বিনোদন
‘বিউটি সার্কাস’ মুক্তি পাবে ২৩ সেপ্টেম্বর
অনেকদিন ধরেই মুক্তির প্রতিক্ষায় ছিল মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’। অবশেষে তার শেষ হলো। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত (২০১৪-১৫) অনুদান পাওয়া সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
মাহমুদ দিদার বলেন, “মুক্তির আগেই ‘বিউটি সার্কাস’ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা অভাবনীয়। চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ হতে যাচ্ছে। যেহেতু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সে কারণেই সরকারের প্রতি দায়বোধ থেকে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর হাতে আমার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্রটির অফিসিয়াল পোস্টারটি উপহার দেই। আশা করছি আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক এই দারুণ চলচ্চিত্রটি দর্শক উপভোগ করবেন সিনেমা হলে গিয়ে।”
১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে ‘বিউটি সার্কাস’-এর পোস্টার। ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে সার্কাসের বিশাল যজ্ঞে দুইশত জনের নির্মাণ সঙ্গী নিয়ে প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে চিত্রধারণের কাজ করেন নির্মাতা। এর জন্য নির্মাতা বিশাল সার্কাস প্যান্ডেল নির্মাণ ও গ্রাম্যমেলার আয়োজন করেন।
পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
২০১৭ সালে নির্মাণ শুরু হলেও চলচ্চিত্রটির ব্যাপ্তি ও নির্মাণের বৃহৎ আয়োজন সম্পন্ন করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগে। করোনা মহামাহারির কারণেও পিছিয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্রটির মুক্তি। চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের বড়পর্দায় হাজির হচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, তৌকির আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু, মানিসা অর্চি, প্রমুখ।
পড়ুন: দিন- দ্য ডে: ৪ কোটির সিনেমা ১২০ কোটি বলে প্রচার
চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসান সেজেছেন সার্কাসকন্যা ‘বিউটি’রূপে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বলবো এই কাজটি আমার অভিনয় জীবনের খুব রোমাঞ্চকর কাজের একটি। অভিনয়শিল্প আপনাকে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে আপনি আগে কোনোদিন যাননি আবার এমন কিছু চরিত্র প্রদর্শন করার সুযোগ করে দেয় যার অভিজ্ঞতাটাও একেবারে নতুন। এমনি একটি ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল সার্কাস- প্রদর্শনকারী সেজে তাও আবার এক জম্পেশ সার্কাসের স্টেজে! সার্কাস এর এই পুরো অভিজ্ঞতাটাই আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ছিল, সামনে থেকে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি বলে।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের দাবি: চলচ্চিত্র পরিষদের প্রতিবাদ
ফের বিয়ে উদযাপন করলেন লোপেজ-আফ্লেক
জর্জিয়ার সাভানাহতে পরিবার ও বন্ধুদের সামনে দ্বিতীয়বার বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন হলিউড তারকা জুটি জেনিফার লোপেজ ও বেন আফ্লেক।
এর আগে গত মাসে লাস ভেগাসের একটি উপাসনালয়ে ছোট পরিসরে তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছিল। সেসময় তাদের বন্ধু ও পরিবার জর্জিয়ায় ছিল।
পিপল ম্যাগাজিনের সূত্রমতে, শনিবার তাদের সন্তানদের উপস্থিতিতে জর্জিয়ার সাভানাহতে আফ্লেকের বাড়ির বাইরে তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এই তারকা জুটি গত মাসে লাস ভেগাসে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি অফিসিয়ালি ভক্তদের জানাতে লোপেজ তার ‘অন দ্যা জে লো’ নিউজলেটারে শেয়ার করেছেন।
গত মাসে জেনিফার বেন আফ্লেক লেখেন, ‘ভালোবাসা সুন্দর। ভালোবাসা মহৎ। প্রেম ধৈর্য্যশীল। বিশ বছরের ধৈর্য্য।’
২০০০ সাল থেকে ৫৩ বছর বয়সী লোপেজ ও ৫০ বছর বয়সী আফ্লেক জুটি বিখ্যাত হয়েছেন। তারা ২০০৩ সালে ‘গিগলি’ ও ২০০৪ সালে ‘জার্সি গাল’ –এ অভিনয় শুরু করে বাগদান করলেও তারা এতদিন বিয়ে করেননি।
গত বছরের ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে রেড কার্পেট ডেবিউ প্রদর্শন এবং প্যারিসে তাদের সাম্প্রতিক হানিমুন এবং প্যারিসে তাদের রোম্যান্স পুনরুজ্জীবিত করার পর থেকে পাপারাজ্জিরা এই দম্পতিকে ভীষনভাবে অনুসরণ করেছে।
