বিনোদন
মনোজ ও ফারিয়ার ‘লাভ জার্নি’
ঈদুল ফিতরের বিশেষ আয়োজনে এবার থাকছে মনোজ প্রামানিক ও শবনম ফারিয়া জুটির নাটক ‘লাভ জার্নি’। সেজান নূরের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা। ঈদের দ্বিতীয় দিন একুশে টেলিভিশনে রাত ৮টার সময় নাটকটি প্রচারিত হবে।
নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন সাইফ খান, নওশীন মেঘলা, অর্নব চৌধুরী, ঊর্মিলা তালুকদার, আবিসা জাহান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঈদে ‘ইত্যাদি’তে দর্শকের মুখোমুখি অপূর্ব-পূর্ণিমা
‘লাভ জার্নি’ প্রসঙ্গে পরিচালক দীপু হাজরা বলেন, ‘ঈদের নাটক নিয়ে একটু ভিন্নভাবে ভাবতে হয়। সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি নাটকটি নির্মাণ করতে। ঈদের ছুটিতে নাটকটি দর্শকরা উপভোগ করবে আশা করি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।’
ঈদে ‘ইত্যাদি’তে দর্শকের মুখোমুখি অপূর্ব-পূর্ণিমা
প্রতি বছর ঈদেই টিভি দর্শকদের জন্য বাড়তি আনন্দ নিয়ে আসে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। আর এবারের ঈদে ইত্যাদিতে দর্শকদের মুখোমুখি হতে দেখা যাবে ছোট পর্দার অভিনয় তারকা অপূর্ব ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাকে।
ইত্যাদির নিয়মিত পর্বে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে দর্শক নির্বাচন করা হলেও ঈদের ইত্যাদিতে দর্শক নির্বাচন করা হয় বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে। এবারেও একটি ব্যতিক্রমী উপকরণ দিয়ে দর্শক পর্বের জন্য ৬ জন দর্শককে বাছাই করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের জন্য লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এই উপকরণ তৈরি করা হয়। হাজার হাজার দর্শক যখন এই উপকরণগুলো ওপরে তুলে ধরেন তখন এক অসাধারণ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এরপর নির্বাচিত ভাগ্যবান ছয় জন দর্শককে নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। আর এই পর্বেই দর্শকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন দর্শকপ্রিয় অভিনয় তারকা অপূর্ব ও চিত্র নায়িকা পূর্ণিমা। অভিনেতা-অভিনেত্রী না হয়েও অপূর্ব ও পূর্ণিমার সঙ্গে দর্শকদের তাৎক্ষণিক অংশগ্রহণে অভিনয়-নৃত্য-গান স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা উপভোগ করেন এবং করতালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ইত্যাদির দেশের গানে ৫ সংগীত তারকা
‘ইত্যাদি’র প্রতিটি বিষয়েই খুঁজে পাওয়া যায় সমসাময়িক প্রসঙ্গ, সমাজের অসংগতির বিরুদ্ধে তীব্র ব্যঙ্গ বিদ্রুপের কষাঘাত। সেটা গান, অভিনয়, নৃত্য-সব কিছুতেই ফুটিয়ে তোলা হয়। ঈদ ইত্যাদিতে পরিবেশিত দলীয় সঙ্গীতও তেমনি একটি পর্ব।
সমাজের নানান অনিয়ম-অসংগতি দেখে অনেকেরই দুঃচিন্তা হয়, ক্ষোভ জন্মায়, এই বিষয়ের ওপরেই তৈরি করা হয়েছে এবারের দলীয় সঙ্গীত। প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে এসব সঙ্গীতে ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে বিভিন্ন তারকা শিল্পীদের অংশগ্রহণ থাকে। এবার এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরী। তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত নৃত্যশিল্পী ও অভিনয় শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: ঈদে মুক্তির মিছিলে ৪ সিনেমা, হল মালিকদের সংশয়
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’ একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন রাত ০৮টার বাংলা সংবাদের পর।
অনেকবার বাধার মুখে পড়েছি কিন্তু হাল ছাড়িনি: বান্নাহ
ঈদে টিভি চ্যানেলগুলোতে কয়েকশ নাটকের প্রচার হয়ে থাকে। সাত দিনব্যাপী প্রচারিত এই নাটকের সংখ্যা ও মান নিয়ে প্রতিবারই বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হয়। এ নিয়ে নাট্য নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ ইউএনবির সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রতি বছর ঈদে নাটকের সংখ্যাটা বাড়ছে। কিন্তু মান নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকছে। এতো সংখ্যক নাটকের মধ্যে মান ঠিক রাখাটা সম্ভব হয়ে উঠছে কি-না?
