জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় তহবিলের খুবই প্রয়োজন বাংলাদেশের এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় জলবায়ু মোকাবিলায় ৯ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার জন্য সরকারের ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের পুরোনো বাস প্রত্যাহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বৈঠকে বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংও ছিলেন।
অভিযোজন প্রচেষ্টায় বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অনীহার কথা স্বীকার করে সাবের অভিযোজন কর্মসূচি নগদীকরণ এবং স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দেন।
এছাড়াও আন্তঃসীমান্ত বায়ু দূষণের বিষয়টি তুলে ধরেন পরিবেশমন্ত্রী। যা বাংলাদেশের বায়ু দূষণের ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী। এর মোকাবিলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
ডেল্টা প্ল্যান, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ও ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে এডিবির দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিন।
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় রূপান্তরমূলক প্রকল্প গ্রহণে এডিবির নিবেদনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
মোট ৯.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের মধ্যে এডিবি বাংলাদেশের জন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিশেষ করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতি তার গভীর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: নদীর দখল ও দূষণমুক্ত করতে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সম্পদের বিভাজন রোধে সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পদের বিভাজন রোধে সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্লাটফর্মে আসা উচিত বলে মনে করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস ২০২৩ : বিল্ডিং ব্যাক এ গ্রিনার বাংলাদেশ বিল্ডিং’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে ডুপ্লিকেশন এবং ওভারল্যাপিং কমানো প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অসংখ্য ঝুঁকি এবং অস্তিত্বের হুমকির সঙ্গে আর্থিক এবং সক্ষমতা বাড়াতে সম্পদের সুরক্ষা অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: সব উন্নয়ন জলবায়ু সহায়ক করার লক্ষ্য সরকারের: পরিবেশমন্ত্রী
উদীয়মান চাহিদা মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় নীতির সমন্বয় করা হবে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যই সবার আগে তাই সরকার বায়ু ও পানির গুণমান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জলবায়ু কর্মের জন্য অগ্রাধিকারমূলক হস্তক্ষেপগুলো ক্রমানুসারে করা হচ্ছে এবং সরকার সক্রিয়ভাবে একটি সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।
টেকসই অনুশীলনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে: পরিবেশমন্ত্রী
কর্মশালায় আরও ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম।
কর্মশালায় পরিবেশ সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস ২০২৩ রিপোর্টের মূল ফলাফলের ওপর উপস্থাপনা এবং আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সুপেয় পানি সরবরাহই হবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ভবিষ্যতের বাংলাদেশে সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বিকালে ঢাকায় ইউনিসেফ আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘শান্তির জন্য পানি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পৃথিবীর শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, লবণাক্ত পানির কারণে জীববৈচিত্র্য এবং কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সুপেয় পানির উৎসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে আমাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ভূগর্ভস্থ পানের স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে তাই ভবিষ্যতে পান করার জন্য পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হবে। সেজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি অর্থাৎ ভূউপরিভাগের পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সুইডেনের এম্বাসেডর আলেক্সান্ডরা বার্গ ভন লিনডে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড ড. রাজেন্দ্র বোহরা এবং সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীম।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ।
এর আগে সকালে আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাইকা, এডিবি ও এএফডি নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইইউজিআইপি) ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (এসসিআরডিপি) নামক প্রকল্প দুটির অর্থায়ন করে।
জুন ২০২৮ সাল নাগাদ নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইইউজিআইপি) সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে মোট ৬০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হবে এবং ডিসেম্বর ২০২৮ সালে শেষ হবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (এসসিআরডিপি) যেখানে মোট প্রায় ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রকল্প দুটির উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিকল্পনা অনুযায়ী টেকসই নগরায়ন, নগর পরিচালন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করা, দক্ষিণ চট্টগ্রামের জীবন মানের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. শের আলী, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, এএফডি বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কট্রিস, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিডে। এছাড়াও প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস ফ্রান্সের
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্স।
রবিবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
সাক্ষাৎকালে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, নির্মাণখাতে সবুজায়ন, পরিবেশ সুরক্ষাসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, ৭-৮ মার্চ ২০২৪ তারিখ ফ্রান্সের প্যারিসে ৭০টি দেশের ১৪০০ প্রতিনিধি ‘বিল্ডিং অ্যান্ড গ্লোবাল ফোরাম ২০২৪- এ মিলিত হন।
ফোরামে ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।
ফোরামে কপ- ২৮ সম্মেলনের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৯ দফা সিদ্ধান্ত সম্বলিত ‘ডিক্লারেশন দে শ্যালট’ গৃহীত হয়।
ওই ঘোষণার আলোকে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সাক্ষাতে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ কারণে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ও সম্মিলিত পদক্ষেপ আরও স্থিতিস্থাপক ও টেকসই বিশ্ব বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য মূল স্টেকহোল্ডার হিসেবে নারীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর পার্লামেন্ট ক্লাব মিলনায়তনে সার্ক বিজনেস কাউন্সিল অব উইমেনস ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত অবক্ষয়- নারীর উপর প্রভাব এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা এখন বাংলাদেশের কাছ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কৌশল শিখতে আগ্রহী। যাইহোক, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়।
তিনি আরও বলেন, এর জন্য সঠিক গবেষণা প্রয়োজন। সর্বোপরি বেসরকারি খাতসহ সবাইকে নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
সেমিনারটি ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে যেখানে নীতিনির্ধারক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, নারী নেত্রী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থভাবে বাঁচতে ক্ষতিকর প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন মূল চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর হোটেল আমারিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠন কনসাল্টেটিভ গ্রুপ অব ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (সিজিআইএআর) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একটি বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন বিশেষ করে ধানের উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ঝুঁকি তৈরি করবে। ধানের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য হলো টেকসই, নিরাপদ ও লাভজনক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক্সপার্ট পোলের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি, ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অফিসার ডাউ দ্য অ্যান, কম্বোডিয়ায় কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ফেলোউন চ্যান, ইরির সিনিয়র বিজ্ঞানী বোয়র্ন ওলে স্যান্ডার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে ১৭ টি দেশের ৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