রবিবার এই যুগলের কোনো প্রতিনিধি তাদের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: অবশেষে বিয়ে করলেন জেনিফার লোপেজ ও বেন
চতুর্থবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে জেনিফার লোপেজ
রূপালি গিটারের জাদুকর কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন আজ
দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পর বাংলাদেশে শুরু হলো ব্যান্ড সঙ্গীত চর্চা। সেই সময় দেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা পিংক ফ্লয়েড, বিটলস, ডায়ার স্ট্রেইট বা দা ডোরস’র মতো পশ্চিমা সঙ্গীতের অনেক ব্যান্ড। তাদের কেউ হতে চান মার্ক নফলার, জিম মরিসন। আবার কেউ ডেভিড গিলমোর অথবা জিমি হেন্ড্রিক্স।
এখন যে কিংবদন্তী রক আইকনের কথা বলব তিনি হচ্ছেন দেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের পথিকৃত আইয়ুব বাচ্চু। ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার প্রায়ত এই তারকার ৬০তম জন্মদিন আজ।
আইয়ুব বাচ্চুর বেড়ে উঠা চট্টগ্রামে। ৭০ দশকে স্কুলে থাকতে বাবার কাছ থেকে একটি গিটার উপহার পান। আর সেই থেকেই তার টুংটাং শুরু। কিশোর বয়সে প্রেমের পরেন পশ্চিমা সঙ্গীতের। হয়তো স্বপ্ন দেখতেন জিমি হেন্ড্রিক্স হওয়ার। যাকে আইয়ুব বাচ্চুর টিশার্টে প্রায় দেখা যেত।
দেশের টিভির এক অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চু প্রথম দেখলেন আজম খানের পারফর্মেন্স। তার সঙ্গে ঝাঁকড়া চুলে গিটার বাজাচ্ছিলেন দেশের কিংবদন্তী গিটারিস্ট নয়ন মুন্সি। মুগ্ধ হয়ে যান আইয়ুব বাচ্চু। তখন থেকে নেশা চড়ে যায়। তাই কলেজ জীবনে বন্ধুদের নিয়ে একটি ব্যান্ড গড়লেন। নাম দিলেন ‘গোল্ডেন বয়েজ’।
আরও পড়ুন: আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে চট্টগ্রামে রূপালি গিটার
চট্টগ্রামে সেই সময়ে বেশ জনপ্রিয় ‘ফিলিংস’ব্যান্ড। আইয়ুব বাচ্চুর ইচ্ছা ছিল সেই ব্যান্ডে জয়েন করার। কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে যেহেতু আগেই পরিচয় ছিল তাই সেই ইচ্ছাটাও পুরোন হলো। এতে আইয়ুব বাচ্চু তার গিটারের প্রেক্টিস আরও ভালোভাবে করার সুযোগ পেয়ে যান। আর তার উদ্দেশ্য ছিল মূলত এটাই। এটা ছিল ১৯৭৮ সালের কথা।
এরপর ১৬ বছর বয়সে ‘ফিলিংস’ থেকে আইয়ুব বাচ্চু প্রথম গান রেকর্ড করেন। শিরোনাম ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গীতিকার ছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। ব্যান্ডটিতে তিন বছরের মতো ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। পরবর্তীতে যোগ দেন চট্টগ্রামের আরও একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘সোলস’-এ।
সোলস তখন ছিল চট্টগ্রাম ভিত্তিক ব্যান্ডদল। যদিও ৮২ সালের দিকে সোলস ব্যান্ড ঢাকায় মুভ করে। যার কারণে আইয়ুব বাচ্চুও ঢাকায় চলে আসেন। সেই সময়েই সোলসের প্রথম অ্যালবাম, ‘সুপার সোলস’ রিলিজ হয়।
এক সাক্ষাৎকারে আইয়ু বাচ্চু বলেছিলেন, ‘১৯৮৩ সালের শেষের দিকে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে এসেছিলাম। উঠেছিলাম এলিফ্যান্ট রোডের একটি হোটেলে। তখন এখানে আমার অনেক আত্মীয়স্বজন থাকতেন। আমি কারও কাছেই যাইনি। বিপদে কারও মুখাপেক্ষীও হইনি। নিজেকে গড়ে তুলেছি। দিনরাত্রি কাজ করে একটা অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি।
১৯৮৬ সালে ‘সোলস’এ থাকা অবস্থায় নিজের প্রথম একক অ্যালবাম, ‘রক্তগোলাপ’ প্রকাশ করেন আইয়ুব বাচ্চু। এই অ্যালবামের সুর ও সঙ্গীত ছিল তার নিজেরই। কিন্তু এখানে মজার ব্যাপার হলো, অ্যালবামের কভারে সুর ও সঙ্গীতের জায়গায় তিনি তার ডাকনাম ‘রবিন’ ব্যবহার করেন এবং শিল্পীর স্থানে আইয়ুব বাচ্চু ব্যবহার করেন।
সাম্প্রতিককালে ইউটিউবে ঝড় তোলা জনপ্রিয় সব বাংলা নাটক
ইউটিউবে বাংলা নাটকের সহজলভ্যতা বাড়ার কারণে নির্মাতাসহ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ইউটিউবমুখী হচ্ছেন। তাই প্রতিনিয়ত ইউটউবে জনপ্রিয় সব বাংলা নাটক মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। নতুনদের পাশাপাশি দেশের মূলধারার নাট্য কলাকুশলীরাও নিজেদের মঞ্চ তৈরি করে নিচ্ছেন। ফলে ইউটিউব তারকাদের খাতায় খুব সহজেই উঠে যাচ্ছে তাদেরও নাম। কোনো উৎসব ছাড়াই এখন মুঠোফোনের ছোট্ট পর্দাতেই সাজ সাজ রব পড়ে যাচ্ছে বাংলা নাটকগুলোর। তেমনি কিছু সাম্প্রতিক নাটক নিয়ে এবারের ফিচার।
সাম্প্রতিক কালে ইউটিউবের ১০টি সেরা নাটক
তুমি আমি পাশাপাশি
বর্তমান সময়ের রোমান্টিক নাটকগুলোর মধ্যে এই নাটকটি একটু এগিয়ে থাকবে। স্বভাবতই চিত্রনাট্যের বিশেষত্বের জন্য, যেখানে প্রধান চরিত্র দুটির প্রেমে পড়াতে কাকতালীয় ঘটনা ঘটে। পরস্পরের কাছ থেকে দূরে থাকলেও ভাগ্য তাদেরকে নানা ভনিতায় কাছাকাছি এনে দেয়। সোহেল আরমানের এমনি গল্প নিয়ে নাটকটি পরিচালনা করেছেন মাসরিকুল আলম। প্রধান ভূমিকায় ছিলেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং সাবিলা নূর। শফিকুল আলম শান্তর ফটোগ্রাফিতে অভিনয়শিল্পীদের মিথস্ক্রিয়া দারুণভাবে পর্দায় ফুটে উঠেছে। বর্ণবিন্যাস ও সম্পাদনায় ছিলেন আগুন শুভ। সুরঞ্জলির ব্যানারে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন কাইয়ুম খান।
ইউটিউব লিঙ্ক: তুমি আমি পাশাপাশি
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
অতিরিক্ত
শিশুশিল্পী মনতাহা এমেলিয়া তার ভাঙা শব্দের অভিনয় দিয়ে ক্রমাগত দর্শকদের মুগ্ধ করে যাচ্ছেন। রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালিত এই নাটকটিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জোভান আর তাসনিয়া ফারিনের অভিনয়কে ছাপিয়ে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি গেছে এমেলিয়ার দিকে। মা কাছে না থাকায় একমাত্র মেয়েকে দেখাশোনা এবং বাড়ির কাজ করার জন্য বাড়িতে আগমন ঘটে তাসনিয়া ফারিনের। কিন্তু আশেপাশের লোকের কটু কথায় এমেলিয়াদের সঙ্গে ফারিনের থাকাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পরিশেষে দুঃখজনক এক টুইস্টিংয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মুনতাহা বৃত্তা রচিত গল্পটি। ইমোশন স্টুডিওর ব্যানারে নাটকটির প্রযোজনা করেছেন আর এইচ সোহেল।
ইউটিউব লিঙ্ক: অতিরিক্ত
টুইন ট্রাবল (Twin Trouble)
টুকু ও টুম্পা চার মিনিটের ছোট বড়। তাদের মধ্যকার ভয়ানক দা-কুমড়া সম্পর্ক তাদের আশেপাশের সবাইকে ঝামেলায় ফেলে দেয়। ভাই ও বোনের খুনসুটি মাখা গল্প নিয়েই নাটকটি পরিচালনা করেছেন ইমরাউল রাফাত। আদ্যোপান্ত কমেডিতে ভরপুর নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ফারহান আহমেদ জোভান আর তাসনিয়া ফারিন। ইমেল হকের সংলাপে নাটকের কাহিনী যখন বেশ জমে উঠে ঠিক তখনি ক্লাইমেক্সের অবতারণা ঘটে। নাঈম ফুয়াদের চিত্রগ্রহণে প্রতিটি অভিনয়শিল্পীর কাজগুলো খুটিনাটিসহ দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সহ-অভিনয়শিল্পী হিসেবে ছিলেন হিন্দল রায়, শামীমা নাজনীন, নাফিস আহমেদ, ও রিসা চৌধুরীসহ আরও অনেকে। যাবতীয় সম্পাদনায় ছিলেন রবিউল সোহেল। নাটকটি নির্মিত হয়েছে এথ্রিসিক্সটি এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশন এবং সুলতান এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনা ও পরিবেশনায়।
ইউটিউব লিঙ্ক: টুইন ট্রাবল
গুড বায (Good Buzz)
জনপ্রিয় ধারাবাহিক ব্যাচেলর্স পয়েন্টের রেশ ধরে এই সময়ের স্বনামধন্য নাট্য নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির আরও একটি সৃষ্টি গুড বায। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক কমেডি নাটকটি ইউটিউব জুড়ে বেশ সাড়া ফেলেছে। চিত্রনাট্যে অমি নিজেই ছিলেন আর সংলাপ লিখেছেন ইমেল হক। ব্যাচেলর্স পয়েন্টের আমেজ এখানেও ধরে রেখেছিলেন এর অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা। মিশু সাব্বির, জিয়াউল হক পলাশ, সাফা কবির, পার্সা ইভানা, সাইদুর রহমান পাভেল, শরাফ আহমেদ জীবন, এবং শিমুল শর্মার মজার সংলাপ নির্ভর কাহিনী পুরো নাটকটিকে হৈচৈ-এ ভরিয়ে রেখেছিল। মোনাক মার্ট পরিবেশিত নাটকটির সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন খয়াম সনু সন্ধি। মূল গানের সন্ধির সঙ্গে কন্ঠ দিয়েছেন আঁচল।
ইউটিউব লিঙ্ক: গুড বায
গ্যাংস্টারের বিয়ে
এ সময়ের তারকা জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি এবং গুণী অভিনেতা মোশাররফ করিমকে এখানে দেখে গেছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের গ্যাংস্টারের ভূমিকায়। রাজধানীয় লিডার পাপ্পী আর মিলা চালায় যশোরের গ্যাঙ। দুজনকেই বিয়ের পীড়িতে বসানোর জন্য শুরু হয় লঙ্কাকাণ্ড। এমনি চিত্রপট নিয়ে গল্প লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। নাটকটির একটি বিশেষ ভূমিকায় শুধুমাত্র কন্ঠ দিয়েছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে আছেন মনিরা মিঠু, শহীদুল ইসলাম সাচ্চু ও আরও অনেকে। কমেডি নাটকটির পরিচালনায় ছিলেন মাইদুল রাকিব। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন বিকাশ সাহা এবং রঙ ও সম্পাদনার কাজ করেছেন রমজান আলী। সিএমভি (সেন্ট্রাল মিউজিক অ্যান্ড ভিডিও)-এর ব্যানারে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এসকে শাহেদ আলী।