মাবরুর রশীদ বান্নাহ: সংখ্যার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে কি-না। কারণ নাটকের গল্প, অভিনয়, প্রোডাকশনসহ অন্যান্য বিষয়ে মানের দিকে নজর দিলে কাজটা ভালো হবে। যেমন আমি কিন্তু সংখ্যায় অনেক কাজ করি। কিন্তু সার্বিক মানের বিষয়টি আমি নিশ্চিত রাখার চেষ্টা করি। আমার দর্শকদের কাছ থেকেও এমন প্রতিক্রিয়া পাই। তবে সব কাজ যে শতভাগ ভালো হয় তেমনটাও না। সারাবছর হলিউডে কত কনটেন্ট তৈরি হয়, সবগুলোর কথা কী আমরা জানি। নেটফ্লিক্সে প্রতি সপ্তাহে একশর মতো নতুন কনটেন্ট মুক্তি পায়। সবগুলো কিন্তু আমরা দেখি না বা সবগুলো জনপ্রিয়তাও পায় না। আমরা সেগুলোর সম্পর্কেই জানি যেগুলোর মান ভালো এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই বলব, যেহেতু এটা ব্যক্তিগত পেশাদার জায়গা। সেক্ষেত্রে সংখ্যা যাই হোক যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে নজর দিতে পারি তাহলে মান ঠিক থাকবে মনে করি।
মান কমে যাওয়ার বড় একটা কারণ বাজেট সংকট। সংশ্লিষ্টরা এমটাই বলছেন। এক্ষেত্রে কী নাটকের সংখ্যার চেয়ে বাজেটের দিকে নজর দেয়া যায় না?
মাবরুর রশীদ বান্নাহ: বিষয়টা আমরা যত সহজে দেখি, ততটা সহজ নয়। কারণ আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল বেড়েছে যার সঙ্গে এখন ইউটিউব যোগ হয়েছে। সেই হিসেবে আমার তো মনে হয় এই পরিমাণ নাটক হওয়ার কথাই ছিল। কারণ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সাত দিনব্যাপী ঈদের অনুষ্ঠান প্রচার করে। যার মধ্যে অন্যতম নাটক। এক্ষেত্রে নির্মাতাদের বাজেটের ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত। আমরা যদি মানের দিকে শক্তভাবে নজর দিয়ে কাজ করি তাহলে পরিস্থিতি বদলাবে। আর বাজেট বেশি হলে প্রোডাকশনের মানও পাল্টে যাবে। কিন্তু সংখ্যা কমানোটা সহজ হবে না। বরং আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: অস্কার ২০২২:সেরা অভিনেত্রী জেসিকা চ্যাস্টেইন
নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক প্রযোজকদের কাজটি নিয়ে বিভিন্ন প্রত্যাশা থাকে। নির্মাতা হিসেবে আপনারও নিজস্ব একটা ভাবনা থাকে। এই জায়গায় কখনও দ্বন্দ্ব হয় কি-না?
মাবরুর রশীদ বান্নাহ: যখন নবীন নির্মাতা ছিলাম তখন এমনটা অনেক সময় হয়েছে। দিন দিন সেটি কমেছে। এখন একবারেই যে হয় না তেমনটাও না। বিষয়টা এমন পর্যায়ও গেছে যে কাজ পর্যন্ত হয়নি। আসলে আমাদের এখানে টেলিভিশনগুলো চাহিদা থাকে। সেগুলোই প্রযোজকরা চায়। আমার মনে হয় তাদেরও জায়গাটা বুঝতে হবে। আমাদের তারকা নির্ভর কাজ প্রয়োজন। কিন্তু সব কাজ যদি তারকাদের নিয়ে হয় তাহলে নতুনরা কীভাবে সুযোগ পাবে। একুশটি শর্টফিল্ম নিয়ে 'বাইশে একুশ' নামে একটা প্রজেক্ট হচ্ছে। যেখানে আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময় কাজ করেছেন এমন নির্মাতা বানিয়েছেন। এটির প্রযোজক আল ফাই। তাকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ নতুনদের সুযোগ দিলে সেখান থেকে আগামীর তারকারা বের হবেন।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আপনার কাজে অনেক নতুন মুখ দেখা যায়। তাদের অনেকে এখন জনপ্রিয়। নতুনদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে কেমন পড়তে হয়েছে?
মাবরুর রশীদ বান্নাহ: নতুনদের নিয়ে কাজ করাটা সবসময় চ্যালেঞ্জের। একপ্রকার বাজি ধরতে হয়। অনেক প্রযোজক ও টিভি চ্যানেলে সাপোর্ট পাওয়া যায় না। তবে আমি বোঝাতে চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় বোঝালে বোঝে। সেক্ষেত্রে নির্মাতার সেই দায়িত্বটা নিতে হয়। বোঝানের দক্ষতা তার থাকা উচিত মনে করি। আর আমি সেই প্রমাণ দিয়েছি। যারা এক সময় নতুন ছিলেন, তাদের অনেকেই এখন দেশের জনপ্রিয় তারকা। ভালো কাজ করছেন। হ্যাঁ, আমি বাধার মুখে পড়েছি কিন্তু হাল ছাড়িনি।
এবার আপনার কাজের প্রসঙ্গে আসি। দর্শকরা ঈদে আপনার কোন নাটকগুলো পাচ্ছে?
মাবরুর রশীদ বান্নাহ: বেশ কয়েকটি নাটক এবার আসছে। সেগুলোর মধ্যে জোভান ও সাফা কবিরকে নিয়ে 'লাভ জার্নি', ইরফান সাজ্জাদ ও সাফা কবির জুটির 'অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ', তাহসান খান ও বিদ্যা সিনহা মিমের 'আদার হাফ' রয়েছে। এছাড়াও ঈদের আগে আরও কয়েকটি নাটকের কাজ শেষ করতে হবে। অন্যদিকে ১৪টি শর্টফিল্ম নিয়ে একটা বিশেষ প্রজেক্ট করেছি। নাম 'ত্রিপল এস'। এটা আমার এক্সপেরিমেন্টাল প্রজেক্ট। পোস্ট প্রোডকশনের কাজ চলছে। প্রজেক্টটি আমার ফেসবুক পেজ থেকে দেখানো হবে।
আরও পড়ুন: অস্কার ২০২২:সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম 'ড্রাইভ মাই কার'
ওটিটিতে এখন অনেক নির্মাতাই কাজ করছেন। ধারণা করা হচ্ছিল আপনাকেও এরসঙ্গে পাওয়া যাবে। যদিও সময়টি এখনও আসেনি। এর কারণ কী বলবেন?
মাবরুর রশীদ বান্নাহ: আসলেই সময়টা এখনও আসেনি। আর আমার কোনো তাড়াহুড়ো নেই। মূল কথা ওটিটিতে আমি যেই কাজটি দর্শককে দেখাতে চাই সেই সুযোগ এখনও পাইনি। সবাই করছে, দেখেও ভালো লাগছে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা: আশফাক নিপুণ
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’-এ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘সাবরিনা’। ৮ পর্বের এই ওয়েব সিরিজকে নারীকেন্দ্রিক গল্প বলা হলেও এতে উঠে এসেছে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক চিত্র। দুই নারীর গল্পের মধ্য দিয়ে যা দেখানো হয়েছে। ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন ওয়েব সিরিজটির নির্মাতা আশফাক নিপুণ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু
‘সাবরিনা’র গল্পের পাশাপাশি আপনার লোকেশন নির্বাচনও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু শুটিং ঠিক কোথায় করেছেন সেটি জানা যায়নি। এ নিয়ে শুরুতে জানতে চাইব।
লোকেশনের বিস্তারিত আমি ইচ্ছে করেই জানাতে চাইনা। কারণ যখন আমরা স্ক্রিনে কোন দৃশ্য দেখি, তার লোকেশনও আমাদের আন্দোলিত করে। পরিচিত হলে কানেক্ট করে কোথাও, অপরিচিত হলে উৎসুক করে। যদি বলেই দেই কোথায় কোথায় শ্যটিং করেছি তাহলে সেই আগ্রহ শেষ হয়ে যায়। আমরা মেট্রোপলিটান শহরের আবহের বাইরে গিয়ে একটি গল্প দেখাতে চেয়েছি। তাই ঢাকার বাইরে দূরে কিছু লোকেশনে আমরা ২১ দিন শুটিং করেছি।
ওয়েব সিরিজটিকে শুরু থেকেই শুধু নারীকেন্দ্রিক গল্প বলা হচ্ছে। যদিও আপনি পুরো গল্পে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। তাহলে কী কেন্দ্রিয় চরিত্রে নারী কাস্টিং থাকায় এমনটা হয়েছে?