সিজিআইএআর এশিয়ান মেগা ডেল্টাস (এএমডি) নিয়ে গবেষণা করছে। এর মধ্যে রয়েছে গঙ্গা- ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ বা বাংলাদেশ, ইরাবতী বদ্বীপ বা মিয়ানমার এবং মেকং বদ্বীপ বা ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে জলবায়ুসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করাই এই গবেষণার লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী
বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে বাংলাদেশ-ফ্রান্সের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমিয়ে আনতে বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স।
রবিবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ফরাসি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে দুই দেশ । বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার ও টেকসই পরিবেশগত চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জুলিয়েন ডুয়ার এবং ফ্রান্সের জলবায়ু পরিবর্তন সমঝোতাবিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিফেন ক্রৌজাত সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আলোচনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন, অভিযোজন কৌশল ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগসহ সহযোগিতার মূল ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়। স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এবং জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও সম্পদ বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আরও পড়ুন: টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী সাবের হোসেন ফ্রান্সের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্রিয় অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষায় সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ফ্রান্সের জলবায়ুবিষয়ক দূত।
উদ্ভাবনমূলক সমাধান বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
উভয় পক্ষ যৌথ প্রকল্প, জ্ঞান বিনিময় কর্মসূচি ও নীতি সংলাপের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
তারা জলবায়ু কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে উচ্চাশার পক্ষে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য সহায়তা জোগাড় করতে সিওপি বৈঠকসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে কাজে লাগানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার অভিন্ন অঙ্গীকার করা হয়েছে বৈঠকে।
বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার সিসিলিয়া কর্টেজের মেথিল্ডে বোর্ড লরানস, ক্রিস্টোফ বাফেট, প্যাট্রিক ব্লিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে বায়ুদূষণের অভিযোগে ৪ ইটভাটা বন্ধ
ইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজায়নে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
টেকসই ভবিষ্যৎ ও বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে প্রকৃতিবান্ধব উন্নয়নে সবুজ রূপান্তরের বিষয়েও জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।
শুক্রবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে চলমান তৃতীয় ইইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে 'দ্য গ্রিন ট্রানজিশন- পাটনারিং ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান তার বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন, পরিবর্তনে অভিযোজন এবং সবুজ রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি আহরণ ও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ জোর দিয়েছে।
পরিবেশবান্ধব পাট ও সবুজ হাইড্রোজেন ব্যবহার এগিয়ে নিতে এ সংক্রান্ত গবেষণা, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগ সহায়তার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ এবং পূর্ব তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেন্দিতো ফ্রেইতাসের পরিচালনায় আলোচনায় ভিয়েতনাম ও স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বক্তারা অংশ নেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ এবং আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূল থেকে আরব উপদ্বীপ এবং এশিয়া হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাজ্যগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্ধশতাধিক দেশের এই ফোরামে প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বাতিঘরে ‘রাইজিং ইকোস’ শুরু
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উন্নয়ন ও দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে ‘বাতিঘর-স্মৃতিতে আলী যাকের’ শীর্ষক ১০ দিনব্যাপী ‘রাইজিং ইকোস’ শীর্ষক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর এশিয়াটিক সেন্টারের ছাদে এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রদর্শনীতে মোট ৩১টি শিল্পকর্ম ও আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এক্সে অডিও-ভিডিও কল করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড থেকেও
এই প্রদর্শনীতে আলোকচিত্রী মৃত্তিকা গাইন তার ফটোগ্রাফিক লেন্সের মাধ্যমে জলবায়ুজনিত নদী ভাঙনের কারণে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে খুলনার দাকোপের কালাবগি গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে অংশগ্রহণকারী আরেক শিল্পী হ্লুবাইশু চৌধুরী তার চিত্রকর্মের মাধ্যমে রাঙামাটিতে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রাকৃতিক দৃশ্যের বিকৃতির চিত্র তুলে ধরেছেন।
মঙ্গল দীপ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর কিউরেটর, শিক্ষাবিদ ও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট শামসুল আলম হেলালের সমন্বয়ে ‘রাইজিং ইকোস’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ছবি মেলা ও ঢাকা আর্ট সামিটেও কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
প্রদর্শনীর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে মঙ্গল দীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন সারা যাকের, মঙ্গল দীপ ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ইরেশ যাকের, শামসুল আলম হেলাল, মৃত্তিকা গাইন, হ্লুবায়শু চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারা যাকের বলেন, ‘বাংলাদেশি হিসেবে ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিবসা নদীর ভাঙন এবং কাপ্তাই বাঁধের জন্য কাপ্তাই লেক সৃষ্টি এর দুটি উদাহরণ।’
‘সব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় রাখতে হবে’
বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে সব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যান্ড অ্যাপ্রাইজাল সফটওয়্যারের প্রচলন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং প্রক্রিয়াকরণের পর অনুমোদনের নিমিত্ত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো যাবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত 'প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যান্ড অ্যাপ্রাইজাল সফটওয়্যার (পিপিএ)' বিষয়ক কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্যে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, পিপিএ সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের সময় সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণকালে প্রকল্পের অবস্থানও জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন, এর ফলে অনলাইনে প্রণয়ন করা প্রকল্পের একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি হবে এবং অন্যান্য ডিজিটাল সার্ভিস ওই ডাটাবেজের সঙ্গে একত্রিত হবে ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এজন্য এ সফটওয়ার খুবই কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে যথাসময়ে এবং যথাযথভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়