রবিবার
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জন হাসপাতালে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ জন। আর আর ঢাকার বাইরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন ও নারী ১১ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জন হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৫৪৬ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ৯৯৮ জন ও নারী ৫৬৮ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জন হাসপাতালে
বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী রবিবার
দেশে আগামীকাল রবিবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটির পাশাপাশি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি গার্ড অব অনার প্রদান ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বেলা ১১টায় যোগ দেবেন।
দিবসটি উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি এই মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হয়ে আছেন বাঙালি জাতির প্রেরণার চিরন্তন উৎস। রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু নীতি ও আদর্শের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হন।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দেশের সব শিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
কারাগারে থেকে এবং কারাগারের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন করেছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীন অর্জিত হয়।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে পরে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
চট্টগ্রামে নারী হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মঞ্জু সেন নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এক যুবককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. রুবেল (২৮) ও মো. আব্বাস (৩৪)। খালাস পেয়েছেন আসামি ফরহাদ হোসেন জাকি (৩৭)।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বলেন, ভুক্তভোগীর শরীর থেকে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিতে আসামিরা মঞ্জু সেনকে হত্যা করেছিল। আদালতে এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রুবেল ও আব্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ায় অন্য ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ মে দুপুরে সদরঘাট থানার নেভাল-টু এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের পাশের ঝোপে মঞ্জু সেনের লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। রুবেল মঞ্জু সেনের বাড়ির দারোয়ান ছিলেন বলেও জানা যায়।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে রবিবার
রবিবার (৩ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। এ সম্মেলন শেষ হবে বুধবার (৬ মার্চ)।
এবারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫০টি প্রস্তাবনা পাওয়া গেছে।
শনিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মাহবুব হোসেন।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
তিনি আরও বলেন, এবার সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে।
অন্যান্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ডিসি সম্মেলনে মোট ৩০টি অধিবেশন হবে। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২৫টি।
এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুইটি অধিবেশন হবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে।
বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগসংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি। কার্য অধিবেশনগুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মত বিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫তম বার্ষিকী রবিবার
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৫তম বার্ষিকী আগামীকাল রবিবার।
২০০৯ সালের এই দিন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) কয়েকশ সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
ওই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা হয়, এর মধ্যে একটি হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে আর বাকিগুলো বিদ্রোহের অভিযোগে।
এই হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ডের এ মামলায় ২৭৭ জন আসামি খালাস পেয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পিলখানার শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
যশোরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
যশোরে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্বামী পরিতোষ কুমার সানাকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় (৪ ফেব্রুয়ারি) যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালানোর পর তাকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী মায়া রানী সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের তরুণ কুমার মণ্ডলের মেয়ে।
চাকুরির সুবাদে যশোর উপশহর এলাকার সুফিয়া ভিলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন এই দম্পতি।
এদিকে মায়াকে তার স্বামী হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই সুশান্ত কুমার মণ্ডল।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিল। তারই জের ধরে মায়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পরিতোষ কুমার সানা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মায়া রানীর মৃত্যু হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চাকুরির সুবাদে উপশহর এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত মায়া রানী ও তার স্বামী পরিতোষ কুমার সানা। সেখান থেকে রবিবার সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় মায়া রানীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বামী।
তিনি আরও বলেন, পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা সেটা এখনও কিছুই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে মায়া মারা গেছে ময়নাতদন্ত হলেই জানা যাবে। এছাড়া তদন্ত করে যদি কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
নিহত মায়া রানীর স্বামী পরিতোষ কুমার সানাকে পুলিশ আটক করেছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার বিকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নেতাদের সাথে মত বিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচার, ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ সব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনা হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনের জন্য গাইডলাইন তৈরি করা হবে। পাশাপাশি ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচারে যেখানে আইনের লঙ্ঘন ও ব্যত্যয় আছে সেটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে আরও পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচারে সম্পৃক্ত প্রত্যেক অংশীজন ডিজিটাইজেশনের পক্ষে। এক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তাই দ্রুততার সাথে একাজটি করতে সরকার চেষ্টা করবে। ডিজিটাইজেশন হলে সরকার আরও বেশি রাজস্ব পাবে, অনেক বেশি স্বচ্ছতা আসবে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ প্রযুক্তির যেকোন অগ্রসরতাকে সরকার স্বাগত জানায়। কিন্তু যেখানে আইন ভঙ্গ হবে, নিয়ম-নীতি ভঙ্গ হবে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসাথে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রযুক্তির অগ্রসরতার সাথে একধরনের ঝুঁকিও তৈরি হয়, সে জায়গাগুলোও দ্রুততার সাথে বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতে হবে। প্রযুক্তি যে পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে সেটা মেনে নেয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে। প্রযুক্তি গ্রহণের ইতিবাচক মানসিকতা থাকাটাও জরুরি।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রচলিত আইনের কোনো ব্যত্যয় হোক এটা আমরা হতে দিতে পারি না। আইন এবং জাতীয় নিরাপত্তা সরকারের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও যোগাযোগের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ আলী চঞ্চল, সদস্য নিজাম উদ্দীন মাসুদ, রশিদ মালিক, ফরিদ উদ্দীন এবং হাবীব আলী উপস্থিত ছিলেন।
এদিন দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
সোমবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম
ঢাকার বাতাসের মান আজ 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
আজ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৫ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর যথাক্রমে ২৬১, ২২৩ ও ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ৬ জেলায় চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রেরসংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাস ঢাকার
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
রাজধানীর পূর্বাচলে আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী ভুটান বাণিজ্য মেলা রবিবার শেষ হচ্ছে
মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।
ডিআইটিএফ সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলা স্থগিত করে ইপিবি।
বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২৩টি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ ৩৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি ফুড স্টল। বরাবরের মতো এবারও দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী