্টার ও কামরুল হাসানসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
বগুড়ায় প্রতিপক্ষের মারধরে কৃষক নিহত, ২ নারী আটক
বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারধরে আনারুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত সোমবার জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আনারুল।
নিহত আনারুল ইসলাম উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হুদাবালা গ্রামের মরহুম তুফানু প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিনে ৪ দালাল আটক
আটকরা হলেন, হুদাবালা গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৮) ও মাসুম মিয়ার স্ত্রী রুমা বেগম (২৪)।
স্থানীয়রা জানান, হুদাবালা গ্রামের আবু বক্বর সিদ্দিকের সঙ্গে একই গ্রামের আনারুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোমবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
এরমধ্যে গুরুতর আহত হন আনারুল ইসলাম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৬টায় তার মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আইনুল হক বলেন, এ ঘটনায় রুমা ও রহিমা নামের দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ডেমরায় ট্রাকের ধাক্কায় পথচারী নিহত, চালক আটক
রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজার উপর প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩
পিরোজপুর- ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ভাতিজা ও জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি’র উপর প্রতিপক্ষ হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার(১৭ ডিসেম্বর) বিকালে পিরোজপুর সদর উপজেলা কদমতলা ইউনিয়ন কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় তার সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস ও ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তীকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মুজিব আবির এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহত জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান খালেকের ছেলে, যুবলীগ কর্মী রনি দাস শহরের প্রেসক্লাব সড়কের বলরাম দাসের ছেল এবং জেলা ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তী পিরোজপুর শহরের বলাকা ক্লাব সড়কের অ্যাডভোকেট দিলিপ চক্রবর্তীর ছেলে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন জানান, পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালকে সমর্থন দেয়ায় কদমতলা ও শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সমর্থক নেতা-কর্মীদের নানা রকম হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়জিদ হোসেন এর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে অভি’র সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস গুরুতর আহত হন। এছাড়া এ সময় হামলাকারীরা অভি এবং তার সঙ্গে থাকা স্মরণ চক্রবর্ত্তীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা।
পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ. ম. রেজাউল করিমের অনুসারী বায়জিদকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ না করে কেটে দেন। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি এর কোন উত্তর দেননি।
পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান আহতদের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তানভীর মুজিব অভির হাতে সহ শহীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত আছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহর পরিদর্শন করেন সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নির্বাচনে যেকোন প্রকার সহিংসতাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত প্রবাসীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত দুলা মিয়া (৬০) বাঁশখালী থানার বাহারছড়া ইউনিয়নের চাঁপাছড়ি গ্রামের মধ্যম চাঁপাছড়ি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মধ্যম চাঁপাছড়ি গ্রামের আবু নাঈম চৌধুরীর সঙ্গে একই এলাকার হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে গত ৮ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় হেলাল ও তার সহযোগিরা।
এতে নাঈম চৌধুরীর দুই ছেলে সেলিমুল ইসলাম চৌধুরী (৪৩) ও শরীফ চৌধুরী (২৮) গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে চাচাতো ভাইদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন দুই ভাই দুলা মিয়া ও নওয়া মিয়া। তাদের ওপরও হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুলা মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত দুলা মিয়ার চাচা আবু নাঈম চৌধুরী বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
তারা হলেন- হেলাল উদ্দিন, আজম উদ্দিন, বাবু মিয়া, মো. জোবায়ের, মো. কায়সার, নুরুন্নবী, নেজাম উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, নুরুল আমিন, আব্দুল করিম ও মো. জিহান।
বাঁশখালীর বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগে জমি বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। দুই পক্ষেই কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। আজকে এক পক্ষের একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাগুলোতে একপক্ষের সাত জন, অন্য পক্ষের চারজন জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৬৮
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৮
জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য। কারণ এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ শপথ নিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নেয় তারা কোনোদিন পিছপা হয় নাই। প্রতিবার বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে কেউ কখনো জিততে পারেনি। তাই পুলিশ, র্যাব, আনসার, সরকারি কর্মকর্তা ও বিচারক ভাইদের প্রতি জনগণের প্রতিপক্ষ না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যসহ একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে বিপুল জনগণের টাকা খরচ করে দক্ষিণ আফ্রিকা গেলেও ব্রিকসের সদস্যপদ পাননি।
তিনি বলেন, তিনি যে কাজটির জন্য সেখানে গিয়েছিলেন, তা করতে পারেননি। তিনি সব জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হবেন। সবাই অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।
খসরু বলেন, সেখানে বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাসিনা নৌকার জন্য ভোট চেয়েছেন এবং বিএনপিকে গালিগালাজ করেছেন। তিনি সবসময়ের মতো বাড়িতে বসেই এটি করতে পারতেন। তাহলে জনগণের টাকা খরচ করে তার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের যৌক্তিকতা কী ছিল?
গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার ৬
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শনিবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের খুকশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুস সাত্তার ওই গ্রামের মরহুম মোবারক আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ভাপা পিঠা আনতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
অন্যদিকে, রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- হাবিবুর রহমান মধু মিয়া, কাওসার আলী, সাখাওয়াত হোসেন ছকু, সাইদুর রহমান, সানোয়ার ও মিলন মিয়া।
এলাকাবাসী জানায়, জমির সীমানা নিয়ে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে মধু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়।
খবর পেয়ে মধুমিয়ার স্বজনেরা লাঠিসোটা নিয়ে আব্দুস সাত্তারের ওপর হামলা চালায়। এসময় আব্দুস সাত্তার মারা যান।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ জনকে আটক করা হয়। আজ রবিবার দুপুরে মামলা দায়েরের পর মামলায় নাম না থাকায় ৪ নারীকে বাদ দিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাস-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ২ জন নিহত
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পাবনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
পাবনাপাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডার এমপি মোড়ে পাবনা ট্যাংক লরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত তাফসির আহম্মেদ মনা (২৩) ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের পাকার মোড় এলাকার সৌদি প্রবাসী তানজির রহমান তুহিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় মনা এমপি মোড়ের শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় চার-পাঁচজনের অস্ত্রধারী দল মুখে কাপড় বেঁধে কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা মনাকে উদ্দেশ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ মনাকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মনা পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর ফটু মার্কেটসংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে মাটি ও বালু কাটার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই নিয়ে প্রতিপক্ষ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে তার পক্ষের লোকজনের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পারিবারিক সূত্র আরও জানায়, কয়েক দিন আগে প্রতিপক্ষ ওই গোষ্ঠী মনার পক্ষের শাহিন নামের যুবলীগের এক কর্মীর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় যুবলীগকর্মী মো. লিটন, লিখনসহ কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ মনাকে গুলি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপারসহ সবাই গিয়েছেন। হত্যার কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডার মন্ত্রীর মোড়ে দোকানে বসেছিলেন মনা। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তাফসির। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রবিবার (১৮ জুন) সকালে ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ঘটনা তদন্তের পর হত্যার নেপথ্যের কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
নওগাঁয় বজ্রপাতে ৪ জন নিহত
চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ২ যুবক খুন
চট্টগ্রাম মহানগরীর সাগরিকা রোডস্থ বিটেক এরিয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুই যুবক খুন হয়েছেন। সোমবার (৮ মে) সন্ধ্যায় মারামারির ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতে দুজন মারা যান।
নিহত যুবকেরা হলেন- মাসুম (৩০) ও সবুজ (২০)।
নারী সংক্রান্ত ঘটনায় এলাকার বিপক্ষের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত রোজিনা আক্তার ইউএনবিকে বলেন, চমেক হাসপাতাল থেকে আহত দুইজন মারা যাওয়ার কথা আমাদের জানানো হয়েছে। থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এবং আরেকটি টিম চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
বিএনপি-জামায়াত খুনিদের জোট, তাদের ভোট দেবেন না: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
ফেনীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হোমিও চিকিৎসকের মৃত্যু
ফেনীর সোনাগাজীতে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক হোমিও চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এ হামলা তার তিন সহোদর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. মিজানুর রহমান (৪৫) ছাড়াইতকান্দি গ্রামের কালা সোবহানের বাড়ির মৃত নূরুল হুদার ছেলে এবং মনগাজী বাজারের হোমিও চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঈদের নামাজ পর মোনাজাতের সময় মুসুল্লির মৃত্যু
এ হামলার আহত তিন সহোদর হলেন- আবদুল হাই (৪৮), আবু তৈয়ব (৫০) ও আবদুল গোফরান (৫৫)।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, মৃত নূরুল হুদার ছেলে মিজানুর রহমান ও তার ভাইদের সঙ্গে একই বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন ও তার পরিবারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মিজি বাড়ির সামনে গেলে আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, আবুল খায়েরের ছেলে মাঈন উদ্দিন মামুন ও সবুজের ছেলে বাবলুর ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত মিজানুর রহমানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার ওপর হামলার খবর শুনে তার তিন সহোদর আবদুল হাই, আবু তৈয়ব ও আবদুল গোফরান এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে মিজানুর রহমানকে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু