অবনতি
ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
দুর্বল শরীর ও অসুস্থতার নানা উপসর্গ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে (বিএসএইচ) চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছেন।
শনিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং তার গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমেছে এবং তার শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে।’
ডা. জাহিদ বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গেলে অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং বাসায় থেকেই তার চিকিৎসা চলছে। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তাকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পান ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি 'উদ্বেগজনক' বলে মন্তব্য করেছে মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স বা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)।
সংস্থাটি বলছে, এটি কেবল সীমান্তে বসবাসকারীদের সরাসরি প্রভাবিত করে না, বরং অতীতের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটাতে পারে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক বিবৃতিতে এমএসএফ বাংলাদেশের হেড অব মিশন অ্যান্তোনিনো কারাডোনা বলেন, ‘যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমএসএফ।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, সাধারণ চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো ছাড়াও সহিংসতা সম্পর্কিত আঘাতপ্রাপ্ত আরও বেশি লোককে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দৈনন্দিন চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি, সহিংসতার স্বীকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবায় প্রাধান্য দেয় এমএসএফ।
প্রয়োজন অনুযায়ী এর পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে এমএসএফ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত: রুশ রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজারের ১০টি স্থাপনায় এমএসএফ টিমগুলো ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিশাল স্বাস্থ্য চাহিদা মেটাতে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগীর জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছে।
কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, মনোসামাজিক সহায়তা ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা।
এমএসএফ রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা মানবিক সহায়তার অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। এদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বাস করে।
এমএসএফের মতে, প্রাথমিক জরুরি অবস্থার কয়েক বছর পার হলেও মানুষ এখনও একই জনাকীর্ণ এবং প্রধানত বাঁশের আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে। এরা প্রায় সম্পূর্ণরূপে সাহায্যের উপর নির্ভরশীল এবং ভবিষ্যতের জন্য খুব সামান্য আশা রয়েছে।ৎ
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময়
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
প্রায় চার মাস ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
গত ৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
খালেদা জিয়ার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে: ফখরুল
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৬ ঘণ্টার অনশন
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দীন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সাল থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর খালেদা জিয়া- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ারে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিকালে হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
কুড়িগ্রামের সবকটি নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে দুধকুমার নদের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় সড়ক তলিয়ে গিয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত ৩-৪দিন ধরে বন্যায় প্লাবিতরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
বাড়ির ভেতরে পানি ওঠায় তারা ঠিকমতো রান্নাও করতে পারছেন না। স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন বন্যাকবলিত এসব পরিবার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার্তদের তালিকা করা হচ্ছে। এছাড়া বন্যাকবলিত ৮ শতাধিক পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এই পানি বৃদ্ধির অবস্থা ৩ থেকে ৪দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। তারপর পানি নেমে যাবে।
কুড়িগ্রাম পাউবো’র কোনো বাঁধ বন্যায় ডুবে যায়নি বলে নিশ্চিত করে তিনি জানান, নাগেশ্বরী উপজেলায় একটি সড়ক সংস্কারের কাজ করেছে পাউবো। সেটির দুটি অংশ প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে ৬৫ মেট্রিক টন চাল উপজেলাগুলোতে উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমাদের কাছে ৫৮৫ মেট্রিকটন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। আমরা বন্যার্তদের তালিকা করছি, তালিকা পেলে উপবরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে, শুক্রবার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসন থেকে ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৩
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং শনাক্তের হার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩২৩ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩৯ জন
আক্রান্তদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ২৬০ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৩ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ১৫৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে ৯১৪ জন ঢাকায় এবং ২৪৪ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫ হাজার ২৩১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৬৭ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৪ হাজার ৩৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ১২৫ জন ঢাকার ও বাকি ৯১২ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩০৫
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৭৭
২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের অবনতি হয়েছে: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের অবনতি হয়েছে।
সিপিডি’র একটি নতুন জরিপে বলা হয়েছে, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক বাধা এবং অদক্ষ প্রশাসন উদ্যোক্তা বিকাশের প্রধান বাধা।
এতে বলা হয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং অস্থায়ী নীতি ব্যবসার পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিদ্যমান পরিকল্পনা থেকে সরে আসুন: সরকারকে সিপিডি
রবিবার ‘বাংলাদেশ বিজনেস এনভায়রনমেন্ট ২০২২: এন্টারপ্রেনারশিপ সার্ভে’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল শেয়ার করেছে এই থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জরিপের তথ্য তুলে ধরেন। ব্রিফিংকালে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে টেকসই ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি বড় বাধা।
জরিপে দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ব্যবসায়িক পরিবেশের অবনতি হয়েছে। গত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭৪ শতাংশ কর্মকর্তা অংশ নেন। যাইহোক, এটি দেশব্যাপী জরিপ ছিল না।
জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ নির্বাহী দুর্নীতিকে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
প্রায় ৬৪ শতাংশ কর্মকর্তা বলেছেন, কর প্রদানে দুর্নীতি হচ্ছে। ৫৪ শতাংশ বলেছেন, তারা ব্যবসায়িক লাইসেন্স পেতে দুর্নীতির মুখোমুখি হয়েছেন। ৪৯ শতাংশ বলেছেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ একটি নিয়ম এবং ৭৫ শতাংশ বলেছেন, আমদানি-রপ্তানি খাতে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, দুর্নীতির কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। ‘সেবার খরচও বাড়ছে। এই বাড়তি খরচের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিভিন্ন স্তরের দুর্নীতি ব্যবসার পরিবেশ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে,’ তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের আস্থা ও সুশাসন নিশ্চিত করুন: সিপিডি আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা
সাংসদ ও জনগণের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে এসপিসিপিডি ও বিএপিপিডি: স্পিকার
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি
নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সোমবার সকালে সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে ৪৯টি ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক চরের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রৌমারী উপজেলা। সেখানে প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি পাকা সড়ক। প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা থাকায় জেলা প্রশাসন থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসক দপ্তরে ও প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও আইনশৃঙ্খলা সঙ্গে জড়িত কর্মকতা কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ৩৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়ারহাট এলাকায় দুধকুমার নদের একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে আরও ৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে এই বাঁধটি ভেঙে যায়। ঝুঁকিতে রয়েছে সারডোব, বাংটুরঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ যাত্রাপুর বাজার সংলগ্ন ক্রস বাঁধটি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলায় আরও পানি বাড়বে এবং পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো মেরামতের কাজ চলছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার পর্যন্ত জেলায় ১০ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে ৬ হাজার ৮০৬ হেক্টর জমির পাট ক্ষেত রয়েছে।
এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র সংকট। কাজ বন্ধ হওয়ায় দিনমজুর পরিবারগুলোর ঘরে খাদ্য সংকট প্রকট হয়েছে। চারণভূমি ডুবে যাওয়ায় গবাদী পশুর খাদ্য মিলছে না। চরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে হাট বাজার যাতায়াতসহ যোগাযোগের চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বানভাসি মানুষ।
পড়ুন: পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ, কুড়িগ্রামে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি
করোনা পরিস্থিতির অবনতি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও ২ সপ্তাহ বাড়ল
দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করেছে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে করোনা সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দেয় ।
আরও পড়ুন: ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্ধ থাকার সময় স্কুল ও কলেজের জন্য অনলাইন ক্লাস পুনরায় শুরু করা সহ ১১-দফা নির্দেশনা জারি করে।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জোনাল অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করে করোনার বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। অবশেষে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৭ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: শিক্ষামন্ত্রী
সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, নতুন এলাকা প্লাবিত
প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তী জেলার পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে এবং নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় দুঃখ দুর্দশা বাড়ছে।
এদিকে বাড়িঘরে পানি উঠায় চরাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষেরা কলা গাছের ভেলা নৌকা ও ঘরের ভিতর মাচল করে বসবাস করছে। বিশুদ্ধ পানির ও জ্বালানির অভাবে তারা খাবার রান্না করতে না পেরে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সেইসাথে শিশু খাদ্যের সংকটে তাদের জীবন-যাপন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। গো-খাদ্যের অভাবে গবাদি পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় বন্যার্ত মানুষেরা। সাপ-পোকামাকড়ের ভয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বানবাসি মানুষের জীবন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় ১’শ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৭৬ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। বরাদ্দকৃত চাল ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে এবং কোন এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন রয়েছে কি না তার খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় সিরাজগঞ্জের এমপি স্বপনের মৃত্যু
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) জাকির হোসেন জানান, উজানের ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন অঞ্চল। এসব অঞ্চলের অনেক কাঁচা ও পাকা সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে আঁখ, আউশ রোপা, তিল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল।