রেড জোন
ডিএসসিসির ২টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ার্ড দুটিতে প্রতি সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়ায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তালিকা, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে এসব ওয়ার্ডে চলতি মাসের ২ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঘোষিত রেড জোন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে দিনব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হবে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং বেলা ১১টায় ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অংশ নেবেন।
এ উপলক্ষ্যে রবিবার দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হবে।
এ কার্যক্রমে ওয়ার্ড দুটিতে ৯০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাবে। এ ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে ১৩ জন ও বিকালে ১৩ জন করে মশককর্মী লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেবে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট দক্ষিণ সিটির ৫, ২২, ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
করোনাভাইরাস: সংক্রমণের রেড জোন ঢাকা-রাঙামাটি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া মধ্যম পর্যায়ের (হলুদ জোন) ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে যশোরসহ সীমান্তবর্তী ছয় জেলাকে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মধ্যম পর্যায়ের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো-রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোর। এসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে অবস্থান করছে। আর রেড জোনে থাকা ঢাকা ও রাঙামাটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ।
আর সংক্রমণের গ্রিন জোন বা ক্ষীণ ঝুঁকিতে আছে ৫৪ জেলা। অন্যদিকে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে বলে জানায় অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের কঠোর বিধিনিষেধ
ক্ষীণ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো- চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া, নীলফামারী, বরগুনা, শেরপুর, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পিরোজপুর, বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, ঝালকাঠি, খুলনা, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, সিলেট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, খাগড়াছড়ি, ঝিনাইদাহ, পাবনা, মাদারীপুর, মাগুরা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, ভোলা, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নড়াইল।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন বা লাল, হলুদ ও সবুজ-এই তিন ভাগে ভাগ করে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩১ কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও বেড়েছে
বাঘাইছড়িতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ৭৮, সাজেক রেড জোন
বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা সাজেকে করোনার পাশাপাশি হঠাৎ করে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭৮ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আর সাজেক ইউনিয়নকে ম্যালেরিয়ার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি সেবা সংস্থা ব্রাকের হিসাব মতে, সাজেকের ৯নং ওয়ার্ডের ত্রিপুরা পাড়া, বড়ইতলী পাড়া, শিব পাড়া, দেবাছড়া, নরেন্দ্র পাড়া, ১নং ওয়ার্ডের মন্দির ছড়া, শিয়ালদহ, তুইচুই, বেটলিং, অরুন কার্বারী পাড়াসহ আশপাশের সব এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
সাজেকের ৭নং ওয়ার্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় একই পরিবারের তিনজন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা (নয়ন)।
আরও পড়ুন: সাজেকে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস খাদে, আহত ৮
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশতেখার আহমদ জানান, গত বছরের তুলনায় এই বছরে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর লকডাউনের কারণে বাঁশ কর্তন ও জুম চাষ বন্ধ ছিল। এ বছর তা বন্ধ না থাকায় ও বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গল সৃষ্টি হওয়ায় মশার উপদ্রুব বেড়ে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে।
এনজিও সেবা সংস্থা ব্রাকের হিসাব মতে, এই বছর জুন মাস পর্যন্ত দশ হাজার সন্দেহজনক রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে ৬৭ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জুন মাসেই ৪৯ জনের রক্তে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মাসে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ২৯ জন।
ডা. ইশতেখার আহম্মেদ জানান, হিসাব মতে উপজেলায় মোট ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৭৮ জন। দুর্গম সাজেক ইউনিয়নকে আমরা ম্যালেরিয়ার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছি। যেখানে ২০১৯ সালে ২৮ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ১,৩০৬ জনের শরীরে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়। এছাড়া গত বছর ২৮, ৬৬৭ জন মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮৯ জনই ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। তবে এটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্রাকের হিসাব মতে।
তিনি জানান, সাজেকে আমাদের কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক করার পরিকল্পনা আছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে সাজেকসহ আশপাশের জনগণকে খুব সহজে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে। তবে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজারের রামুসহ ম্যালেরিয়া প্রবণ জেলাগুলোতে ‘মাইক্রো প্ল্যান’ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্রাকের রাঙ্গামাটির কো-অরডিনেটর হাবিউর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাজেক সড়কে পর্যটকদের গাড়িতে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের হামলা, আটক ৩
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বছর একটানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মশার প্রজনন বেড়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে পাহাড়ের বিভিন্ন ঝিরি ও ছড়ায় পানি জমে মশার প্রজননে সুবিধা হয়। এ ছাড়া ভারতের মিজোরাম রাজ্যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেখান থেকেও ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি সন্ধ্যা থেকে মশারি ব্যবহার, আশপাশের ঝোপঝাড় ও নর্দমা পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেন এবং তিনি আরো আশঙ্কা করছেন, পর্যটন এলাকা হওয়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকলে এক সময় পর্যটকদের মাধ্যমে সারা দেশে ম্যারেরিয়ার জীবানু ছড়াতে পারে। তাই ম্যালেরিয়া নির্মূলের জন্য সকলে সচেতন হয়ে আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
করোনা: খুলনায় আরও ১১ মৃত্যু
খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এরমধ্যে করোনায় ১০ জন ও উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দু’জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্য সাতজন করোনায় এবং করোনা উপসর্গে নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০৪ জন। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে রেড জোনে ১১০ জন, ইয়ালো জোনে ৫৪জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে আছে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ জন।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু, বাড়ছে শনাক্ত
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে যশোরের মনিরামপুরের একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১০৯ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় ৪০ লাখ
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৬ জন, তার মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৩ জন মহিলা।
তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গা নেই
খুলনায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী ভর্তি রয়েছে। যে কারণে নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
অতিরিক্ত রোগী থাকায় নতুন বেড খালি না হওয়া পর্যন্ত রোগী ভর্তি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বেড খালি সাপেক্ষে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মতলবের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১২৬ জন রোগী। যার মধ্যে ৫৫ জন আছেন রেড জোনে, ২৯ জন ইয়োলো জোনে। এছাড়া আইসিইউতে ১২ জন এবং এইচডিইউতে ৩০ জন আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন রোগী। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৭ জন। দুপুর ১ টায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
১০০ শয্যার হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে ১৩০ জন রোগী ভর্তি থাকায় যেমন চিকিৎসক ও নার্সদের হিমসিম খেতে হচ্ছে, তেমনই রোগীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় আরও অন্তত ৩০টি বেড বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী চেয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে নতুন করে ১২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ শনাক্ত হয়। খুলনায় মোট নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় রামেকে আরও ১২ জনের মৃত্যু
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী ভর্তি রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে। বেড খালি না হলে রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য বেড খালি সাপেক্ষে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগীর চাপ বেড়েছে। এর আগে কখনো এতো সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়নি। ফলে রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শয্যা খালি হওয়া সাপেক্ষে ভর্তি চলছে। ভর্তি বন্ধ হয়নি। আগামীকাল করোনার জেলা কমিটির মিটিং আছে। সেই মিটিং-এ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোভিড-১৯: রাজধানীর ওয়ারী থেকে লকডাউন প্রত্যাহার
কার্যকর হওয়ার ২১ দিন পর শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর ওয়ারী থেকে লকডাউন তুলে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
কোভিড-১৯: শনিবার থেকে ওয়ারীতে ২১ দিনের লকডাউন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ওয়ারী এলাকায় শনিবার সকাল থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন কার্য়কর করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘রেড জোন’ হিসেবে লকডাউনকৃত পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের অসহায় ৪০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া।
করোনা প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার বিভাগের সমন্বয় সেল গঠন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সমন্বয় সেল গঠন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
রেড জোন: আরও ৪ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ছুটি
কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে চলমান রোগের ঝুঁকি বিবেচনায় সরকার এবার কক্সবাজার, মাগুরা, হবিগঞ্জ ও খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকার রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।