ইউটিউব লিঙ্ক: গ্যাংস্টারের বিয়ে
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
পিচাশ
পিচাশ কালাম নামের এক টোকাই বালকের গল্প, যে অন্ধকার জগতের রথি-মহারথিদের ডিঙিয়ে তর তর করে উঠে যাচ্ছিলো একদম মগডালে। আর সব মানুষের মতই তার জীবনেও এলো ভালোবাসার পরশ। কিন্তু তা সেই ছোটবেলা থেকে তিল তিল করে বেড়ে ওঠা তার ভেতরকার পিশাচকে কিছুতেই ধরাশায়ী করতে পারেনি। এমনি স্বরচিত থ্রিলার গল্প নিয়ে নাটকটি পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। কালাম চরিত্রে অভিনয় করে অভাবনীয় প্রশংসা কুড়িয়েছেন মুসফিক আর ফারহান। তার বিপরীতে ছিলেন কেয়া আক্তার পায়েল। প্রধান সহ-অভিনয়শিল্পী হিসেবে ছিলেন আবদুল্লাহ রানা। সরকার মিডিয়ার ব্যানারে নাটকটির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন সরকার সুমন।
ইউটিউব লিঙ্ক: পিচাশ
আই হেইট ইউ বাড়িওয়ালা
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল অভিনীত এই রোমান্টিক-কমেডি নাটকটি সাম্প্রতিককালে ইউটিউবের শীর্ষ বাংলা নাটকগুলোর একটি। গোলাম সারোয়ার অনিকের গল্পে এখানে দেখা যায় নতুন বাসায় উঠার পর পায়েল জানতে পারলেন যে বাড়িওয়ালা আর কেউ নয়; তারই প্রাক্তন প্রেমিক। অপূর্ব প্রথম দিকে অবাক হলেও পরবর্তীতে ভাড়াটিয়াকে জ্বালানোর সুযোগ পাওয়ায় বেশ খুশি। বি ইউ শুভর পরিচালনায় নাটকটিতে দৃশ্যায়ন হতে থাকে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার ইঁদুর-বিড়ালের গল্প। অন্যান্য চরিত্রে দেখা গেছে মনিরা মিঠু, সিয়াম নাসির ও সাথীকে। বাংলা ভিশনের জন্য প্রস্তুত করা নাটকটির রঙ ও যাবতীয় সম্পাদনার কাজ করেছেন মোহাম্মদ রাজু।
ইউটিউব লিঙ্ক: আই হেইট ইউ বাড়িওয়ালা
তোর জন্য পাগল
বি ইউ শুভ পরিচালিত আরও একটি মিষ্টি প্রেমের নাটক তোর জন্য পাগল। ইউসুফ আলী খোকনের লেখা গল্পে শায়লা ও রাফি দুটি প্রধান চরিত্র, যাদের পারিবারিক বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। সেই সূত্রে রাফি আর শায়লাও একসঙ্গে বেড়ে ওঠার কারণে সারাদিনি পরস্পরের সঙ্গে লেগে থাকে। কিন্তু ঝগড়া-বিবাদের মাঝেও একে অপরের প্রতি ভালবাসা কখনোই প্রকাশ পায়নি। নাটকের শ্রেষ্ঠাংশে আছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, কেয়া পায়েল, সাবেরী আলম এবং স্বপ্না আক্তার। চিত্রগ্রহণে ছিলেন এস আর নিহাদ এবং রঙ ও সার্বিক সম্পাদনা করেছেন মোহাম্মদ রাজু। রাধুনি পরিবেশিত নাটকটি নির্মিত হয়েছে আরটিভির জন্য।
ইউটিউব লিঙ্ক: তোর জন্য পাগল
আরও পড়ুন: ৫০ প্রেক্ষাগৃহে আসছে বুবলি-আদর জুটির ‘তালাশ’
আমানত
এবার একটু ভিন্ন স্বাদের গল্প। গল্পটা প্রায়শ্চিত্তের, যেখানে দারুণ এক বার্তার মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হয়েছে মানুষকে কষ্ট দিলে সেই কষ্ট এক সময় নিজের ওপরই ফিরে আসে। এমনি সামাজিক বার্তা দিয়ে গল্প লেখা ও নাট্য পরিচালনা করেছেন আদিবাসী মিজান। শুরুটা কমেডি ঘরানার হলেও শেষটা ছিল ইতিবাচক এবং কষ্টের। নাটকের মূল অভিনয়শিল্পীরা হলেন মুশফিক আর ফারহান, রুকাইয়া জাহান চমক এবং সমু চৌধুরী। অন্যান্য ভুমিকায় ছিলেন গুলশান আরা এবং মুকিত জাকারিয়া। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন আদিত্য মনির এবং নাট্য সম্পাদনার কাজ করেছেন মো. সবুজ খান। তীর নিবেদিত এবং আব্দুর রউফ প্রযোজিত নাটকটি তৈরি করা হয়েছিল এনটিভির জন্য।
ইউটিউব লিঙ্ক: আমানত
চিংকি পিংকি
চিংকি পিংকি জমজ দুই বোন সম্পূর্ণ দুই ভূবনের বাসিন্দা। শুধুমাত্র চেহারা ছাড়া দুজনের আর কোনো কিছুতেই মিল নেই। উল্টো পরস্পরের সঙ্গে একদিন ঝগড়া না করলে ওদের শান্তি হয় না। এই দুই বোনের মজার মজার সব কার্যকলাপ নিয়েই তৈরি মেজবাহ উদ্দিন সুমনের গল্পটি। পরিশেষে দারুণ এক টুইস্টের অংশ নিয়ে পুরো নাটকটাকে দারুণভাবে পরিচালনা করেছেন রুবেল হাসান। দ্বৈত চরিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, মনিরা মিঠু, জাহের আলভী, এবং তামিম মৃধাসহ আরও অনেকে। ফটোগ্রাফিতে ছিলেন কামরুল ইসলাম শুভ এবং রঙ ও সম্পাদনায় জোবায়ের আবির পিল। নাট্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সিএমভি’র অধীনে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এসকে শাহেদ আলী।