গল্পটা আসলে সাবরিনাকে নিয়েই। এখানে মূল যে দুটি চরিত্র তারা নারী এবং তারাই কেন্দ্রীয় চরিত্র। নামকরণও তাই করা হয়েছে ‘সাবরিনা’। তবে আমি যখন গল্প বলি, সেটি ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ হোক বা টেলিভিশনে শেষ যে কয়টি কাজ করেছি সেখানেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার প্রতিফলন রাখার চেষ্টা ছিল সবসময়। সেই জায়গা থেকে ‘সাবরিনা’তে দুই নারীর গল্পের মাধ্যমে দেশের বর্তমান সামাজিক রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরেছি। একটা দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা। অতি সম্প্রতি টিপ পরা নিয়েও একজন নারী হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পুরো বিষয়টাই আসলে রাজনৈতিক। কখনো হয়তো ধর্মীয় রাজনৈতিক, কখনো সামাজিক রাজনৈতিক, আবার কখনো রাষ্ট্রীয় রাজনীতির শিকার আমরা। ‘সাবরিনা’ র পটভূমি এবং গল্পও তাই। আর এটি এখন পর্যন্ত আমার নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী পলিটিক্যাল গল্প। আমি চেয়েছিলাম দর্শক নিজেই আবিস্কার করুক সেটা সিরিজ দেখতে দেখতে। তাই হয়েছে। দর্শকই বলছে সমকালীন রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়নের প্রেক্ষাপটের মধ্য দিয়ে দুই নারীর এক শক্তিশালী গল্প ‘সাবরিনা’।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আসার পর আপনি দেশের গল্পে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যেভাবে দেখাতে পারছেন, টেলিভিশনে এমনটা দেখাতে পারতেন?
অবশ্যই না। আমাদের এখানে টেলিভিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের টেলিভিশনের মত স্বাধীনচেতা না। একটা ভয়ের সংস্কৃতি এখন অনেক বেশি চলমান। রাষ্ট্রীয় সেন্সরশীপ এর ভয়ে সেল্ফ সেন্সরশীপ জেঁকে বসেছে টেলিভিশনের মাঝেই। তাই মূলত সংবাদ আর নিছক বিনোদন নির্ভর কন্টেন্ট দিয়েই তাই চলছে টেলিভিশন। কারণ যেকোনো সময় যেকোনো কনটেন্টের ওপর রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক বাঁধা আসার আশঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া টেলিভিশন এখন পুরোটাই স্পনসর নির্ভর। স্পনসররাও রিস্কি কন্টেন্টের চ্যালেঞ্জ নিতে চান না, ফাইন্যান্স করতে চান না। আর ওটিটির সুবিধা এটি দর্শককে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে দেখতে হয়। এখানে দর্শক স্বেচ্ছায় টাকা খরচ করে এমন কিছু দেখতে চান যা ফ্রি মিডিয়ামে (টিভি, ইউটিউব) এ সে দেখতে পায় না। এখানে দর্শক প্রিমিয়াম কন্টেন্ট খোঁজে। তাই এখানে কানেক্ট করতে পারে এমন সাহসী এবং ভিন্ন ধরনের গল্পের চাহিদা বেশি।
মহানগর’-এর মতো ‘সাবরিনা’ও শেষ করলেন না। দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কী পরিকল্পনা?
‘সাবরিনা’ নির্মাণের শুরু থেকেই এটি দ্বিতীয় সিজনের পরিকল্পনা করেই এগোনো। প্রথম সিজন ছিল সূত্রধরের মত। যে কয়টি গল্প দেখানো হয়েছে সবগুলো আরও খোলতাই করে পরবর্তীতে দেখা যাবে। আসলে একটা গল্পকে তো চাইলে যেকোন সময় শেষ করা যায়। ‘সাবরিনা’কেও হয়ত ৮ পর্বে শেষ করতে পারতাম। কিন্তু সেটা চাইনি আমি কারণ ‘সাবরিনা’র ব্যাপ্তি অনেক বড়। পরবর্তী সিজন এলে দর্শক সেটা আরও ভালো বুঝতে পারবেন। শিগগিরই দ্বিতীয় সিজনের গল্প লেখার কাজ শুরু করব।
ছোটপর্দায় এই ধরনের গল্প দেখার পর দর্শকদের মধ্যে আপনার সিনেমাও দেখার আগ্রহও তৈরি হয়েছে। সেই খবর কবে দিচ্ছেন?
আমার প্রথম সিনেমা ‘গোল্লা’ নিয়ে ২০১৯ থেকে কাজ শুরু করি। কিন্তু মহামারির কারণে এর সব পরিকল্পনা ওলোটপালট হয়ে যায়। ‘সাবরিনা’ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজের সময় ‘গোল্লা’ নিয়ে আবারও পরিকল্পনা শুরু করি। এখন তো ‘মহানগর’ এবং ‘সাবরিনা’ দুটি সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের কাজ বাকি। আরও কিছু ওটিটি কন্টেন্টের ব্যাপারেও কথা চলছে। দেখা যাক কবে নাগাদ পুরোপুরি সিনেমার কাজে হাত দিতে পারি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ নাটক ‘নিহত নক্ষত্র’
ওয়েব দুনিয়ায় আফসানা মিমির অভিষেক
বিয়ে বাড়িতে হলো ‘গুণিন’ সিনেমার প্রিমিয়ার!
গণমাধ্যমকর্মী বিল সংসদে উত্থাপন
সাংবাদিক ও অন্যান্য কর্মচারীর চাকরির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসাম মাহমুদ বিলটি উত্থাপন করলে তা সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিলে গণমাধ্যম ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শ্রমিকের পরিবর্তে কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিধান রয়েছে।
মজুরি বোর্ড প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকসহ সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: সংসদের ১৭তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ার ঘোষণা
বিল অনুযায়ী, গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের সময় সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টা হবে, নৈমিত্তিক ছুটি হবে ১০ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন এবং অর্জিত ছুটি হবে বার্ষিক ৬০ দিনের পরিবর্তে ১০০ দিন।
এছাড়া উৎসবের ছুটি থাকবে বছরে ১০ দিন, বিনোদন ছুটি প্রতি তিন বছর পর এক মাসের জন্য এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকবে ছয় মাস।
কেউ বা সংস্থা বিলের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, কেউ বা কোনো সংস্থা বিলের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড দেয়া হবে।
২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২ এর খসড়া অনুমোদন দেয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশন শুরু
অস্কার ২০২২:সেরা অভিনেত্রী জেসিকা চ্যাস্টেইন
চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে এবার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জেসিকা চ্যাস্টেইন। ‘দ্য আইজ অব টেমি ফায়ে’ সিনেমায় বাকেরের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার জিতলেন এই অভিনেত্রী।
এবারই প্রথম অস্কার জিতেছেন জেসিকা। এর আগে তিনি ২০১৩ সালে ‘জিরো ডার্ক থার্টি’ও ২০১২ সালে ‘দ্য হেল্প’ সিনেমার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অস্কার ২০২২: সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম ‘ড্রাইভ মাই কার’
সেরা অভিনেত্রী বিভাগে এবারের মনোনয়ন তালিকায় আরও ছিলেন অলিভিয়া কোলম্যান, পেনেলোপি ক্রুজ, নিকোল কিডম্যান ও ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট।
চলচ্চিত্রে গণমানুষের আত্মত্যাগ তুলে ধরার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিনোদনের পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গণমানুষের আত্মত্যাগ তুলে ধরতে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিনোদনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সমাজ সংস্কারে, মানুষকে শিক্ষা দেয়া, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে পারে।’