ইউটিউব লিঙ্ক: চিংকি পিংকি
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা
পরিশেষে
শেষ কথা হচ্ছে যে দর্শকরাই যেহেতু ইউটিউবের প্রাণ, গল্প নির্বাচনেও তাই বিগত দর্শকপ্রিয় কাজগুলোকেই শীর্ষে রাখা হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে ইউটিউবে সাড়া ফেলা এই জনপ্রিয় বাংলা নাটকগুলো তারই প্রমাণ। পরিবর্তনশীল নাট্য ধারার জন্য সবচেয়ে সহায়ক দিকটি হচ্ছে- মূলধারার রোমান্টিক-কমেডির সঙ্গে এখন ভিন্ন ধারার নাটকগুলোও বেশ দর্শকনন্দিত হচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যতে ইউটিউবকে কেন্দ্র করে নাটকের গল্পে আরও বৈচিত্রতা আশা করা যেতে পারে। যেখানে অভিনয়শিল্পীরাও তাদের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারবেন।
‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমার জোয়ারকে আরও উত্তাল করে দিয়েছে ‘হাওয়া’। মুক্তির আগে থেকেই এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার শুরু হয় সিনেমার 'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি দিয়ে।
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ সিনেমার এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এরফান মৃধা শিবলু। যদিও তা ছিল পুরোটাই কাকতালীয়। 'সাদা সাদা কালা কালা' গানের কারিগর হাশিম মাহমুদ। ইউএনবির সঙ্গে শিবলুর সাক্ষাতকারের প্রসঙ্গে শুরু হলো এই মানুষকে নিয়েই।
আরও পড়ুন: অনেকবার বাধার মুখে পড়েছি কিন্তু হাল ছাড়িনি: বান্নাহ
শিবলু বলেন, 'সাদা সাদা কালা কালা' এখন গণমানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেও এটি কিন্তু অনেক আগেই এক কনসার্টে গেয়েছেন। তখন আমি অল্প বয়সী। টিএসসির এক কনসার্টে হাশেম ভাই কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ছাড়া গানটি গেয়েছিলেন। হাশিম ভাইকে আমি চিনি অনেক দিন। বিখ্যাত হওয়ার মানসিকতা তার কখনও ছিল না। তার ইচ্ছা প্রকৃতির মধ্যে ঘুরে বেড়ানো, মানুষের সঙ্গে মেশা। খুবই সরল মানুষ হাশিম ভাই।
গানটি সিনেমায় যুক্ত করার যেই পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন, তার শুরু থেকে শেষ অবদি ছিলেন এরফান মৃধা শিবলু। যেহেতু সিনেমার গল্প সমুদ্র ও জেলেদের নিয়ে গড়ে উঠেছে, তাই এক ফিশিং বোটে তিন দিনের জন্য গভীর সমুদ্রে পরিচালক সুমনের সঙ্গে যান শিবলু। দেখেন ৫০ ফুট একটি নৌকায় ২০-২৫ জন জেলে থাকেন। সেখানেই মাইজ ভাণ্ডারির একটি নৌকা ছিল, তাতে হারমোনিয়াম দেখতে পান তারা। যেখান থেকে একটি গানের পরিকল্পনা আসে নির্মাতার মাথায়। সেখান থেকেই নির্বাচিত হয় হাশিম মাহমুদের গানটি।
'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি হাশিম মাহমুদের কণ্ঠেই রেকর্ড করা কথা ছিল শুরুতে। কিন্তু তার অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। গানটি পরবর্তীতে তৈরি প্রসঙ্গে শিবলু বলেন, গানটি নির্বাচনের পর সুমন ভাই সঙ্গীতায়োজনের দায়িত্ব দেন ইমন চৌধুরীকে। আর এর সঙ্গে বলেন দেন যে গানটিতে যেন খমক ছাড়া আর কোনো বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার না করা হয়। সেই চিন্তা থেকে ইমন যুক্ত করেন মাছ ধরার ট্রলারে অনেক ধরনের জিনিসপত্র। তেলের ড্রাম, প্লাস্টিক বল, মগ, বাঁশ, লাঠি ও টিনের অনেক কিছু দিয়ে সাউন্ড তৈরি করে গানে ব্যবহার করা হয়েছে। আর এর অন্যতম কারিগর মিঠুন চাকরা।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা
'সাদা সাদা কালা কালা' দিয়ে অনেকদিন পর সিনেমার কোনো গান এতটা আলোচনায় এসেছে। তবে অনেকের ধারণা এর পেছনে সিনেমাটির প্রচারণা ধরন। কিন্তু এমনটা একদম মনে করেন না এরফান মৃধা শিবলু।
শিবলু বলেন, আমি শুরুতে বলেছি এই গান দিয়ে বহু বছর আগে টিএসসির কনসার্টে মানুষের মন জয় করেছেন। আসলে গানটিই এমন। এছাড়া হাশিম ভাইয়ের লেখা এই গানের কথা-সুর খুবই সরল। এছাড়া গানটির সঙ্গীতায়োজনও ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। রিদম এতটাই সহজ যে, কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই কণ্ঠে তুলে ফেলতে পারেন।
'সাদা সাদা কালা কালা' গাওয়ার পাশাপাশি সিনেমায় গানটির দৃশ্যে ছিলেন এরফান মৃধা শিবলু। তবে একটি বিষয় হয়তো অনেকের অজানা, পুরো সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পেছনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
গানটি প্রসঙ্গে শেষ কথা বলতে গিয়ে শিবলু আবারও বলেন হাশিম মাহমুদকে নিয়ে। জানান, গানের এই গুণী কারিগরকে আবারও ফিরে পেতে চান তারা। তাকে সুস্থ করে তুলতে নিজেদের উদ্যোগও রয়েছে। এমন একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলোয় আরও আলোকিত হওয়া যে এখনও বাকি।
বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা
বিয়ে করেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। পারিবারি সম্মতিতে গত ২৭ মে পাত্র আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঢাকাই সিনেমার এই তারকা। পূর্ণিমা নিজেই গণমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আশফাকুর রহমান রবিন দেশের একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পড়াশোনা করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে এই দম্পতি রাজধানীতে একসঙ্গে থাকছেন।
আরও পড়ুন: ফের শাকিব-পূজা জুটি
জানা গেছে, কাজের মধ্য দিয়েই পূর্ণিমা ও রবিনের পরিচয়। পরবর্তীতে বন্ধুত্বে রূপ নেয় তাদের সম্পর্ক। সেখান থেকে প্রেম এবং অবশেষে বিয়ে।
২৭ মে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে পরিবারের অনেকের বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে খবরটি বাইরে প্রকাশ করেননি পূর্ণিমা। তবে শেষ পর্যন্ত ভক্তদের সঙ্গে নিজের সুখবরটি ভাগাভাগি করে নেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
তাছাড়া সবকিছু ঠিক থাকলে বছরের শেষে পূর্ণিমা ও রবিনের বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ফের শাকিব-পূজা জুটি
চিত্রনায়কের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সফল শাকিব খান। তার এসকে ফিল্মস থেকে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর ব্যবসার খাতা তাই বলে। সম্প্রতি এই তারকা পেয়েছেন সরকারি অনুদান ৬৫ লাখ টাকা, সিনেমার নাম ‘মায়া’।
শাকিব খান প্রযোজিত ও অভিনীত ‘মায়া’ সিনেমার পরিচালক হিমেল আশরাফ। গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ফেরারী ফরহাদ। এতে শাকিবের বিপরীতে নায়িক চরিত্রে কে থাকবেন তা নিয়ে এতদিন চলছিল যত জল্পনা-কল্পনা ছিল। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিত্রনায়ক নিজেই গণমাধ্যমে হাঁড়ির খবর জানালেন।
আরও পড়ুন: ওমর সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার জায়েদ খানের
‘মায়া’তে শাকিবের সঙ্গে আবারও জুটি বাঁধবেন পূজা চেরি।
এই প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘সিনেমাটি বেশ বড় পরিসরে নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু সরকারি অনুদানের টাকা দিয়ে পুরোটা করা সম্ভব হবে না। এর বাজেট প্রায় কোটি টাকা। এতে নায়িকার চরিত্রে থাকছেন পূজা চেরি।’
চলতি বছরের শেষ দিকে শুরু হবে ‘মায়া’র শুটিং। তবে এর আগে সিনেমার নামও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
এর আগে গত রোজার ঈদে শাকিব-পূজা জুটির প্রথম সিনেমা ‘গলুই’মুক্তি পেয়েছিল। যা বেশ সাড়া ফেলে। শাকিবের বিপরীতে প্রশংসিত হয়েছে পূজা। সেই সফলতা ধারাবাহিকতায় আবারও তাদের রসায়ন পর্দায় দেখতে পাবে দর্শক।
সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল মান্নান রানার কারাদণ্ড
প্রায় দুই কোটি টাকার চেক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আব্দুল মান্নান রানাকে দুই বছরের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে সম পরিমাণ অর্থদণ্ডেরও আদেশ দেয়া হয়।
সোমবার চট্টগ্রামের চতুর্থ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আফরোজা জেসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
আব্দুল মান্নান রানা চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানার মধ্যম গোসাইলডাঙ্গা আব্দুল আজিজের ছেলে এবং দেশের জনপ্রিয় একজন সঙ্গীত শিল্পী এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কেন্দ্রীয় নেতা।
আরও পড়ুন: ওমর সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার জায়েদ খানের
বাদী পক্ষের আইনজীবী তপন কুমার দাশ বলেন, মামলার বাদী ও আসামি পরস্পরের আত্মীয়। সে সূত্রে নগরীর কোতোয়ালি থানার চৈতন্য গলি জিন্নাহ পাড়ার আবদুল্লাহ আল হারুন চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ২০১৪ সালে আব্দুল মান্নান রানার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেন। একটি চেকে ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮২৯ টাকা, অন্য একটি চেকে ৯৪ লাখ টাকা অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে ডিজঅনার হয়। পরে রানার বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পরও আসামি চেকের টাকা পরিশোধ না করায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
বাদী আব্দুল্লাহ আল হারুণ বলেন, আমি রানার ছোট বোনের স্বামী হই। আমরা এক সঙ্গে ব্যবসা করতাম। ব্যবসায়িক কারণে তিনি আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দেয়নি। এবং টাকার বিপরীতে যেসব চেক দিয়েছে তা ব্যাংকে ডিজ অনার হয়েছে। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তাই আমি মামলা করেছি।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
তবে এই বিষয়ে কথা বলতে শিল্পী আব্দুল মান্নান রানার সঙ্গে যোগাযোগের অনেকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের জন্য আর্তি জানাচ্ছেন অনেকেই। এতে বাদ যাননি দেশের শোবিজ তারকারাও।
শোবিজ তারকাদের অনেকে নিজে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। পাশাপাশি ফেসবুক পোস্টের মধ্য দিয়ে সবাইকে বানভাসি মানুষে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বন্যা কবলিত মানুষে পাশে থাকার উদ্যোগ নিয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
শাকিব তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও সংবাদমাধ্যম ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ বলে জেনেছি। বন্যাকবলিত মানুষের দুর্দশা আমাকে ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া মানুষের পাশে আছি। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমার সামর্থ্যের মধ্যে অর্থসহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
শাকিব লেখেন, ‘সেই সঙ্গে একটি তহবিল গঠনেরও কথা ভেবেছি, যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা কষ্টে থাকা সেই সব বানভাসী মানুষের সাময়িক সংকট মোকাবিলায় পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশ ও প্রবাসে থাকা আগ্রহী বিত্তবানদের কাছে আহ্বান, আপনারাও নিজেদের সামর্থ্যের মধ্য থেকে বানভাসি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোক। সবার জন্য প্রার্থনা।’
অভিনেত্রী জয়া আহসান লিখিছেন, ‘দেশের একটি বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ ডুবে যাওয়ার মতো বন্যা এর আগে বাংলাদেশে হয়নি। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির ছবি এবং ভিডিও দেখে শিউরে উঠছি। বিদ্যুৎ সংযোগ, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি দেশের অন্যান্য জায়গা থেকেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।’
মানুষ-পশুপাখি সবার সুরক্ষা কামনা করে জয়া লেখেন, ‘এই পরিস্থিতিতে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে সবার জন্য প্রার্থনা করছি। শিগগির প্রকৃতির এ ভয়াবহতা কেটে যাক। সিলেট ও সুনামগঞ্জের সব মানুষ, পশুপাখি সুরক্ষিত থাকুক।’
দেশবাসীকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও যেন সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকতে পারি সেই প্রচেষ্টা করতে হবে। দেশের সবাই এগিয়ে আসুন। সবাই মিলে একসঙ্গে ভয়াবহ এ পরিস্থিতি যেন কাটিয়ে উঠতে পারি সেই প্রার্থনা করি।’
চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী লিখেছেন, ‘ছবি বা ভিডিওতে আমরা যা দেখছি, সিলেটের বন্যাপরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়াবহ। তাদের দুর্দশা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এমন মানবিক বিপর্যয়ে আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমি বন্যাকবলিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমার দর্শক-বন্ধুদের যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ রইল। দেশে বা বিদেশে, যে যেখানে আছেন সামর্থ্য অনুযায়ী বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াবেন প্লিজ। সবার তরে সবাই আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’
আরও পড়ুন: ওমর সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার জায়েদ খানের
সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর লিখেছেন ‘৮৮, ’৯৮ এর মতো এবারের বন্যাও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। অস্থির লাগছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে থাকবো, আপনিও প্রস্তুত থাকুন। বেঁচে থাকার লড়াই চলবে। আল্লাহ ভরসা।’
সাইমন সাদিক ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সিলেট-সুনামগঞ্জসহ ওই পাশের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে, যা এর আগে দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় পানিবন্দীদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই সবার তরে। আমরা সবাই সবার বিপদে পাশে দাঁড়াতে চাই। এর আগে আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে করোনা পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এখন সিলেটে ২০ লাখ মানুষ। তাদের সবার হয়তো সহযোগিতার প্রয়োজন হবে না। সংবাদ পড়ে জানতে পেরেছি কেউ কেউ দু-তিনদিন ধরে খেতে পারছেন না। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নেই। গবাদি পশু-পাখি সব ভেসে যাচ্ছে। এমনকি শেষ সম্বল বাড়িও ভেসে যাচ্ছে ঢলে। তাদের এখন বেঁচে থাকাই দায় হয়েছে।’
চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘আমার এখনও মনে আছে টাঙ্গুয়ার হাওরের সেই জলরাশি, সেই ট্রলারের কথা। বন্ধুদের নিয়ে গিয়েছিলাম হাওর দেখতে। যেন হাওরের চেয়েও বেশি মুগ্ধ করেছিল সুনামগঞ্জের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসা। সেই সুনামগঞ্জ আজ কাঁদছে। বন্যায় ডুবে গেছে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি। আমরা সুউচ্চ দালানে বসে ওয়েদার ডিমান্ড ও ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে যখন লিখছি তখন সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মানুষ লড়াই করছেন বন্যার সঙ্গে।’
সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সিয়াম লিখেছেন, ‘সবাই মিলে চলুন এখনই পাশে দাঁড়াই, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই সুনামগঞ্জ ও সিলেটবাসীর জন্য। সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই আশু পদক্ষেপ নেয়ার। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে যেন একটি প্রাণও না হারায়। জলের স্রোতে না ভেসে যাক একটি স্বপ্নও আর...’
আরও পড়ুন: ৫০ প্রেক্ষাগৃহে আসছে বুবলি-আদর জুটির ‘তালাশ’
অভিনেত্রী তানজিন তিশা ফেসবুক আইডিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম লিডারদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে লিখেছেন, ‘বানভাসি মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে তাদের কল দিতে পারেন।’
অভিনেতা অপূর্ব লিখেছেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এই বন্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
প্রচারণার জন্য টক শো সাজিয়ে মারামারি
আগামী ১৭ জুন মুক্তি পাচ্ছে সৈকত নাসির নির্মিত সিনেমা 'তালাশ'। এতে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলির বিপরীতে রয়েছেন নবাগত আদর আজাদ। সিনেমা মুক্তির আগেই এক টক শোতে অংশ নেন তারা তিনজন। আর সেখানেই ঘটে মারামারির ঘটনা।
টক শোয়ের রেকর্ডিংয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। যেখানে দেখা যায় উপস্থাপককে চড় ও লাথি দিচ্ছেন আদর আজাদ।
আরও পড়ুন: ওমর সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার জায়েদ খানের
তবে জানা যায়, সিনেমার প্রচারণার জন্য সাজানো এই মারামারি করেছেন নায়ক আদর আজাদ। এর সূত্রপাত হয়, অনুষ্ঠানে উপস্থাপক আদরের পোশাকের সমালোচনা দিয়ে।
ভিডিওতে দেখা যায় সৈকত নাসির বলছেন, ‘আমাদের ক্যামেরা বন্ধ করা উচিত।’ তখনই আদর উঠে এসে উপস্থাপককে কয়েকবার চড় মারেন। এমনকি তাকে ক্যামেরার সামনে টেনে এনে লাথি মারেন।
বিষয়টি নিয়ে সৈকত নাসির গণমাধ্যমে বলেন, আমরা কোনো টক শোতেই অংশ নেইনি। আর এই ঘটনার খোলাশা করতে আমরা সংবাদ সম্মেলনে করব। তখন সবাই পরিস্কার হবেন।
সৈকত নাসির বলেন, এটি তাদের সিনেমার একটি অংশ। 'মেকিং অব তালাশ' তৈরি করছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: নতুন ছবি ‘এই মুহূর্তে’: এক সিনেমা, তিন পরিচালক
তবে প্রচারণার জন্য এমন কাজকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন দর্শক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই এই বিষয়ে নিন্দা জানান।