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
২৭টি বিভাগে ৩২ জন বিজয়ীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের মধ্যে সম্মানজনক এই স্বীকৃতি তুলে দেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র জীবনের আয়না এবং চলচ্চিত্রই পারে সমাজকে সংস্কার করতে।
তিনি বলেন, সমাজ সংস্কারে বিরাট অবদান রাখতে পারে এই চলচ্চিত্র, জীবনের দর্শন আসে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, ইতিহাসের প্রবাহ জানা যায় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে অনেক তথ্য স্থানান্তর করতে পারে চলচ্চিত্র এবং এটি ইতিহাসের বাহক। চলচ্চিত্র অনেক অজানা বিষয় জানার সুযোগ দেয়। এতে অনেক হারিয়ে যাওয়া বিষয় সামনে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র সমাজ থেকে অনিয়ম ও শৃঙ্খলা দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা প্রকাশ করা যায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করতে চান। এর জন্য উপজেলা পর্যায়ের সিনেমা হলগুলোকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সরকার এক হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে।
তিনি নতুন সময় এবং নতুন প্রজন্মের জন্য পুরানো সিনেমাকে ডিজিটালে রূপান্তরের উপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন রাইসুল ইসলাম আসাদ।
ওয়েব দুনিয়ায় আফসানা মিমির অভিষেক
ফ্যামিলি ড্রামা ও থ্রিলার ঘরানার গল্প নিয়ে তৈরি রিহান রহমান পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘নিখোঁজ’। ছয় পর্বের তারকাবহুল এ সিরিজে বহুদিন পর আফসানা মিমিকে আবারও পর্দায় দেখা যাবে। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী ও পরিচালক আফসানা মিমির ওয়েব দুনিয়ায় অভিষেক হবে।
‘নিখোঁজ’ সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, ইন্তেখাব দিনার, অর্চিতা স্পর্শিয়া, শ্যামল মাওলা, খায়রুল বাসার, শিল্পী সরকার অপু, দীপান্বিতা মার্টিন, মাসুম রেজওয়ানসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘বই পড়ি জীবন গড়ি’
আগামী ১৭ মার্চ রাত ৮টা থেকে চরকির পর্দায় সিরিজ ‘নিখোঁজ’দেখা যাবে। পরিচালক রিহান রহমান এর আগে ওয়েব ফিকশন, টিভিসি তৈরি করলেও ‘নিখোঁজ’ চরকির জন্য বানানো তার প্রথম সিরিজ।
তিনি বলেন, ‘চরকিতে কাজ করে আমার অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি একটা ভিন্ন গল্প বলার চেষ্টা করেছি। একটা নতুন ধরনের গল্প দর্শকদের উপহার দিতে চেয়েছি।'
সিরিজের মাধ্যমে অনেক গুণী অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন রিহান। এই প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘এই সিরিজে একসঙ্গে এতগুলো গুনী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করে আমার সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। এখানে গুনী অভিনেত্রী আফসানা মিমি থেকে শুরু করে তরুণ অভিনেতা মাসুম রেজওয়ান রয়েছে তাই অভিজ্ঞতাটাও ভিন্ন বলা যায়। আশা করি দর্শকদের আমাদের এই ভিন্ন গল্প বলার চেষ্টাটা ভালো লাগবে।’
চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘এই বছরে চরকির প্রথম সিরিজ শাটিকাপ যেমন আওয়াজ তুলেছিল আশা করছি দ্বিতীয় সিরিজ নিখোঁজ দেখেও মানুষ কথা বলবে। নিখোঁজ-এর গল্পই হিরো; আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজে ফিরলেন মৌসুমী
একটি ছিমছাম ছুটির দিনে ফারুক আহমেদ তার পরিবারের সঙ্গে দুপুরে খেতে বসেছেন। ঠিক তখন ঘটে এমন এক ঘটনা যা তাদের জীবনকে একদম পাল্টে দেয়। একদল অচেনা লোক পুলিশের পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে ফারুক আহমেদকে ধরে নিয়ে যায়। এতে পুরো পরিবার ও প্রতিবেশীরা হতবাক হয়ে যায়।
এই ঘটনার পর ফারুক সাহেবের মেয়ে সাফিয়া তার নিখোঁজ বাবাকে খুঁজতে থাকে। দিন যায়, সপ্তাহ, মাস, বছর যায়। নিখোঁজ ফারুক আহমেদ কে কী তার সন্তানেরা খুঁজে পাবে? এভাবে এগিয়ে যায় ওয়েব সিরিজের গল্প।
শুরু হচ্ছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘বই পড়ি জীবন গড়ি’
শিশুদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে চ্যানেল আই ও রুম টু রিড বাংলাদেশ আয়োজন করেছে ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান ‘বই পড়ি জীবন গড়ি’। এই প্রকল্পটি জাতীয় কারিকুল্যাম ও টেক্সট বুক বোর্ড ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমোদিত শিশুদের পাঠ অভ্যাস গড়ে তোলার একটি কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
প্রতিটি অনুষ্ঠানে রুম টু রিড বাংলাদেশ প্রকাশিত গল্পের বই থেকে উপস্থাপন করা হবে। অনুষ্ঠানটির প্রচার উপলক্ষে চ্যানেল আই কার্যালয়ে ১ মার্চ বিকালে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখি সরকার এবং চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে দুই দিনব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী
৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র রূপকথা ‘কাজল রেখা’ অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করতে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই চিত্রনাট্যের রূপ ও সংলাপ বিন্যাস করেছেন পরিচালক নিজেই।
বুধবার বিকাল ৫টায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘কাজল রেখা’ টিম নিয়ে ‘মিট দ্যা প্রেস’অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ব্রাক্ষণ্যবাদের প্রবল দাপটে যখন নয় বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয়া সামাজিকভাবে বাধ্যতামূলক, সেই সময়ে দুর্গম হাওর অঞ্চলে এই নিয়মের একটু শিথিল ভঙ্গী দেখা যায়। মাত্র ১৪ বছর বয়সে, কাজল রেখা’র এক মৃত কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়। কাহিনী জমে ওঠে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে দুই দিনব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী
‘কাজল রেখা’ এমন এক সময়ের গল্প, যখন এই ভূ-খণ্ডের মানুষেরা সমুদ্রপথে বাণিজ্য করে বিশ্বব্যাপী বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। আমাদের ডিঙ্গা নামক বাণিজ্য জাহাজে, ভেসে ভেসে, বন্দরে বন্দরে, পৃথিবীব্যাপী বিকিকিনি হতো নানান মনোহর পণ্য সামগ্রী; তন্মধ্যে, আমাদের বস্ত্র, সুক্ষ কারুকাজ করা অলংকার, সুপারী, সুগন্ধী চাল, কাঁসার তৈজসপত্র, কার্পাস তুলা ও জগত বিখ্যাত মসলিন উল্লেখযোগ্য।
‘কাজল রেখা’ চলচ্চিত্রটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন নবাগত মন্দিরা চক্রবর্তী। অন্যতম প্রধান অপর দুইটি চরিত্রে’ দেখা যাবে বর্তমান সময়ের প্রতিভাবান অভিনেতা শরিফুল রাজ ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে। বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করবেন ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, খায়রুল বাসার, সাদিয়া আয়মান, শাহানা সুমী, রহমত আলী, গাউসুল আলম শাওন প্রমুখ।
অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম বলেন, কাজল রেখা পালা থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং কাজ। প্রথমত সময়ের প্রেক্ষাপটে কল্পনার আশ্রয় নিতে হবে অনেক ক্ষেত্রেই। তাই শুটিং স্পট থেকে শুরু করে নাম নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ করা পর্যন্ত অর্থনৈতিক ও আর্টিস্টিক যে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তা উৎরাতে নির্মাতা ও কলাকুশলীসহ সকলের একতাবদ্ধ শ্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে।
অন্যদিকে ‘কাজল রেখা’ চরিত্রটিকে নিজের মধ্যে প্রস্ফুটিত করে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন নবাগত মন্দিরা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজে ফিরলেন মৌসুমী
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, কাজল রেখা একটি রূপকথার গল্প, প্রায় ৪০০ বছর আগের কাহিনী। আসলে, আমি এই কাজটি নিয়ে বেশ এক্সাইটেড, এটি আমার জীবনের প্রথম বড় পর্দার কাজ। আমি খুবই আনন্দিত, আমার শৈশবের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক জানান, এপ্রিল থেকে ‘কাজল রেখা’ সিনেমার শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে।